ব্রাহ্ম পর্ব
মধ্য পর্ব
প্রতিসর্গ পর্ব
1 of 3

আর্যাবর্তে ম্লেচ্ছগণের আগমন

।। আর্যবর্তে ম্লেচ্ছো আগমন।।

।। আর্যাবর্তে ম্লেচ্ছগণের আগমন।।

এই অধ্যায়ে আর্যাবর্তে ম্লেচ্ছগণের আগমন বৃত্তান্ত ও তার কারণ কথিত হয়েছে। এছাড়া কাশ্যপ ব্রাহ্মণগণের বৃত্তান্ত বর্ণিত হয়েছে।

ব্রহ্মাবর্তে কথং ম্লেচ্ছা ন প্রাপ্ত কারণং বদ সূতঃ প্রাহ শৃণুম্বেদং সরস্বত্যা প্রভাবতঃ।।১।। ম্লেচ্ছাঃপ্রাপ্ত ন সহস্থানে কাশ্যপো নাম বদ্বিজঃ। কলৌ প্রাপ্তে সহস্রাদ্বে স্বর্গাপ্রাপ্ত সুরাজ্ঞয়া।। ২।। আর্যাবতী চ তৎপত্নী দশ পুত্রানকল্মষান্। কাশ্যপাস্তা লব্ধবতী তেষাং নামাণি মে শৃণু।।৩।। 

 শৌনকজী বললেন, ব্রহ্মাবর্তে ম্লেচ্ছগণ কেন প্রাপ্ত হলেন না, তার কারণ বর্ণনা করুন। সুতজী বললেন, শোনো, সরস্বতী নদীর প্রভাবেই এই রকম হয়েছে।।১।।

উপাধ্যায়ো দীক্ষিতশ্চ পাঠকঃ শুক্লমিশ্রকৌ। অগ্নিহোত্রী দ্বিবেদী চ ত্রিবেদী পান্ত্য এব চ।। ৪।। চতুর্বেদীতি কথিতা নামতুল্যগুণা স্মৃতাঃ। তেষাং মধ্যে কাশ্যপশ্চ সর্বজ্ঞানমসন্বিতঃ।।৫।। কাশ্মীরে প্রাপ্তবান্সোহপি জগদম্বাং সরস্বতীম্। তুষ্টাব পূজনং কৃত্বা রক্তপুষ্পৈস্তথাক্ষতৈঃ।।৬।। ধূপৈদীপৈশ্চ নৈবেদ্যৈ পুষ্পাজ্ঞলিসমন্বিতঃ।।৭।। মাতঃ শংকরদয়ি তে ময়িতে করুণা কুতো নাস্তি। ভোহসি ত্বং জগদম্বা জগত কিংমাং বহির্ন যসি। ।৮।। দেবিত্বং সুরহেতোধর্মদ্রোহিণমাশু হংসি মাতঃ। উত্তমসংস্কৃত ভাষা ত্বং কুরু ম্লেচ্ছাংশ্চ মোহয়েঃশীঘ্রম্।।৯।।

ঐ স্থানে ম্লেচ্ছগণ পোঁছাতে পারেন নি, কারণ কাশ্যপ নামধারী কোনো এক দ্বিজ সেখানে কলিযুগের একসহস্র বর্ষ হওয়ার পরে সেখানে দেবতাদের আদেশে স্বর্গপ্রাপ্ত করেন। সেই দ্বিজপত্নীর নাম আর্যবতী। তিনি কাশ্যপের দ্বারা দশটি নিষ্পাপ পুত্র প্রাপ্ত হয়েছিলেন। এখন সেই দশপুত্রের নাম শ্রবণ করো। উপাধ্যায়, দীক্ষিত, পাঠক, শুক্ল, মিশ্র, অগ্নিহোত্রী, দ্বিবেদী এবং পান্ড্য।।২-৪।।

চতুর্বেদী নামক একপুত্র ছিল যিনি নামে তুল্য গুণ সম্পন্ন ছিলেন। এই সকল পুত্রগণের মধ্যে কাশ্যপের সকলগুণ বর্তমান ছিল।।৫।।

তিনি আবার কাশ্মীরে জগদম্বা সরস্বতীর রক্তপুষ্প এবং অক্ষত দ্বারা পূজন করে সন্তুষ্ট করেছিলেন। তথা ধূপ, দীপ, নৈবেদ্য দ্বারাও পূজন করেছিলেন।।৬-৭।।

কাশ্যপ বললেন, হে মাতা, হে শংকরপত্নী আমার উপর কি আপনার করুণা নেই? আপনি তো এই জগতের মাতা এই জগৎ থেকে কি আপনি আমাকে বাইরে রাখতে চান?।।৮।।

হে দেবী, হে মাতা, আপনি দেবতাদের হিত সম্পাদনের জন্য ধর্মের দ্রোহকারীদের হত্যা করেছেন। আপনি সর্বোত্তম সংস্কৃত ভাষা বিস্তারের জন্য এই ম্লেচ্ছগণকে শীঘ্র মোহিত করে দাও।।৯।।

অম্ব ত্বং বহুরূপা লুঙ্কারা দূম্রলোচনং হংসি। ভীমং দুর্গা দৈত্যং হত্বা জগতাং সুখং নয়সি।।১০।। দম্ভং মোহ ঘোরং গর্বং হত্বা সদা সুখং শেষে বোধয় মাতজগতো দুষ্টান্নষ্টকুরু ত্বং বৈ। তদা প্রসন্না সা দেবী ভো মুনেস্তস্য মানসে।।১১।। বাসং কৃত্বা দদৌ জ্ঞানং মিশ্রদেশে মুনির্গতঃ। সর্বানস্লেচ্ছান্নোহয়িত্বা কৃত্বাথ তান্দ্বিজন্মনঃ।।১২।। সংখ্যাদশসহস্রং চ নরবৃন্দং দ্বিজন্মনাম্। দ্বিসহস্রং স্মৃতা বৈশ্যা শেষা শূদ্রসুতাঃস্মৃতা।।১৩।। তৈঃ সার্দ্ধমার্যদেশে স সরস্বত্যা প্রসাদতঃ। অবসদ্ধৈ মুনি শ্রেষ্ঠা মুনিকার্যরত সদা।।১৪।। তেষামাৰ্যসমূহালাং দেব্যাশ্চ বরদানতঃ। বৃদ্ধিভবতি বহুলা চতুষ্কোটিনরা স্ত্রিয়ঃ।।১৫।।

হে অম্ব, আপনার অনেকরূপ। আপনি তো এক হুংকারে ধুম্রলোচন দৈত্যকে বধ করেছেন। দুর্গ দৈত্যকে হনন করে জগতের সুখ উৎপাদন করেছেন।।১০।।

দম্ভ, মোহ, লোভ, গর্বের হনন করে সদা সুখপূর্বক শয়ন করেন। হে মাতা জগৎকে জ্ঞানপ্রদান করুন এবং আপনি এই সকল দুষ্টকে বিনষ্ট করুন–এই প্রকারে স্তবন করলে সেই সময় দেবী পরম প্রসন্ন হয়ে তার মানসে বাস করে জ্ঞান প্রদান করেছিলেন। সেইমুণি মিশ্র দেশে চলে গিয়েছিলেন। সমস্ত ম্লেচ্ছগণকে মোহিত করে তাদেরকে দ্বিজন্মা করেছিলেন।১১-১২।।

দশসহস্র নরগণের মধ্যে দ্বিজ ছিলেন মাত্র দুই সহস্র শেষ ছিলেন বৈশ্য এবং শূদ্র সূত।।১৩।।

তাদের সংগে সেই আর্যদেশে তারা সরস্বতীর প্রসাদে বসবাস করছিলেন। তারা মুণিশ্রেষ্ঠ এবং মুণিদের কাজেই সদা রত ছিলেন।।১৪।।

তেষাং পুত্ৰাংশ্চ পোত্রাশ্চ তদ্ভপঃ কাশ্যপো মুনিঃ। বিংশোত্তরশতং বর্ষং তস্য রাজ্যং প্রকীতিতম্।।১৬।। রাজৎপুত্রাখ্যদেশে চ শূদ্রাশ্চাষ্ট সহস্ৰকাঃ। তেষাং ভূপশ্চার্য পৃথুস্তস্মাজ্জাতস্ম মাগধঃ।।১৭।। মাগধং নাম তৎপুত্রমভিষিচ্য যযৌ মুনিঃ। ইতি শ্রুত্বা ভৃগুশ্রেষ্ঠঃ শৌনকো হৰ্ষমাগতঃ।।১৮।। সূতং পৌরাণিকং নত্বা বিষ্ণুধ্যানপরোহভবৎ। পুনশ্চ শ্রুতিবর্ষান্তে বোধিতা মুনয়স্তথা।।১৯।। নিত্যনৈমিত্তিকং কৃত্বা পপ্রচ্ছুরিদমাদরাৎ। লোমহর্ষণ মে ব্রূহি কে রাজানশ্চ মাগধাৎ।।২০।। কলৌ রাজ্যং কৃতং যৈস্ত ব্যাসশিষ্য বদস্বনঃ। মাগধো মাগধে দেশে প্রাতবাক্নাশ্যপাত্মজঃ।।২১।।

সেই আর্য সমূহের মধ্যে দেবীর বরদানে অধিক বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হয়েছিল। পুরুষ ও স্ত্রী মিলিত ভাবে চার কোটি ছিল। সেই স্ত্রী পুরুষের পুত্র পৌত্রাদিও ছিল। এই সকল স্ত্রী পুরুষের রাজা ছিলেন কাশ্যপ মুণি। একশকুড়ি বর্ষ পর্যন্ত সেই কাশ্যপ মুণি রাজ্য শাসন করেছিলেন।।১৫-১৬।।

রাজ্যপুত্র নামক দেশের আট সহস্র শূদ্রের রাজা ছিলেন আর্যপৃথু। তাঁর পুত্র মাগধ রাজ্যের রাজা হন। একথা বলে মুণি প্রস্থান করলেন। একথা শ্রবণ করে ভৃগু শ্রেষ্ঠ শৌনক পরম হর্ষিত হলেন।

পুনরায় তিনি পৌরাণিক সূতজীকে প্রণাম করে বিষ্ণুর ধ্যানে মগ্ন হন এবং শ্রুতি বর্ষের অন্তে মুণিগণকে বোধিত করেছিলেন।।১৭-১৯।।

মুণিগণ তাদের নিত্য এবং নৈমিত্তিক কার্য সম্পাদন করে সৃতজীকে পরমাদরে বললেন, হে লোমহর্ষণ, মাগধের কোন্ রাজা কলিযুগে রাজৈত্ব করছিলেন। হে ব্যাসশিষ্য আপনি কৃপাপূর্বক সে কথা বলুন। শ্রীসূতজী বললেন, কাশ্যপ পুত্র মার্গধ দেশপ্রাপ্ত হয়েচিলেন। তিনি পিতার রাজ্য স্মরণ করে আর্যদেশেকে পৃথক করে দিয়েছিলেন।। ২০-২১।।

পিতৃরাজ্যং স্মৃতং তেন ত্বার্যদেশ পৃথস্কৃতঃ। পাঞ্চালাৎপূর্বতো দেশো মাগধঃ পরিকীর্তিতঃ।।২২।। আগ্নেয্যাং চ কলিঙ্গশ্চ তথাবস্তস্তু দক্ষিণে। আনতদেশো নৈঋত্যাং সিন্ধুদেশস্ত পশ্চিমে।।২৩।। বায়ব্যাং কেকয়ো দেশো মদ্রদেশস্তথোত্তরে। ঈশানে চৈব কোনিন্দশ্চার্যদেশশ্চ তৎকৃতঃ।।২৪।। দেশনাম্না তস্য সুতা মগধস্য মহাত্মনঃ। তেভ্যোংশানি প্রদত্তানি তৎপশ্চাৎক্রতুমুদ্বহন্।।২৫।। বলভদ্ৰস্তদা তুষ্টো যজ্ঞভাবেন ভাবিতঃ। শিশুনাগ ক্রতোজ্জাতো বলভদ্রামশসদ্ভবঃ।।২৬।। শতবর্ষং কৃতং রাজ্যং কাকবর্মা সুতোহভবৎ। তদ্ৰাজ্যং ন বতিবর্ষং ক্ষেমধর্মা ততোহভবৎ।।২৭।। অশীতিবর্ষং রাজ্যং তৎক্ষেত্রৌজাস্তৎ সুতোহভবৎ। দশহীনং কৃতং রাজ্যং বেদমিশ্রস্ততোহভবৎ।।২৮।।

পাঞ্চাল দেশের পূর্ব দেশ হল মাগধ দেশ। দক্ষিণ দিকে কলিঙ্গ দেও ও অবন্তী দেশ। নৈঋত কোণে আনৰ্ত্ত দেশ এবং পশ্চিম দিকে সিন্ধু দেশ। বায়ু কোণে কৈবায় দেশ ছিল তথা উত্তর দিকে ছিল ভদ্র দেশ। ঈশান কোণে ছিল কোণিন্দ দেশ এবং আর্য দেশ।।২২-২৪।।

সেই মহাত্মা মগধ দেশের নামপুত্র ছিলেন।। তার জন্য একটি অংশ দেওয়া হয়েছিল। এরপর তিনি ক্রতুকে উদ্বহন করেছিলেন।।২৫।।

দশহীনং কৃতং রাজ্যং ততোহজাতীরপুসসুতঃ। দশহীনং কৃতং রাজ্যং দর্ভকস্তনয়োহভবৎ।।২৯।। দশহীনং কৃতং রাজ্যমুদয়াশ্বস্ততোহভবৎ। দশহীনং কৃতং রাজ্যং নন্দবর্ধন এব তৎ।।৩০।। দশহীনং কৃতং রাজ্যং তস্মান্নন্দসুতোহভবৎ। পিতুস্তল্যং কৃতং রাজ্যং শূদ্রীগর্ভসমুদ্ভবঃ।।৩১।। নন্দাজ্জাত প্ৰনন্দশ্চ পিতুস্তল্যং কৃতং পদম্। তস্মাজ্জাতঃ পরানন্দ পিতুস্তল্যং কৃতং পদম্।।৩২।। তস্মাজ্জাতস্মমানন্দো বিংশোশদ্বষ কৃতং পদম্। তস্মাজ্জাতঃ প্রিয়ানন্দঃ পিতুস্তল্যং কৃতং পদম্।।৩৩।। দেবানন্দস্তস্য সুত পিতুস্তল্যং কৃতং পদম্। যজ্ঞভঙ্গ সুতরতস্মাৎপিতুরদ্ধং কৃতং পদম্।।৩৪।। মৌযনিন্দস্তস্য সুতঃ পিতুস্তল্যং কৃতং পদম্। মহানন্দস্ততো জাত পিতুস্তল্যং কৃতং পদম্।।৩৫।।

যজ্ঞের ভাবে পরম ভাবিত হয়ে ভগবান্ বলভদ্র সন্তুষ্ট হয়েছিলেন। ক্রতুর থেকে বলভদ্রের অংশ সম্ভূত শিশুনাগ উৎপন্ন হয়েছিলেন। তিনি একশ বৰ্ষ রাজত্ব করেছিলেন। তার পুত্র কাকবর্মা জন্মগ্রহণ করেন। তার রাজ্য কাল ছিল নব্বই বর্ষ। এরপর তার পুত্র ক্ষমবর্মা জন্মগ্রহণ করেন। তার রাজ্যকাল ছিল আশী বৎসর। তাঁর পুত্র ক্ষেত্রৌজা পিতার থেকে দশবর্ষ কম রাজত্ব করেন। তাঁর পুত্র বেদ মিত্রও পিতার থেকে দশ বর্ষ কম রাজত্ব করেন। রাজা বেদমিত্রের পুত্র অজাতীর পুত্রও পিতার থেকে দজহীন রাজত্ব করেন। তাঁর পুত্র উদয়াশ্ব দশহীন রাজত্ব করেন। তাঁর পুত্র নন্দ পিতার তুল্য রাজ্যপালন করেন। তিনি শূদ্রীগর্ভ সম্ভূত ছিলেন।।২৬-৩১।।

রাজা নন্দের থেকে প্রনন্দ জন্মলাভ করেন। তিনিও পিতৃতুল্য রাজ্য পালন করেন। তাঁর পুত্র পরমানন্দও পিতৃতুল্য পদলাভ করেন। তাঁর পুত্র সমানন্দ বিংশশবর্ষ কাজত্ব করেন। রাজা প্রিয়ানন্দ পিতৃতুল্য পদলাভ করেন। তাঁর আত্মজ রাজা যজ্ঞভঙ্গ পিতার রাজত্ব কালের অর্ধভাগ রাজত্ব করেন। রাজা মৌর্যানন্দ তাঁর পিতা যজ্ঞভঙ্গের ন্যায় রাজত্ব করেছিলেন। তাঁর পুত্র মহানন্দের রাজত্ব কালও একই ছিল।।৩২-৩৫।।

এতস্মিন্নেব কালে তু কলিনা সংস্কৃতো হরিঃ। কাশ্যপাদুদ্ভবো দেবো গৌতমো নাম বিশ্রুতঃ।।৩৬।। বৌদ্ধধর্মং চ সংস্কৃত্য পট্রণে প্রাপ্তবাহ্নরি। দশবর্ষং কৃতং রাজ্যং তস্মাচ্ছাক্যমুনি স্মৃতঃ।।৩৭।। বিংশদ্বষং কৃতং রাজ্যং তস্মাচ্ছৃদ্ভোদনোহভবৎ। ত্রিশদ্বর্ষং কৃতং রাজ্যং শাক্যসিংহস্ততোহভবৎ।।৩৮।। শতাদ্রৌ দ্বিসস্নেহব্দে ব্যতীতে সোহভকপ। কলেঃ প্রথম চরণে বেদমার্গো বিনাশিতঃ।।৩৯।। ষষ্টিবষং কৃতং রাজ্যং সর্ববৌদ্ধানরা স্মৃতাঃ। নরেষু বিষ্ণুপতিযথা রাজা তথা প্রজা।।৪০।। বিষ্ণোবোর্যানুসারেন জগদ্ধর্মঃ প্ৰবৰ্ত্ততে। তস্মিহ্নরৌ যে শরণং প্রাপ্তা মায়া পতৌ নরাঃ।।৪১।। অপি পাপসমাচারা মোক্ষবন্ত প্রকীর্তিতা শক্যসিমহাদ্বুদ্ধসিংহ পিতুরং কৃতং পদম্।।৪২।।

এই কালেই কলি ভগবান শ্রীহরিকে স্মরণ করেছিলেন। কাশ্যপের থেকে উৎপন্ন দেব গৌতম নামে প্রসিদ্ধ। তিনি বৌদ্ধধর্ম সংস্কার করে হরিপদ প্রাপ্ত হয়েছিলেন। তিনি দশবর্ষ রাজত্ব করেন এবং শাক্যমুণি তাঁর থেকে জন্ম লাভ করে। তিনি কুড়ি বৎসর রাজত্ব করেন। তাঁর থেকে শুদ্ধোধন জন্মলাভ করে। তিনিও ত্রিশ বৎসর রাজত্ব করেন। রাজা শাক্য সিংহ তাঁর থেেেক জন্মলাভ করেন। শতাদ্রিতে দুই সহস্র বৎসর ব্যতীত হলেও তিনি রাজা ছিলেন। কলির প্রথম চরণের বেদের মার্গ বিনষ্ট হয়ে গিয়েছিল।।৩৬-৩৯।।

এইভাবে সমস্ত বৌদ্ধ নৃপতি ষাট বৎসর রাজত্ব করেছিলেন এবং তারা নর নামে পরিচিত ছিল। নরগণের মধ্যে বিষ্ণুর তুল্য নৃপতি এবং তত্তুল্য প্রজাও ছিলেন।।৪০।।

বিষ্ণুবীর্য অনুসারে জগদ্ধর্ম প্রবৃত্ত হয়। সেই হরির যিনি স্মরণে যান, তিনি মোক্ষপ্রাপ্ত হন। রাজা শাক্য সিংহের থেকে বুদ্ধিসিংহ জন্মলাভ করেন। তিনি পিতার রাজত্বকালের অর্ধভাগ সময় রাজত্ব করেন।।৪১-৪২।।

চন্দ্রগুপ্তস্তস্য সুতঃ পৌরসাধিপত্তে সুতাম্।। সুলুবস্য তথোদ্বাহ্য যাবনীবৌদ্ধতৎপরঃ।। ৪৩।। ষষ্টিবর্ষং কৃতং রাজ্যং বিন্দুসাহস্ততোহভবৎ। পিতুস্তল্যং কৃতং রাজ্যমশোকস্তনয়োহভবৎ।।৪৪।। এতস্মিন্নেব কালে তু কান্যকুজো দ্বিজোত্তমঃ। অর্বুদং শিখরং প্রাপ্য ব্রহ্মহোমমথাকরোৎ।।৪৫।। বেদমন্ত্রপ্রভাবাচ্চ জাতাশ্চত্বারিক্ষত্রিয়া। প্রমর সামবেদী চ চপহানিযজুৰ্বিদ।।৪৬।। ত্রিবেদী চ তথা শুল্কোথবা স পরিহারকঃ। ঐরাবতকুলে জাতাগ্নজানারুহ্যতে পৃথক্।।৪৭।। অশোকং স্ববশ চক্র সর্বে বৌদ্ধা বিনাশিতাঃ। চতুর্লক্ষা স্মৃতা বৌদ্ধা দিব্যশস্ত্রৈ প্রহারিতাঃ।।৪৮।। অবন্তে প্রমরো ভূষশ্চতুর্যোজনবিস্থতাম। অম্বাবতীং নাম পুরীমধ্যাস্য সুখিতোহভবৎ।।৪৯।।

রাজা বুদ্ধি সিংহের পুত্র চন্দ্রগুপ্ত তিনি পৌরসাধিপতি সুলূবের পুত্রীকে বিবাহ করেন। যার ফলে যাবনী বৌদ্ধ তৎপর হয়েছিল। তিনি ষাট বৎসর রাজত্ব করেছিলেন। তাঁর বিন্দুসার নামক পুত্র জন্মলাভ করে। তিনি পিতৃতুল্য পদ লাভ করেন। তার থেকে সম্রাট অশোক উৎপন্ন হন। এই সময় কান্যকুঞ্জ দ্বিজশ্রেষ্ঠ অর্বুদ শিখরে গিয়ে ব্রহ্মহোম করেছিলেন।।৪৩-৪৫।।

বেদমন্ত্রের প্রভাবে চার ক্ষত্রিয় সমুদ্ভূত হয়েছিল। তারা হলেন–পমর, সামবেদী, চপহানি এবং যজুর্বেদ। এছাড়া ত্রিবেদী তথা শুক্ল অথবা, পরিহারক। এঁরা ঐরাবতের কুলে উৎপন্ন পৃথক গজেও আরোহণ করেছিলেন।।৪৬-৪৭।।

এরা অশোককে নিজবশে এনে সমস্ত বৌদ্ধকে দিব্যশাস্ত্রের দ্বারা প্রহারিত করা হয়েছিল।।৪৮।।

অবন্ত দেশে প্রমর ভূষছিলেন যিনি চার যোজন বিস্তৃত অম্বাবতী গৃহে মহা সুখে বাস করতেন।।৪৯।।

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *