এই কাবায় গেলে আজও হজরতের দিদার পাওয়া যায় – এবং হজরতের শাফায়ত পেলে আল্লার দিদার পাওয়া যায়। এই আরফাতে নিত্য মিলন, নিত্য আনন্দ, সেখানে মৃত্যু নাই, কেবল অমৃত। দুনিয়ার আরফাতের ময়দানে সে মহা-মিলনের আভাস পাই, তা সেই পরম কাবা ঘরের পরমানন্দের ঈষৎ ছায়া মাত্র। আমরা আজ ঈদে যেন ভাইয়ে ভাইয়ে সকল বিদ্বেষ, হিংসা হানাহানি ভুলে – সকল কাম-ক্রোধাদি ষড়রিপুর পশুকে কোরবানি দিয়ে কতলগাহকেই ঈদগাহে পরিণত করে প্রেমের সেই ঈদগাহে গলাগলি করে গাইতে পারি : –
(গান) [কোরাস]
ঈদ মোবারক হো! ঈদ মোবারক ঈদ মোবারক ঈদ!
রাহে লিল্লাহ্ যে আপনারে বিলিয়ে দিল, যে হল শহিদ॥
যে কোরবানি আজ দিল খোদায় দৌলত ও হাশমত
যার নিজের বলে রইল শুধু আল্লা ও হজরত
যে রিক্ত হয়ে পেল আজি অমৃত তৌহিদ ॥
যে খোদার রাহে বিলিয়ে দিল পুত্র ও কন্যায়
যে আমি না, আমি না বলে মিলল আমিনায়।
ওরে তারই কোলে আসার লাগি নাই নবিজির নিঁদ॥
যে আপন পুত্রে খোদারে দেয় শহিদ হওয়ার তরে
কাবাতে সে যায় না রে ভাই, নিজেই কাবা গড়ে
সে যেখানে যায় জাগে সেথায় কাবার উম্মিদ॥
(তকবির-ধ্বনি ও ঈদ মোবারক ধ্বনি)