ষষ্ঠ খণ্ড (পরম পূজনীয়া পরিব্রাজিকা প্রজ্ঞা হৃদয়া করকমলে)
সপ্তম খণ্ড (স্নেহের অলোক রায়চৌধুরী ও ইন্দিরাকে)
অষ্টম খণ্ড (ডা: শ্রী বিজয়চাঁদ কুমার ও শ্রীমতী তপতী কুমার শ্রদ্ধাভাজনেষু)
5 of 6

উঃ কী গরমরে দাদা

উঃ কী গরমরে দাদা

যাক, দুটি ইস্যু পাওয়া গেছে। ট্রামে, বাসে, ট্রেনে, বিয়েবাড়িতে, এমনকী শ্মশানেও আলোচনার বিষয়। এক নম্বর, গরম। গরমখানা একবার দেখেছেন মশাই! বইয়ের মলাট চোখের সামনে দেখতে দেখতে বেঁকে ডোঙা মেরে গেল। গাছের ডালে বেল ঝুলছে, চিড় ধরে গেল। বালির শয্যায় ফুটি-ফেটে চৌচির। চিল বেলা বারোটার সময় এক চক্কর মারার জন্যে আকাশে উঠেছিল। যখন নেমে এল গাছের ডালে, শুকিয়ে হাফ সাইজ, যেন কাক। রুটি টোস্টারে দিতে হচ্ছে না, জানলার ধারে রাখলেই খড়খড়ে টোস্ট। মাথার তালু সদাসর্বদাই গরম। নারী জাতি স্বাভাবিকভাবে উগ্র। এখন যা অবস্থা, স্ত্রীকে ডাকলেই হাবিলদারের মতো গলায় উত্তর দিচ্ছে। রান্নাঘর থেকে যখন তেড়ে আসছে তখন মনে হচ্ছে, চলমান মাছের ঝোল। সর্বাঙ্গ দিয়ে টসটস করে ঘাম ঝরছে। নামকরা ময়রার দোকান এতটাই হাইজিনিক, হালুইকরকে ব্লটিং পেপারের ফতুয়া পরিয়েছে। এখন হাড্ডাহাড্ডি কম্পিটিশনের যুগ। এক জোড়া মোজা কিনলে এক জোড়া জুতো ফ্রি। এক জোড়া জুতো কিনলে এক জোড়া চটি ফ্রি। আইসক্রিম খাওয়াচ্ছে। বিজ্ঞাপনে লিখছে, শেষ পর্যন্ত আইসক্রিম কোম্পানি ডিপ ফ্রিজে বসিয়ে আইসক্রিম আইসক্রিম থাকবে। লোশান হয়ে যাবে না। দ্বিতীয় ইস্যু, কেন্দ্র। কে বসছে পরবর্তী ডিগবাজির জন্যে! ইতালি না ইন্ডিয়া! আর একটা ছোট্ট সাইড ইস্যু—ক্রিকেট। আমাদের আদরের আজ্জু, কলকাতার প্রিন্স, বিশ্বশচীন, তিনশূন্য না আগে একটা এক থাকবে!

তবে কোনও ব্যাপারই বেশিক্ষণ মাথার রাখা যাচ্ছে না। গরমে হয় উবে যাচ্ছে, না হয় নেতিয়ে পড়ছে। একটা ব্যাপারই থাকছে, সেটা দু:সহ গরম।

গরমের কোনও শোভা নেই, আকর্ষণ নেই, এমন কথা বলি কী করে! এমন উত্তপ্ত, উজ্জ্বল দিন, এমন নীলকান্ত, ফুরফুরে বাতাসে ভরা সন্ধ্যা কোন ঋতু উপহার দিতে পারে! এমন ব্যক্তিত্বসম্পন্ন তেজস্বী একটি ঋতু যেন উপনিষদের ঋষি হোমানল জ্বেলে ধ্যানে বসেছেন! বাতাস কাঁপছে ঝিঁঝির পাখার মতো।

যারা বাতাস বলতে ঘূর্ণায়মান পাখার বাতাসই বোঝেন, জীবন বলতে বোঝেন ইটের কংক্রিটের কফিন গ্রীষ্ম, যাকে রবীন্দ্রনাথ বলেছেন মৌনী তাপস, সেই গ্রীষ্মের ভয়ংকর আকর্ষণটা কোথায় তা অনুভব করতে পারবেন কি! অনুভব করতে হলে শহরের বাইরে যেতে হবে। বিস্তীর্ণ প্রান্তরের ওপর পড়ে আছে রোদ। জায়গায় জায়গায় গাছের জটলা। কোথাও রোদের প্রখর কিরণে ঝলসে যাওয়া কয়েকটি চালা বাড়ি। বেড়ার গাছগুলি শীর্ণ হয়ে পড়েছে। পায়ে চলা পথের পাশে ক্লান্ত দুর্বা। বড়ই পরিশ্রান্ত একটা ছাগল। জ্বলন্ত রোদে দূরে একপাল গরু ঘাসের সন্ধানে। তাদের সাদা শরীর থেকে রোদের আরও জ্বলজ্বলে বিকিরণে স্থানটি যেন অমরাপুরী। আরও দূরে সরকারি একটি বাঁধ। সেই বাঁধের ওপর দিয়ে সাইকেলে চলেছেন স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কম্পাউন্ডার। রোদে পোড়া বলিষ্ঠ চেহারা। এত ধীরে চলেছেন, যেন চাঁদের আলোয় অভিসারে চলেছেন। পরে আছেন আকাশি নীল রঙের জামা। মনে হচ্ছে, ধাবমান একটুকরো নীল আকাশ।

একটি অশ্বত্থগাছ খুঁজে নিতে হবে। তার তলাটি যদি বাঁধানো থাকে অতি উত্তম। অশ্বত্থগাছের লোটা লোটা পাতা দুটো জিনিস ভারি ভালো ধরতে পারে। বাতাস আর আলো। রোদের আলো, চাঁদের আলো। রূপকথায় পড়েছি, রুপোর পাতা সোনার ফল। অনেকটা সেইরকম। সেই ছায়ায় বসতে হবে। এপাশে ওপাশে ব্যস্ত কাঠবেড়ালির অবিরত ঘুরপাক। বহুরকমের পিঁপড়ের ফ্ল্যাগমার্চ। কোথাও যেন দুর্গ দখলের লড়াই চলেছে। অদূরেই গভীর শালবন। সবুজ পাতার ঘাঘরা পরা দিঘল সুন্দরী। গ্রীষ্মের কণ্ঠস্বর হল দাঁড়কাকের ডাক। জঙ্গলের সর্বোচ্চ বৃক্ষের ডালে বসে পালিশ করা কালো কাক ধাতব স্বরে ডাকছে, ক্রাঙ্ক, ক্রাঙ্ক। চরাচরে ছড়িয়ে পড়ছে সেই ধ্বনি। যেন মোরামের রুক্ষ্ম প্রান্তরের ওপর দিয়ে বেগে ছুটে চলেছে গ্রীষ্মের অগ্নিরথের লোহার চাকা।

মাঝে মাঝে ওপর দিকে তাকানো যেতে পারে। অশ্বত্থের শিথিল পাতার ঝালর গ্রীষ্মের নিশ্বাসে টিকলির মতো দুলছে। কোথাও বাতাসের প্রমাণ না থাকলেও অশ্বত্থের পাতায় থাকবেই। গ্রীষ্ম তার প্রতি বড়ই উদার। পাতার আড়ালে আড়ালে টুকরো টুকরো নীলচে আকাশ। আকাশ যেন স্থির এক মহাসমুদ্র। অন্যলোকের ইশারায় ভরা। যত বেলা বাড়বে বাতাস হয়ে উঠবে ঈষদোষ্ণ চায়ের লিকারের মতো টাটকা বোলতা হলুদ বিষে ভরা আচমকা ভয় দেখাবে। কালোজামের মতো কালো ভোমরা কিছু একটা সন্ধানে ভেসে ভেসে বেড়াবে। খড়খড়ে গিরগিটিকে দেখলে মনে হবে এখুনি স্যালাইন চালাই। খাবার প্রতীক। খাঁকি পোশাক পা বনবিভাগের কর্মী এসে অনেক দু:খের গল্প বলবেন। শীতের শেষে আমের মুকুল এসেছিল অনেক। যদি হত, আড়াই টাকা কিলো হত। নিষ্ঠুর রাগি এই গ্রীষ্মের রোষে সব শুষ্ক। গাছে গাছে ডাঁটা ঝুলছে। ওই দেখুন অত বড় একটা গাছে একটি মাত্র আম ঝুলছে। এমন কখনও হয়নি। ওই দেখুন চাষের জমি, দই ফাটা। কোথাও প্রাণের চিহ্ন নেই। মাঝেমধ্যে কালো কেউটে বেরিয়ে আসে ঠান্ডার খোঁজে। সমস্ত পুকুর শুকনো। পুকুরের তলায় কী থাকে জানতে হলে এইবেলা দেখে নিন। এমন সুযোগ আর পাবেন না। পাখিরা সব গেল কোথায়?

পাখি দেখবেন?

বনের ভেতর দিয়ে চলে গেছে আলোছায়ার পথ। তীক্ষ্ম তীরের মতো সূর্যের কিরণ পাতা ভেদ করে নেমে আসছে। হাতের কঙ্কালের মতো উঁচিয়ে আছে মাটিতে ভেঙে পড়া শুকনো গাছের ডাল। বহু উঁচুতে উঁচুতে ঝুলছে বড় বড় তরিবাদি মৌচাক। মৌমাছি জানে যত রোদ তত ঘন মধু। বড় বড় উইঢিবি শুকিয়ে ফুরফুরে। প্রখর উত্তাপে নবীন পাতাও খসেখসে পড়ছে। যত ছোট ছোট কীটপতঙ্গ ছিল ভূমির উত্তাপে সব পিল পিল করে বেরিয়ে আসছে।

কালভার্টের তলায় বিমূঢ়ের মতো শুয়ে আছে শুকনো নদীর শাখা। বর্ষার ডুলুং যখন জল পাঠাবে তখন আবার কলস্বনা হবে। আপাতত মৃত নুড়ি পাথরের প্রদর্শনী। সেই কালভার্টের তলায় একঝাঁক শালিকদের সরব সভা। যেন এইমাত্র দিল্লিতে এক ভোটে মন্ত্রিসভার পতন হল। বিধায়করা পরবর্তী জোটের জন্যে ঠোকরাঠুকরি করছে।

জঙ্গল ভেদ করে আমরা একটি প্রান্তরে এসে পড়লুম।

কোথায় পাখি?

আরও একটু যেতে হবে। লাগছে কেমন? শরীর ঝলসে যাচ্ছে। তা যাক। এমন তাণ্ডব সহসা কি দেখা যায়! এমন চরিত্রবান গ্রীষ্ম! বনবিভাগের কর্মী বললেন, ‘দেখুন, দেখুন সামনে মাটি কেমন ফাটছে?’

হিলহিলে বিদ্যুতের মতো কালো একটা রেখা এঁকেবেঁকে ভূমির ওপর দিয়ে চলে গেল। দুভাগ হয়ে গেল জমি। বসুন্ধরার উত্তপ্ত নিশ্বাস বেরিয়ে এল। প্রকৃতি এত বিরাট, ক্ষুদ্র মানুষের ভয় লাগে।

এখানে এক সময় ছিল রাজশাসন। সেই আমলেরই জল টলটলে বিশাল এক দিঘি। কী অপূর্ব বিপরীত এক চিত্র। এতক্ষণ চোখ দুটো আগুনে ডুবে ছিল, এমন নিমজ্জিত হল স্নিগ্ধ জলে।

এক ঝাঁক ভাসমান হাঁস। অন্তত পনেরো রকমের বক। পা তুলে তুলে লেফট রাইট। বিশাল এক কুবো পাখি দু-পাশে ডানা মেলে বাদামি একটা মোচার মতো পড়ে আছে ভিজে মাটিতে। বুলবুলির ঝাঁক আসছে, যাচ্ছে। বসন্তবৌরি, ফিঙে, খঞ্জনা। এরই মাছে রাজকীয় দুধরাজ। সাদা ধবধবে। লম্বা সরু লেজ। মাথায় কালো টুপি, কালো সরু ঠোঁট। একটি গাছের ডাল প্রায় জল ছুঁয়ে আছে। সেই ডালে বসেছে সুন্দরী। হঠাৎ উড়ে গেল তিরের মতো। রোদ ঝলসানো দ্বিপ্রহর ওদিকে কত নির্জন, এদিকে কত প্রাণচঞ্চল। কত ওড়াউড়ি, ডাকাডাকি।

দিঘির পরপারে হাট বসেছে। ঝলসানো রোদ আর গভীর ছায়া। মাটির হাঁড়ি রাগে সিঁদুরে বর্ণ। অর্থাৎ জব্বর পুড়িয়েছে। কলসি, সে তো লাগবেই। ঘরে ঘরে ধান্যেশ্বরী চোলাই হবে। আদিবাসী মেয়েরা আজকাল সিন্থেটিক শাড়ি পরে। তবে পছন্দের রং এই গরমেও লাল আর গোলাপি। চুলের বিনুনিতে সাদা ফুলের মালা জড়ানো। গরমকে এরা ভয় পায় না। বেতস শরীরে ছিটকে ছিটকে বেড়াচ্ছে। শুভ্র হাসি। কলকোলাহল। বাচ্চাদের ক্রন্দণ। কাঁচা শালপাতার দোনায় হাড়িয়া খেয়ে ঝানু বৃদ্ধ অসংলগ্ন। এক যুবতী সিনেমা অভিনেত্রীর মতো ঘুরে ঘুরে নাচার চেষ্টা করতে গিয়ে টাল খাচ্ছে। বিলোল কটাক্ষে যখন তাকাচ্ছে, তখন মনে হচ্ছে—মারো গোলি পার্ক স্ট্রিট। শেক্সপিয়রই সত্য—নেচারস ন্যাচারাল। এখুনি ছুটে গিয়ে বলতে পারি, মাই লাভ। তারপরই হাসপাতাল, আমার পোস্ট মর্টেম, বলো হরি। এদের বিশ্বাস আমরা হারিয়েছি নিজেদের চরিত্রের গুণে।

পার্ক স্ট্রিটের আধো অন্ধকার বার-কাম-রেস্তোরাঁয় টেম্পারেচার এখন বারো কি ষোলো। বাইরে বড্ড গরম, সেই সানসেটের পর একবার চেষ্টা করে দেখা যাবে বাইরে বেরোনো যায় কিনা। ভারী চেহারার সব ব্রোকার, বুকি, কালোয়ার। বেশ কিছু ‘সাকার,’ প্রখর ইন্টেলেকচুয়াল কয়েকজন, কিছু প্রাোডিউসার আর মেগাকাঙ্ক্ষী কিছু সুন্দরী। অল্প আলোয় পরিবেশ গুলজার। এই গরমে অ্যালকোহল, তন্দুরি, বিরিয়ানি, চাঁপ? আরে মশাই গরম কোথায়, এখানে তো সাবজিরো। বাইরেটা কেমন?

বাইরে থেকে ভেতরে এলে কিছুই দেখা যায় না, তারপর ভেসে ওঠে প্রেতের জগৎ। কবরের মৃত্যু শীতলতা। তাহলে জীবনের কাছে যাই। ভবানীপুরে যদুবাবুর বাজারের সামনে রাস্তায় ওপর প্যাকিং বাক্সে বসে আছে সুঠাম, সুন্দর এক যুবক। তারপণ্য ছোট ছোট তোয়ালে, বালিশের ঢাকা, গেঞ্জি, জাঙিয়া। ঠাঠা রোদে বসে আছে স্যান্ডো গেঞ্জি পরে, দু-চারজন ক্রেতাও আছে। অনুমান করা যায়, যেখানে চাকরি করত, সেখানে ঝাণ্ডা উড়ে গেছে। পরিবারে মা আছে, বোন আছে, ছোট দুটি ভাই আছে। তিন বছর আগে বাবা মারা গেছেন ক্যান্সারে। একটি মেয়ের সঙ্গে ভালোবাসা আছে। ছেলেটির নাম মনে হয় বিক্রম। বন্ধুবান্ধব, ছিল এখন তারা আর কথা বলে না। বিক্রমের মালিক বসে আছে পার্ক স্ট্রিটের সাবজিরোতে। মেগায় টাকা খাটাবে। ডিরেক্টর আজ একটি নতুন নায়িকা আনবে, তার নাম সেঁজুতি।

বিক্রম হাঁটুর ওপর একটি তোয়ালে ছড়িয়ে দেখাচ্ছে। মায়ের মতো এক মহিলা ক্রেতা। পছন্দ হয়েছে। বলছেন, বাবা, এই রোদে বসে থাকবে সারাদিন! শরীরটা যে যাবে! বিক্রম হাসতে হাসতে বলছে, মা না বসলে আরও তাড়াতাড়ি যাবে।

প্রশ্ন করেছিলুম, বড়বাজারে যারা ধামার মতো পেট নিয়ে সারাদিন গদিতে কাত হয়ে থাকে, মাথার ওপর হোপিওপ্যাথিক পাখা ঘোরে, তাদের এই গরমে তো মরো মরো অবস্থা!

উত্তর হয়েছিল, কে বলেছে? ওদের শরীর তো রক্তমাংসের নয় ব্যাবসা দিয়ে তৈরি। সব এক-একটি বর্তুলাকার ব্যাবসা। তা বটে! কারও ধমনীতে তেল, কারও ধমনীতে লোহা। এদের ভাবনায় পৃথিবীটা একটা প্রাোডাক্ট।

 সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউয়ের দুপাশে আমাদের চার্নক সিটি। পশ্চিমে এই শহরের সবচেয়ে বড় নর্দমা, ভগবতী গঙ্গে, ত্রিভুবনতারিণী তরল তরঙ্গে। সারি সারি শ্মশান। ফুচকা ওড়াও, ভেলপুরির ভেলকি দ্যাখ, ঐতিহ্যমণ্ডিত কাটলেট কাট দাঁতে…। বাগবাজারের দিকে তেলেভাজার ঐতিহ্য আজও বর্তমান। বিশাল চুলোয় কাঠ গোঁজা। বিরাট কড়ায় একালের অন্যতম আতঙ্ক—সরষের তেল। ঘর্মাক্ত লড়াইয়ের চপ, মা কালীর জিভের মতো লকলকে বেগুনি। সকালের দিকে সেই বিখ্যাত ফুলুরি। খাওয়া হয়ে গেলেই অন্তিম প্রশ্ন ফুরুলি।

লাঙস ভরে নাও কার্বনমিশ্রিত বাতাস। পেটে পুরে নাও কার্বন ডাইঅক্সাইড মিশ্রিত ভুরভুরি বোতল জল। সেঁদিয়ে যাও কিনু গয়লার গলিতে। মানুষে মানুষে এত অসদ্ভাব কিন্তু কী ঠাসাঠাসি বাড়ি, বাড়ির গায়ে বাড়ি, কী দোস্তি। এ বাড়ির কত্তা শুনছ বললে, ও বাড়ির গিন্নি উত্তর দেয়, কী বলছ? এ-বাড়ির গিন্নি বলে—আ মরণ! স্বাভাবিক আলো নেই, এতটুকু বাতাস নেই, জমে আছে তিন শতাব্দীর স্যাঁতসেঁতে শীতলতা। খাটের তলায় আর এত সংসার। খাটের ওপর চতুর্দশীর সংগীত সাধনা—

বৈশাখ হে, মৌনী তাপস….

রুদ্রতপের সিদ্ধি এ কি ওই যে তোমার বক্ষে দেখি।

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *