একটি উজ্জ্বল ষাঁড় লিফটে চেপে উর্ধ্বে উঠে যান,
তখনই বন্দনা গান গেয়ে ওঠে, একপাল কৃতার্থ ছাগল।
জুলিয়াস সীজারের মতো তিনি, মিশরের ফারাও এর মতো
যেন এই শতাব্দীর তরুণ-বয়সী এক নবতম আলোকজান্ডার
পাতলা ক্রীমের মতো বুদ্ধের মহন হাসি মুখে
চেঙ্গিস খানের মতো চোখে বহুদূর
স্বপ্নের রক্তাক্ত সিড়ি, যেন জেনে দিয়েছেন তিনি
ভূ-মধ্যসাগর এসে পায়ে পড়ে হবে পুষ্করিনী।
প্রভু! কোনো দৈববাণী দেবেন কি আজ?
কোনো ধন্য সার্কুলার? অথবা সুসমাচার টাইপরাইটারে?
বিশ্বস্ত বাদুড়বৃন্দ এইভাবে নিজেদের ল্যাজের চামরে
নিভৃতে আরতি করে যায়।
একটি উজ্জ্বল ষাঁড় মেহগনি কাছের মস্ত সিংহাসনে, একগুচ্ছ চাবি
খুলে যান সারি সারি প্রয়ার, ফাইল, খোপ-ঝোপ
যুদ্ধের ম্যাপের মতো দেগে যান রণক্ষেত্র আর আক্রমণ
তুরী-ভেরী জগঝম্প বাজে টেলিফোনে।
আমি চাই না লাল কালিদিয়ে কেউ কবিতা লিখুক।
আমি চাই না কারো ঘাড়ে আলোকশিখার মতো দর্পিত কেশর।
ধ্রুবতারা ভালোবেসে, ভালোবেসে বেহুলার ভেলা
গাছের শিকড় থেকে খোলা হাওয়া পেড়ে আনে যারা,
যাদের হৃৎপিণ্ড জুড়ে জেগে আছে সমুদ্রের শাঁখ
আমি চাই তারা সব ইদুরের গর্তে বসে খঞ্জনী বাজাক।
একটি উজ্জ্বল ষাঁড় এইভাবে পেয়ে গেছে তুরুরে সবকটি তাস।
শুনেছি এবার তিনি নক্ষত্রমণ্ডলে
সত্তর বিঘের মতো জমি কিনে করবেন আলু-কুমড়ো পটলের চাষ।