একটি পেরেকের কাহিনী – ৫

॥ পাঁচ ॥

ডাঃ রায়ের চিঠি নিয়ে সুপারিন্টেণ্ডেন্ট-এর সঙ্গে দেখা করতেই সঙ্গে সঙ্গে বৈদ্যনাথের চাকরি হয়ে গেল। ওয়ার্ড অ্যাসিস্টেন্ট, কুড়ি টাকা মাইনে। হাসপাতালেই থাকার জায়গা পেয়ে গেল, খাওয়াটা ফ্রি। ডাঃ রায় হাসপাতালে ভিজিট করতে এলে দূর থেকে বৈদ্যনাথ দুই হাত তুলে নমস্কার জানায়। কোনোদিন নজরে পড়ে, কোনোদিন পড়েও না। অ্যাসিস্টেন্ট পরিবৃত হয়ে রুগী দেখায় এত ব্যস্ত থাকেন যে এগিয়ে গিয়ে কথা বলার সুযোগ বড় একটা হয় না। কথা বলবার আর আছেই বা কী। যা চেয়েছিল তাকে তো তা দিয়েছেন। শুধু কৃতজ্ঞতা জানানো? সে তো মনে মনে দিবারাত্রই সে জানাচ্ছে।

দিন সাতেক কাজ করার পর সুপারিন্টেণ্ডেন্ট বৈদ্যনাথকে ডেকে বললেন—‘ট্রেনিং-এর জন্যে তোমাকে তো একটা কোর্স নিতে হবে। কাল থেকেই তা শুরু হচ্ছে, তুমি ভতি হয়ে যাও। তিন মাসের এই ট্রেনিং কোর্সটা না নেওয়া থাকলে তোমার কাজের যোগ্যতাই প্রমাণিত হবে না, উন্নতিও করতে পারবে না।’

বৈদ্যনাথের হাতে একটা ফর্ম দিয়ে আবার বললেন—‘এইটে ভর্তি করে আনো আর সেই সঙ্গে দু’জন ডাক্তারের রেকমেণ্ডেশন দরকার। তবে তুমি যদি ডাঃ রায়ের একটা সই এই ফর্মে সই করিয়ে আনতে পার তাহলে আর কারো স্বাক্ষরের প্রয়োজন হবে না।’

পরদিন সকালে ফর্ম টা হাতে করে আবার সে গেল ডাঃ রায়ের বাড়ি। আবার সেই এক কথা—‘ছিলিপ লাগাও।’ বৈদ্যনাথ জানে স্লিপ দিলেও তার ডাক আসবে না। সুতরাং সে ফুটপাথেই পায়চারি শুরু করে দিল।

ন’টা বাজতেই ডাঃ রায় বেরিয়ে এসে গাড়িতে উঠতে যাবেন, এমন সময় বৈদ্যনাথ সামনে এসে হাজির। ওকে দেখেই ডাঃ রায় বললেন—‘তুমি এখানে কেন? আবার কী হল।’

তাড়াতাড়ি ফর্মটা এগিয়ে দিয়ে বললে—’একটা সই করে দিন স্যার।’

সেদিকে লক্ষ না করে এবং বৈদ্যনাথের কথায় কান না দিয়ে গাড়িতে উঠে বসলেন। ড্রাইভারকে একটু অপেক্ষা করতে বলেই বৈদ্যনাথকে বললেন—‘তোমার চেহারাটা এত খারাপ দেখছি কেন?’

বৈদ্যনাথ বললেন—‘এমন কিছু না। নাইট ডিউটি চলছে কিনা তাই। এই ফর্মটায় একটা সই করে দেবেন স্যার?’

ডাঃ রায় বললেন—‘ও-সব এখন থাক। আমি পরশু সকালে কলকাতার বাইরে যাচ্ছি। ঘুরে আসি, তখন দেখা কোরো।’

হাত-ঘড়িটার দিকে তাকিয়েই ড্রাইভারকে গাড়ি ছাড়বার আদেশ দিলেন। গাড়ি চলে গেল, রাস্তার উপর দাঁড়িয়ে ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে রইল বৈদ্যনাথ।

বৈদ্যনাথের কাছে সব বৃত্তান্ত শুনে সুপারিন্টেণ্ডেট বললেন—‘তাই তো, ডাঃ রায় সই করলেন না! তবে তো তোমার একটা বছর নষ্ট হল।’

বৈদ্যনাথ মুষড়ে পড়ল। ডাঃ রায় ওকে যখন একটা চাকরিই দিলেন তখন সে-চাকরিতে উন্নতির সুযোগটুকুই বা করে দিলেন না কেন? ডাঃ রায়ের এই বিমুখতা বৈদ্যনাথের কাছে একটা রহস্য হয়ে রইল। তবু সে সুপারিন্টেণ্ডেন্টকে জিজ্ঞাসা করল—‘অন্য কোন ডাক্তারকে দিয়ে সই করিয়ে নিলে ভর্তি হওয়া যাবে কি?’

সুপারিন্টেণ্ডেন্ট বললেন—‘তা যাবে না কেন। কিন্তু ডাঃ রায় যখন জেনেশুনেই সই করলেন না এবং শিলং থেকে ফিরে আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে বললেন, তখন নিশ্চয় কোনো একটা কারণ আছে। তোমাকে আর ওয়ার্ড অ্যাসিস্টেন্ট-এর কাজে রাখা যাবে না—ওটা বে-আইনি হবে। তিন মাসের কোর্সটা শেষ করলে আর কোনো অসুবিধাই হত না।’

বৈদ্যনাথ উদ্‌গ্রীব হয়ে জিজ্ঞাসা করল—‘উনি ক’দিনের জন্য শিলং যাচ্ছেন?’

‘কাল সকালেই যাচ্ছেন এবং তিন সপ্তাহের জন্য। সুতরাং তিন সপ্তাহ কোর্স অটেও না করলে এ-বছরে তো আর ও-কাজে তোমাকে নেওয়া চলবে না।’

পরদিন সকালে বৈদ্যনাথ সোজা হাজির শিয়ালদা স্টেশনে। আসাম মেল দাঁড়িয়ে আছে, ফাস্ট ক্লাস কম্পার্টমেন্ট-এর দিকে খোঁজাখুঁজি করতে গিয়ে বৈদ্যনাথ দেখতে পেল একটা সাদা কার্ড বসানো। লেখা আছে— Dr. B. C. Roy.

ট্রেন ছাড়তে তখনও মিনিট পাঁচ বাকি, ডাঃ রায়ের দেখা নেই। অধীর হয়ে বৈদ্যনাথ কম্পার্টমেন্ট-এর সামনের প্ল্যাটফর্মে পায়চারি করতে লাগল, হাতে ধরা আছে সেই ফর্ম। আরো দু-মিনিট পার হয়ে গেল, ডাঃ রায়ের তখনো দেখা নেই। ট্রেনের গার্ড আর স্টেশন মাস্টার উদ্গ্রীব আগ্রহে ডাঃ রায়ের কম্পার্টমেন্ট-এর সামনে দাঁড়িয়ে। ডাঃ রায় এখনো পৌঁছলেন না, তাই নিয়ে দুজনেই উদ্বিগ্ন।

আর যখন দু-মিনিট বাকি তখন দূরে দেখা গেল ডাঃ রায়কে। কাঁটায় কাঁটায় প্ল্যাটফর্মে ঢুকছেন।

পুরো সাহেবী পোশাক কিন্তু গলায় টাই নেই। স্টেশন মাস্টার ও গার্ড ওঁকে দেখে নিশ্চিন্ত হল, বৈদ্যনাথও। কম্পার্টমেন্টের কাছে আসামাত্র বৈদ্যনাথ হাতের ফর্মটা তাড়াতাড়ি ওঁর দিকে এগিয়ে দিয়ে বললে—‘স্যার একটা সই করে দিন, না দিলে আমার চাকরি হবে না।’

বৈদ্যনাথকে এখানেও দেখে ডাঃ রায় বিরক্তি প্রকাশ না করে চোখে- মুখে একটা বিস্ময় এনে বললেন—‘তুমি এখানেও ধাওয়া করেছ? আমি তো বলেইছি ফিরে এসে যা করবার করব।’

এক নিশ্বাসে বৈদ্যনাথ সুপারিন্টেণ্ডেণ্টের কথাগুলি ডাঃ রায়ের সামনে বলে গেল। হঠাৎ ডাঃ রায় প্যান্টের পকেট ও কোটের পকেট হাতড়াতে লাগলেন। কী একটা যেন খুঁজলেন, পেলেন না। সামনেই প্ল্যাটফর্মের উপর একটা পরিত্যক্ত সিগারেটের প্যাকেটের উপর দৃষ্টি পড়ল। আশে-পাশে এত লোক থাকতে কাউকে কিছু বললেন না। নিজেই দু’পা এগিয়ে গেলেন। বিশাল বপু নুয়ে পড়ল প্ল্যাটফর্ম-এর উপর। সিগারেটের প্যাকেটটা কুড়িয়ে নিলেন। প্যাকেটের খোলটা ফেলে দিয়ে ভিতরের সাদা অংশটুকু বার করে তার উপর লিখে দিলেন—

Give him some light work. —B. C. Roy.

কাগজটা বৈদ্যনাথের হাতে দিয়ে শুধু বললেন—‘সুপারিন্টেণ্ডেকে কাগজটা দেখিও।’

গাড়ি ছাড়তে এক মিনিট লেট্‌ হয়ে গিয়েছে। ডাঃ রায় তাড়াতাড়ি কম্পার্টমেন্ট-এ উঠে বসতেই গার্ড হুইসিল দিল, গাড়িও চলতে শুরু করেছে। বৈদ্যনাথ প্ল্যাটফর্ম ছেড়ে চলে যাওয়া গাড়িটার দিকে স্তব্ধ হয়ে চেয়ে রইল।।

ডাঃ রায়ের লেখা চিরকুট দেখে সুপারিন্টেণ্ডেন্ট হেসে ফেললেন। মনে মনে তারিফ করলেন বৈদ্যনাথের অদম্য উৎসাহের। খুশি হয়েই ওকে এবার হালকা কাজ দিলেন, রেকর্ড ক্লার্ক-এর কাজ। প্রত্যেক রুগীর জন্য ডাক্তাররা যে প্রেসক্রিপশন লিখে দেন তা অন্য একটা খাতায় নকল করে রাখাই হল বৈদ্যনাথের এখন একমাত্র কাজ।

তিন সপ্তাহ বাদে শিলং থেকে ফিরে এসে ডাঃ রায় যথারীতি হাসপাতালে রুগী দেখতে যান কিন্তু বৈদ্যনাথের সঙ্গে আর কোনো যোগাযোগ হয়নি। বৈদ্যনাথের মাইনে কুড়ি টাকায় শুরু হয়েছিল, ইতিমধ্যে আরো পাঁচ টাকা বেড়েছে। প্রতি মাসেই সে পাঁচ টাকা নিজের জন্য রেখে বাকি কুড়ি টাকা মা’র কাছে পাঠিয়ে দেয়। মাকে চিঠি লিখে জানিয়ে দিয়েছে সে পঁচাত্তর টাকা মাইনে হলেই সে কলকাতায় বাড়ি ভাড়া করবে এবং মাকে নিয়ে আসবে।

জরুরী প্রয়োজনে ডাঃ রায়ের একদিন তাঁরই এক রুগী সম্পর্কে পুরোনো প্রেসক্রিপশনটা একবার দেখা দরকার হল। সুপারিন্টেণ্ডেন্ট আপিস থেকে খাতাটা এনে ডাঃ রায়কে দিলেন। খাতাটার পাতা উল্টে দেখতে দেখতে ডাঃ রায় বললেন—‘হাতের লেখাটা কার?’

‘রেকর্ড ক্লার্ক-এর স্যার।’

‘তা আমি জানি। লোকটি কে?’

সুপারিন্টেণ্ডেন্ট বরাবরই বৈদ্যনাথের প্রতি সহানুভূতিসম্পন্ন। ডাঃ রায়ের প্রশ্ন শুনে ভয় হল, খাতা লিখতে বৈদ্যনাথ কি কিছু গণ্ডগোল করে বসেছে? তবু ডাঃ রায় যখন জানতে চেয়েছেন নামটা লুকোনো অনুচিত বিবেচনা করেই বললেন—‘বৈদ্যনাথ স্যার। সে তো এই হাসপাতালে আপনারই রুগী ছিল, আপনিই তাকে কাজ দিতে বলেছিলেন।’

বৈদ্যনাথের কথা মনে পড়ে গেল ডাঃ রায়ের। খুশি হয়ে বললেন— ‘বেশ বেশ। ছেলেটির হাতের লেখা সুন্দর এবং পরিচ্ছন্ন। ওকে বোলো কাল সকালে আমার বাড়িতে গিয়ে দেখা করতে।’

পরদিন সকালে বেলা ন’টার একটু আগেই বৈদ্যনাথ ডাঃ রায়ের বাড়িতে হাজির। এবার আর ‘ছিলিপ লাগাও’-এর চেষ্টায় না গিয়ে গেটের সামনে অপেক্ষমান গাড়িটার পাশে চুপ করে দাঁড়িয়ে থাকল। ঠিক ন’টায় ডাক্তার রায় গাড়িতে উঠতে যাবেন, বৈদ্যনাথ দুই হাত তুলে নমস্কার করে বলল—‘আমাকে ডেকেছিলেন স্যার?’

একটু বিরক্তির সঙ্গেই ডাক্তার রায় বললেন—‘হ্যা ডেকেছিলাম। কিন্তু এতক্ষণে তোমার দেখা করার সময় হল?’

‘আমি তো অনেক আগেই দেখা করতে পারতাম, কিন্তু—’

ডাঃ রায় বৈদ্যনাথকে কথা শেষ করতে না দিয়েই হাঁক দিলেন— ‘দারোয়ান!’

ডাক শুনেই হন্তদন্ত হয়ে এসে দারোয়ান বৈদ্যনাথের উপর চোটপাট শুরু করে বললে—‘বহুৎ খতরনাক আদমি। রোজ ইধর আ কে দিল্‌লগি করতে হৈ। নিকালে ইধার সে বেত্‌তমিজ্।’

প্রচণ্ড ধমক দিয়ে ডাঃ রায় বললেন—‘খবরদার। কোনো লোকের সঙ্গে এভাবে কথা বলবে না।’

ধমক খেয়েই দারোয়ান কাঁপতে-কাঁপতে সেলাম ঠুকে বললে—‘যো হুকুম সাব।’

ডাঃ রায় বৈদ্যনাথকে দেখিয়ে বললেন, ‘এই ছেলেটি যখনই আমার সঙ্গে দেখা করতে আসবে, ওকে ঢুকতে দিও।’

পরমুহূর্তেই বৈদ্যনাথের দিকে তাকিয়ে বললেন—‘কাল সকালে এসো। আজ আর কথা বলবার সময় নেই।’

পরদিন সকালে বেলা আটটার সময় বৈদ্যনাথ ডাঃ রায়ের বাড়িতে উপস্থিত। আজ অবারিত দ্বার, দারোয়ান স্মিতহাস্যে অভ্যর্থনা জানাল। সকাল বেলায় বাড়িতে রুগী দেখা শেষ করে ডাঃ রায় তাঁর লাইব্রেরী ঘরের টেবিলে বসে কাগজপত্র দেখছিলেন। বৈদ্যনাথ সরাসরি সেখানে উপস্থিত হতেই ডাঃ রায় বললেন—‘এসেছো? দারোয়ান তাহলে ঢুকতে দিল তোমাকে।’

বৈদ্যনাথ হেসে বললে—‘কাল যখন আপনি নিজে বলে দিয়েছেন তখন কার সাধ্যি আমাকে আটকায়!’

বৈদ্যনাথের কথা শুনে ডাঃ রায় কৌতুক করে বললেন—‘আমি না বলে দিলেও তোমাকে কি কেউ আটকাতে পেরেছিল? যাক্, যে-জন্য তোমায় ডেকে পাঠিয়েছি। আমার কিছু ব্যক্তিগত কাজ আছে, তোমায় করে দিতে হবে। তোমার ইংরিজি হাতের লেখা আমার খুব পছন্দ। মেডিকেল জার্নালের জন্যে আমাকে মাঝে-মাঝে কিছু লিখতে হয়। আমার হাতের লেখা যেমন অস্পষ্ট তেমনি কাটাকুটিতে ভরা। টাইপিস্টরা ‘অনেক সময় বুঝতে পারে না। প্রচুর ভুল থেকে যায়। রোজ সকালে এক ঘণ্টা, এই ধরো আটটা থেকে ন’টা, তুমি আমার এখানে এসে লেখাগুলি নকল করে দেবে। তারপরে একবার চোখ বুলিয়ে দেখে টাইপিস্টকে দেব। পারবে তো?’

বৈদ্যনাথ খুশি হয়ে বললে—‘হাসপাতালে আমার ডিউটি শুরু হয় দশটার পর। সুতরাং এক ঘণ্টা কেন, সকালে যতক্ষণ প্রয়োজন আপনার কাজ করে দেব।’

‘ঠিক আছে। তা হলে কাল থেকেই লেগে যাও। হাসপাতালে কত মাইনে তুমি পাও?’

‘আজ্ঞে পঁচিশ টাকা পাই।’

‘বেশ, আমিও তোমাকে পচিশ টাকাই দেব। তাতে কুলোবে তো?’

বৈদ্যনাথ যেন হাতে চাঁদ পেল। বিস্মিত হয়ে বললে—‘কুলোবে! কি বলছেন স্যার! আমি তো ভাবছি কলকাতায় বাসা ভাড়া করে মাকে চাঁদপুর থেকে এনে আমার কাছেই রাখব।’

ডাঃ রায় গম্ভীর হয়ে বললেন—‘অত উৎফুল্ল হয়ে উঠে না বৈদ্যনাথ। কলকাতা শহরকে তোমার চেয়ে বেশি চিনি আমি। ও-টাকায় কলকাতায় বাড়ি ভাড়া করে মাকে এনে রাখা চলে না। ওতে মা’রই কষ্ট হবে বেশি। আরো কিছুদিন অপেক্ষা করো।’

পরদিন থেকে রোজ সকালে সাতটার মধ্যেই বৈদ্যনাথ ডাঃ রায়ের বাড়ি চলে আসে।

লেখা কপি করার কাজ প্রথমেই অতি যত্নের সঙ্গে সেরে রাখে। পরে হাতে কিছু সময় থাকলে ডাঃ রায়ের লাইব্রেরীর ডাক্তারী বই ও বিদেশ থেকে আসা মেডিকেল জার্নালগুলি গুছিয়ে রাখে। কিছুদিনের মধ্যেই বৈদ্যনাথ ডাঃ রায়ের লাইব্রেরী ঘরের যাবতীয় বইপত্র সম্পর্কে ওয়াকিবহাল হয়ে গেল। লেখার পাণ্ডুলিপি রিভাইজ করবার সময় রেফারেন্সের জন্যে কোনো বই বা পুরোনো জার্নালের প্রয়োজন হলে তৎক্ষণাৎ বৈদ্যনাথ তা ডাঃ রায়ের হাতে হাজির করে দেয়।

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *