একেই কি বলে সভ্যতা
ভালো আর মন্দ মানুষ নিয়েই তো সমাজ। নিজ দেশে ভালোমানুষ দেখেছি অনেক, কিন্তু সমাজটাকে দেশটাকে তাদের উপযোগী করে গড়ে তুলতে পারলাম কই? আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র নিয়ে সেই কৈশোর থেকে কত অভিযোগ শুনেছি। অভিযোগ তো মিথ্যে ছিল না, ভিয়েতনাম যুদ্ধ, ইরাক যুদ্ধ থেকে পৃথিবীজুড়ে যুদ্ধ চলছে অবিরত, সেখানে আমেরিকার ভূমিকা ছিল এবং রয়েছে প্রধান। যুদ্ধ আর অস্ত্র ব্যবসা তার অর্থনীতিতে এমন ভূমিকা নিয়েছে যে তা বন্ধ করা সম্ভবই নয় যেন। খোলাবাজারে অস্ত্র বেচা-কেনা হয় সে দেশে, ইস্কুলে গিয়ে রাইফেল হাতে অপরিণত মনস্ক কিশোর তার সহপাঠীদের মেরে ফেলে এই সত্যকে লুকোনো কঠিন। এই অস্ত্র ব্যবসা, যুদ্ধ থেকে সরে আসতে গিয়েই প্রেসিডেন্ট জন. এফ. কেনেডির নিহত হওয়া। তা নিয়ে ছবি হয় ওই দেশে (জে.এফ.কে), সেই ছবিতে দেখি হত্যাকাণ্ডে প্রধান অভিযুক্ত এক অস্ত্র ব্যবসায়ী, এফ.বি.আই. এবং সি.আই.এ। এদের সঙ্গে অভিযুক্ত কেনেডি নিহত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে যিনি প্রেসিডেন্টের চেয়ারে গিয়ে বসেন, সেই লিন্ডন বি জনসনও। আমাদের দেশে এমন ছবি হতে পারে না। হলে সরকার এবং রাজনৈতিক দল তা একযোগে বন্ধ করে দিত। আমি আমার কথা বলি, তুমি তোমার কথায় তা খণ্ডন করো, তা হবে না, তোমার কথা পছন্দ না হলে তোমাকে, তোমার পরিবারকে শারীরিক ভাবে নিগ্রহ করব, দরকারে মেরেও দেব, যুক্তির বদলে বাহুবল আমাদের সম্বল। এক মাস কুড়ি দিন ধরে আমেরিকার নানা শহরে ঘুরেছি, উত্তরের মিশিগান থেকে পুবের শার্লট সিটি, আটলাণ্টা, পশ্চিমের লস এঞ্জেলস, সান দিয়েগো, থেকে পুবের নিউ ইয়র্ক সিটি, ওয়াশিংটন…। গিয়েছিলাম মিশিগান– অ্যান আরবর শহরে প্রবাসের বাঙালিদের এক সাহিত্যোৎসব কথামালায়। কথামালা তিনদিন। তারপর দেশটাকে ঘুরে দেখা। কলম্বাস ১৪৯২-এ পা দিয়েছিলেন আটলান্টিক পার হয়ে যে ভূখণ্ডে তার বয়স কত, ৫০০ পেরিয়ে আর ২৬ বছর হয়েছে মাত্র। এই ভারত দেশটির সভ্যতা কত হাজার বছরের। তুলনাই হয় না। সে তো এক নতুন দেশ। যারা তার এখনকার অধিবাসী তারা এসেছে সাগর পেরিয়ে, আর যারা ছিল সেই পাহাড় আর জঙ্গল অধ্যুষিত তিন দিক সাগরে ঘেরা সেই প্রাচীন ভূখন্ডে, সেই সব মানুষ, উপজাতি রেড ইন্ডিয়ানদের নিশ্চিহ্ন করেই আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের পত্তন। কিন্তু নানা দেশের মানুষ, ইওরোপীয়, এশীয়, আফ্রিকার মানুষ, শ্বেতাঙ্গ, বাদামি চামড়ার মানুষ আর একদা শ্বেতাঙ্গদের দাস হয়ে আসা কালো মানুষে গড়া এই মস্ত দেশটি এমন আশ্চর্য সভ্যতার পত্তন করল কীভাবে তা দেখে বিস্ময় আর যায় না। আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের মানুষ আর সমাজকে যতটুকু আন্দাজ করা যায় ৫০ দিনে তার কথাই বলি। আমরা যখন হাজার হাজার বছরের সভ্যতা ত্যাগ করে ক্রমশ নানা অন্ধতার বিবরে প্রবেশ করছি, তখন দেখে এলাম মাত্র ৫০০ বছর পার করে আসা এক দেশ কীভাবে এক সভ্য সমাজ গড়ে তুলেছে সেই দেশে। এমন এক জীবনযাত্রার অভ্যাস গড়ে তুলেছে তা আমাদের ভাবনার অতীত। ছোট ছোট অভিজ্ঞতা এখন আমার কাছে মস্ত হয়ে উঠেছে। সেই কথাই বলি।
যাচ্ছিলাম উত্তর ক্যারোলাইনার শার্লট নগর থেকে ওয়াশিংটন হয়ে লস এঞ্জেলস। ছোটখাটো মানুষ, সামান্য ভারী ব্যাগটি এরোপ্লেনের সিটের মাথায় কেবিনে তুলতে একটু ডিঙি মারতে হয়, তাতেও খুব সুবিধে হয় না। যা হোক হয়ে যায় কোনো রকমে। আমার পাশে শ্বেতাঙ্গ স্বামী এবং বাদামি চামড়ার স্ত্রী, তাঁদের একজনের বয়স ৮০-র কাছে, অন্যজন ৭৫-হবেন। বৃদ্ধ সহযাত্রী আমাকে জিজ্ঞেস করলেন, ক্যান আই হেল্প ইউ? তিনি তো আমার চেয়ে অন্তত বছর ১৫-র বড়। কী বলব। ততক্ষণে আমি নিজেই পেরেছি। তাঁকে ধন্যবাদ জানালাম। তিনি হাসলেন। জিজ্ঞেস করলেন, আমি কোথা থেকে আসছি, বলতে তিনি যে কলকাতা দ্যাখেননি তার জন্য দুঃখ প্রকাশ করলেন। বয়স হয়ে গেছে, কিন্তু ঘরে বসে কী করবেন, শীত চলে গেছে, এখন বসন্ত, সামার এসে গেল বলে, বেরিয়ে পড়েছেন দুজনে। আমি ওয়াশিংটন থেকে লস এঞ্জেলস যাব, দুই উড়ানের সময়ের তফাৎ ৪৫ মিনিট, এক উড়ান থেকে নেমে আর এক উড়ান ধরতে হবে অন্য গেটে, কোথায় তা? জিজ্ঞেস করলাম এক তরুণকে। সে আমায় চমৎকার বুঝিয়ে দিল বোর্ডিং পাশ দেখে। তারপর হনহন করে ছুটতে লাগল প্রায়। তারও যেতে হবে অন্য এক উড়ান ধরতে। আমার জন্য কয়েক মিনিট সময় ব্যয় করল তবুও। আমি হাঁটলাম আমার পথে। মানুষগুলি এমন হলো কী করে?মধ্যবয়সিনী এক মহিলা স্বতোপ্রণোদিত হয়ে আমার ব্যাগ উড়ানের কেবিন থেকে নামিয়েও দেন। এমন অভ্যাস আমাদের নেই। মুম্বই বিমান বন্দরে সিকিউরিটিকে জিজ্ঞেস করলে সে কথা না বলে লাঠি দিয়ে দিক নির্দেশ করে। মুখ গম্ভীর করে থাকেন ভারতীয় সহযাত্রীরা। একটা কিছু জিজ্ঞেস করলে জবাব দিতে পারেন, বা না পারেন। ওই দেশে মুখ গম্ভীর মানুষ কম দেখেছি। বিরক্তি প্রকাশ করা মানুষ কম দেখেছি। চেনা হোক, অচেনা হোক, মুখে হাসি, আপনার দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে চলে যাবেন। এইটা অভ্যাস। এই অভ্যাসের সঙ্গে আরো অনেক অভ্যাস দেখেছি যা বিস্মিত করেছে। রেস্তোরাঁর মহিলা কর্মচারী আপনার জন্য খাদ্য নিয়ে এসে আপনার বান্ধবীর সঙ্গে সেলফি তুলে তার গালে চুমা দিতে পারে। সে কোন দেশ থেকে এসেছে, তার খোঁজ নেয়। সেই দেশটি কেমন তা জানতে চেষ্টা করে। বলে একবার সে তাজমহল দেখতে যাবে। তার যা মর্যাদা আপনারও সেই মর্যাদা। আমরা তো বাজারের সব্জিওয়ালা, দোকান কর্মচারী, রেস্তোরাঁর কর্মচারী, সকলকে তুইতোকারি করতে অভ্যস্ত। আর বাস কণ্ডাকটরকে তুইতোকারি করা এবং তাকে রাস্তায় ধরে পিটাবার বাসনা প্রকাশ আমাদের মনের ভিতরে সুপ্ত। বাস কেন ধীরে চলছে? মনে পড়ে আমার এক সহযাত্রী মোবাইল ফোনে তাঁর পুত্রকে নানা রকম সহবতের কথা বুঝিয়ে জল শেষ হয়ে যাওয়া প্লাস্টিক বোতলটি বাসের জানালা দিয়ে রাস্তায় ছুঁড়ে দিলেন। কোনোরকম বিকার নেই। অথচ ওই দেশটির চার বছরের শিশুও জানে চকোলেটের ফয়েলটি ট্রাসের জন্য রাখা বিনে ফেলতে হবে। সেই অভ্যাস বাড়ি থেকেই করে দেওয়া হয়। বাড়িতেও সে কাগজের টুকরোটি ট্রাস লেখা বিনে ফেলবে। এই অভ্যাসে শহর-জনপদে কুটোটিও পড়ে থাকতে দেখা যায় না। হাসপাতালের ভিতরে বা বাইরে মাইক অহরহ চলে আমার শহরে। রাজনৈতিক বক্তৃতা হয় ঘন্টার পর ঘন্টা। লাউড স্পিকারের আওয়াজ কত ডেসিবেল তা মাপার উপায় নেই। বিধি নিষেধ ভাঙাতেই আমাদের ক্ষমতার সংস্কৃতি, ওদেশটি যেন শব্দহীন। হাইওয়ে হোক, শহরের ভিতরে হোক, অ্যাম্বুলেন্স ব্যতীত হর্ন বাজেই না গাড়ির। গাড়ির পর গাড়ি ছুটছে, হর্ন নেই। যে যার লেন ধরে ছুটছে ঘন্টায় ৬৫-৭০ মাইল গতিবেগে। কিছু পথ অন্তর হাইওয়ে পুলিশের গাড়ি। গতিবেগ বাড়ালেই ধরা পড়ে যাবে। পুলিশকে মান্য করা এঁদের অভ্যাস। পুলিশও তার পদ মর্যাদা রাখে মনে হয়। নীরবতার অভ্যাস কাফে-রেস্তোরাঁর ভিতরেও। পরস্পরে কথা হচ্ছে, কিন্তু সেই কথা অন্যকে শুনিয়ে নয়। রেস্তোরাঁ বা স্টোরে জিনিশ কিনছে অনেকজনে। কিন্তু আওয়াজ নেই। অভ্যাস। জিনিশের দাম দেবেন। যিনি কাউন্টারে তার সঙ্গে পরের ব্যক্তি আপনার তফাৎ পাঁচ-সাত হাত। তাতে কাজ হচ্ছে সুষ্টু ভাবে। কেউ কাউকে ডিঙিয়ে যাচ্ছে না। পেছন থেকে আগে এসে দাঁড়াচ্ছে না। আপনি যখন কথা বলছেন বুক স্টোরের কর্মচারী মহিলার সঙ্গে আপনার কথার মাঝে আর একজন কথা বলছে না তার প্রয়োজন নিয়ে। আপনারটা শেষ হলে তাঁর কথা শুরু হবে। দেখুন ভেবে, আপনি পাড়ার দোকানে কিছুর খোঁজ করছেন, আপনার পরে আসা ব্যক্তির তর সইছে না, সে ক্রমাগত প্রশ্ন করে আপনার আগে তার প্রয়োজন মেটাতে চাইছে। এতে আপনার কাজ হচ্ছে না, তাঁরও না। সপরিবারে আপনি গেছেন সায়েন্স সিটিতে, বাচ্চাদের ডায়নোসর দেখাবেন, আপনি লাইনে আছেন টিকিটের জন্য, এক মহিলা কাউন্টারের মুখে এসে হাত বাড়ালেন টিকিটের জন্য। মহিলা বলে আগে নেবেন। তাঁর স্বামী কয়েক হাত দূরে দাঁড়িয়ে। চতুর স্বামী তার স্ত্রীকে পাঠিয়ে লাইনে না দাঁড়িয়ে আগে নেবেন। আমাদের অভ্যাস এমন, ওঁদের অভ্যাস পরপর নেবেন। অপেক্ষা করে নেবেন। শার্লট সিটিতে শার্লট সিম্ফনি অর্কেস্ট্রার অনুষ্ঠান দেখতে গেছি। মোজার্ট, বেটোফেন, চাইকোভস্কি বাজবে তার সঙ্গে ওয়াল্ট ডিজনির অ্যানিমেশন ফিল্ম। সঙ্গে চার বছরে শিশু দৌহিত্রী। তার জন্য টিকিট কেনা হয়েছে। সিট দুই সারিতে, সামনে পিছনে দুটি করে। সামনের সারিতে কন্যা চকোরি আর দৌহিত্রী ঝিলমিল। পেছনে আমরা বাকি দুই, আমি ও মৈনাক। সামনের সারিতে বসা বৃদ্ধ বৃদ্ধা বুঝতে পেরেছেন আমরা এক পরিবার, কিন্তু আলাদা হয়ে গেছি। বৃদ্ধ ঘুরে পিছনে তাকিয়ে আমাদের প্রস্তাব দিলেন, আমরা দুজন তাঁদের সঙ্গে জায়গা বিনিময় করব কি না। করা হলো, তাঁরা হাসতে হাসতে পিছনের সারিতে চলে এলেন। অবাক হতে বাঁকি ছিল। শো আরম্ভের আগে হলের কর্মচারী কৃষ্ণাঙ্গিনী মেয়েটি এসে জিজ্ঞেস করল শিশু ঝিলমিলের জন্য বিশেষ সিট লাগবে কি না। সে সিটের উপর সিট চাপিয়ে দিয়ে গেল। ঝিলমিলের সুবিধে হলো। নির্বিঘ্নে অনুষ্ঠান দেখল। আমরা ছেলেবেলায় বড়দের সিটে বসে থিয়েটার হোক সিনেমা হোক, কিছুটা দেখতাম, বাকিটা দেখতাম না। সামনের সারির দর্শকের মাথা সব আড়াল করে দিত। এই হলো সভ্যতা। সভ্যতা মানুষের অভ্যাস বদল করে দেয়। নিউ ইয়র্কে কুইন্স লাইব্রেরি দেখে অবাক। সারাদেশে অসংখ্য এমন লাইব্রেরি। অনেক ভাষার বই নিয়ে চুপচাপ হয়ে থাকা লাইব্রেরি। বাংলা বইও আছে তার ভিতরে। আছে ডিজিটাল বুক, আছে অডিও এবং ভিডিও বিভাগ। আছে শিশুদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা। তাদের বই, তাদের কম্পিউটার। মায়েরা নিয়ে এসেছেন সন্তান। শিশুটি রঙ চিনছে, অক্ষর চিনছে, বই চিনছে। কুইনস লাইব্রেরি দেখে আমাদের শহরের অনেক লাইব্রেরির কথা মনে পড়ল। একটুও মেলে না। দুরবস্থার শেষ নেই। কত সব দুষ্প্রাপ্য বই অনাদরে অবহেলায় মুখ গুঁজে পড়ে থাকে স্বল্প আলোর নিচে। হাইওয়ে দিয়ে যেতে যেতে পরপর নিষ্ক্রমণ এগজিট। এগজিট আপনাকে নিয়ে যাবে রেস্তোরাঁ, গ্যাস ষ্টেশন (পেট্রল পাম্প)-এর এলাকায়। সেখানে আপনার প্রাকৃতিক প্রয়োজন মেটাবেন। সমস্ত গ্যাস ষ্টেশন, সমস্ত রেস্তোরাঁ, লাইব্রেরি, মিউজিয়ম, সমস্ত চেন স্টোর (যেমন ওয়ালমারট, পটেল ব্রাদার্স, ওল্ড নেভি…)-এ ব্যবস্থা আছে পরিচ্ছন্ন টয়লেটের। কত পরিচ্ছন্ন, না আমাদের বাড়ির টয়লেটও বোধ হয় অত পরিচ্ছন্ন নয়। ফ্রি টয়লেট। আপনি সেই দোকানে কিছু কিনলেন বা না কিনলেন, টয়লেট ব্যবহার করতে পারেন। সভ্যতা। হাইওয়ে ধরে যেতে যেতে দেখবেন রেস্ট এরিয়ার বোর্ড। এগজিট দিয়ে হাইওয়ে থেকে বেরিয়ে দেখলাম সবুজ ঘাসে মোড়া উদ্যান। সেখানে ছোট ছোট ছায়া। বসার জায়গা। টয়লেট। সামান্য কেনাকাটার ব্যবস্থা। খাদ্য পাওয়া যায়। আপনি খাদ্য কিনে বা না কিনে, নিজের সঙ্গে আনা খাদ্য নিয়ে আরামে বসে খেয়ে নিতে পারেন রেস্ট এরিয়াতে। এমন কি খাদ্য গরম করার ব্যবস্থাও আছে সেখানে। সবই আপনার সুবিধের জন্য। ফ্রি ব্যবস্থা। রেস্ট এরিয়া মনোরম। ওয়াশিংটন যাওয়ার পথে আধ ঘন্টা সেখানে বিশ্রাম নিয়েছিলাম। এসব ওদেশের সামাজিক ব্যবস্থা। এই ব্যবস্থা যে কোনো নাগরিকের মর্যাদা বাড়ায়। আমার জন্য দেশের সরকার ভাবে। সব সুবিধে মন্ত্রী-আমলার করায়ত্ত নয় এদেশের মতো। নাগরিক হিশেবে আমাদের মর্যাদা প্রায়শই ক্ষুণ্ণ যে হয় তা কি টের পাই না? ওদেশে খাদ্যের গুণাগুণে ঘাটতি দেখা গেলে কে. এফ. সি. নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়ে। খাদ্যের দাম কম এবং তা ভেজাল রহিত। ভাগাড়ের মাংস, এই অভিযোগ এলে সেই ব্যবসায়ী কারাগারেই বাকি জীবন কাটাত। এই যে অনেক ভালোর কথা বললাম, তা করেছে নানা দেশের মানুষ ওই দেশে গিয়ে। হ্যাঁ, এইটা সত্য যে দেশটা আমাদের দেশের পাঁচগুণ, কিন্তু মানুষ কম। আমাদের মতো জন সংখ্যার ভারে জর্জরিত নয়।