আমাদের সফলতা, মৃত্যু

আবার চিৎকার শোনা গেল, শূন্যমার্গে চাঁদ হাওয়ার রাত হাসপাতালের
করিডোর   নার্স    স্যালাইন    ছুরি
–তার মধ্যে আমি
উৎকন্ঠায় ইতঃস্তত ঘুরছি
তীক্ষ্ম আলোর ফোয়ারাগুলো আমার চোখের সামনে মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধের
অবসানের মতো স্বপ্ন হয়ে দুলছিল

ব্যথা    অস্থির স্ত্রী    নতুন সময়ের কোলাহল    পৃথিবীর উন্মত্ততা
সন্তানের জন্ম—অর্থাৎ,
প্রবল আনন্দ ঘিরে ধরল আমাকে
—ভোর পাঁচটায়

আমি বিশাল আকাংক্ষা নিয়ে ক্লান্তি    কপালের ঘাম
সব মুছে ফেললাম—
ছিঁড়ে গেছে ঘুম,    মসজিদের মিনার থেকে মুয়াজ্জিনের গাঢ় বেদনার
মতে সঙ্গীত সমস্ত নিস্তব্ধতার ছুটি দিল—
রক্তের ভেতর থেকে, দ্বৈত প্রশ্রয়ে যাহার জন্ম হলো আজি—
নিবিড় পিপাসার মতো ঘ্রাণ এসে
নাকের উপর রয়ে গেল

তারপর;–তারপর
সন্দেহ   চিন্তা   ঘন অন্ধকার,    সভ্যতরে বিপুল গ্রন্থিতে দেখলাম
সমস্ত আয়োজন স্বপ্ন ও প্রতীক্ষা     সাধনা ও সৌরভ
করতলে এক বিষাদের দীঘ ছায়া ঘিরিতেছে তখন।
কান্নায় বুক ভেঙে আসে, নবজাতকের ওষুধ খাদ্য সব বাজার থেকে উধাও
আমাদের রক্তের সফলতা   প্রশ্রয়   আনন্দ ও প্রার্থনার সাথে
একটি জন্ম-মৃত্যুর ঘন্টাধ্বনি শোনা গেল!

এখন পৃথিবীর সব নগর বন্দরে এক বিমৰ্ষ আঁধার এসে বাঁধিতেছে ঘর
হায় বাঁধিতেছে ঘর!

১৮/১০/৭৪

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *