রবীন্দ্র জয়ন্তী পালন
এবার কলকাতা কেন সর্বত্রই অসম্ভব গরম পড়েছে। অন্যবার এই সময় মাঝে মাঝে কালবৈশাখীর ঝড়, বজ্রবিদ্যুত সহ মেঘের দেখা মেলে। তার সঙ্গে বৃষ্টিও হয়। কিন্তু এ বছর বৃষ্টির নামগন্ধও নেই। প্রচন্ড দাবদাহে গ্রামের মাঠঘাট ফুটিফাটা হয়ে গেছে। চাষীরা বীজ রোপণ না করতে পেরে হাহুতাশ করছে। নদী নালা খাল বিলের জল শুকিয়ে গেছে। রাস্তার কুকুরগুলো গরমে হাঁসফাঁস করে একটু ঠান্ডা জায়গা খোঁজার চেষ্টা চালাচ্ছে। খাঁ খাঁ রোদ্দুরে কাক, শালিকেরা জল খুঁজে বেড়াচ্ছে। গাছগাছালি রোদের তাপে বিবর্ণ হলদে রঙ ধারণ করেছে। দুপুরে কলকাতাতেও ‘লু’ বইছে। অসহনীয় তাপে ছাত্রছাত্রী বৃদ্ধবৃদ্ধাদের প্রাণ ওষ্ঠাগত। প্রায় প্রতিদিনই খবরের কাগজে রাস্তাঘাটে, ভিড়ের চাপে ট্রেনে বাসে কারো না কারোর মৃত্যুসংবাদ ছাপা হচ্ছে। তাই সরকার থেকে গরমের ছুটি আরও ১০ দিন বাড়িয়ে দিয়েছে। সরকারের নির্দেশ মেনে সরকারী স্কুলগুলিতে ছুটি বাড়িয়ে দেওয়া হলেও বেশীর ভাগ বেসরকারী ইংরেজী মাধ্যম স্কুল সেই নিয়ম মানেনি। অবশ্য ঋভুরিচাদের স্কুলে বৃহস্পতি, শুক্র দুদিন ছুটির নোটিশ জারি করেছে। শনি, রবিবার এমনিতেই ছুটি থাকে। তাই ওদের পরপর চারদিন ছুটি। তাদের মা অহনা ওদের সকাল সকাল স্নান করিয়ে দিয়ে খাইয়ে দোতলার ঘরে এ.সি. চালিয়ে অ্যাবাকাস, ড্রইং আর অংক কষতে বসিয়ে দিয়ে গেছে। খানিকক্ষণ পড়াশোনা করার পর ঋভু রিচাকে বলল, “যা তো দেখে আয় আম্মান্ কী করছেন”? রিচা গিয়ে দেখল আম্মান্ ইজিচেয়ারে বসে শ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত পড়ায় মগ্ন। খানিকক্ষণ উস্খুস্ করতে করতে রিচা বলেই ফেলল, “কীগো, আম্মু, তুমি কী এখন পড়বে”? চশমাটা চোখ থেকে খুলে আম্মান বললেন, “কেন ভাই”? “আর পড়তে ভালো লাগছে না। আমাদের কাছে একটু বসবে চলনা”। সরলা দেবী বুঝলেন গল্পের পোকা বাচ্চাদুটো এখন গল্প শুনতে উদ্গ্রীব হয়ে পড়েছে। বললেন, “যাও, পানজর্দাটা মুখে দিয়ে আসছি। আনন্দে লাফাতে লাফাতে রিচা ওদের ঘরে চলে এল। কিছুক্ষণের মধ্যেই সরলাদেবী ঋভুদের ঘরে এসে খাটে বসলেন। নাতি নাতনি দুজনেই তাদের বইখাতা সরিয়ে রেখে আম্মানের পাশে গা ঘেঁষে বসল। বলে উঠল, “তোমরা ছোটবেলায় তোমাদের স্কুলে স্বাধীনতা দিবস, শিক্ষক দিবস, রবীন্দ্রজয়ন্তী কেমন করে পালন করতে বলবে বলেছিলে আজ বলনা গো”।
স্মৃতির উড়ান বেয়ে সরলাদেবী ফিরে গেলেন তাঁর ছোটবেলায়। বলতে শুরু করলেন, “আমি যখন স্কুলে যেতে শুরু করি তখন দেশ সদ্য স্বাধীন হয়েছে। দুশো বছরের পরাধীনতার গ্লানি মুছে স্বাধীন ভারতে তখন চরম উদ্দীপনা। আচ্ছা তোমরা কী জান দেশ কবে স্বাধীন হয়েছিল”? রিচা চট্পট্ জবাব দিল “পনেরো ই আগস্ট”।
ঋভু বলল, “এমা, তুই সালটা বললি না। ওটা হবে ১৯৪৭ সালের ১৫ই আগস্ট। সরলাদেবী বললেন, “তোমরা কী জান বহু শহীদের আত্মদানের পুরস্কার স্বরূপ পাওয়া স্বাধীনতা দিবস প্রথমে ২৬শে জানুয়ারী পালন করা হত? ঐদিন ইংরেজ শাসকদের হাত থেকে দেশকে মুক্ত করার শপথ নেওয়া হয়। ইংরেজরা দেশ ছেড়ে চলে যাবার পর ১৫ই আগস্ট স্বাধীনতা দিবস হিসাবে আর ২৬শে জানুয়ারী দিনটিকে রিপাবলিক ডে হিসাবে” – মুখের কথা শেষ না হতে হতে ঋভু বলে উঠল। ঠিকই বলেছ ২৬শে জানুয়ারী দিনটিকে আমরা প্রজাতন্ত্র দিবস হিসাবে পালন করি। আমাদের ছোটবেলায় আমরা দুটো দিনকেই যথাযোগ্য মর্যাদা সহকারে পালন করতাম। সেদিন প্রতিটা বাড়িতে তেরঙা পতাকা টাঙানো হত। রাস্তাঘাট তেরঙা পতাকায় মুড়ে ফেলা হত। আমরা ভোর ভোর উঠে ফুল তুলে এনে মালা গাঁথতাম। ছাত্রছাত্রীদের আনা সেই মালা সব শহীদের গলায় পরানো হত। সুন্দর করে শহীদবেদী সাজানো হত। প্রধান শিক্ষকমহাশয় জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে উৎসবের সূচনা করতেন। মেয়েরা লাল বেল্ট দেওয়া সাদা ফ্রক আর ছেলেরা সাদা শার্ট প্যান্ট পরে প্রভাতফেরিতে যেতাম। ‘বন্দেমাতরম’, ‘জনগনমন’ আরও কী সব গান (এখন ঠিক মনে পড়ছে না) গাইতে গাইতে আমরা সারা শহর প্রদক্ষিণ করতাম। তারপর স্কুল প্রাঙ্গনে ফিরে এসে নীরবে সারিবদ্ধ হয়ে দাঁড়াতাম। সেখানকার গণ্যমান্য মানুষ যাঁরা এই আন্দোলনের সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে যুক্ত ছিলেন তাঁরা সেই সব উত্তেজনাপূর্ণ দিনগুলো সম্বন্ধে আমাদের বলতেন। সবশেষে এই আনন্দোৎসব উপলক্ষে আমাদের হাতে কমলালেবু আর মিষ্টির প্যাকেট দেওয়া হত। বাবার উপদেশমত আমরা বাড়ি ফিরে এসে সবাই মিলেমিশে ভাগ করে খেতাম”।
“তোমাদের ছোটবেলায় সবকিছুতেই বেশ আনন্দ ছিল। আর এখন আমাদের স্কুল তো স্বাধীনতা দিবসে ছুটি থাকে আর রিপাবলিক ডে উপলক্ষে স্কুলে ফাংশান হবার পর আমাদের হাতে দুটো করে বিস্কুট কিংবা লজেন্স ধরিয়ে দেওয়া হয়। তাই সকালে সাধের ঘুম ছেড়ে আমরা বেশিরভাগ ছাত্রছাত্রী সেদিন স্কুলে যাই না”। রিচা, ঋভু দুই ভাইবোনেই বলে উঠল।
“আসলে কী বলতো? আজ থেকে ৭০ বছর আগে যাঁরা আন্দোলনের সাক্ষী ছিলেন তাঁদের বেশীর ভাগ মানুষই পৃথিবী ছেড়ে অন্যলোকে চলে গেছেন আর যাঁরা বেঁচে আছেন তাঁরাও বয়সের ভারে নুয়ে পড়েছেন। তাই এখনকার ছেলেমেয়েরা স্বাধীনতার মর্ম তেমন বুঝতে পারে না। যেটুকু পালন করা হয় তা প্রচলিত নিয়ম অনুসারে, তাতে প্রাণের আবেগ কম থাকে।
“কিন্তু আম্মান্ তুমি তো বললে না শহীদ কাদের বলা হত”? ঋভুর প্রশ্ন। আম্মা বললেন, যে সব বীরপুরুষ এমনকী বীরাঙ্গনা নারীরাও দেশ মাতৃকার শৃঙ্খল মোচন করার জন্য ইংরেজ শাসকদের বুলেটের সামনে নিজেদের বুক পেতে দিয়ে মৃত্যুবরণ করেছিলেন তারাই শহীদ। শত শত শহীদের মধ্যে ক্ষুদিরাম বসু, বিনয়, বাদল, দীনেশ, ভগৎ সিং, প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার, মাতঙ্গিনী হাজরার নাম স্মরণীয়”।
“তোমাদের স্কুলে রবীন্দ্রজয়ন্তী কেমন করে পালন করা হত? বলবে প্লিজ”।
“না ভাই, বেলা হয়ে গেছে। খেতে চলে যাও না হলে মা রাগারাগি করবে। আমি কাল সময় সুযোগমত তোমাদের শোনাবো”।
পরদিন যথারীতি পড়াশোনা শেষ করে দু’ভাইবোন আম্মানের ঘরে গিয়ে গল্প শোনার আবদার জানাল। বেশ জুত করে খাটের উপরে বসে পান চিবোতে চিবোতে সরলাদেবী বলতে শুরু করলেন-
“কবিগুরু রবীন্দ্রনাথের জন্ম হয়েছিল জোড়াসাঁকোর বিখ্যাত ঠাকুর পরিবারে ১৮৬১ সালের ৭ই মে। সেদিন ছিল পঁচিশে বৈশাখ। আমরা সাধারণতঃ ইংরাজী তারিখটাকেই জন্মদিন হিসাবে প্রাধান্য দিই। কিন্তু রবিকবির জন্মদিন পঁচিশে বৈশাখ পালন করা হয়”।
“আম্মান্ তুমি তো ঠিক খেয়াল করেছ। এবারই তো ৯ই মে ছিল পঁচিশে বৈশাখ। আমরা তো ৭ তারিখ নয় ৯ তারিখেই কবির জন্মদিন পালন করেছি”।
“আমার জন্মের ঠিক ৬ বছর আগে ১৯৪১ সালের ৭ই আগস্ট কবিগুরুর মহাপ্রয়াণ ঘটে। একাশি বছরের সুদীর্ঘ জীবনে তিনি অসংখ্য কবিতা, গল্প, নাটক, উপন্যাস, গান, প্রবন্ধ রচনা করেছেন। ‘গীতাঞ্জলি’ কাব্য ইংরাজীতে অনুবাদ করে ১৯১৩ সালে তিনি নোবেল পুরস্কার পান। তাই তাঁকে ঘিরে দেশবাসীর মাতামাতির শেষ নেই। আমি আর আমার ভাই যখন তৃতীয় শ্রেণীতে পড়ি তখনই প্রথম এই উৎসবের শরিক হই। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্নেহধন্যা রাণু মুখার্জ্জী আমাদের স্কুলে প্রধান অতিথি হয়ে উপস্থিত ছিলেন। রবিকবির সংস্পর্শে এসে তাঁর অনুভূতির ছোট ছোট ঘটনা আমাদের সামনে তুলে ধরেছিলেন। বাবার কাছ থেকে আমরা কবির অনেক কবিতা শুনে শুনে মুখস্ত করেছিলাম। তখনই বাবা কবির জীবনের অনেক ঘটনার কথা আমাদের শুনিয়েছিলেন। এখন প্রধান অতিথির মুখে কবিগুরুর আরও অনেক অজানা ঘটনার কথা শুনে আমরা খুব উপভোগ করেছিলাম। অনুষ্ঠানে আমার ভাই ‘বীরপুরুষ’ আর আমি ‘ছুটি’ কবিতাটি আবৃত্তি করেছিলাম। ভাইয়ের মুখে ‘বীরপুরুষ’ কবিতাটি শুনে মুগ্ধ হয়ে লেডি রাণু মুখার্জ্জী আদর করে গাল টিপে দিয়েছিলেন। রবীন্দ্রনাথের ‘ডাকঘর’ নাটকটি মঞ্চস্থ হয়। তাতে অমল হয়েছিল আমার ভাই। ওর অভিনয় বেশ প্রশংসিত হয়। বিভিন্ন জ্ঞানীগুণী মানুষ রবিঠাকুরের লেখার বিভিন্ন দিক নিয়ে আমাদের বোধগম্য ভাষায় আলোচনা করেছিলেন। দশম শ্রেণী পর্যন্ত প্রতিবারই স্কুলে রবীন্দ্রজয়ন্তী উৎসবে অংশগ্রহণ করেছি। পাড়ায়, বেপাড়ায় বিভিন্ন জায়গায় আবৃত্তি প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে পুরস্কারও পেয়েছি”।
“তাই বুঝি এখনও বাড়িতে রবীন্দ্রজয়ন্তী পালনের জন্য মাসী, পিসী, মাম্মামকে উৎসাহ দাও”? ঋভু বলল।
রিচা বলে উঠল, “শুধু কী ওদের অংশগ্রহণ করতে বলেন? নিজে তো এখনও আবৃত্তি করেন। আমাদের সব দিদি, ভাইবোনকে নাচ, গান আবৃত্তিতে অংশ নিতে বাধ্য করেন। তাই না দাদা”?
“হ্যাঁ ঠিক বলেছিস”।
“আচ্ছা আম্মান্ তোমাদের স্কুলে ‘শিক্ষক দিবস’ কীভাবে পালন করা হত বলবে বলেছিলে এখনই বল না গো”।
“দাঁড়াও ভাই, তোমাদের সঙ্গে বকে বকে গলাটা শুকিয়ে গেছে। জল খেয়ে, পান জর্দা মুখে দিয়ে তারপর বলছি। এই সুযোগে তোমরা বাথরুম সেরে জল খেয়ে এস”।
সবাই প্রস্তুত হয়ে বসলে সরলা দেবী যেন না জানার ভান করে বললেন, আচ্ছা, বলতো দেখি শিক্ষক দিবস কবে আর কার জন্মদিনকে কেন্দ্র করে পালন করা হয়”?
রিচা বলল, “৫ই সেপ্টেম্বর। কিন্তু কার জন্মদিনকে উপলক্ষ করে পালন করা হয় তা তো জানিনা”। ঋভুও মাথা চুলকোতে চুলকোতে অপ্রতিভ ভাবে জানাল সে নামটা শুনেছিল বটে তবে এই মুহুর্তে মনে করতে পারছে না।
ভারতের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ডঃ সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণনের জন্মদিনকে ভারতে জাতীয় শিক্ষক দিবস হিসাবে পালন করা হয়। তিনি ছিলেন দার্শনিক এবং আদর্শ শিক্ষক। এই মহাজ্ঞানী মানুষটি ১৮৮৮ সালের ৫ই সেপ্টেম্বর চেন্নাই শহরের তিরুতানি নামে গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। দেশের মানুষ তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে তাঁর জন্মদিনটিকে শিক্ষক দিবস হিসাবে ঘোষণা করে। প্রতি বছর সমারোহে দিনটিকে পালন করা হয়। ভারতের রাষ্ট্রপতি কৃতী শিক্ষক শিক্ষিকাদের হাতে পুরস্কার ও মানপত্র তুলে দেন। স্কুল, কলেজগুলিতেও এই দিনটি শ্রদ্ধার সঙ্গে পালন করা হয়ে থাকে। ছাত্রছাত্রীরা শিক্ষকদের হাতে পেন, ফুলের তোড়া, মিষ্টির প্যাকেট তুলে দেয়। ছোটখাটো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শিক্ষক শিক্ষিকাদের মনে আনন্দ দেবার চেষ্টা করে।
“তোমরা ছোটবেলায় শিক্ষক দিবসটা কেমন ভাবে পালন করতে?”
“আমি যখন খুব ছোট তখনও শিক্ষক দিবস দিনটি প্রচলিত ছিল না। আমি যখন নবম শ্রেণীর ছাত্রী (১৯৬২ সালে) তখন আমাদের বড়দি এই দিনটির গুরুত্ব জানিয়ে দিনটি পালন করতে বলেন। যতদূর মনে পড়ছে আমি বাড়ি থেকে মায়ের হাতে তৈরি খুব সুন্দর কাজ করা একটা টেবিলক্লথ নিয়ে গিয়েছিলাম। ভারতী একজোড়া ফুলদানি, পারুল রাধাকৃষ্ণণের একটা বাঁধানো ছবি আর ধূপের প্যাকেট নিয়ে এসেছিল। ক্লাসরুমটাকে সাফসুতরো করে টেবিলে টেবিল ক্লথ পেতে, রাধাকৃষ্ণণের সামনে ফুলদানি দুটোকে ফুলের তোড়া দিয়ে সাজিয়ে ছিলাম। দিদিদের হাতে আমাদের সাধ্যমত উপহার তুলে দেবার পর, নাচ, গান, আবৃত্তির মাধ্যমে বিনোদনের চেষ্টা করেছিলাম। বড়দি এবং অন্যান্য শিক্ষিকারা রাধাকৃষ্ণণ সম্পর্কে অনেক কথা বলেছিলেন”।
“আমরাও হাইস্কুলে ভর্ত্তি হয়ে শিক্ষক দিবস পালন করব- তাই না আম্মা”?
“হ্যাঁ, অবশ্যই। আর মনে রাখবে শিক্ষকরাই মানুষ গড়ার প্রকৃত কারিগর। তাঁদের আদর্শের উপর ভিত্তি করে সমাজ গড়ে ওঠে। পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও ভালবাসা না থাকলে প্রকৃত মানুষ হওয়া যায় না। তাই শিক্ষক শিক্ষিকাদের প্রতি শ্রদ্ধা ভক্তি রাখবে।