আমিতো প্রেমিক নই, তবু, ক্যানো এ বসন্ত আমাকে পাগল করে!
ছায়া-ছায়া অন্ধকার সকালে নিসর্গ বাহু, মেলে
নিমেষে উধাও হয় আদিম শোভা
উজ্জ্বল প্রেমের মতো সমস্ত রঙীন দৃশ্যাবলী হঠাৎ দাঁড়ায় এসে
আমার সামনে!
এখন রাত্রিদিন বাতাস খেলা করে নিরিবিলি
নদীতে পালতোলা নৌকায় সর্বত্র অন্তরঙ্গ নর্তকীর মতোন গাছেরর
সবুজ পাতা
পায়ে পায়ে ছড়ার আশীর্বাদ মাঠে প্রান্তরে
ফাল্গুন আকাশের চাঁদ জলের নিকানো আঙিনায় পাতে নিবিড় সংসার
নিঃসঙ্গ গাছের ছায়া এলিয়ে সমস্ত শরীর শুয়ে থাকে একাকী;
এবং আমার তরুণ আঙুল
সরোদের আচ্ছন্ন হৃদয় ঘেঁষে যায়; কেঁপে ওঠে পুরোনো শহর
বস্তী গ্রাম
ঝেড়ে ফেলে নিজস্ব পোশাক মাটিতে ঘাসের ছিন্ন মেঝেয়
আমিতো প্রেমিক নই, তবু, ক্যানো আমার চোখোর নন্দন-কানন
মারবেলের বেঞ্চ, পাতা ঝরা, ফুল ফোটার অলৌকিক শব্দ?—কিছুরই
বুঝিনা—বুঝিনা হায় বিশেষত এবয়সে!
তবুও এখন আমার সর্বাঙ্গে বসন্তের জোৎসনা মাখা রমণীয় সন্ধ্যাগুলো
লেপটে আছে প্রত্যহ!
১৪/৫/৭০