॥ ১৫ ॥
ডালিয়াকে ফেসবুক অ্যাকাউন্টটা খুলে দিয়েছিল বাঁধন। ডালিয়া তখন রোজ যেত দুপুরে আয়েষাদের বাড়িতে। দু’জনে ফেসবুক করত। ডালিয়ার নিজস্ব কম্পিউটার নেই, ইন্টারনেট নেই। বাঁধনের সঙ্গে আর আড্ডা হয় না। আয়েষার বাড়িতে ডালিয়া আর যায় না। তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টটা তার নিজেরই বিস্মৃতির আড়ালে চলে গেল অচিরে। ফলে মহুলের মেসেজ এসে পড়ে রইল, ডালিয়া জানতেও পারল না।
অগস্ট মাসেই বিয়ের কথাবার্তা এক জায়গায় পাকা হয়ে গেল ডালিয়ার।
অঘ্রানে দিন ঠিক হল। তখনই একদিন কী মনে হতে সাইবার কাফেতে গিয়ে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টটা খুলল ডালিয়া, এমনি এমনি। মহুলের রিকোয়েস্টটা দেখল সে। মেসেজটা পড়ল। আর সে অনায়াসে চিনতে পারল মহুলকে, বুঝতে পারল কী তার পরিচয়!
ডালিয়া কোনও উত্তর দিল না!
———
সঙ্গীতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্ম ২৩ নভেম্বর ১৯৭৪, দুর্গাপুরে। ১৯৮৬ সাল থেকে কলকাতায় বসবাস। প্রথমে বাগবাজার মালটিপারপাস্ গার্লস স্কুল, পরে গোখেল কলেজে পড়েছেন।
তেরো-চোদ্দো বছর বয়স থেকেই কবিতা লেখার শুরু। প্রথম কবিতা ছাপা হয় ‘দেশ’ পত্রিকায় ২০০১-এ। তারপর নিয়মিত ‘দেশ’ সহ বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় লেখালেখি।
প্রথম উপন্যাস ‘শঙ্খিনী’। ‘দেশ’-এ ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত।
পেশা: সাংবাদিকতা। একটি টিভি চ্যানেলের সঙ্গে যুক্ত।
শখ: অসংখ্য। তবে আসল শখ মানুষের সঙ্গে এই মহাপৃথিবীর সম্পর্ক অধ্যয়ন।