আবার নতুন করে পৃথিবীরে বানাবার অধিকার আমাদের নেই
আমাদের ইচ্ছা আছে, প্রশ্ন—মনন রয়েছে
কিন্তু সব—সবই—তৈলহীন সলতের মতো
বার বার ডাক আসে রাজপথে নেমে শবের বাহক হতে
কত শব দগ্ধ করা গেল—
তারপর এই নীতি পাওয়া যায় ভাবনার গভীর নির্জনে।
বিহঙ্গের নীড় আছে—শেয়ালের গর্ত আছে অরণ্যের অন্তরালে
আমাদের যাত্রা—যাত্রা ছাড়া আর কিছু নাই
নব নব শিশুর ভূমিষ্ঠ উষা—নির্জন ধাঁধার মত ভেসে আসে
নভোনীলিমার থেকে
শৈবাল মলিন বিরাট দেয়াল সব ঢেকে ফেলে গভীর দক্ষিণ দিকে চলে গেছে—
মাইলের পর মাইল পিরামিডদের মতো যৌনতায়
কোনো ধূমাগন্ধ রৌরবের দিকে—সূর্যপক্ক অলকার পানে?
তবু আমাদের কোনো সংবেদন নাই—দ্বিপদের ব্যবহার আছে শুধু
যতদূর পথ চলে যায়
বিষুবরেখার অনন্ত রৌদ্রের প্রান্তে
আর সেই গরীয়ান অন্ধকার সূর্যের উদিত তৃণীরে
যতদূর যাই সে দেশ কোথাও নাই যেইখানে শববাহকের ভিড়ে
কয়েকটি আরো বাহকের দরকার নেই
তারা টের পায়—বর্তালো কেমন ক’রে—তবু তারা টের পায়
সব বিদেশির কাছে আমাদের এই এক পরিচয়:
ইহাদের মনন হৃদয় অবিরাম শববাহনের তরে
এরা ক্লান্তিহীন—অবিরাম শববাহনের তরে।