১৫
পাঞ্চালরাজং দ্রুপদং গৃহীত্বা রণমূর্ধনি।
পাঞ্চালরাজ দ্রুপদকে জীবন্ত ধরে আনতে হবে আমার কাছে।
.
রঙ্গভূমিতে অর্জুন বীরোচিত মর্যাদায় নিজেকে উন্নীত করেছিল।
কর্ণের অস্ত্রকুশলতায় আর বাগাড়ম্বরে সেই মর্যাদার অনেকটাই ক্ষুণ্ন হয়ে গেল। কৃপাচার্যের হস্তক্ষেপে এবং সূর্যাস্তের কারণে কর্ণ আর অর্জুনের মধ্যে যুদ্ধ হলো না বটে, কিন্তু উভয়ের মনে সারা জীবনের শত্রুতার বীজ উপ্ত হয়ে গেল।
কর্ণের অকারণ উপস্থিতি আর বাগাড়ম্বরতা বাদ দিলে প্রশিক্ষণ প্রদর্শনী মনোহরই হলো। হস্তিনাপুরের রাজপ্রাসাদবাসীরা, মন্ত্রী- অমাত্যরা দ্রোণাচার্যের নামে জয়ধ্বনি দিতে লাগলেন। রাজবাড়িতে তাঁর গুরুত্ব বেড়ে গেল অনেক গুণ। অতুল্য অস্ত্র- প্রশিক্ষণের কারণে এবং অবশ্যই ব্রাহ্মণ হওয়ার কারণে সার্বত্রিকভাবে সকলে দ্রোণকে গুরু বলে মেনে নিলেন। সকলের মান্যতার মধ্যে দ্রোণাচার্যের যে কথাটি প্রথমে মনে পড়ল, তা হলো—প্রতিশোধ, পাঞ্চালরাজ দ্রুপদের ওপর প্রতিশোধ।
এক প্রত্যুষে দ্রোণাচার্য তাঁর সকল অস্ত্রশিষ্যকে ডাকলেন। সবাইকে সামনে দাঁড় করিয়ে নিজে উচ্চাসনে বসে বললেন, ‘বৎসরা, তোমরা তো আমার কাছে অস্ত্রশিক্ষা সম্পন্ন করেছ?’
এই প্রশ্নের উত্তর নিষ্প্রয়োজন। গুরু এবং শিষ্য—উভয়পক্ষই জানেন এর উত্তর ধ্রুবতারার মতো স্পষ্ট এবং সত্য। শিষ্যরা তাই নিশ্চুপ থাকল।
গুরু আবার বলতে শুরু করলেন, ‘গুরুদক্ষিণা বলে একটা কথা আছে। শিক্ষণ শেষে শিষ্যদের শোধ করতে হয় এই দক্ষিণা। তোমাদেরও সেই দক্ষিণা শোধ করার সময় এসে গেছে।’
দুর্যোধন ত্বরিত বলে উঠল, ‘বলুন গুরুদেব, কী দক্ষিণা দিলে আপনি আনন্দিত হবেন?’
স্মিত হাসলেন দ্রোণাচার্য। সেই হাসির মধ্যে সূক্ষ্ম অবহেলা জড়িয়ে ছিল। তা বোঝার ক্ষমতা দুর্যোধনের নেই। দুর্যোধনাদি শতভাই শুধু হাসিটুকু দেখল, শেষটুকু নয়। যুধিষ্ঠির আর অর্জুন ছাড়া অপরাপর পাণ্ডবরাও তা-ই দেখল।
দ্রোণাচার্য অর্জুনের দিকে মুখ ঘোরালেন। বললেন, ‘কী অর্জুন, গুরুদক্ষিণা দেবে না?’
অর্জুন উত্তর দেওয়ার আগে দুর্যোধন আবার বলে উঠল, ‘আমাদের বলুন, কী করতে হবে।’
এবার সমবেত শিষ্যের ওপর দৃষ্টি ফেলে উদাত্ত কণ্ঠে আচার্য বলে উঠলেন, ‘পাঞ্চালরাজ দ্রুপদকে ধরে আনতে হবে। জীবন্তই চাই আমি তাকে।’
দিন আর রাত্রি জুড়ে যে-বেদনা তাঁকে কুরে কুরে খেয়েছে, তার জ্বালা শুধু দ্রোণাচার্য নিজেই অনুভব করেছেন। সেই দিনের সেই মৃত্যুসম অপমান এই এতদিন পর্যন্ত তাঁকে তাড়িয়ে বেড়িয়েছে। সেই অন্তর্জালার কথা কাউকে বলতে পারেন নি তিনি। হিমালয়সম বেদনার বোঝাটি বুকে নিয়ে এই দিনটির জন্য তিনি অপেক্ষা করে ছিলেন। আজ সেই দিনটি এল। তাই ছাত্রদের উদ্দেশে বললেন, ‘দ্রুপদকে পরাজিত করে আমার পাদুকার সামনে এনে ফেলো।
গুরুর কথা শুনে যৌবনোদ্ধত রাজকুমারদের মধ্যে সাজ সাজ রব উঠল। রণসজ্জায় সজ্জিত হয়ে পাঞ্চালের উদ্দেশে রওনা দিল তারা। এই যুদ্ধযাত্রার গুরুত্ব কতটুকু, এর রাজনৈতিক তাৎপর্য কী বা তাদের যুদ্ধায়োজন দ্রুপদকে পরাস্ত করার মতো পর্যাপ্ত কি না এসবের কিছুই ভাবল না রাজকুমাররা।
এদিকে দ্রোণাচার্য একবারও অনুমতি নিলেন না ধৃতরাষ্ট্র বা বিদুর অথবা ভীষ্মের কাছ থেকে। অস্ত্রগুরু হিসেবে নিযুক্তির দিনই ভীষ্মকে দ্রোণাচার্য জানিয়ে রেখেছিলেন দ্রুপদের প্রতি তাঁর প্রতিশোধস্পৃহার কথা। অন্যদিকে শিষ্যদের কাছে যা-ইচ্ছে দক্ষিণা চাওয়ার স্বাধীনতা দ্রোণাচার্যের আছে। গুরুদক্ষিণা চাওয়ার ক্ষেত্রে ধৃতরাষ্ট্র বা বিদুর অথবা ভীষ্মের হস্তক্ষেপ করার কোনো অধিকার নেই।
এ ছাড়া পাঞ্চালরাজ দ্রুপদকে পরাস্ত করার ব্যাপারে কুরুপ্রাসাদের অভিভাবকদের একধরনের সমর্থন ছিল। দীর্ঘদিন ধরে পাঞ্চাল আর কুরুদের মধ্যে দ্বন্দ্ব বিরাজ করছিল। দ্রোণাচার্যের প্রণোদনায় কুরুরাজকুমাররা দ্রুপদকে পরাস্ত করতে পারলে পরোক্ষে কুরুদেরই লাভ। দীর্ঘদিনের শত্রুর ধ্বংস কে না চায়!
যুদ্ধযাত্রার আগে আগে কৌরব আর পাণ্ডব ভ্রাতাদের মধ্যে বিরোধ উপস্থিত হলো। দুর্যোধন বলল, ‘জ্যেষ্ঠ, আপনাদের যুদ্ধযাত্রার প্রয়োজন নেই। দ্রুপদকে ধরে আনার জন্য আমরা শতভাই-ই যথেষ্ট। অন্য ভাইদের নিয়ে আপনি প্রাসাদের আরাম উপভোগ করুন।’
যুধিষ্ঠির বলল, ‘তা কী করে হয়? তোমাদের যেমন দায়িত্ব আছে, শিষ্য হিসেবে আমাদের পঞ্চভাইয়েরও তো কর্তব্য আছে। গুরুদক্ষিণা শুধু তোমরা একা দেবে কেন? আমাদেরও তো ঋণ শোধ করতে হবে।’
যুধিষ্ঠিরের কথা এক ফুৎকারে উড়িয়ে দিল দুঃশাসন। ‘বহুদিন প্রশিক্ষণ নিয়ে আপনি এমনিতেই ক্লান্ত। তা ছাড়া অর্জুন আর ভীম, রঙ্গভূমিতে কর্ণের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে শক্তিহীন প্রায়। তাদেরও বিশ্রামের প্রয়োজন। ওদের নিয়ে আপনি রাজপ্রাসাদে বিশ্রাম নিন। আমরা পাঞ্চালরাজকে ধরে আনি।’ একটুক্ষণ থেমে দুঃশাসন আবার বলল, ‘ও হ্যাঁ জ্যেষ্ঠ, যুদ্ধযাত্রায় বীর কর্ণ আমাদের সঙ্গে থাকবে।’
কিন্তু কৰ্ণসহ শত ভাইয়ের আক্রমণ দ্রুপদ প্রতিহত করে দিল। যুদ্ধে পরাজিত হয়ে রণক্ষেত্র থেকে পালাতে শুরু করল কুরুভ্রাতারা। এই সময় সমরক্ষেত্রে উপস্থিত হলো অর্জুন আর ভীম। তাদের পরাক্রমে দ্রুপদসৈন্য ধ্বংসপ্রাপ্ত হলো।
অর্জুনের হাতে শেষ পর্যন্ত জীবন্ত ধরা পড়লেন দ্রুপদ। বন্দি দ্রুপদের সঙ্গে সদ্ব্যবহার করল অর্জুন। তাঁকে সে এইটুকু বুঝিয়ে দিল যে, ব্যক্তিগত কোনো আক্রোশ থেকে পাঞ্চাল আক্রমণ করে নি অর্জুন, শুধু গুরু দ্রোণের আদেশ পালনের জন্য এই আক্রমণ।
বন্দি দ্রুপদকে গুরুর সামনে উপস্থিত করল ভীমার্জুন। এবার দ্রোণাচার্যের কথা বলার পালা। এতদিনের সংবরিত ক্রোধ আচার্যের চোখে-মুখে কথায় ফুটে উঠল।
দ্রুপদকে উদ্দেশ করে তীব্র ভাষায় দ্রোণ বললেন, ‘তুমি বলেছিলে দ্রুপদ, রাজা নয় এমন মানুষ নাকি রাজার সখা হতে পারে না। নিজের জোরে তোমার রাজ্য বিধ্বস্ত করেছি, তোমার রাজধানীও আজ আমার দখলে। শুধু তা নয়…।’ বাক্য অর্ধসমাপ্ত রেখে আচার্য থেমে গেলেন।
দ্রুপদ তাঁর অধোবদন ওপর দিকে তুললেন। প্রশ্নাকুল চোখে দ্রোণের দিকে তাকিয়ে থাকলেন।
দ্রোণাচার্য বাক্য শেষ করলেন, ‘তা ছাড়া তোমার মরা-বাঁচাও এখন আমার ইচ্ছের অধীন। বলো এখন, আমার কাছ থেকে তুমি কী চাও? ও হ্যাঁ, আমার প্রতি বিগত দিনের দুর্ব্যবহারের কথা স্মরণে রেখেই তুমি তোমার প্রার্থনা জানাবে আশা করছি।’
দ্রুপদ পূর্ববৎ নির্বাক থাকলেন। কী বলবেন তিনি, কী বলারই বা আছে তাঁর। দ্রোণের সেই প্রার্থনার দিনটির কথা মনে পড়ল দ্রুপদের। সেদিন ভালো ব্যবহার করেন নি তিনি দ্রোণের সঙ্গে। বন্ধুত্বকে এক ঝটকায় উড়িয়ে দিয়েছিলেন। রাজাহংকারে এককালের বন্ধু দ্রোণকে সপরিবারে অপমান করতে বিন্দুমাত্র দ্বিধা করেন নি। আজকের দিনটির জন্য মোটেই প্রস্তুত ছিলেন না তিনি। সামান্য একজন ব্রাহ্মণপুত্র মনের ভেতর এতটি বছর ক্রোধকে লালন করে রাখবেন, ভাবেন নি তিনি।
দ্রোণ কুরুবাড়িতে শিক্ষকতা করছেন এইটুকু শুনেছেন তিনি। কিন্তু সেই শিক্ষকতার পেছনে দ্রোণের যে এত গভীর চাল ছিল, ভেবে কুলিয়ে উঠতে পারেন নি দ্রুপদ। আজ তিনি পরাজিত। বিজিতের কোনো আকাঙ্ক্ষা থাকতে নেই। জয়ী যে- বিধান দেয়, তা বিনা প্রতিবাদে মেনে নিতে হয় বিজিতকে। তাই দ্রুপদ নির্বাকই থাকলেন।
বন্ধুর বিব্রতকর, অসহায়, ধূলিধূসরিত অবস্থা দেখে দ্রোণের হৃদয় বিগলিত হলো। দ্রুপদকে উদ্দেশ করে তিনি ধীরে ধীরে বললেন, ‘আমরা ব্রাহ্মণ মানুষ। ক্ষমাই আমাদের ধর্ম। তোমার মতো নির্মম নই আমি, দুরাচারীও নই। তোমার প্রাণের ভয় নেই দ্রুপদ আমার দিক থেকে তোমাকে হত্যার কোনো উদ্যোগ নেব না আমি। ছোটবেলায় যে তুমি আমার বন্ধু ছিলে, সেটা তুমি ভুলে গেলেও আমি ভুলি নি। আমরা একসঙ্গে খেলেছি, শুয়েছি। তোমার আর আমার মধ্যে বন্ধুত্ব, ভাব ভালোবাসাও কিছু কম ছিল না। সেদিন তোমার দুর্মতি হলো। অস্বীকার করলে তুমি আমাকে।’
একটা দীর্ঘশ্বাস দ্রোণাচার্যের বুক চিড়ে বেরিয়ে এল। ‘তুমি যা-ই কোরো আর যা- ই ভাবো, পুরনো দিনের বন্ধুত্ব এখনো আমি চাই।
তারপর একটু থেমে সামনে দণ্ডায়মান অর্জুন-ভীম-যুধিষ্ঠির-দুর্যোধনাদির ওপর একবার চোখ বুলিয়ে নিলেন। কী যেন ভাবলেন মনে মনে। উপবীতটি যত্ন করে যথাস্থানে রাখলেন। উত্তরীয় দিয়ে মুখমণ্ডল মুছে নিলেন। তারপর বললেন, ‘তুমি সেদিন রাজসভায় যতগুলো কথা বলেছিলে, তার মধ্যে একটি কথা আমার মনের মধ্যে গেঁথে আছে।’
দ্রুপদ তাড়াতাড়ি দ্রোণাচার্যের মুখের দিকে তাকালেন। তাঁর চোখে চোখ রেখে আচার্য বললেন, ‘অরাজা কখনো রাজার সখা হতে পারে না। যেহেতু তোমার বন্ধুত্ব আমার দরকার, তাই আমাকে রাজা হতে হবে। আর তার জন্য তোমার রাজ্যের অধিকার চাই আমি।’
বিষণ্ণ ক্লান্ত কণ্ঠে এতক্ষণে কথা বললেন দ্রুপদ, ‘আমার রাজ্য এখন তোমার পদানত। তুমি যা ইচ্ছে তা-ই করতে পারো।’
‘তোমার রাজ্য নিয়ে আমি ছিনিমিনি খেলব না। তোমার রাজ্যকে মাটিতে মিশিয়ে দিতে পারি, দেব না। শুধু রাজ্যের অর্ধেকাংশ তোমার কাছ থেকে কেড়ে নেব আমি।’
এই সময় দুর্যোধন বলে উঠল, ‘অর্ধেক কেন, গোটাটাই অধিকার করবেন আচার্য।’
দ্রোণাচার্য ডান হাত তুলে দুর্যোধনকে থামিয়ে দিলেন। দ্রুপদকে উদ্দেশ করে বললেন, ‘গঙ্গার দক্ষিণ তীরের পাঞ্চালরাজ্যটুকু তোমার আর উত্তর তীরের রাজ্যাংশটুকু আমার। এখন কি তুমি আমাকে বন্ধু বলে মেনে নেবে?’
দ্রুপদ বিচক্ষণ। তিনি জানেন—পরাজিতজনের কোনো বক্তব্য থাকা উচিত নয়। শত্রুর দাপট সহ্য করে তাঁর বশীভূতই থাকতে হবে তাঁকে। তিনি দ্রোণাচার্যের শর্ত মেনে নিলেন।
পাঞ্চালরাজ্য দু’ভাগে ভাগ হয়ে গেল। দ্রুপদের ভাগে পড়ল গঙ্গার দক্ষিণভাগে কাম্পিল্য, মাকন্দী ইত্যাদি নগরীর সমাবেশে চর্মপতীর জলধোয়া চম্বল পর্যন্ত। ওদিকে গঙ্গার উত্তরে দ্রোণাচার্য যে রাজ্য পেলেন তার রাজধানী হলো অহিচ্ছত্র।
শিষ্য অর্জুনের কল্যাণে দ্রোণ রাজা হলেন। দ্রোণের আশৈশবের দারিদ্র্য একেবারে ঘুচে গেল। জীবনের যন্ত্রণা তাঁকে কম ভোগ করতে হয় নি। এমন একটা সময় গেছে, যখন তিনি স্ত্রী-পুত্রের অন্ন জোগাড় করতে পারেন নি, পুত্রের মুখে তুলে ধরতে পারেন নি এক বাটি দুগ্ধ। শুধু চেষ্টার জোরে কুরুপ্রাসাদে সামান্য ঠাঁই করে নিতে পেরেছিলেন। অশেষ চেষ্টা আর অপরিসীম ধৈর্যের কারণে তাঁর শৈশবের স্বপ্ন আজ ফলবতী হয়েছে।
রাজা হওয়ার পরও দ্রোণাচার্য অহিচ্ছত্রে গেলেন না, যেমন করে অঙ্গরাজ্যের অধীশ্বর হওয়ার পরও যায় নি কর্ণ। কর্ণ কখনো অঙ্গরাজ্যের শাসনকার্য পরিচালনা করে নি। থেকে গিয়েছিল হস্তিনাপুরে। তেমনি করে দ্রোণাচার্যও হস্তিনাপুর ছেড়ে অহিচ্ছত্রে গেলেন না।
হস্তিনাপুরের সম্মান আর রাজপ্রাসাদের রাজনীতির আস্বাদ দ্রোণাচার্যকে হস্তিনাপুরেই রেখে দিল।
বহিরাঙ্গনের ঝনঝনানি থেমে গেলে একদিন শিষ্যদের ডেকে দ্রোণাচার্য বললেন, ‘তোমরা সবাই যুবক হয়েছ। যুদ্ধজয়ের অভিজ্ঞতাও তোমাদের হয়েছে। অশেষ ক্লান্ত এখন তোমরা। তোমাদের আনন্দের প্রয়োজন। তোমরা মৃগয়াতে যাও। সজীব জীবন ফিরে পাবে তোমরা।’
কুরুরাজপ্রাসাদের রাজকুমারদের মধ্যে মৃগয়ার প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেল।