ঈগল থাকবে ইতিহাস থাকবে না
১
ভাবো, ইতিহাসের গতি রুদ্ধ। মানুষের আর কোনো ইতিহাস থাকবে না। ফেরাউন থাকবে কিন্তু মুসা থাকবেন না। পুঁজি থাকবে, সাম্রাজ্যবাদী বিশ্ববিচরণশীল লুণ্ঠন থাকবে কিন্তু না বলার মত দেশ থাকবে না। আফগানিস্তান বা ফিলিস্তিন কেউ না। কেবল মহাকালব্যাপী ঈগল খচিত বোমারু বিমানগুলো উড়বে কিন্তু মাটি, পাহাড় বা সাগর থাকবে না। পৃথিবী বা মানচিত্র থাকবে না। ধর্ম থাকতে চান থাকুন কিন্তু কোনো মিনার থেকে আজান হবে না। গীর্জাগুলো তো আগেই নিলামে বিক্রি হয়ে গেছে। এখন না ঘন্টাধ্বনি না আজান। প্রতিবাদ বা প্রতিরোধ থাকলে বোমা হামলাও থাকবে। কারণ ইতিহাসের আর প্রয়োজন নেই। ইতিহাস থাকবে না।
রাজরাজড়াদের দিগ্বিজয়ের কেচ্ছা না হয় থাকলো না, কিন্তু প্রেম? প্রেমেরও কি কোনো ইতিহাস কোথাও কেউ গাথাচ্ছলে গেয়ে উঠবে না? যেমন বন্দীরা প্রার্থনা সংগীত গেয়ে ওঠে প্রতিটি শতাব্দীর অন্তিম প্রান্তে দাঁড়িয়ে। এত বোমাবর্ষণের মধ্যেও কবিরা কেন শুনতে পায় মুক্তির জন্য আদম সন্তানদের আহাজারি। মানুষের ভালোবাসার গান বিধ্বস্ত পৃথিবীর কন্দরে দূর্বাঘাসের মতো ছোপ ছোপ সবুজের মায়া বিছিয়ে পড়ে থাকবে কিন্তু মানুষের কোনো দয়িতা থাকবে না।
২
বুশের বোমায় তেলজল একাকার
মধ্য এশিয়া মুক্ত উদরে শোয়া;
খুলে গেছে নাভী, ঐশ্বর্যের দ্বার
আকাশে উড়ছে মৃত বিবেকের ধোঁয়া,–
জ্বলছে কাবুল, লুটালো কান্দাহার।
পুঁজির শত্রু কোথা চীন, কোথা রুশ?
সবার পাছায় থাপ্পড় মারে বুশ।
জাতিসংঘও লেজ নাড়ে যথারীতি
তার কাজ শুধু ছড়ানো বিশ্বভীতি,
মধ্যপ্রাচ্যে হামাসের দুরমুশ।
পারস্য জপে পরম প্রভুর নাম
পাখতুন নামে ভারতের জ্বর আসে
মাজারী শরীফে হত্যার পয়গাম
কাশ্মীর কাঁপে রক্তের উচ্ছ্বাসে।
পাকিস্তানে কি দম্ ফেলে ইসলাম? ,
৩
জ্ঞানের বিষাদ এসে দাঁড়িয়েছে হত্যার বিজ্ঞানে
কেবল প্রযুক্তি খোজে শাদামাথা হতার নায়ক
সিদ্ধহস্ত খুনীদের নব্যতর বিশ্বের বিধানে
এক ঠ্যাঙে বসে আছে জাতিসংঘ বিবেকের বক।
অনবদ্য রচনাশৈলী