ঈদজ্জোহা
(প্রথমে দূরাগত আজানের ধবনি–Fade in আজান Fade out–)
(গান) ঈদজ্জোহার তকবির শোন ঈদগাহে। (তার) কোরবানির সামান নিয়ে চল রাহে॥ কোরবানির রঙে রঙিন পর লেবাস পিরাহানে মাখ রে ত্যাগের গুল-সুবাস দে মোবারকবাদ দীনের বাদশাহে॥ খোদারে দে প্রাণের প্রিয়, শোন এ ঈদের মাজেরা, যেমন পুত্রে বিলিয়ে দিলেন খোদার নামে হাজেরা, ওরে কৃপণ দিসনে ফাঁকি আল্লাহে॥ তোর পাশের ঘরে গরিব কাঙাল কাঁদছে যে তুই তারে ফেলে ইদগাহে যাস সং সেজে, তাই চাঁদ উঠল এল না ঈদ নাই হিম্মত নাই উম্মিদ শোন কেঁদে কেঁদে বেহেশ্ত হতে হজরত আজ কী চাহে॥
আজ ইদজ্জোহা – বকরীদ। আজ পরম ত্যাগের পরম উৎসব। হজরত মোহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলায়হিস্সালামের আবির্ভাবের সহস্রাধিক বৎসর পূর্বে হজরত ইব্রাহিম আলায়হিস্সালাম নবুয়ত পান – অর্থাৎ আল্লাহ কতৃর্ক নবিরূপে প্রেরিত হন। আল্লাহের নামের তিনি তাঁর অন্তরের বাইরের সব-কিছু সমর্থন করেন বলে তাঁকে খলিলুল্লাহ বা আল্লার বন্ধু–সখা বলা হয়। তাঁকে এই পরম গৌরবে গৌরবান্বিত করা হয় দেখে বেহেশ্তের ফেরেশতারা আল্লাহ কে নিবেদন করেন – ‘হে পরম প্রভু, ইব্রাহিম এমন কী পুণ্য অর্জন করেছেন যে, তোমার সখা বলে তিনি অভিনন্দিত হলেন?’ ‘আল্লাহ বললেন – তার আমার উপরে কী নির্ভরতা, কত পরম ত্যাগী সে তোমরা দেখো। এই বলে ইব্রাহিমকে স্বপ্নে বললেন, ‘ইব্রাহিম আল্লাহের নামে কোরবানি দাও!’ হজরত ইব্রাহিম তার পরদিবস তাঁর উটগুলি কোরবানি দিয়ে গরিব দুঃখীদের বিলিয়ে দিলেন। আল্লাহ আবার স্বপ্নে বললেন, ‘ইব্রাহিম উৎসর্গ করো!’ ইব্রাহিম আবার উট কোরবানি দিলেন। আল্লাহ্ আবার স্বপ্নে ইব্রাহিমকে বললেন ‘ইব্রাহিম! তোমার সবচেয়ে প্রিয় যে তাকে আল্লার নামে কোরবানি দাও!’ ইব্রাহিম বুঝলেন – তাঁর একমাত্র পুত্রই এই দুনিয়ায় তাঁর সবচেয়ে প্রিয়। ইসমাইল তখন তাঁর মাতা হাজেরার সাথে বর্তমান কাবার কাছে প্রায় বনবাসীর জীবনযাপন করছেন।