৯
কাঞ্চী রাজ্যের রাজধানীতে ঢং ঢং করে ডঙ্কা বাজছে। চারদিকে ছোট-ছোট পাহাড়। সেই পাহাড়ে প্রতিধ্বনিত হচ্ছে গম্ভীর শব্দ। মল্লপাল ও আর কয়েকজন ঘুরে-ঘুরে বাজাচ্ছে সেই ডঙ্কা।
একটা ছাতিম গাছের তলায় দাঁড়িয়ে আছে দিক্বিজয়ী বীর রাজকুমার তীক্ষ্ণ। এর মধ্যে অনেক রাজ্য সে পার হয়ে এসেছে। এ-পর্যন্ত একজন যোদ্ধাও তাকে দ্বন্দ্বযুদ্ধে হারাতে পারেনি। বহু সেনাপতি ও রাজপুত্র লড়াই করতে গিয়ে নিহত হয়েছে তার হাতে। কেউ তার সামনে দাঁড়াতেই পারে না।
এখন রাজকুমার তীক্ষ্ণর নাম শুনলেই অনেক যোদ্ধা ভয়ে কাঁপে। কয়েকটি রাজ্যে রাজকুমার তীক্ষ্ণ প্রবেশ করা মাত্র সে দেশের রাজা তাড়াতাড়ি জানিয়ে দেন যে তাঁর রাজ্যে রাজকুমার তীক্ষ্ণর সমকক্ষ কেউ নেই। কেউ তার সঙ্গে লড়বে না। এই রাজ্য তাঁকে অদ্বিতীয় বীর বলে মেনে নিচ্ছে।
রাজার পক্ষ থেকে রাজকুমার তীক্ষ্ণকে অনেক উপহার দেওয়া হয়। রাজকুমার সেগুলি সাধারণ মানুষের মধ্যে বিলিয়ে দেয়। তারপর সে নিজের নামের একটি ঝাণ্ডা পুঁতে দেয় নগরের মাঝখানে।
কাঞ্চী রাজ্যের রাজার কাছ থেকে কোনও দূত আসেনি, এখনও কেউ লড়াই করার জন্য সাড়াও দেয়নি। একটা গুজব শোনা যাচ্ছে যে, একা কোনও যোদ্ধা রাজকুমার তীক্ষ্ণকে হারাতে পারবে না বলে এবার চল্লিশ-পঞ্চাশজন যোদ্ধা মিলে রাজকুমার তীক্ষ্ণকে ঘিরে ফেলে হত্যার ষড়যন্ত্র করছে। সেই গুজব শুনে মল্লপাল এ-রাজ্য থেকে সরে পড়ার পরামর্শ দিয়েছিল, কিন্তু রাজকুমার তীক্ষ্ণ অবিচল।
অবশ্য রাজকুমার তীক্ষ্ণর লড়াই দেখবার জন্য অন্যান্য রাজ্য থেকেও বহু মানুষ আসে। তাদের সামনে অনেক যোদ্ধা মিলে একা রাজকুমার তীক্ষ্ণকে মেরে ফেললে সে রাজ্যের খুবই বদনাম হবে। সবাই ছি-ছি করবে। একজনের বিরুদ্ধে অনেকে মিলে যুদ্ধ করা ক্ষত্রিয়দের ধর্ম নয়।
কিছু পরে শোনা গেল, রাজা একজন যোদ্ধাকে পাঠাচ্ছেন।
রাজকুমার তীক্ষ্ণকে ঘিরে দাঁড়িয়ে রয়েছে কয়েক-শো মানুষের জনতা। তারা সেই যোদ্ধাকে দেখে বিস্ময়ে স্তব্ধ হয়ে গেল। এ আবার কীরকম যোদ্ধা! মনে হয় এক উন্মাদ। বিশাল লম্বা-চওড়া দৈত্যের মতন একজন মানুষ, মাথার চুলে জটা, মুখে জঙ্গলের মতন দাড়ি। তার খালি গা, হাতে-মুখে বড়-বড় রোম, তাতে আবার ধুলো মাখা। তলোয়ারের বদলে তার হাতে একটা লোহার মুগুর।
আসলে হয়েছে কি, এই লোকটির নাম অলম্বুষ। সে পাহাড়ের ওপর একলা একলা থাকত। একদিন সে হঠাৎ পাগল হয়ে গিয়ে দু’জন মেষপালককে মুগুর পিটিয়ে মেরে ফেলে। তখন লোকে মনে করল, সে একটা মানুষ নয়, দৈত্য।
সে কিন্তু দৈত্য নয়, এমনিই একজন লম্বা-চওড়া মানুষ। রাজার সৈন্যরা গিয়ে তাকে ধরে নিয়ে এল, বিচারে তার ফাঁসির আদেশ হল। আর দু’ দিন পরেই তার ফাঁসি হওয়ার কথা। এই সময় রাজা ভাবলেন, লোকটা তো এমনিই – ফাঁসিতে মরবে, তার আগে একবার গিয়ে রাজকুমার তীক্ষ্ণর সঙ্গে লড়াই করুক না! যদি মরে তো মরুক, আর যদি কোনওক্রমে রাজকুমার তীক্ষ্ণকে হারিয়ে দিতে পারে, তাতে এই রাজ্যের সুনাম বাড়বে।
এখানে পাঠাবার আগে রাজা অলম্বুষকে বলে দিয়েছেন, “খুব ভাল করে লড়বি! যদি ওই রাজকুমারকে হারাতে পারিস, তা হলে তুই মুক্তি পেয়ে যাবি।”
পাগল অলম্বুষ রাজার এই কথাটা ঠিকই বুঝেছে।
মল্লপাল এই বিচিত্র লোকটিকে দেখে আপত্তি জানিয়ে বলল, “এ কী! এ তো একটা পাগল! এর সঙ্গে লড়াই করবেন আমাদের রাজকুমার?”
অলম্বুষের সঙ্গে রাজার একজন দূত এসেছে। সে বলল, “কে বলেছে পাগল? পাগল মাপার কি কোনও যন্ত্র আছে? তা ছাড়া পাগলের সঙ্গে লড়াই হবে না, এমন কথা তো আগে বলা হয়নি!”
মল্লপাল বলল, “ওর হাতে ওই একটা বিচ্ছিরি মুগুর কেন? আমাদের রাজকুমার তলোয়ার নিয়ে যুদ্ধ করেন। ওর হাতে একটা তলোয়ার দিন।”
রাজার দূত বলল, “তলোয়ার ছাড়া যুদ্ধ করা যাবে না, এ আবার কেমন কথা! যারা সত্যিই বীরপুরুষ, তারা যে-কোনও অস্ত্রের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে।”
এইসব কথা হচ্ছে, এর মধ্যেই পাগল অলম্বুষ মুগুর তুলে রাজকুমার তীক্ষ্ণকে মারবার জন্য তেড়ে গেল। রাজকুমার দ্রুত সরে গেল পেছন দিকে, কারণ তলোয়ার দিয়ে ওই পাথরের মুগুর আটকানো যাবে না।
শুরু হয়ে গেল দ্বন্দ্বযুদ্ধ।
এ-যুদ্ধে সুবিধে করতে পারল না রাজকুমার তীক্ষ্ণ। তাকে বারবার দৌড়ে পালাতে হচ্ছে। লোকটা মাঝে-মাঝে ছুড়ে মারছে পাথরের মুগুরটা। ভেঙে ভেঙে নিচ্ছে গাছের ডাল, এমন লোকের সঙ্গে তলোয়ার নিয়ে লড়া যায় না। রাজকুমার তীক্ষ্ণ ওর কাছে যেতেও সাহস করছে না। কেননা একবার হাতের নাগালে পেলে সে রাজকুমারকে পিষে মেরে ফেলবে।
সেই উন্মাদের হিংস্র চোখ জ্বলছে। যেন সে রাজকুমারকে হত্যা করতে বদ্ধপরিকর। মাঝে-মাঝে সে কিড়মিড় করছে দাঁত।
রাজকুমার তীক্ষ্ণ বারবার দৌড়ে পালাচ্ছে দেখে হায় হায় করছে দর্শকেরা। অনেকেই মনে করছে, এবারেই হারতে হবে রাজকুমারকে। হায়, হায়, এত বড় বীর হয়েও শেষপর্যন্ত হারতে হবে এক পাগলের কাছে!
পেছন ফিরে হাঁটতে গিয়ে রাজকুমার তীক্ষ্ণ একবার হোঁচট খেয়ে পড়ে গেল। সঙ্গে-সঙ্গে অলম্বুষ ঝুঁকে পড়ে ধরতে গেল তাকে। প্রায় ধরে ফেলেছে ভেবে হা-হা করে হেসে উঠল।
রাজকুমার তীক্ষ্ণ অতি দ্রুত গড়িয়ে গেল একপাশে। তার শরীরে অলম্বুষের আঙুলের ছোঁয়া লেগেছিল। সে বুঝতে পারল, এইভাবে বারবার পিছু হটে যুদ্ধে জেতা যাবে না। নিজের প্রাণ থাকতে সে যুদ্ধ ছেড়ে পালাতেও চায় না।
চোখের নিমেষে সে একটা বড় গাছ বেয়ে ওপরে উঠে গেল।
অলম্বুষ তখন আবার হা-হা করে হেসে বলল, “এবার তোকে পেয়েছি! আর পালাতে পারবি না!”
সে মুগুরটা নামিয়ে রেখে দু’হাত দিয়ে গাছটা ঝাঁকাতে লাগল। তার গায়ে অসীম শক্তি। গাছটা ভেঙে ফেলে সে রাজকুমারকে মাটিতে নামাতে চায়। অনেকেই মনে করল, এবার আর রাজকুমারের নিষ্কৃতি নেই। মল্লপাল ও তার সঙ্গীদের মুখ শুকিয়ে গেছে ভয়ে।
রাজকুমার তীক্ষ্ণ একটা উঁচু ডালের মাঝখানে গিয়ে সোজা হয়ে দাঁড়াল। সে খুব জোরে-জোরে লাফাতে পারে বলে লোকে তার নাম দিয়েছিল উড়ন্ত রাজকুমার। এখন সে আর একবার তার নামের সার্থকতার প্রমাণ দিল।
তলোয়ারটা হাতে নিয়ে সে লাফিয়ে উঠল শূন্যে। ঠিক এসে পড়ল অলঘুষের ঘাড়ের ওপর। তারপর অলম্বুষের গলার দু’ দিক দিয়ে পা ঝুলিয়ে সে তলোয়ারটা চেপে ধরল ওর টুটির কাছে। আর-একটা হাতের আঙুল রাখল তার ডান চোখের মণির ওপর।
যন্ত্রণায় চিৎকার করে উঠল অলম্বুষ।
ঠিক সেই মুহূর্তে কে যেন একজন বলে উঠল, “দাঁড়াও!”
অলম্বুষকে হত্যা করতে গিয়েও থেমে গিয়ে রাজকুমার তীক্ষ্ণ পেছন ফিরে তাকাল।
নদীর ধার দিয়ে এগিয়ে আসছিল ছোট একটি মিছিল। তার মধ্য থেকে একজন সৌম্য চেহারার মানুষ চলে এল এদের কাছে।
মানুষটির মাথার চুল চূড়া করে বাঁধা। গায়ের রং গৌরবর্ণ। গেরুয়া পোশাক পরা। ঠোঁটে স্নিগ্ধ হাসি। দেখলেই বোঝা যায়, ইনি সাধারণ কোনও মানুষ নন।
তিনি বললেন, “ওকে মেরো না, ছেড়ে দাও!”
এত দেশে যুদ্ধ করে এসেছে রাজকুমার তীক্ষ্ণ, কিন্তু এরকম অনুরোধ তাকে আগে কেউ করেনি।
এই অনুরোধ শুনে কিন্তু রাজকুমার তীক্ষ্ণ ভয়ঙ্কর রেগে গেল। এই অদ্ভুত ধরনের যুদ্ধে সে আগাগোড়াই বিরক্ত হয়ে ছিল, সে কর্কশ কণ্ঠে জিজ্ঞেস করল, “আপনি কে?”
সন্ন্যাসীটি বললেন, “আমি একজন মানুষ। তুমিও একজন মানুষ। যাকে তুমি মারতে যাচ্ছ, সেও একজন মানুষ। মানুষ কেন মানুষকে মারবে?”
রাজকুমার তীক্ষ্ণ বলল, “ও আমার কাছে যুদ্ধে হেরে গেছে। তাই ওকে আমি মারছি। আমি যদি পরাজিত হতাম, তা হলে ও এতক্ষণে আমার মাথা চূর্ণ-বিচূর্ণ করে দিত।”
সন্ন্যাসী বললেন, “যুদ্ধে কেউ হারে না। কেউ জেতে না।”
রাজকুমার তীক্ষ্ণ সগর্বে বলল, “কে বলল, আমি জিতিনি? এই দেখুন, এই লোকটির আর নড়াচড়ার ক্ষমতা নেই। আমি এক মুহূর্তে এর মুণ্ডুটা ধুলোয় লুটিয়ে দিতে পারি।”
সন্ন্যাসী বললেন, “যে-মুহূর্তে তুমি ওর গলা কাটবে, সেই মুহূর্তে তুমি একেবারে হেরে যাবে। তুমি মানুষ হিসেবে হেরে যাবে। তুমি হয়ে যাবে খুনি।” রাজকুমার তীক্ষ্ণ এক লাফে নেমে এল মাটিতে। তারপর সন্ন্যাসীর দিকে তেড়ে গিয়ে বলল, “আপনি ব্রাহ্মণ, আপনি যুদ্ধের বিষয়ে কী জানেন? আপনি কেন এ-ব্যাপারে মাথা গলাতে এসেছেন?”
সন্ন্যাসী হেসে বললেন, “আমি ব্রাহ্মণ নই।”
রাজকুমার তীক্ষ্ণ ভুরু তুলে বলল, “আপনি ব্রাহ্মণ নন? তা হলে সন্ন্যাসী সেজে আছেন কেন?”
সন্ন্যাসী বললেন, “আমি তো কিছু সাজিনি। পথে-পথে ঘুরি।”
রাজকুমার তীক্ষ্ণ একেবারে ছেলেবেলা থেকেই ব্রাহ্মণদের সম্মান করতে অভ্যস্ত। ব্রাহ্মণদের দেখলে প্রণাম করতে হয়, সন্ন্যাসীদের সামনে মাথা নিচু করে কথা বলতে হয়। এতক্ষণ তবু সে কোনওক্রমে মেজাজ সামলে ছিল, এখন যেই শুনল যে এই সন্ন্যাসীটি ব্রাহ্মণ নন, আসল সন্ন্যাসীও নন, তখন সে আরও ক্রুদ্ধ হল।
তলোয়ার তুলে বলল, “তুমি এই লোকটির প্রাণ বাঁচাতে চাও? বেশ, তা হলে এর বদলে তুমি প্রাণ দাও! তোমাকে এমনি-এমনি মারব না, তুমি আমার সঙ্গে লড়াই করো। তলোয়ার হাতে নাও!”
অন্য দিকে ফিরে সে বলল, “জয়পাল! এই ভণ্ড সাধুটিকে একটা তলোয়ার দাও!”
জয়পাল একটা তলোয়ার নিয়ে এল। সে রাজকুমারের মেজাজ জানে, এখন প্রতিবাদ করে কোনও লাভ নেই। কিন্তু তলোয়ারটা সে সন্ন্যাসীর হাতে তুলে দিতে পারল না। কেন যেন তার শরীর কাঁপছে। সে তলোয়ারটি সন্ন্যাসীর পায়ের কাছে নামিয়ে রাখল।
উন্মাদ অলম্বুষ এই সুযোগে ছুটে পালিয়ে গেল। রাজকুমার তীক্ষ্ণ যখন তার ঘাড়ে চেপে বসেছিল, তখন সে মনে করেছিল, তার মৃত্যু হতে আর এক মুহূর্তও বিলম্ব নেই। এখন প্রাণ ফিরে পেয়ে সে আর দাঁড়াল না।
রাজকুমার তীক্ষ্ণ বাধা দিল না সেই উন্মাদকে। সে সন্ন্যাসীকে বলল, “কী, ভয় পাচ্ছ নাকি? তোমার নিজের এত যদি মৃত্যুভয়, তা হলে যুদ্ধের ব্যাপারে মাথা গলাতে আসো কেন?”
সন্ন্যাসী সহাস্যে দু’ হাত বাড়িয়ে বললেন, “এসো!”
রাজকুমার তীক্ষ্ণ বলল, “তুমি আমার হাত থেকে ছাড়া পাবে না! লড়তে তোমাকে হবেই।”
সন্ন্যাসী আবার বললেন, “এসো!”
রাজকুমার তীক্ষ্ণ বলল, “তুমি অস্ত্র হাতে নাও আগে!”
সন্ন্যাসী বললেন, “আমি তো লড়ছি তোমার সঙ্গে। আমার অস্ত্র লাগে না। কোনও অস্ত্র হাতে না নেওয়াই আমার অস্ত্র। এসো, আঘাত করো আমাকে।”
রাজকুমার তীক্ষ্ণ বলল, “আমি নিরস্ত্র মানুষকে আঘাত করি না। কিন্তু, তুমি যদি লড়াই করতে না চাও, তা হলে তোমার ধৃষ্টতার জন্য তোমাকে শাস্তি পেতে হবে। তুমি আমার বিজয়গৌরবের পথে বাধা দিয়েছ। আমার লোকেরা তোমাকে এই গাছের সঙ্গে বেঁধে পুড়িয়ে মারবে।”
সন্ন্যাসীর মুখে কোনও ভয়ের চিহ্ন দেখা গেল না। মুখের হাসি মুছল না। তাঁর চক্ষু দুটি বড় শান্ত।
তিনি নিজেই কয়েক পা এগিয়ে এসে বললেন, “আমি তো তোমার অহঙ্কারের সঙ্গে, তোমার অন্তরের ক্রোধের সঙ্গে লড়াই করছি, কুমার!”
এই বলে তিনি রাজকুমার তীক্ষ্ণর মাথায় একটি হাত রাখলেন। আর-একটি হাতে তার থুতনি ছুঁয়ে বললেন, “মানুষ যখন বেশি রেগে যায়, তখন তাকে সুন্দর দেখায় না। কিন্তু এমনিতে তুমি কত সুন্দর!”
রাজকুমার তীক্ষ্ণর সারা শরীর থরথর করে কেঁপে উঠল। কী যে হলো তার, হাত থেকে খসে পড়ে গেল তলোয়ার। সে যেন শুনতে পেল চতুর্দিকে একটা সঙ্গীতের ধ্বনি উঠেছে। বুজে এল তার চোখ
ঝুপ করে সে অজ্ঞান হয়ে গেল, পড়ে গেল মাটিতে।
কিছুক্ষণ পর যখন তার জ্ঞান ফিরল, সে দেখল সেই সন্ন্যাসী ও তাঁর দলের কেউ নেই। সবাই চলে গেছে। শুধু মল্লপাল ও তার সঙ্গীরা বসে আছে তার মাথার কাছে। মল্লপাল তার মাথায় জল ঢেলে দিচ্ছে।
ধড়মড় করে উঠে বসে রাজকুমার তীক্ষ্ণ জিজ্ঞেস করল, “ও কে? ওই সন্ন্যাসী কে? কোথায় চলে গেলেন তিনি!”