আলাউদ্দিনের চেরাগ
নান্দিনা পাইলট হাইস্কুলের অঙ্ক শিক্ষক নিশানাথ বাবু কিছুদিন হলো রিটায়ার করেছেন। আরো বছরখানেক চাকরি করতে পারতেন, কিন্তু করলেন না। কারণ দুটো চোখেই ছানি পড়েছে। পরিষ্কার কিছু দেখেন না। ব্ল্যাক বোর্ডে নিজের লেখা নিজেই পড়তে পারেন না।
নিশানাথ বাবুর ছেলেমেয়ে কেউ নেই। একটা মেয়ে ছিল। খুব ছোটবেলায় টাইফয়েডে মারা গেছে। তাঁর স্ত্রী মারা গেছেন গত বছর। এখন তিনি একা-একা থাকেন। তাঁর বাসা নান্দিনা বাজারের কাছে। puran আমলের দুকামরার একটা পাকা দালানে তিনি থাকেন। কামরা দুটির একটি পুরান লক্কর জিনিসপত্র দিয়ে ঠাসা। তাঁর নিজের জিনিস নয়। বাড়িওয়ালার জিনিস। ভাঙা খাট, ভাঙা চেয়ার, পেতলের তলা নেই কিছু ডেগচি, বাসন-কোসন। বাড়িওয়ালা নিশানাথ বাবুকে প্রায়ই বলেন–এইসব জঞ্জাল দূর করে ঘরটা আপনাকে পরিষ্কার করে দেব। শেষ পর্যন্ত করে না। তাতে নিশানাথ বাবুর খুব একটা অসুবিধাও হয় না। পাশে একটা হোটেলে তিনি খাওয়া-দাওয়া সারেন। বিকেলে নদীর ধারে একটু হাঁটতে যান। সন্ধ্যার পর নিজের ঘরে এসে চুপচাপ বসে থাকেন। তার একটা কোরোসিনের স্টোভ আছে। রাতের বেলা চা খেতে ইচ্ছা হলে স্টোভ জ্বালিয়ে নিজেই চা বানান।
জীবনটা তার বেশ কষ্টেই যাচ্ছে। তবে তা নিয়ে নিশানাথ বাবু মন খারাপ করেন না। মনে মনে বলেন, আর অল্প কটা দিনই তো বাঁচব, একটু না হয় কষ্ট করলাম। আমার চেয়ে বেশি কষ্টে কত মানুষ আছে। আমার আবার এমন কী কষ্ট।
একদিন কার্তিক মাসের সন্ধ্যাবেলায় নিশানাথ বাবু তার স্বভাবমতো সকাল সকাল রাতের খাওয়া সেরে নিয়ে বেড়াতে বেরুলেন। নদীর পাশের বাঁধের উপর দিয়ে অনেকক্ষণ হাঁটলেন। চোখে কম দেখলেও অসুবিধা হয় না, কারণ গত কুড়ি বছর ধরে এই পথে তিনি হাঁটাহাঁটি করছেন।
আজ অবশ্যি একটু অসুবিধা হলো। তার চটির একটা পেরেক উঁচু হয়ে গেছে। পায়ে লাগছে। হাঁটতে পারছেন না। তিনি সকাল সকাল বাড়ি ফিরলেন। তার শরীরটাও আজ খারাপ। চোখে যন্ত্রণা হচ্ছে। বাঁ চোখ দিয়ে ক্রমাগত পানি পড়ছে।
বাড়ি ফিরে তিনি খানিকক্ষণ বারান্দায় বসে রইলেন। রাত নটার দিকে তিনি ঘুমুতে যান। রাত নটা বাজতে এখনো অনেক দেরি। সময় কাটানোটাই তার এখন সমস্যা। কিছু-একটা কাজে নিজেকে ব্যস্ত রাখতে পারলে হতো। কিন্তু হাতে কোনো কাজ নেই। বসে থাকা ছাড়া কিছু করার নেই। চটির উঁচু হয়ে থাকা পেরেকটা ঠিক করলে কেমন হয়? কিছুটা সময় তো কাটে। তিনি চটি হাতে নিয়ে ঘরে ঢুকলেন। হাতুড়ি জাতীয় কিছু খুঁজে পেলেন না। জঞ্জাল রাখার ঘরটিতে উঁকি দিলেন। রাজ্যের জিনিস সেখানে, কিন্তু হাতুড়ি বা তার কাছাকাছি কিছু নেই। মন খারাপ করে বের হয়ে আসছিলেন, হঠাৎ দেখলেন ঝুড়ির ভেতর একগাদা জিনিসের মধ্যে লম্বাটে ধরনের কী একটা যেন দেখা যাচ্ছে। তিনি জিনিসটা হাতে নিয়ে জুতার পেরেকে বাড়ি দিতেই অদ্ভুত কাণ্ড হলো। কালো ধোঁয়ায় ঘর ভর্তি হয়ে গেল।
তিনি ভাবলেন চোখের গণ্ডগোল। চোখ দুটো বড় যন্ত্রণা দিচ্ছে।
কিন্তু না, চোখের গণ্ডগোল না। কিছুক্ষণের মধ্যে ধোয়া কেটে গেল। নিশানাথ বাবু অবাক হয়ে শুনলেন, মেঘগর্জনের মতো শব্দে কে যেন বলছে, আপনার দাস আপনার সামনে উপস্থিত। হুকুম করুন। এক্ষুনি তালিম হবে।
নিশানাথ বাবু কাঁপা গলায় বললেন, কে? কে কথা বলে?
জনাব আমি। আপনার ডান দিকে বসে আছি। ডান দিকে ফিরলেই আমাকে দেখবেন।
নিশানাথ বাবু ডান দিকে ফিরতেই তার গায়ে কাঁটা দিল। পাহাড়ের মতো একটা কী যেন বসে আছে। মাথা প্রায় ঘরের ছাদে গিয়ে লেগেছে। নিশ্চয়ই চোখের ভুল।
নিশানাথ বাবু ভয়ে ভয়ে বললেন, বাবা তুমি কে? চিনতে পারলাম না
আমি হচ্ছি আলাউদ্দিনের চেরাগের দৈত্য। আপনি যে জিনিসটি হাতে নিয়ে বসে আছেন এটাই হচ্ছে সেই বিখ্যাত আলাউদ্দিনের চেরাগ।
বলো কি!
সত্যি কথাই বলছি জনাব। দীর্ঘদিন এখানে-ওখানে পড়ে ছিল। কেউ ব্যবহার জানে না বলে ব্যবহার হয় নি। পাঁচ হাজার বছর পর আপনি প্রথম ব্যবহার করলেন। এখন হুকুম করুন।
কী হুকুম করব?
আপনি যা চান বলুন, এক্ষুনি নিয়ে আসব। কোন জিনিসটি আপনার প্রয়োজন?
আমার তো কোনো জিনিসের প্রয়োজন নেই।
চেরাগের দৈত্য চোখ বড় বড় করে অনেকক্ষণ নিশানাথ বাবুর দিকে তাকিয়ে রইল। তারপর গম্ভীর গলায় বলল, জনাব, আপনি কি আমায় ভয় পাচ্ছেন?
প্রথমে পেয়েছিলাম, এখন পাচ্ছি না। তোমার মাথায় ঐ দুটো কী? শিং নাকি?
জি, শিং।
বিশ্রী দেখাচ্ছে।
চেরাগের দৈত্য মনে হলো একটু বেজার হয়েছে। মাথার লম্বা চুল দিয়ে সে শিং দুটো ঢেকে দেবার চেষ্টা করতে করতে বলল, এখন বলুন কী চান?
বললাম তো, কিছু চাই না।
আমাদের ডেকে আনলে কোনো একটা কাজ করতে দিতে হয়। কাজ করা পর্যন্ত চেরাগের ভেতর ঢুকতে পারি না।
অনেক ভেবেচিন্তে নিশানাথ বাবু বললেন, আমার চটির পেরেকটা ঠিক করে দাও। অমনি দৈত্য আঙুল দিয়ে প্রচণ্ড চাপ দিয়ে পেরেক ঠিক করে বলল, এখন আমি আবার চেরাগের ভেতর ঢুকে যাব। যদি আবার দরকার হয় চেরাগটা দিয়ে লোহা বা তামার উপর খুব জোরে বাড়ি দেবেন। আগে চেরাগ একটুখানি ঘষলেই আমি চলে আসতাম। এখন আসি না। চেরাগ পুরান হয়ে গেছে তো, তাই।
ও আচ্ছা। চেরাগের ভেতরেই তুমি থাকো?
জি।
করো কী?
ঘুমাই। তাহলে জনাব আমি এখন যাই।
বলতে বলতেই সে ধোয়া হয়ে চেরাগের ভেতর ঢুকে গেল। নিশানাথ বাবু স্তম্ভিত হয়ে দীর্ঘ সময় বসে রইলেন। তারপর তার মনে হলো–এটা স্বপ্ন স্বপ্ন ছাড়া কিছুই নয়। বসে ঝিমাতে ঝিমাতে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। ঘুমের মধ্যে আজেবাজে স্বপ্ন দেখেছেন।
তিনি হাত-মুখ ধুয়ে শুয়ে পড়লেন। পরদিন তাঁর আর এত ঘটনার কথা মনে রইল না। তাঁর খাটের নিচে পড়ে রইল আলাউদ্দিনের বিখ্যাত চেরাগ।
মাসখানেক পার হয়ে গেল। নিশানাথ বাবুর শরীর আরো খারাপ হলো। এখন তিনি আর হাঁটাহাঁটিও করতে পারেন না। বেশিরভাগ সময় বিছানায় শুয়ে-বসে থাকেন। এক রাতে ঘুমুতে যাবেন। মশারি খাটাতে গিয়ে দেখেন একদিকের পেরেক খুলে এসেছে। পেরেক বসানোর জন্য আলাউদ্দিনের চেরাগ দিয়ে এক বাড়ি দিতেই ঐ রাতের মতো হলো। তিনি শুনলেন গম্ভীর গলায় কে যেন বলছে–
জনাব, আপনার দাস উপস্থিত। হুকুম করুন।
তুমি কে?
সে কী! এর মধ্যে ভুলে গেলেন? আমি আলাউদ্দিনের চেরাগের দৈত্য।
ও আচ্ছা, আচ্ছা। আরেক দিন তুমি এসেছিলে।
জি।
আমি ভাবছিলাম বোধহয় স্বপ্ন।
মোটেই স্বপ্ন না। আমার দিকে তাকান। তাকালেই বুঝবেন–এটা সত্য।
তাকালেও কিছু দেখি না রে বাবা। চোখ দুটা গেছে।
চিকিৎসা করাচ্ছেন না কেন?
টাকা কোথায় চিকিৎসা করাব?
কী মুশকিল! আমাকে বললেই তো আমি নিয়ে আসি। যদি বলেন তো এক্ষুনি এক কলসি সোনার মোহর এনে আপনার খাটের নিচে রেখে দেই।
আরে না, এত টাকা দিয়ে আমি করব কী? কদিনইবা আর বাঁচব।
তাহলে আমাকে কোনো একটা কাজ দিন। কাজ না করলে তো চেরাগের ভেতর যেতে পারি না।
বেশ, মশারিটা খাঁটিয়ে দাও।
.
দৈত্য খুব যত্ন করে মশারি খাটাল। মশারি দেখে সে খুব অবাক। পাঁচ হাজার বছর আগে নাকি এই জিনিস ছিল না। মশার হাত থেকে বাচার জন্যে মানুষ যে কায়দা বের করেছে তা দেখে সে মুগ্ধ।
জনাব, আর কিছু করতে হবে?
না, আর কী করবে! যাও এখন।
অন্য কিছু করার থাকলে বলুন, করে দিচ্ছি।
চা বানাতে পারো?
জি না। কীভাবে বানায়?
দুধ-চিনি মিশিয়ে।
না, আমি জানি না। আমাকে শিখিয়ে দিন।
থাক বাদ দাও, আমি শুয়ে পড়ব।
দৈত্য মাথা নাড়তে নাড়তে বলল, আপনার মতো অদ্ভুত মানুষ জনাব আমি এর আগে দেখি নি।
কেন?
আলাউদ্দিনের চেরাগ হাতে পেলে সবার মাথা খারাপের মতো হয়ে যায়। কী চাইবে, কী না চাইবে, বুঝে উঠতে পারে না, আর আপনি কিনা…
নিশানাথ বাবু বিছানায় শুয়ে পড়লেন। দৈত্য বলল, আমি কি আপনার মাথায় হাত বুলিয়ে দেব? তাতে ঘুমুতে আরাম হবে।
আচ্ছা দাও।
দৈত্য মাথায় হাত বুলিয়ে দিল। নিশানাথ বাবু ঘুমিয়ে পড়লেন। ঘুম ভাঙলে মনে হলো, আগের রাতে যা দেখেছেন সবই স্বপ্ন। আলাউদ্দিনের চেরাগ হচ্ছে রূপকথার গল্প। বাস্তবে কি তা হয়? হওয়া সম্ভব না।
দুঃখে-কষ্টে নিশানাথ বাবুর দিন কাটতে লাগল। শীতের শেষে তার কষ্ট চরমে উঠল। বিছানা ছেড়ে উঠতে পারেন না এমন অবস্থা। হোটেলের একটা ছেলে দুবেলা খাবার নিয়ে আসে। সেই খাবারও মুখে দিতে পারেন না। স্কুলের পুরান স্যাররা মাঝে মাঝে তাকে দেখতে এসে দীর্ঘনিঃশ্বাস ফেলেন। নিজেদের মধ্যে বলাবলি করেন–এ যাত্রা আর টিকবে না। বেচারা বড় কষ্ট করল। তাঁরা নিজেদের মধ্যে চাঁদা তুলে তিনশ টাকা নিশানাথ বাবুকে দিয়ে এলেন। তিনি বড় লজ্জায় পড়লেন। কারো কাছ থেকে টাকা নিতে তার বড় লজ্জা লাগে।
এক রাতে তাঁর জ্বর খুব বাড়ল। সেই সঙ্গে পানির পিপাসায় ছটফট করতে লাগলেন। বাতের ব্যথায় এমন হয়েছে যে, বিছানা ছেড়ে নামতে পারছেন না। তিনি করুণ গলায় একটু পরপর বলতে লাগলেন–পানি। পানি। গম্ভীর গলায় কে একজন বলল, নিন জনাব পানি।
তুমি কে?
আমি আলাউদ্দিনের চেরাগের দৈত্য।
ও আচ্ছা, তুমি।
নিন, আপনি খান। আমি আপনাতেই চলে এলাম। যা অবস্থা দেখছি, না এসে পারলাম না।
শরীরটা বড়ই খারাপ করেছে রে বাবা।
আপনি ডাক্তারের কাছে যাবেন না, টাকা-পয়সা নেবেন না, আমি কী করব, বলুন?
তা তো ঠিকই, তুমি আর কী করবে!
আপনার অবস্থা দেখে মনটাই খারাপ হয়েছে। নিজ থেকেই আমি আপনার জন্যে একটা জিনিস এনেছি। এটা আপনাকে নিতে হবে। না নিলে খুব রাগ করব।
কী জিনিস?
একটা পরশপাথর নিয়ে এসেছি।
সে কি! পরশপাথর কি সত্যি সত্যি আছে নাকি?
থাকবে না কেন? এই তো, দেখুন। হাতে নিয়ে দেখুন।
নিশানাথ বাবু পাথরটা হাতে নিলেন। পায়রার ডিমের মতো ছোট। কুচকুচে কালো একটা পাথর। অসম্ভব মসৃণ।
এইটাই বুঝি পরশপাথর?
জি। এই পাথর ধাতুর তৈরি যে কোনো জিনিসের গায়ে লাগালে সেই জিনিস সোনা হয়ে যাবে। দাঁড়ান, আপনাকে দেখাচ্ছি।
দৈত্য খুঁজে খুঁজে বিশাল এক বালতি নিয়ে এলো। পরশপাথর সেই বালতির গায়ে লাগাতেই কাফেরঙের আভায় বালতি ঝকমক করতে লাগল।
দেখলেন?
হ্যাঁ দেখলাম। সত্যি সত্যি সোনা হয়েছে?
হ্যাঁ, সত্যি সেনা।
এখন এই বালতি দিয়ে আমি কী করব?
আপনি অদ্ভুত লোক, এই বালতির কত দাম এখন জানেন? এর মধ্যে আছে কুড়ি সের সোনা। ইচ্ছা করলেই পরশপাথর ছুঁইয়ে আপনি লক্ষ লক্ষ টন সোনা বানাতে পারেন।
নিশানাথ বাবু কিছু বললেন না, চুপ করে রইলেন। দৈত্য বলল, আলাউদ্দিনের চেরাগ যেই হাতে পায় সেই বলে পরশপাথর এনে দেবার জন্যে। কাউকে দেই না।
দাও না কেন?
লোভী মানুষদের হাতে এসব দিতে নেই। এসব দিতে হয় নির্লোভ মানুষকে। নিন, পরশপাথরটা যত্ন করে রেখে দিন।
আমার লাগবে না। যখন লাগবে তোমার কাছে চাইব।
নিশানাথ বাবু পাশ ফিরে শুলেন।
পরদিন জ্বরে তিনি প্রায় অচৈতন্য হয়ে গেলেন। স্কুলের স্যাররা তাঁকে ময়মনসিংহ হাসপাতালে ভর্তি করিয়ে দিলেন। ডাক্তাররা মাথা নেড়ে বললেন
অবস্থা খুব খারাপ। রাতটা কাটে কি-না সন্দেহ।
নিশানাথ বাবু মারা গেলেন পরদিন ভোর ছটায়। মৃত্যুর আগে নান্দিনা হাইস্কুলের হেডমাস্টার সাহেবকে কানে কানে বললেন–আমার ঘরে একটা বড় বালতি আছে। ঐটা আমি স্কুলকে দিলাম। আপনি মনে করে বালতিটা নেবেন।
নিশ্চয়ই নেব।
খুব দামি বালতি…।
আপনি কথা বলবেন না। কথা বলতে আপনার খুব কষ্ট হচ্ছে। চুপ করে শুয়ে থাকুন।
কথা বলতে তাঁর সত্যি সত্যি কষ্ট হচ্ছিল। নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে আসছিল। বালতিটা যে সোনার তৈরি এটা তিনি বলতে পারলেন না।
.
হেডমাস্টার সাহেব ঐ বালতি নিয়ে গেলেন। তিনি ভাবলেন–বাহ, কী সুন্দর বালতি! কী চমৎকার ঝকঝকে হলুদ! পেতলের বালতি, কিন্তু রঙটা বড় সুন্দর।
দীর্ঘদিন নারিন্দা হাইস্কুলের বারান্দায় বালতিটা পড়ে রইল। বালতি ভর্তি থাকত পানি। পানির উপর একটা মগ ভাসত। সেই মগে করে ছাত্ররা পানি
তারপর বালতিটা চুরি হয়ে যায়। কে জানে এখন সেই বালতি কোথায় আছে!