পরিশিষ্ট

ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর

ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর

মোহনদাস করমচাঁদ গাঁধী

ইতোমধ্যে এই কলমে আমরা কিছু কিছু ইউরোপীয় মনীষীর সংক্ষিপ্ত জীবনালেখ্য তুলে ধরেছি। সংক্ষিপ্ত এইসব আলেখ্য প্রকাশের মধ্য দিয়ে আমরা যেমন পাঠকদের উদ্বুদ্ধ করতে চেয়েছি তেমনই চেয়েছি যেন তাঁরা ওইসব মনীষীদের অনুকরণের ভেতর দিয়ে নিজেদের জীবনকে সার্থক করে গড়ে তুলতে পারেন।

ব্রিটিশ সামগ্রী বর্জনের যে প্রবল আন্দোলন বাংলায় গড়ে উঠেছিল তার তাৎপর্য নেহাত তুচ্ছ নয়। শিক্ষার সম্প্রসারণের কারণেই সেখানে ওই ধরনের আন্দোলন সম্ভব হয়েছিল এবং ভারতের অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় বাংলার মানুষরা ছিলেন বেশি সজাগ। স্যার হেনরি কটন মন্তব্য করেছিলেন, বাংলার প্রভাব ছড়িয়ে পড়েছিল কলকাতা থেকে পেশোয়ার পর্যন্ত। এর পিছনে কারণ ছিল কী কী, সেসব জানাটা তাই জরুরি।

এ নিয়ে কোনওই দ্বিমত থাকতে পারে না যে, একটি জাতির উত্থান বা পতন নির্ভর করে সেই জাতির মহান মানুষদের ওপর। যে-জনতার মাঝে এইসব মহামানবদের আবির্ভাব সেই জনতাই আবার তাঁদের দ্বারা গভীরভাবে প্রভাবিত হয়ে থাকে। বাংলার সঙ্গে সবিশেষ যে-ফারাক অন্যদের, তা হল, বাংলায় গত শতকে বহু মহামানবের আবির্ভাব ঘটেছিল। রামমোহন রায় (১৭৭৪-১৮৩৩) থেকে আরম্ভ করে একের পর এক নায়কোচিত ব্যক্তিত্ব বাংলার জল-হাওয়ায় বেড়ে উঠেছেন যাঁদের কারণে অন্যান্য প্রদেশের তুলনায় বাংলার স্থান ছিল বেশ উঁচুতে। ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর যে ছিলেন তাঁদের মধ্যে মহত্তম সে কথা বলার অপেক্ষা রাখে না। সংস্কৃত ভাষায় তাঁর অসামান্য ব্যুৎপত্তিকে সম্মান জানাতে কলকাতার পণ্ডিতসমাজ ‘বিদ্যাসাগর’, যার অর্থ জ্ঞানের সাগর, উপাধিতে ভূষিত করেছিলেন ঈশ্বরচন্দ্রকে। কিন্তু ঈশ্বরচন্দ্র শুধু জ্ঞানের সাগরই ছিলেন না, ছিলেন করুণার, ঔদার্যেরও সাগর, এবং সেইসঙ্গে আরও অনেক গুণাবলির। ছিলেন একজন হিন্দু ব্রাহ্মণ। কিন্তু তাঁর কাছে, কি ব্রাহ্মণ কি শূদ্র কি হিন্দু কি মুসলমান সকলেই ছিল সমান। যেকোনও শুভ কাজে তিনি উচ্চ-নীচ ভেদ করতেন না। তাঁর এক শিক্ষক কলেরায় আক্রান্ত হলে নিজ হাতে তিনি তাঁর সেবা করেছিলেন। সেই শিক্ষকমশাই ছিলেন নিতান্তই গরিব, বিদ্যাসাগর সেসময় নিজস্ব খরচে ডাক্তার ডেকে এনে শুধু তাঁর চিকিৎসার ব্যবস্থাই করেননি, নিজেই এমনকী তাঁর মলমূত্র পরিষ্কারের কাজ করেছিলেন।

চন্দননগরে [অবস্থানকালীন] প্রায়শ তিনি নিজের খরচে গরিব মুসলমানদের লুচি আর দই খাওয়াতেন এবং অভাবী মানুষজনকে অর্থ দিয়ে সাহায্যও করতেন। পথের ধারে পঙ্গু বা অসহায় মানুষকে পড়ে থাকতে দেখলে নিজের বাড়িতে এনে স্বহস্তে তাঁর সেবাযত্ন করতেন। অন্যের কষ্টে কাতর হয়ে পড়তেন, আবার অন্যের ভালয় হতেন উৎফুল্ল।

তাঁর নিজের জীবনযাত্রা ছিল অত্যন্ত সাদাসিধে। মোটা কাপড়ের ধুতি থাকত পরনে আর যে-আলোয়ানে জড়িয়ে রাখতেন শরীর সেটিও ছিল তথৈবচ, পায়ে থাকত চটি। এই পোশাকেই তিনি গভর্নরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতেন যেমন, তেমনই গরিব মানুষকে সাদর সম্ভাষণ জানাতেন। প্রকৃতই তিনি ছিলেন ফকির, একজন সন্ন্যাসী, বা যোগীপুরুষ। আমাদের সকলেরই উচিত তাঁর জীবনযাত্রাকে অনুধাবন করা।

মেদিনীপুর তালুকের অন্তর্গত ছোট্ট একটি গ্রামের গরিব মা-বাবার সন্তান ঈশ্বরচন্দ্র। মা ছিলেন অত্যন্ত সাধ্বী স্বভাবের মহিলা, যাঁর নানা গুণই বর্তেছিল ঈশ্বরচন্দ্রের স্বভাবে। সেকালেও তাঁর পিতা সামান্য ইংরিজি জানতেন এবং ঠিক করেছিলেন পুত্রকে উপযুক্ত শিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলবেন। পাঁচ বছর বয়সে ঈশ্বরচন্দ্র পাঠশালায় যেতে শুরু করেন, এবং আট বছর বয়সে ষাট কিলোমিটার হেঁটে কলকাতায় এসে ভরতি হন সংস্কৃত কলেজে। এমনই বিস্ময়কর ছিল তাঁর স্মৃতিশক্তি যে, ওই দূরত্ব হেঁটে আসার সময় পথের ধারের মাইলফলক দেখতে দেখতে ইংরিজি সংখ্যা রপ্ত করে নিয়েছিলেন। ষোলো বছর বয়সেই সংস্কৃত বিদ্যায় বেশ পারদর্শী হয়ে ওঠেন এবং সংস্কৃতের শিক্ষক হিসেবে নিযুক্ত হন। যে কলেজের ছাত্র ছিলেন তিনি ধাপে ধাপে সেই কলেজেরই একসময় অধ্যক্ষ পদে উন্নীত হন। তাঁর প্রতি [ব্রিটিশ] সরকারের ছিল গভীর শ্রদ্ধা। কিন্তু অত্যন্ত স্বাধীনচেতা স্বভাবের কারণে ডিরেক্টর অব পাবলিক ইন্‌স্‌ট্রাকশন পদে নিজেকে মানিয়ে নিতে না পেরে পদত্যাগ করেন তিনি। তখন লেফটেন্যান্ট-গভর্নর স্যার ফ্রেডারিক হ্যালিডে সাহেব তাঁকে ডেকে পাঠান এবং পদত্যাগপত্রটি ফিরিয়ে নিতে অনুরোধ জানান। কিন্তু ঈশ্বরচন্দ্র স্পষ্টতই তা প্রত্যাখ্যান করেন।

চাকরি ছেড়ে দেওয়ার পর পরই তাঁর মহানতা ও মানবিকতার যথার্থ প্রকাশ লক্ষ করা যায়। তিনি দেখলেন বাংলা ভাষা দারুণ সুন্দর হলেও নতুন অবদানের [বা পরীক্ষানিরীক্ষার] অভাবে তাকে দুর্বল বলে মনে হয়। তখন তিনি নিজেই বাংলা ভাষায় বই লিখতে শুরু করেন। সেসব বই ছিল অত্যন্ত সমৃদ্ধ ও ক্ষমতাসম্পন্ন; এবং বিদ্যাসাগরের জন্যই বাংলা ভাষা আজ এতদূর বিকশিত এবং [তার সৌরভ] ছড়িয়ে পড়েছে সারা ভারতেই।

তিনি এও বুঝেছিলেন শুধু বই লিখে হবে না। তাই বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার কাজে এগিয়ে এলেন। কলকাতার মেট্রোপলিটান কলেজটি প্রতিষ্ঠা পেয়েছিল তাঁরই বিশেষ উদ্যোগে, যে কলেজের সমস্ত শিক্ষকই ছিলেন ভারতীয়।

উচ্চশিক্ষার মতো প্রাথমিক শিক্ষাও যে সর্বতোভাবে জরুরি সে কথা বিবেচনা করে গরিবদের জন্য প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন করার কাজ করতে থাকেন। অমানুষিক অভূতপূর্ব এই কাজে তাঁর দরকার হয়ে পড়েছিল সরকারি সাহায্যের। লেফটেন্যান্ট গভর্নর তাঁকে এ ব্যাপারে খরচ বহনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, কিন্তু ভাইসরয় লর্ড এলেনবরো এর বিরোধিতা করেন ও বিদ্যাসাগর খরচের যে-বিল দাখিল করেছিলেন সেটি আটকে দেন। লেফটেন্যান্ট গভর্নর অত্যন্তই বেদনাহত হয়ে তাঁর বিরুদ্ধে ঈশ্বরচন্দ্রকে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণেরও পরামর্শ দেন। অকুতোভয় ঈশ্বরচন্দ্র তাঁকে বলেন: ‘স্যর, নিজের জন্য আইনি কোনো বিচার চেয়ে আমি কখনও আদালতের দ্বারস্থ হইনি। কীভাবে তবে আপনার বিরুদ্ধে আমার পক্ষে সে-কাজ করা সম্ভব?’ সেসময় আরও যাঁরা ইউরোপীয় ভদ্রজন সচরাচর ঈশ্বরচন্দ্রের কাজে সহায়তা করে এসেছেন এযাবৎ, তাঁরা তাঁকে ভালরকম অর্থসাহায্য করেন। যেহেতু খুব-একটা ধনী ছিলেন না [ঈশ্বরচন্দ্র], তাই অন্যের দুর্দশায় সাহায্য করতে গিয়ে প্রায়শ তাঁকে ঋণে জড়িয়ে পড়তে হত। এতদ্‌সত্ত্বেও যখন যখনই তাঁর জন্য নানা মানুষ অনুদানের বিষয়টি উত্থাপন করেছেন তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেছেন।

উচ্চ ও বুনিয়াদি শিক্ষাকে শক্ত ভিত্তির ওপর যতদিন-না দাঁড় করানো সম্ভব হচ্ছে ততদিন তিনি কোনওভাবেই স্বস্তি বোধ করেননি। তিনি বুঝেছিলেন মেয়েদের শিক্ষিত করে তুলতে না পারলে কেবলমাত্র ছেলেদের শিক্ষিত করে তোলা যথেষ্ট নয়। মেয়েদের শিক্ষাদান যে কর্তব্য, সে কথা তিনি মনুর একটি পদবন্ধে খুঁজে পেয়েছিলেন। কাজের ভিতর দিয়ে কথাটা সার্থক করে তুলতে তিনি ওই বিষয়ে একটি বই লেখেন, এবং বেথুন সাহেবের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে মেয়েদের শিক্ষার জন্য গড়ে তোলেন বেথুন কলেজ। কিন্তু কলেজ প্রতিষ্ঠার থেকে অনেক কঠিন হল মেয়েদের সেই কলেজে ভরতি করানো। যেহেতু মুনি-ঋষির মতোই ছিল তাঁর জীবনযাপন, ছিল গভীরতম জ্ঞান, সকলেই তাই শ্রদ্ধা করত তাঁকে। তিনি অতএব সমাজের মান্যগণ্য ব্যক্তিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তাঁদের বাড়ির মেয়েদের বিদ্যালয়ে পাঠাবার আর্জি জানান; তখন তাঁদের মেয়েরা বিদ্যালয়ে আসতে শুরু করেন। বর্তমানে সেই কলেজে রয়েছেন সুপরিচিত ও খাঁটি চরিত্রের প্রতিভাসম্পন্ন বহু নারী যাঁরা নিজেরাই সেই কলেজের পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত।

অবশ্য এতেই তৃপ্ত ছিলেন না তিনি। ছোট ছোট মেয়েদের বুনিয়াদি শিক্ষাদানের জন্য স্কুল স্থাপনের কাজ করে যেতে লাগলেন; সেসব স্কুলে খাবার, পোশাক ও বই বিনামূল্যে বিতরণ করা হত। যে-কারণেই কলকাতায় আজ আমরা হাজারো শিক্ষিত মেয়েদের দেখতে পাই।

এর সঙ্গে সঙ্গে শিক্ষকের প্রয়োজন মেটাতে তিনি আরম্ভ করেছিলেন ‘টিচার্স ট্রেনিং কলেজ’।

হিন্দু বিধবাদের দুর্দশা দেখে ঈশ্বরচন্দ্র তাঁদের পুনর্বিবাহের সমর্থনে মত প্রকাশ করতে লাগলেন, এই মর্মে এ বিষয়ে পুস্তক রচনা ও তাঁর বক্তব্য তুলে ধরার কাজ শুরু করে দেন তিনি। বাঙালি ব্রাহ্মণেরা [তখন] তাঁর বিরোধিতায় নেমে পড়েন, কিন্তু তিনি পাত্তা দেননি সেসব। কেউ কেউ প্রাণনাশের হুমকিও দিয়েছিল, কিন্তু তাতেও দমানো যায়নি তাঁকে। সরকারের সহায়তায় তিনি বিধবাবিবাহ আইন পাশ করিয়ে নেন। বহু পুরুষ মানুষকে রাজি করিয়ে মান্যগণ্য ব্যক্তির বিধবা কন্যাদের পুনর্বিবাহের ব্যবস্থা করেছিলেন। নিজের পুত্রকে অবধি এক গরিব বিধবার সঙ্গে বিবাহে উৎসাহিত করেছিলেন।

সেসময় কুলীন বা উচ্চ-জাত ব্রাহ্মণদের একাধিক বিবাহ ছিল প্রথাসিদ্ধ। তারা কুড়ি-কুড়ি বার বিবাহেও লজ্জা বোধ করত না। ওইসব কন্যাদের দুর্দশায় ঈশ্বরচন্দ্র চোখের জল সংবরণ করতে পারতেন না; জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত এই নিষ্ঠুর প্রথার বিলোপে তিনি চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছেন।

বর্ধমানে ম্যালেরিয়া আক্রান্ত অসংখ্য গরিব মানুষের আরোগ্যে নিজ খরচে তিনি চিকিৎসক নিযুক্ত করেন এবং নিজে তাদেরকে ওষুধপত্র বিলি করেছিলেন। জনে জনে গরিব মানুষের বাড়িতে সশরীরে হাজির হয়ে প্রয়োজনীয় সাহায্য বাড়িয়ে দিয়েছিলেন। এভাবে দু’-দু’টি বছর টানা সরকারের মদত নিয়ে এবং আরও চিকিৎসকদের যুক্ত করে সে-কাজ করে গিয়েছিলেন।

এই কাজ করতে করতেই তিনি বুঝতে পারেন ওষুধপত্র ও চিকিৎসা বিষয়ে জানাটা জরুরি। অতএব শুরু করে দেন হোমিওপ্যাথি নিয়ে পড়াশুনা, সে-বিষয়ে দক্ষতাও অর্জন করেন এবং ধীরে ধীরে অসুস্থ মানুষদের ওষুধ প্রেসক্রাইব করতে আরম্ভ করেন। গরিব মানুষজনের সাহায্যার্থে বহু বহু পথ অতিক্রমেও ক্লান্তি ছিল না তাঁর।

একইসঙ্গে উচ্চ পদাধিকারী ব্যক্তিবর্গের বিপদে-আপদেও তিনি তাঁদের পাশে গিয়ে দাঁড়াতেন। তাঁদের কারও প্রতি অবিচার হলে বা তাঁরা অভাবে পড়লে ঈশ্বরচন্দ্র তাঁর প্রভাব, বিদ্যাবুদ্ধি, অর্থের মাধ্যমে সেই দুর্দশা কাটিয়ে ওঠায় সর্বত সচেষ্ট হতেন।

এসমস্ত কাজের ব্যস্ততার মধ্যেই বিদ্যাসাগর ১৮৯১ সালে পরলোকগমন করেন, যখন তাঁর বয়েস সত্তর। এই পৃথিবীতে সামান্য কয়জনই আছেন তাঁর মতো। এমনটা মনে করা হয় যে, যদি তিনি ইউরোপে জন্মাতেন তবে ব্রিটিশরা যেমন নেলসন স্মরণে এক চিত্তাকর্ষক উঁচু মিনার নির্মাণ করেছেন, ঈশ্বরচন্দ্রের স্মৃতিতেও তেমনটাই নির্মিত হত। যাহোক, কি সুধীজন কি প্রান্তজন, কি ধনী কি নির্ধন আপামর বাঙালির হৃদয়ে ইতিমধ্যেই ঈশ্বরচন্দ্রের সম্মানে মিনার রয়েছে রচিত হয়ে।

কেন ভারতের অন্যান্য অংশের কাছে বাংলা হয়ে উঠেছিল অনুসরণযোগ্য উদাহরণ সেটা নিশ্চয়ই পরিষ্কার হল এবারে।

টীকা ও সূত্রনির্দেশ

. ইন্ডিয়ান ওপিনিয়ন [গুজরাতি], ১৬-০৯-১৯০৫।

. ষোলো বছর বয়েসে নয়, ১৮৪১-এ সংস্কৃত কলেজের শিক্ষা সমাপ্ত হবার পর সেই বছরই ২৯ ডিসেম্বর একুশ বছর বয়সে ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের বাংলা বিভাগের সেরেস্তাদার বা প্রধান পণ্ডিতের পদে নিযুক্ত হন বিদ্যাসাগর মহাশয়।

বঙ্গানুবাদ: দ্বিজেন্দ্র ভৌমিক

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *