প্রথম পর্ব
দ্বিতীয় পর্ব
তৃতীয় পর্ব
ফিরে পড়া : সুধীরকুমার মিত্রের দশটি বই

ইতিহাস সমাজ সংস্কৃতি – মনীষা রক্ষিত

ইতিহাস সমাজ সংস্কৃতি – মনীষা রক্ষিত

১৯০৯ সালের ৫ জানুয়ারি সুধীরকুমার মিত্র হুগলির জনাই-বাকসাগ্রামে মামাবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। বাবা আশুতোষ মিত্র, মা রাধারানি দেবী। পৈতৃক ভিটা হুগলি জেলার জেজুর গ্রামে। বাবা আশুতোষ মিত্র এক নামি ইংরেজ কোম্পানির বড়োবাবু হিসাবে চাকুরি করার পরেও অবসর সময়ে পড়াশুনোর কাজে ব্যস্ত থাকতেন। একাধিক গ্রন্থও রচনা করেছিলেন। জ্ঞানপিপাসু, নিরহংকার, পরোপকারী সৎ পিতার মানসিকতার ছায়া সুধীরকুমারের চরিত্রেও ছায়াপাত করেছিল। চাকুরিসূত্রে কলকাতায় এসে আশুতোষ মিত্র প্রথমে মসজিদ বাড়ি স্ট্রিটে বসবাস শুরু করেন। পড়াশুনোর প্রথম পাঠ সুধীরকুমারের পৈতৃকগ্রাম জেজুরের স্কুলে শুরু হলেও পরে বাবার সঙ্গে কলকাতায় এসে ভরতি হলেন স্কটিশচার্চ স্কুলে। এই স্কুল থেকেই তিনি কৃতিত্বের সঙ্গে এন্ট্রান্স পাশ করেন। এরপর স্কটিশচার্চ কলেজ থেকে আই. এসসি. এবং বি. এসসি. পাশ করেন। বিজ্ঞানের কৃতি ছাত্র হয়েও সাহিত্যের প্রতি তাঁর ছিল বিশেষ অনুরাগ। মাত্র বারো বছর বয়সে হাতেলেখা পত্রিকা তুবড়ি সম্পাদনা করেন। ইতিহাসের প্রতি তার টান ছিল অদম্য। বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় লেখার সঙ্গে জেজুরের মিত্র বংশ নামে একটি তথ্যসমৃদ্ধ গ্রন্থ মাত্র সাতাশ বছর বয়সে রচনা করেন। স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ এই গ্রন্থটির বিশেষভাবে প্রশংসা করেন। সমসাময়িক পাঠক ও পত্রপত্রিকায়ও বইটি বিশেষভাবে আলোচিত হয়। কলকাতাবাসী হলেও গ্রামের প্রতি তাঁর ছিল নাড়ির যোগ। দেশের বাড়িতে নিয়মিত যাতায়াতের সঙ্গে সেখানকার নাটক যাত্রাতেও সক্রিয় অংশগ্রহণ করতেন। দেশের প্রতি এই ভালোবাসা তাঁর লেখায়ও ছাপ পড়েছে। এই সময় নামকরা সবকয়টি পত্রপত্রিকায় তাঁর নিয়মিত লেখা পাঠক সমাজে বিশেষভাবে আলোড়ন তুলেছিল। ইতিহাস সচেতন সুধীরকুমারের বিশেষ অবদান গ্রামবাংলার মন্দির, মসজিদ, গির্জা ও অন্যান্য পুরাকীর্তিগুলি সরেজমিনে পর্যবেক্ষণ করে তথ্যসমূহ নথীভূক্ত করা। একটি মাত্র নিজস্ব বক্স ক্যামেরা সম্বল করে প্রতিটি মন্দির মসজিদ সরেজমিনে পরিদর্শন করে লিখতে লাগলেন বিভিন্ন পত্রপত্রিকায়। পরবর্তীকালে এই লেখাগুলি এক করে গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হল যথাক্রমে হুগলী জেলার ইতিহাস, জেজুরের ইতিহাস, তারকেশ্বরের ইতিকথা, হুগলী জেলার দেবদেউল নামে—যা পরবর্তীকালে ইতিহাসের গবেষকদের কাছে এক অমূল্য সম্পদ।

এ ছাড়া ১৯৫০ থেকে ১৯৬০ সালের মধ্যে রচিত বরেণ্য বিপ্লবী দেশপ্রেমিক ও মনীষী—যথাক্রমে রাসবিহারী, নেতাজি, প্রফুল্ল চাকী, বাঘা যতীন, বাপুজি, বিবেকানন্দ প্রভৃতিকে নিয়ে লিখিত গ্রন্থগুলি পাঠক সমাজে বিশেষ আদৃত হয়। ঐতিহাসিক দৃষ্ঠিভঙ্গিতে তিনি অসংখ্য লেখা লিখেছিলেন বৈষ্ণব সাহিত্য, চৈতন্য মহাপ্রভু ও বৈষ্ণব সাহিত্যের সঙ্গে জড়িত বিদগ্ধজনদের নিয়ে। চৈতন্যদেব পদাঙ্কিত স্থানগুলি ভ্রমণ করে সত্তর দশকের শেষে নতুন আঙ্গিকে তিনি রচনা করেন দক্ষিণের দেবস্থান নামক ইতিহাসনির্ভর গ্রন্থ। আধুনিক ইতিহাসের পথিকৃৎ বলে বিশেষভাবে পরিচিত হলেও বহুমুখী প্রতিভার এই মানুষটি সমাজের উন্নতিমূলক বিভিন্ন শাখায় নিজেকে যুক্ত করেছিলেন। স্ত্রীশিক্ষা প্রসারে তার ছিল বিশেষ অবদান। প্রতিষ্ঠা করেছিলেন ‘‘দেশবন্ধু কলেজ ফর গার্লস’’। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তিনি ছিলেন সম্পাদক বা সভাপতি। প্রতিষ্ঠা করেছিলেন ‘‘সত্যচরণ ইনস্টিটিউট’’ নামক গ্রন্থাগার এবং ‘‘শ্রীরামকৃষ্ণ-বিবেকানন্দ আশ্রম’’। আকাশবাণীতে প্রচারিত হয়েছিল তাঁর রচিত নাটক রায়গুণাকর ভারতচন্দ্র। গ্রামে ঘুরতে ঘুরতে পাওয়া অনেক সুপ্রাচীন টেরাকোটা, মূল্যবান পুঁথি, বিভিন্ন মনীষীদের সই করা উইল, চিঠি, দুষ্প্রাপ্য দলিল তিনি সংগ্রহ করেছিলেন গবেষণার জন্য।

সৎ সরল, আড়ম্বরহীন, আজীবন খদ্দর পরিহিত মানুষটি নিত্তনৈমিত্তিক সাংসারিক কর্মকে অবহেলা করেননি। পুত্র-কন্যাদের প্রতিপালন, শিক্ষা, বিবাহ, সমাজে প্রতিষ্ঠা প্রতিটি কাজই যথাযথভাবে করেছেন। ১৯৯৩ সালের ১০ জানুয়ারি চুরাশি বছর বয়সে আঞ্চলিক ইতিহাসচর্চার পথিকৃত সুধীরকুমার মিত্র পরলোকগমন করেন। রেখে গেলেন কঠিন পরিশ্রমে সংগ্রহ করা বিভিন্ন ঐতিহাসিক তথ্য যা ভবিষ্যৎ গবেষকদের কাছে এক গুরুত্বপূর্ণ সূত্র।

১২ মার্চে ইনস্টিটিউট অব হিস্টোরিকাল স্টাডিজের প্রেক্ষাগৃহে এক স্মরণসভায় তৎকালীন কার্যনির্বাহী মুখ্যমন্ত্রী বিনয়কৃষ্ণ চৌধুরি, শিক্ষাবিদ প্রতাপচন্দ্র চন্দ্র, ঐতিহাসিক নিশীথরঞ্জন রায়, বিজ্ঞানী সুশীল মুখোপাধ্যায় প্রমুখ প্রস্তাব করেন প্রয়াত ইতিহাসবিদ সুধীরকুমারের স্মৃতিতে ‘‘স্মারক বক্তৃতামালা’’ প্রবর্তন করার জন্য। এই প্রস্তাব সানন্দে গৃহিত হয়। ১৯৯৪ সাল থেকে ইতিহাসের বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে নির্বাচিত ‘সুধীরকুমার মিত্র’ স্মারক বক্তৃতার আয়োজন করা হয়েছে। এ পর্যন্ত মোট আটজন স্মারক বক্তৃতায় অংশগ্রহণ করেছেন।

প্রথম বক্তা ১৯৯৪ সালের ডিসেম্বর মাসে বিড়লা তারামন্ডলের সভাগৃহে ‘‘সে-কালের কলকাতায় সংস্কৃতি ও অপসংস্কৃতি’’ এই বিষয়ে বক্তৃতা দেন। সংস্কৃতি ও অপসংস্কৃতির ব্যাখ্যা করার পর তাদের স্বরূপ ও বংশগত সংস্কৃতির আলোচনা করেন। আদি কলকাতার গ্রামীণ সংস্কৃতি, কলকাতার সংক্ষিপ্ত আদি ইতিহাস ছুঁয়ে তিনি পৌঁছে যান পুরোনো কলকাতার ধর্মের হীন আচার বিচার, অষ্টাদশ শতাব্দীর নগরায়ণের গতিপ্রকৃতি, পুজোপাঠ, বিবাহ, পানশালার হইহুল্লোড় এবং তৎকালীন কলকাতায় দেশি-বিদেশিদের ব্যবসায়। পরের পর্বে তিনি ব্যাখ্যা করেন নগরায়ণের ভালোমন্দ দিক, ছাপাখানা চালু, হিন্দু ধর্মের উদারীকরণ, আধুনিক শিক্ষাবিস্তার, বাংলা ভাষা সাহিত্যের অভূতপূর্ব উন্নতির। বাংলা নাটক ও রঙ্গমঞ্চের প্রতিষ্ঠা, শিল্পকলায় নবজাগরণের সঙ্গে ভারতবর্ষে জাতীয়তাবাদের সূত্রপাতের ভূমিকা নিয়েও যুক্তিপূর্ণ আলোচনা করেন।

১৯৯৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে বিধান সরণীর লাহা বাড়ি সভাগৃহে দ্বিতীয় বক্তা নারায়ণ সান্যাল বক্তৃতা দেন ‘‘শতবর্ষে সুভাষচন্দ্র, কিছু প্রশ্ন, কিছু কথা’’ এই বিষয়ে। বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে সুভাষচন্দ্রের আদর্শের বিশ্লেষণ করেন। নিজের মতামত ব্যক্ত করার সঙ্গে সঙ্গে দর্শকদের ভাবার মতো বেশ কিছু রসদ সরবরাহ করেন।

তৃতীয় বক্তা অসিতকুমার বন্দ্যোপাধ্যায় রাসবিহারী অ্যাভিনিউর সাহিত্যিক সভাগৃহে ১৯৯৯ সালের মার্চ মাসে বক্তৃতা দেন। আলোচনার বিষয় ছিল ‘‘বাংলার ইতিহাসচর্চা : ইতিহাস পটে হাওড়া’’। বাংলার ইতিহাসচর্চার আলোচনা করতে করতে বক্তা একসময় হাওড়া জেলার ইতিহাসে প্রবেশ করে যান। বাংলার ইতিহাসের পরিপ্রেক্ষিতে হাওড়া জেলার সামাজিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ইতিহাসের এক চমকপ্রদ ব্যাখ্যা পাই।

২০০০ সালের অক্টোবর মাসে সাহিত্যিকা সভাগৃহে চতুর্থ বক্তা ছিলেন নিমাইসাধন বসু। বক্তৃতার বিষয় ছিল ‘‘ইতিহাসের আলোকে নিবেদিতা।’’ ঐতিহাসিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে সিস্টার নিবেদিতার সেবাধর্মের ভিতর দিয়ে সামাজিক কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়া, হিন্দু ধর্মের উদারনীতির ব্যাখ্যা আমাদের নতুনভাবে ভাবতে শেখায়।

পঞ্চম বক্তা স্বপন বসু ২০০৪ সালের জানুয়ারি মাসে জীবনানন্দ সভাঘরে বক্তৃতা দেন, বিষয় ছিল ‘‘উনিশ শতকের আঞ্চলিক পত্রপত্রিকা’’। ১৮১৮ সাল থেকে ১৯০০ সাল পর্যন্ত ভারতবর্ষে যত আঞ্চলিক পত্রিকা প্রকাশিত হয়েছিল সেগুলির নাম, পত্রিকার বিষয়বস্তু, প্রচার সংখ্যা, বৈশিষ্ট্য তদুপরি তাদের আয়ুষ্কাল নিয়ে এক তথ্যপূর্ণ বক্তৃতা দিয়েছেন। বক্তৃতার প্রারম্ভে আঞ্চলিক পত্রিকার সংজ্ঞা নির্ধারণের ব্যাখ্যাটিও খুবই সুচিন্তিত।

২০০৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে জীবনানন্দ সভাগৃহে ষষ্ঠ বক্তা রজতকান্ত রায় ‘‘ইতিহাস পুরুষার্থ’’ বিষয়ে বক্তৃতা দেন। তিনটি ভাগে তিনি পুরুষার্থ ব্যাখ্যা করেছেন। প্রথম ভাগে তিনি ধর্ম, অর্থ, কাম এবং মোক্ষ সম্বন্ধে আলোচনা করেন। দ্বিতীয় ভাগে আলোচনা করেন প্রেম সম্বন্ধে—যা মধ্যযুগের অবদান এবং তৃতীয় বা শেষ পর্বে আলোচনা করেন এই প্রেমেরই একটি গুপ্তরূপ—যাকে বিপরীত রতি বলা হয়। বিভিন্ন ব্যাখ্যার মধ্যে তৎকালীন সমাজ ব্যবস্থায় নারীর স্থান, বর্ণাশ্রমধর্ম, প্রেম ও কাম প্রভৃতি সম্বন্ধে বিশদভাবে ব্যাখ্যা করেন, খুবই মনোগ্রাহী হয়েছিল এই আলোচনা।

২০০৭ সালের জানুয়ারি মাসে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের বিরাট হলঘরে বক্তৃতা দেন সপ্তম বক্তা তপন রায়চৌধুরি,—বিষয় ছিল ‘‘বাঙ্গাল নামার পরিপ্রেক্ষিত।’’ তিনি সুধীরকুমার মিত্রকে ইতিহাসবিদ ছাড়াও সে-যুগের একজন বিশিষ্ট বাঙালি বলে অভিহিত করেন। পারিবারিক ইতিহাস থেকে সুধীরকুমার কী করে আঞ্চলিক ইতিহাসে পৌঁছে গেলেন সে-কথা বর্ণনা করেই বোধহয় তাঁকে যথাযোগ্য সম্মান জানালেন। সুধীরকুমারের বিস্ময়কর কর্মের মূলসূত্র ধরেই তিনি পৌঁছে গেলেন তাঁর বক্তৃতার মূল বিষয়ে। গত শতাব্দীর বাঙালি জীবনের সামাজিক অবস্থান, মূল্যবোধ, ইংরেজ শাসনে হিন্দু-মুসলমানের রাজনৈতিক ও সামাজিক অবস্থান, তৎকালীন রাজনৈতিক তথা অর্থনৈতিক ঘটনাপঞ্জীর যুক্তিমূলক ব্যাখ্যা সমস্ত শ্রোতাকে আড়াই ঘণ্টা মন্ত্রমুগ্ধ করে রেখেছিল। বাঙালির দোষ, পরশ্রীকাতরতা, ভোগসর্বস্ব জীবনের জন্য ইঁদুর দৌড়, কর্মবিমুখতার তীব্র সমালোচনা করেছেন। মানুষের লোভ বাড়ার সঙ্গে বধূহত্যা ও অন্যান্য নেতিবাচক কর্ম আমাদের বাঙালি জীবনে যে প্রভাব ফেলেছে তা আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়েছেন, আবার বাঙালি মহিলা লেখকের লেখায় যে বলিষ্ঠ সমাজচিন্তা ও মুক্তভাষার পরিচয় পাচ্ছেন সে-কথার উল্লেখ করতেও ভুলে যাননি। উচ্চবিত্ত ও মধ্যবিত্ত সমাজে মেয়েদের শিক্ষাদীক্ষা ও চাকুরিতে চমকপ্রদ অবস্থানের প্রশংসা করেন। অত্যন্ত যুক্তিপূর্ণ এই বক্তৃতা ‘‘সুধীরকুমার মিত্র স্মারক’’ আলোচনা-মালার এক তথ্যনিষ্ঠ বক্তৃতা।

অষ্টম বক্তা রমাকান্ত চক্রবর্তী বক্তৃতা দেন ২০০৮ সালের জানুয়ারি মাসে শিশির মঞ্চে। আলোচনার বিষয় ছিল ‘‘বাংলায় আঞ্চলিক ইতিহাসচর্চা।’’ বাংলার আঞ্চলিক ইতিহাসচর্চা প্রসঙ্গে যাওয়ার আগে তিনি বাংলার সমগ্র ইতিহাস সম্বন্ধে কিছু বলেছেন। মোগলযুগের ইতিহাসে বাংলার অবস্থার বিবরণ দেওয়ার পর তিনি চলে গেছেন গৌড়ের সুলতানদের অবলুপ্ত প্রাসাদের একটি মানচিত্র প্রসঙ্গে। ১৮৭২ সালে বিভিন্ন জেলার গেজেটিয়ার প্রকাশ, বিভিন্ন জেলার ইতিহাসের বই, পাদরি জেমস লং-এর বাংলা ভাষা ও বাঙালি জাতি সম্বন্ধে গবেষণার বিভিন্ন দিক, সরকারি নথিপত্রে প্রাপ্ত জেলা পুরাকীর্তির বিবরণের সঙ্গে জেলার মানুষের স্বাধীনতা সংগ্রামের ও কৃষকদের জমি আন্দোলনের কথাও উল্লেখ করেন। এক তথ্যপূর্ণ আলোচনা শ্রোতারা এই বক্তার কাছ থেকে পেয়েছেন।

২০০৯ সালের রথযাত্রার দিন পল্লব মিত্র ও দেবপ্রসাদ জানার সম্পাদনায় ইতিহাস সমাজ ও সংস্কৃতি নামে একটি বই দীপ প্রকাশন থেকে প্রকাশ করা হয়। সুধীরকুমার মিত্রর জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে প্রকাশিত এই বইতে মূল্যবান ভাষণগুলি একসঙ্গে ছাপা হয়েছে। এর মধ্যে তিনজন যথাক্রমে—নারায়ণ সান্যাল, অসিতকুমার বন্দ্যোপাধ্যায় ও নিমাইসাধন বসু সভায় ঘোষণা করেছিলেন ভবিষ্যতে সময় নিয়ে ভাষণগুলি বিস্তারিতভাবে লিখে দেবেন। কিন্তু বক্তৃতা প্রদানের অল্পদিনের মধ্যেই এই তিনজনের মৃত্যু ঘটায় তাদের প্রদত্ত ভাষণগুলির এই গ্রন্থে সংকলন করা যায়নি। স্মৃতি ও নিজস্ব নোটবুকে লেখা থেকে তাঁদের বক্তৃতার আলোচনা করেছি। বক্তৃতামালায় গ্রন্থিত এই বই এক মূল্যবান ঐতিহাসিক দলিল।

আলোচিত গ্রন্থ

স্মারক বক্তৃতা ইতিহাস সমাজ ও সংস্কৃতি

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *