এই নগরীর সেই সব শতাব্দীর ধূসর পরিখা কই
পাণ্ডুলিপি হাতে নিয়ে প্রত্নতাত্ত্বিকেরা টেবিলের চারপাশে বসে আছে
নেকটাই—হ্যাট—একসটেনশন লেকচারের ঘ্রাণ
বিচক্ষণ সদনটিয়ার মতো সচ্ছল; এখন চায়ের অবসর
মার্থালেন—সিগারেট—
জ্যৈষ্ঠের দুপুরে হাওয়া
অই দূর সিন্ধুর দ্যুতির দিকে চলে যায়
আমাদের শুধু দিকনির্ণয়ের ভুল
ফুলসাজে তবু মূল নাই—মূল আছে, ফুল
নাই। নাকের ডগায় মাছি; কণ্ঠার উপরে মৃত আছি; মৃত্যু
কাহারো কাহারো রোমশ কুশলী হাতে—মরুভূর উটের আঘ্রাণ—
গোবির বালিতে।
চারিদিকে নগরীর পুনরুজ্জীবনের সুর
এরপর কারো আর তিলে তিলে মৃত্যু হবে নাক’
মৃত্যু বিজ্ঞাপিত হবে—সব মৃত্যু
সকল শবের চুল পরিপারিট করে আঁচড়ায়ে দেওয়া হবে।
সাদা আকাশের প্রান্ত থেকে সাদা মিনারের চূড়ার তরঙ্গ
এপারের দেয়ালের থেকে ওপারের ধূসর দেয়াল
লুব্ধ হাত বাড়াতেই শেষ হয়ে যায়
কুকুর ও বিহঙ্গেরা ছটফট করে তাই
পথের ভিতরে পথ গোলকধাঁধার মতো চ’লে গেছে—সেই ধূম্র
যুবনাশ্বের দিন থেকে?
পথে পথে সৃষ্টি সমুদ্রের সুর ভোরের আলোয়? সৃষ্টি সমুদ্রের সুর।
আমাদের ফেলে কেন সৃষ্টি কর?—আর্ত ডান হাত তুলে
অনেক সেকেলে বর্ম, অনেক বিকট যুদ্ধ, অনেক অনৃত মৃত
সময়ের কাছে নিষেধ জানাতে ভুলে গেছে।