রাগে আমার সর্বাঙ্গ জ্বলে নরকের আগুনের মতো
অথচ স্ত্রী আমার ভয় করে না বরং হেসেই কুটি কুটি
রাগে আমার শরীর কাঁপে কাঁপে পৃথিবী : ইচ্ছে হয় যতো
খুশী শাসিয়ে পাঠাঁই অনন্ত; চুলের ঝুটি
ধোরে। রাগে আমার কান্না আসে। চোখে দেখি শর্ষের ফুল—
যেন পা মাটিতেই চায়না পড়তে; মাথার সমস্ত চুল
যদি শূন্যেও ছুঁড়ে মারি; তবু আমার পড়েনা বিষণ্ণ
রাগ। সংসারে ছড়িয়ে বিষাদ কোন ফলই হয়না কখনো—
সে যতই দেইনা কেন মহাজনের প্রচন্ড হাঁক; জানি আদিকাল থেকে
যখনি মিছিলে সংগ্রামের ঢেউ; ঠিক তখনি আমি আদিগন্ত
সবুজ মাঠে লাউডস্পিকারে ফাটিয়ে গল ফিরেছি ঘরে;–সময় মতো!
রাগে আমার দাঁত কাঁপে; তব কাউকে পাইন ডেকে
স্ত্রী আমার শাড়ির আঁচলে মুখ রাখে। বোঝাই কতো
তবু বোঝেনা। অবশেষে দেখাই রাগ আসবাবপত্রে বাসন কোসনে
আমাকে দেখে কেউই ভয় করে না; শুধু বিড়ালগুলো পালায় গৃহকোণে।
৬/৬/৬৯