আমার জিগরি দোস্ত ফ্যাটুল চিঠিপাধ্যায়

দোষ-নির্দোষের মাঝে আটক আমার জিগরি দোস্ত ফ্যাটুল চিঠিপাধ্যায়
ওর হাঙর-হাসি মুখ ভেঙচে বাছুরের চামড়ায় বাঁধানো ভাগবতে
হাত রেখে শপথ করেছিল যে, ফাঁকা চেয়ারগুলোয় যে-অদৃশ্য লোকেরা
বসে থাকে তাদের বলবে: “সময় ব্যাটাই বন্ধু সেজে ভয় দেখায়”

কাঠঠোকরার বাসার ফুটোয় ঝড়ের ঢঙে ঠোঁট রেখে বাঁশি বাজাচ্ছিল ফ্যাটুল
বেচারার বগলে ঘামের কাতুকুতু ছাড়া জীবনে আর কোনো আহ্লাদ ছিল না

ভালোবাসার লোকজন একে-একে হাপিশ হবার পর নিয়তির তাড়া খেয়ে
ইতিহাসেই আছে উত্তরণ জেনে বাদুড়রা যখন ওর মাথা ঘিরে ঠা-ঠা হাসছে
নিজের কুকুরকানে শুনল: “সময়ের মতন মান-হানিকর বজ্জাত আর নেই”
যে-লোকই পাশে শুয়ে শ্বাস নিয়েছে সে-দেখি অসৎবাজ বেরিয়েছে

গ্রন্থকীটের পরাগমাখা রুপোলি আঙুল বুলিয়ে ভেবেছে শব্দই স্রেফ সার্বভৌম
বাদবাকি লোকেরা কান্না ফুরোবার অপেক্ষায় শবখাটের বাহক
বাচারা জানত না ‘অর্কিড’ শব্দটা গ্রিক অর্কিস মানে অণ্ডকোষ থেকে এসচে
তাই জগৎটাকে চিরকাল দেখেছে ছাড়ানো নারকোলের মরচে-পড়া চোখ মেলে

মুম্বাই ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০০০

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *