।। আহুতি হোমসংখ্যা বর্ণনম্।।
।। আহুতি হোমসংখ্যা বর্ণন।।
যস্য যজ্ঞস্য যন্মানং তত্ত্ব তেনৈব যোজয়েৎ। অমানেন হতো যজ্ঞস্তন্মানং ন হাপয়েৎ।।১।। শতাধং প্রথমং মানং শতসাহস্রমেব চ। অযুতং চ তথা লক্ষং কোটিহোমমতঃ পরম্।।২।।
যে যজ্ঞের যা মান তাকে সেই মান দ্বারা যোজিত করতে হবে। যে যজ্ঞ ছাড়াই মান করে সে হত হয়। এজন েমানের ত্যাগ কখনও করবে না।। ১।।
এই যজ্ঞের প্রথম মান হল একশত আবার শতসহস্র মান হয়। অযুত মান হয় এবং লক্ষ তথা কোটির হোম সব থেকে বড় হয়।।২।।
অতঃ পরং তু বিভবে রাজা বান্যো দ্বিজোত্তমাঃ। ন স সিদ্বমবাপ্লোতি অযাগফলভাবেৎ।।৩।। বিপাকং কর্মণাং সর্বং নরঃ প্রাপ্নোতি সর্বদা। শুভাশুভং ততো নিত্যং প্রাপ্নোতি মনুজঃ কিল্।।৪।। যুক্তাশ্চাপি গ্রহাস্তত্র নিত্যং শান্তিক পৌষ্টিকে। তস্মাপ্তযন্ততো ভক্ত্যা নিত্যং পূজা যথাবিধি।।৫।। অভ্রুতে চ তথা শান্তি কুযাদ্ভক্তি সমন্বিতঃ। তস্মাদ গ্রহাভিনিত্যং শুভাশুভ ফলং খলু।।৬।। অদ্রুতেষু চ সর্বেষু অযুতং কারয়েন্নরঃ। হোমং যথাভিরুচিতং পৌষ্টিকে কাক্সয়মনি।।৭।। লক্ষহোমং কোটিহোমং রাজা কুযাদ্যথাবিধি। অন্যঃ শতাদিকং কুযাদযুতং বিভবে সতি।।৮।।
এর থেকে উপর বিভব হলে রাজা হোক বা অন্য কেউ হোক, হে দ্বিজোত্তমা! যা কিছু করে সে সিদ্ধি প্রাপ্ত হয়না এবং যাগের ফলভাগীও হয়না।।৩।।
এই সংসারে মানুষ সর্বদা কর্মের সমস্ত বিরাক প্রাপ্ত হয়। মানুষ এ থেকে নিত্য শুভ ও অশুভ ফল লাভ করে।৪।।
সেখানে শান্তি বা পৌষ্টিক কর্মে নিত্যই গ্রহযুক্ত হয়। এ থেকে ভক্তিভাব দ্বারা প্রযত্নপূর্বক যথাবিধি পূজা করতে হবে।।৫।।
এবং অদ্ভূত ভক্তি সমন্বিত হয়ে শান্তি করে। এর গ্রহ দ্বারা অভিজনিত শুভ ও অশুভ ফল নিশ্চয়ই হয়।।৬।।
সমস্ত অদ্ভূতদের মধ্যে মানুষের অযুত করাতে হবে। পৌষ্টিক কাম্য কর্মে নিজ অভিরুচি অনুসারে হোম কর।।৭।।
রাজার লক্ষ হোম এবং কোটি হোম বিধি অনুসারে করতে হবে। অন্য পুরুষদের শতাদিত হোম করতে হবে। যদি বিভব হয় তবে অযুতও করতে হবে।।৮।।
গ্রহানাং লক্ষহোমস্ত কোটিহোমস্তথা কলৌ। ন্ধিহোমং চাভিচারং তন্ন কুযাদগৃহাশ্রমী।।৯।। যত্র যত্র জপঃ কাযো হোমো বা যত্র কুত্রচিৎ। মানং নৈব চ কর্তব্যং মানাদৌ চাষ্টেকং ন্যসেৎ।।১০।। যুগ্মসাধ্যং ন কতব্যং যুগ্মতো ভয়মাদিশেৎ।
লক্ষে সপ্ততলি সংখ্যা কোটিহোমে চ বিংশতি।।১১।। একত্রিংশদিনৈবাপি ন কযাত্যদ্যয়ং ক্বচিৎ। আরম্ভস্ত্রিসহস্রঃ সৎদ্বিতীয়েৎ ষ্টসহস্রকঃ।।১২।। তৃতীয়ে তু সহস্রং স্যাদগ্রহসাধ্যঃ স্মৃতো বিধিঃ। পঞ্চাহে চ সমারম্ভে সহস্রং জুহুয়াদ বুধঃ।।১৩।। দ্বিতীয়েহহ্নি দ্বিসাহসং তৃতীয়ে তু সহস্ৰকম্। গুনাসাহস্রকং তুযে পঞ্চাহে শেষমীরিতম্।।১৪।।
গ্রহের লক্ষ হোম হয় এবং কলিযুগে কোটি হোম করতে হবে। নিধি হোম এবং অভিচার হলে গৃহাশ্রমীকে করতে হবে না। ৯।।
যেখানে যেখানে জপ কর অথবা যেখানে কেউ হোম করে এবং মান করতে চায়না, মানদিতে অষ্টকের ন্যাস করতে হবে।।১০।।
যুগ্ম সাধ্যকে করবে না যুগ্ম থেকে ভয় প্রভৃতি অদিষ্ট হয়। লক্ষে সপ্ত তালের সংখ্যা হয় এবং কোটি হোমে কুড়ি সংখ্যা হয়।।১১।।
অথবা একত্রিশ দিনে করতে হবে। এর অন্যথা কোথাও করা যাবে না। আরম্ভে তিন সহস্র হয় এবং দ্বিতীয়ে আট সহস্ৰ হয়।।১২।।
তৃতীয় সহস্র হয়। গ্রহের দ্বারা সাধ্য বিধি বলা হয়। পাঁচদিনের সমারম্ভে বুধের এক সহস্র হবন করতে হবে। দ্বিতীয় দিনে দুই সহস্র তথা তৃতীয় দিনে সহস্র করতে হবে। চতুর্থে গুণ সহস্র করতে হবে এবং পঞ্চমে শেষ বলা হয়।।১৩-১৪।।
নবাহে কল্পয়েল্লক্ষমেকৈকাঙ্গং দিনে দিনে। পঞ্চমে চ তথা ষষ্ঠে কুলে ভাগদ্বয়াধিকম্।।১৫।। কোটিহোমে চ তিথ্যঙ্গে শতভাগেন কল্পয়েৎ। ন ন্যূনং নাধিকং কার্যমেতপ্নানমুদাহৃতম্।।১৬।। নিত্যমেকং দিনে দদ্যাৎপৃথঙনিত্যং ন চাচরেৎ। স সমাজে জপেন্নিত্যং পঞ্চতারেন স্বিষ্টকৃৎ।।১৭।। অযুতে লক্ষহোমে চ কোটিহোমে চ সর্বদা। প্রথমে দিবসে কযাদেবতানাং চ স্থাপনম্।।১৮।। মহোৎসবে দ্বিতীয়ে তু বলিদানং তথৈব চ। এ্যহসাধ্যে ত্রিরাত্রে পূনং কৃত্বা বিসজয়েৎ।।১৯।। পঞ্চাহে তু তৃতীয়েহহ্নি বলিদানং প্রশস্যতে। সমাহে চাষ্টদিবসে নবাহে পঞ্চমেহনি।।২০।
নবাহে লক্ষের কল্পনা করতে হবে এবং দিনে দিনে এক-এক অঙ্গের করতে হবে। পঞ্চম এবং ষষ্ঠ কুলে ভাগ দুয়ের অধিক করতে হবে।।১৫।।
তিথ্যঙ্গ কোটি হোমে শতভাগ থেকে পল্পনা করতে হবে। না হলে ন্যুনই করতে হবে এবং অধিক করাই যাবেনা। এভাবে এর মান বলা হয়েছে।।১৬।। দিনে এককে নিত্য দিতে হবে এবং নিত্য পৃথক আচরণ করা যাবে না। তাকে পঞ্চ তার দ্বারা স্বিষ্টকৃৎ হয়ে সমাজে নিত্য জপ করতে হবে।।১৭।।
অযুত হোমে, লক্ষ হোমে এবং কোটি হোমে সর্বদা প্রথম দিনে দেবতাদের স্থাপন করতে হবে।।১৮।।
দ্বিতীয় মহোৎসবে বলিদান করবে। তৃতীয় দিনে সাধ্যে এবং তিনরাত্রিতে সাধ্য হলে পূর্ণ করে বিসর্জন করবে।।১৯।।
যা পঞ্চাহ যাগ তার তৃতীয় দিনে বলিদান প্রশস্ত বলা হয়। সপ্তাহে অষ্টমদিনে এবং নবাহে পঞ্চম দিনে করতে হবে।।২০।।
পঞ্চাহে দ্বাদশাহে তু দ্বাত্রিংস্তাড়হশেহনি। ইতোহন্যথা ন কুর্বাত নাত্র যজ্ঞফলং লভেৎ।।২১।।
পঞ্চাহে, দ্বাদশাহে বত্রিশ ষোড়শ দিনে করবে। এর অন্যথা কখনও করবে না। বিপরীত করলে যজ্ঞের ফলপ্রাপ্তি হবে না।।২১।।