অভিমানী সুরের কবি অকারণে অকরুণ হয়ে ওঠে মনে মনে। তার কেবলই মনে হয়, হৃদয়ের এই জলাভূমিতে নিশীথ-রাতে যে আলো দেখা যায় তা আলো নয়–আলেয়া। এই প্রেম-তীর্থে সে তাই বসে থাকে উদাসীন সন্ন্যাসীর মতো। অর্ঘ্য নিয়ে আসে যদি কোনো নিবেদিতা – তাকে সে দেয় ফিরিয়ে। সে যেন বলতে চায়–
(গান)
আমায় নহে গো, ভালোবাসো মোর গান। গানের পাখিরে কে চিনে রাখে গান হলে অবসান॥ চাঁদেরে কে চায়, জোছনা সবাই যাচে, গীত শেষে বীণা পড়ে থাকে পা-র কাছে তুমি বুঝিবে না, আলো দিতে কত পোড়ে প্রদীপের প্রাণ॥ যে কাঁটা-লতার আঁখিজল হায় ফুল হয়ে ফুটে ওঠে ফুল ছিঁড়ে তারে দিয়েছ কি কিছু শূন্য পত্রপুটে? সবাই তৃষ্ণা মিটায় নদীর জলে, কী তৃষ্ণা জাগে সে নদীর হিয়া-তলে বেদনায় মহা সাগরের কাছে করো তার সন্ধান॥