গর্জনে বধির করে রাজপথে বেগ ওঠে দুলে ।
কৃশতনু, দীর্ঘকায়, ঘন কালো বসনে সংবৃত,
চলে নারী, শোকের সম্পদে এক সম্রাজ্ঞীর মতো,
মহিমামন্থর হাতে ঘাঘরার প্রান্তটুকু তুলে –
সাবলীল, শোভমান, ভাস্করিত কপোল, চিবুক ।
আর আমি – আমি তার চক্ষু থেকে, যেখানে পিঙ্গল
আকাশে ঝড়ের বীজ বেড়ে ওঠে, পান করি, কম্পিতবিহবল
মোহময় কোমলতা, আর এক মর্মঘাতী সুখ ।
রশ্মি জ্বলে… রাত্রি ফের ! মায়াবিনী, কোথায় লুকোলে ?
আমাকে নতুন জন্ম দিলো যার দৃষ্টির প্রতিভা –
আর কি হবে না দেখা ত্রিকালের সমাপ্তি না হলে ?
অন্য কোথা, বহু দুরে ! অসম্ভব ! নেই আর সময় বুঝি বা !
পরস্পর – অজ্ঞতায় সরে যাই – আমারই যদিও
কথা ছিলো তোমাকে ভালোবাসার, জানোতা তুমিও !