একজন স্টিফেন হকিং
অসুস্থ তরুণটিকে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর চিকিৎসকেরা রায় দিলেন, তাঁর আয়ু খুব বেশি হলে মাত্র দুই বছর। তারপরই খরচের খাতায় নাম লেখাবেন ২১ বছরের টগবগে তরুণ। ঘটনাটি ১৯৬৩ সালের। তরুণটি দুরারোগ্য মোটর নিউরন ব্যাধিতে আক্রান্ত, যার পোশাকি নাম অ্যামিওট্রোফিক ল্যাটারাল স্কেলেরোসিস বা এএলএস। ডাক্তারদের কথা বেদবাক্য মনে করে আশা ছেড়ে দিলেন বাবা-মা। ছেলের মৃত্যুর প্রহর গুনতে লাগলেন তাঁরা। কেবল হাল ছাড়লেন না অসুস্থ তরুণটিই। মানসিকভাবে বড় ধরনের আঘাত পেলেও পড়ালেখা চালিয়ে গেলেন তিনি। মনের শক্তি সঙ্গী করে একসময় তাত্ত্বিক গবেষণায়ও নামলেন মনপ্রাণ ঢেলে। তারপরের কাহিনি তো আজ ইতিহাস। ডাক্তারদের ভবিষ্যদ্বাণী ভুল প্রমাণ করে এখনো জলজ্যান্ত সেই তরুণ। তিনি আর কেউ নন, বিশ্বখ্যাত তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানী ও জ্যোতির্বিদ স্টিফেন হকিং।
বিশ্বের লাখো কিশোর-তরুণের অনুপ্রেরণার নায়ক হকিংয়ের জন্ম উন্মাতাল এক সময়ে। সে সময় ইউরোপ মত্ত দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে। গোটা ইউরোপ গ্রাস করতে লন্ডনে মুহুর্মুহু বোমা ফেলছেন জার্মান একনায়ক হিটলার। ঠিক সে সময় বাবা ফ্রাঙ্ক আর মা ইসোবেল হকিংয়ের বিয়ে হয়। কয়েক মাস পরেই সন্তানসম্ভবা হন ইসোবেল। সন্তানের নিরাপত্তার কথা ভেবে অক্সফোর্ডে পাড়ি জমান তাঁরা। এখানেই ১৯৪২ সালের ৮ জানুয়ারি জন্ম নেয় একটি শিশু। নাম রাখা হয় স্টিফেন উইলিয়াম হকিং।
বড় হয়ে স্বাভাবিক নিয়মে একে একে স্কুল-কলেজ পেরোতে থাকেন হকিং। মোটামুটি ভালো মার্কস পেয়ে সব ক্লাস উতরে গেলেও নজরকাড়া তেমন কোনো সাফল্য ছিল না তাঁর। তবে বিজ্ঞানের প্রতি তাঁর ভালোবাসা ছিল নিখাদ। সে জন্য স্কুলের সহপাঠীদের কাছে হকিংয়ের আরেক নাম ছিল আইনস্টাইন। ফ্রাঙ্ক হকিংয়ের ইচ্ছে ছেলে ডাক্তার হোক। তবে গণিতে পড়ার প্রবল ইচ্ছে নিয়ে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে হাজির হন হকিং। কিন্তু সে সময় সেখানে গণিত পড়া সম্ভব ছিল না। বাধ্য হয়ে পদার্থবিদ্যা বেছে নেন হকিং। ১৯৫৯ সালে অক্সফোর্ডে পড়ালেখা শুরু হয় তাঁর। তখন বয়স সবে ১৭। বেশ ছিমছাম, উদ্দাম ছিল দিনগুলো। কিন্তু অক্সফোর্ডের শেষ দিকে নিজের ভেতর একটা অসুখের অস্তিত্ব প্রথম টের পান হকিং। দেখা যেত, মাঝে মাঝে সিঁড়িতে ওঠানামা করতে গিয়ে অকারণে তিনি পড়ে যাচ্ছেন। নৌকা চালাতেও দৈহিকভাবে বেশ সমস্যায় পড়তেন। কথাও জড়িয়ে যেতে লাগল তাঁর।
সেবার ক্রিসমাসের ছুটিতে বাড়ি গিয়েছিলেন হকিং। বাবা- মায়ের চোখে সেই প্রথম ছেলের অস্বাভাবিকতা চোখে পড়ল। তড়িঘড়ি তাঁরা ছুটলেন হাসপাতালে। অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর ধরা পড়ল দুরারোগ্য মোটর নিউরন বাসা বেঁধেছে হকিংয়ের শরীরে। তারপরই তো সেই অমোঘ বাণী শোনালেন ডাক্তাররা : হকিংয়ের আয়ু আর বড়জোর দুই বছর। কারণ, দু-একটা ব্যতিক্রম ছাড়া এ রোগে তিন বছরের বেশি বেঁচে থাকার রেকর্ড বিরল। কিন্তু চিকিৎসকদের কথায় কান দেননি তিনি। তাহলে তো অনেক আগেই মানসিকভাবে মৃত্যু হতো হকিংয়ের। নিশ্চিত সমাপ্তি জেনেও প্রতিকূল স্রোতেই মানিয়ে নিতে চেষ্টা করেন হকিং। তাই তো অক্সফোর্ড থেকে কৃতিত্বের সঙ্গেই অনার্স ডিগ্রি পান হকিং। পরে পিএইচডি করতে পাড়ি জমান কেমব্রিজে। সেখানেও তাঁর পিছু পিছু হাজির হয় মৃত্যুদূত। এর মধ্যেই জেন ওয়ার্ল্ডের সঙ্গে পরিণয় এবং পরে ১৯৬৫ সালে তাঁকেই বিয়ে করেন হকিং।
ধীরে ধীরে তাঁর অবস্থার আরও অবনতি হতে থাকে। একে একে নিভতে থাকে দেহের সব বাতি। দৈহিক সক্ষমতা আরও কমতে থাকে। এ সময় হাঁটার জন্য ক্রাচের ওপর নির্ভর করতে হয়। তাঁর কথা আরও জড়িয়ে অস্পষ্ট হয়ে যায়। পরিবারের সদস্য আর বন্ধুবান্ধব ছাড়া আর কেউ তাঁর কথা বুঝত না। লোপ পায় হাতে লেখার ক্ষমতাও। একসময় হুইলচেয়ারে বন্দী হতে থাকেন হকিং। কিন্তু থেমে থাকেন না হকিং। সব নিশ্চল হতে থাকলেও সৃজনশীল মন আর মগজ সচল রেখেছিলেন তিনি। হুইলচেয়ারে বসেই বিজ্ঞানী হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন তিনি। জনপ্রিয় বিজ্ঞানবিষয়ক লেখক হওয়ার স্বপ্ন বোনেন মনে মনে। লক্ষ্য অর্জনে খাটতেও থাকেন অমানুষিক। গোটা একটা সমীকরণকে জ্যামিতিক চিত্রের মতো করে দেখার পদ্ধতি শিখে নেন। পদার্থবিদ ওয়ার্নার ইসরায়েল পরবর্তী সময়ে হকিংয়ের এ চেষ্টাকে মোজার্টের সঙ্গে তুলনা করেছেন। কারণ, দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী মোজার্ট পুরো একটা সিম্ফোনি মাথার মধ্যে কম্পোজ করতেন।
এভাবেই কঠোর পরিশ্রমে ১৯৬৬ সালে মহাবিশ্ব সৃষ্টিতত্ত্ব বিষয়ে পিএইচডি ডিগ্রি পান হকিং। রজার পেনরোজের সঙ্গে যৌথভাবে মহাকর্ষীয় পরম বিন্দু (সিঙ্গুলারিটি) নিয়ে গবেষণাও করেন। পরে তাঁরা একটি গবেষণাপত্র প্রকাশ করেন, যার শিরোনাম ‘পরম বিন্দু ও স্থানকালের জ্যামিতি’। সে বছর এটি মর্যাদাপূর্ণ অ্যাডামস পুরস্কার লাভ করে। ১৯৭৪ সালে কৃষ্ণগহ্বরের বিকিরণ নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করেন, যা হকিং বিকিরণ নামে পরিচিত। অঙ্ক কষে হকিং জানান, কৃষ্ণগহ্বর আসলে অত কালো নয়। এর থেকে অল্প পরিমাণে আলো বিকিরণ হিসেবে বেরিয়ে আসে (অতি সম্প্রতি এটি প্রমাণিত হয়েছে)। ১৯৭৯ সালের দিকে কেমব্রিজে গণিতে লুকাসিয়ান প্রফেসর হিসেবে যোগ দেন, যে পদে একদা আলো করে বসেছিলেন নিউটন। এ পদেই টানা ৩০ বছর দায়িত্ব পালন করেছেন হকিং।
এদিকে ১৯৮৫ সালে ঘটে আরেক বিপত্তি। সেবার স্ত্রী জেনের সঙ্গে ফ্রান্স-সুইজারল্যান্ডের সীমান্তে ইউরোপের পারমাণবিক গবেষণাকেন্দ্রে গিয়েছিলেন হকিং। সেখানেই নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে আরেকবার মৃত্যুর মুখোমুখি হন তিনি। তাঁকে লাইফ সাপোর্ট দিয়ে কোনো রকমে বাঁচিয়ে রাখা হয়। অবস্থার চরম অবনতি দেখে আশা ছেড়ে দেন চিকিৎসকেরা। লাইফ সাপোর্ট সরিয়ে নেওয়ার কথাও ভেবেছিলেন তাঁরা। শুধু স্ত্রী জেনে কারণেই সে যাত্রায় বেঁচে যান হকিং। তবে কৃত্রিম শ্বাসপ্রশ্বাসের ব্যবস্থা করতে গিয়ে গলায় ছিদ্র করে ট্রাকোটমি করতে বাধ্য হয়। তাতে চিরতরে বাকরুদ্ধ হন হকিং।
মৃত্যুর সঙ্গে বেশ কিছুদিন লড়ে নিউমোনিয়া থেকে সুস্থ হন হকিং। তখন অন্যদের সঙ্গে যোগাযোগের প্রধান উপায় ছিল তাঁর চোখের ভুরুজোড়া। ও দুটো নাড়িয়ে কাগজে লেখা কোনো অক্ষরের দিকে ইঙ্গিত করতেন হকিং। তবে ভাগ্যক্রমে ১৯৮৬ সালে ইকুয়েলাইজার নামে এক কম্পিউটার প্রোগ্রাম পেয়ে যান তিনি। প্রোগ্রামটি বানিয়েছিলেন ওয়ার্ড প্লাস নামের এক প্রতিষ্ঠানের প্রধান ওয়াল্টার ওলটোজ। ওলটোজের শাশুড়িও মোটর নিউরনে ভুগছিলেন। তাঁর জন্যই এটি বানিয়েছিলেন তিনি। প্রোগ্রামটি ব্যবহার করে হকিং বেশ দ্রুতই অন্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারলেন। শুধু একটা সুইচ টিপেই কোনো শব্দ বা শব্দগুচ্ছ কিংবা কোনো বর্ণ পছন্দমতো বেছে নিতে পারতেন হকিং। সেটি সিন্থেসাইজারে যান্ত্রিক কণ্ঠ তৈরি করত। তবে মুশকিল হলো, প্রোগ্রামটি বানানো হয়েছিল ডেস্কটপ কম্পিউটারের জন্য। তাই হুইলচেয়ারে টেবিলের কাছে গিয়েই শুধু অন্য কারও সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারতেন। কিংবা নিজের প্রয়োজন বা সুবিধা-অসুবিধার কথা জানাতে পারতেন অন্যকে।
অবশ্য এ সমস্যা থেকেও একদিন মুক্তি পেলেন তিনি হকিংয়ের একসময়ের নার্স এবং পরে স্ত্রী এলিনা মেসনের প্রথম পক্ষের স্বামী কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার ডেভিড একটি ছোট্ট কম্পিউটার তৈরি করে দিলেন। সেটিকে আবার হকিংয়ের হুইলচেয়ারে কায়দা করে বসিয়ে দেওয়া হলো। এর মাধ্যমে আগের চেয়ে অনেক ভালোভাবে যোগাযোগ করতে পারলেন হকিং। নিজের হাত ব্যবহার করেই কম্পিউটারে হকিং মিনিটে ১৫টি শব্দ লিখতে পারতেন। সেগুলো স্পিচ সিন্থেসাইজারে পাঠালে তা যান্ত্রিক কণ্ঠে শোনা যেত। এভাবে তিনি শিক্ষার্থীদের জন্য লেকচার তৈরি করতেন। অসুস্থ অবস্থাতেই এভাবেই ব্রিফ হিস্ট্রি অব টাইমসহ একের পর এক জনপ্রিয় বইও লিখছেন তিনি
কিন্তু দুর্ভাগ্য বোধ হয় একেই বলে! একসময় হাতের আঙুল নাড়ানোর ক্ষমতাও হারিয়ে ফেলেন হকিং। কিন্তু নিয়তিকে আরেকবার বুড়ো আঙুল দেখালেন হকিং। ২০০৫ সালের দিকে তিনি কপালের পেশি নাড়িয়ে কম্পিউটার চালানো শিখে ফেলেন। এভাবে মিনিটে একটি শব্দ লিখতেন হকিং। পরে আগে থেকে শব্দ অনুমান করতে পারা একটি সফটওয়্যার হকিংয়ের হুইলচেয়ারের কম্পিউটারে যোগ করা হয়। এর ফলে আগের তুলনায় এখন অনেক ভালোভাবে নিজেকে প্রকাশ করতে পারছেন হকিং
এভাবেই বিগত ৫৬ বছর শুধু মানসিক শক্তির জোরে জীবনের সব অসম্ভব আর অনিশ্চয়তার সূত্র একে একে অগ্রাহ্য করেছেন হকিং। অগ্রাহ্য করেছেন চিকিৎসাবিজ্ঞানের রেকর্ডও। এ ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের মিয়ামি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউরোলজির এক অধ্যাপকের মত হচ্ছে, হকিং যেভাবে তাঁর শারীরিক অসুস্থতার বিরুদ্ধে লড়াই করে জয়ী হয়েছেন, তাতে বৈজ্ঞানিক গবেষণায় তাঁর অবদান বাদ দিলেও তাঁর নোবেল পুরস্কার পাওয়া উচিত।
সত্যিই দৈহিক অক্ষমতা সত্ত্বেও পড়ালেখা, তাত্ত্বিক গবেষণার সঙ্গে নিবিড়ভাবে যুক্ত থেকে নিজের স্বপ্নটা ঠিক ঠিক পূরণ করেছেন স্টিফেন হকিং। আইনস্টাইনের পর এখন তাঁকেই বিশ্বের সবচেয়ে প্রতিভাবান ও প্রভাবশালী বিজ্ঞানী হিসেবে ধরা হয়। হুইলচেয়ারে নিশ্চলভাবে বসে থেকেই কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে টানা ৩০ বছর গণিতের শিক্ষকতা করে পরিণত হয়েছেন জীবন্ত কিংবদন্তিতে। বুঝতে চেষ্টা করেছেন নক্ষত্র, গ্যালাক্সি, কৃষ্ণগহ্বরসহ মহাবিশ্বের মনস্তত্ত্ব। ব্রিফ হিস্ট্রি অব টাইম-এর মতো বিজ্ঞানবিষয়ক বই লিখেছেন, যা রেকর্ড ভেঙে বেস্টসেলার তালিকায় থেকেছে টানা ২৩৭ সপ্তাহ। হুইলচেয়ারে বসেই শুধু মনের জোরে এ ছাড়া আরও ডজনখানেক বই লিখেছেন তিনি। হকিংয়ের এ রকম আরও অসংখ্য অর্জন আর কাজের স্বীকৃতির পুরস্কারের তালিকাটাও বেশ দীর্ঘ। এমন সব অনন্য দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করেই বিশ্বের লাখো মানুষের কাছে অনুপ্রেরণা, উৎসাহ আর জীবনসংগ্রামের আরেক নাম এখন স্টিফেন হকিং।
সূত্র : সায়েন্টিফিক আমেরিকান ও ইনডিপেনডেন্ট ম্যাগাজিন
পরিভাষা
অতিস্ফীতি inflationary
অনিশ্চয়তার তত্ত্ব uncertainty principle
অনুনাদিত কম্পাঙ্ক resonant frequency
অনুমান assumption
অবিচ্ছিন্ন continuous
অসীম infinite
আংশিক চিরায়ত তত্ত্ব semi-classical theory
আনুভূমিকভাবে horizontal
আবদ্ধ সময়-সদৃশ বক্রতা closed time like curves
ইতিহাসের সমষ্টি sum over histories
উজ্জ্বলতা brightness
উড়ন্ত চাকতি বা সসার flying saucer
উন্মুক্ত বা নগ্ন পরম বিন্দু naked singularity
ঋণাত্মক শক্তি negative energy
এককত্ব unitarity
এক্স-রশ্মি X-rays
এনট্রপি entropy
ওয়ার্মহোল wormhole
কণা particle
কম্পাঙ্ক frequency
কশি দিগন্ত cauchy horizon
কার্যকারণ কাঠামো causal structure
কার্যকারণ কাঠামো তত্ত্ব causal structure theory
কার্যকারণ-সংক্রান্ত বা কারণিক causal
কাল্পনিক সময় imaginary time
কৃষ্ণগহ্বর বা কৃষ্ণবিবর black hole
কৃষ্ণবস্তুর বিকিরণ blackbody radiation
কোয়ান্টাম অবস্থা quantum state
কোয়ান্টাম ক্ষেত্র quantum field
কোয়ান্টাম বিদ্যুৎগতিবিদ্যা Quantum electrodynamics
কোয়ান্টাম বলবিদ্যা বা কণাবাদী বলবিদ্যা Quantum Mechanics
কোয়ান্টায়িত quantized
কোয়ার্ক quark
কোয়াসার quasar
ক্ষেত্র Field
গামা রশ্মি gamma rays
গোলাকার spherical
ঘটনাদিগন্ত event horizon
ঘনত্বের density
ঘনবিন্যস্ত অঞ্চল compact region
চিরায়ত তত্ত্ব classical theory
চুপসে যাওয়া collapse তরঙ্গদৈর্ঘ্য wavelength
তাপমাত্রা temperature
দুর্বল পারমাণবিক বল বা দুর্বল নিউক্লিয়ার বল Weak nuclear force
ধনাত্মক positive
নীল-বিচ্যুতি বা নীল-সরণ blueshift
নো-হেয়ার থিওরেম বা লোমহীন উপপাদ্য no-hair theorem
পতনশীল নক্ষত্র collapsing star
পরম absolute
পরম বিন্দু বা অনন্যতা singularity
পরম বিন্দুর উপপাদ্য singularity theorem
পরম শূন্য absolute zero
পরমাণু atoms
প্রতীকবাদ symbolism
প্ল্যাঙ্কের ধ্রুবক Planck’s constant
বক্র curved
বক্রতা curvature
বর্ণালিরেখা spectrum
বল force
বিকিরণ radiation
বিচ্যুতি deviations
বিদ্যুৎ electricity
বিদ্যুৎচুম্বকীয় বল electromagnetic force
বিশ্ব সৃষ্টিতত্ত্ব cosmology
বিষুবরেখা equator
বিকৃত distorted
বিশৃঙ্খলা disturbance
বেতারতরঙ্গ radio waves
ব্যতিচার interference
ব্যাসার্ধ radius
ভর mass
ভরহীন massless
ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল epicenter
ভৌত তত্ত্ব physical theory
ভৌতভাবে physically
মহাকর্ষ gravity
মহাকর্ষের কোয়ান্টাম তত্ত্ব Quantum theory of gravity
মহাজাগতিক সেন্সরশিপ প্রকল্প cosmic censorship hypothesis
মহাবিস্ফোরণ big bang
মাইক্রোওয়েভ microwaves
মিল্কিওয়ে বা আকাশগঙ্গা Milky Way
যুগল তারা binary star
যুগল নক্ষত্রব্যবস্থা binary star system
লোহিত বিচ্যুত red shift
শক্তি energy
শক্তি-ঘনত্ব energy density
শক্তিশালী পারমাণবিক বল strong nuclear force
শক্তিশালী বল strong force
শোষণ absorb
সংকুচিত contract
সমতল flat
সমীকরণ equation
সম্ভাবনা probability
সসীম finite
সসীম অঞ্চল finite region
সাধারণ আপেক্ষিক তত্ত্ব General Theory of Relativity
সীমানা অবস্থা boundary condition
সুষম বা সমরূপ uniform
সূচক indicator
স্থান-কাল space-time
স্থিতিশীল মহাবিশ্ব তত্ত্ব steady-state universe
স্ফীতি inflation
হ্রাস-বৃদ্ধি বা অস্থিরতা fluctuations