আজব লড়াই

আজব লড়াই

হঠাৎ ঘুম থেকে জেগে উঠে রণজয় দেখল, তার হাত দুটো যেন কী দিয়ে বাঁধা। অথচ দড়ি বা শিকল—টিকল কিচ্ছু নেই। হাত দুটো ছড়াতে গিয়েই সে যন্ত্রণায় চিৎকার করে উঠল। যেন দুটো ব্লেড তার হাতের চামড়া কেটে দিচ্ছে।

তার পা দুটোরও সেই অবস্থা। সে পা ফাঁক করতে পারছে না, কিন্তু কী দিয়ে যে পা বাঁধা তাও বোঝা যাচ্ছে না। রণজয় এদিক ওদিক তাকিয়ে দেখল, তার পাশে গুটুলি নেই, কেউ নেই। বড় মস্ত একটা শিমুল গাছের তলায় সে আগে যেমন শুয়ে ছিল, সেই রকম ভাবেই শুয়ে আছে।

অতিকষ্টে সে উঠে বসল। হাত দুটোকে মুখের কাছে এনে সে দেখল, একটা চুলের মতন সরু কোনো সুতো দিয়ে তার কব্জিদুটো বাঁধা হয়েছে, কিন্তু চুল নয়; সেই সুতোটার রং নীল, তাই তার চামড়ার মধ্যে একেবারে মিশে গেছে। রণজয় আর একবার একটু টানবার চেষ্টা করেই বুঝল, সেই সুতো ছেঁড়ার সাধ্য তার নেই। টানতে গেলেই তার হাতের চামড়া কেটে যাচ্ছে।

রণজয় যেই বুঝতে পারল যে সে বন্দী, অমনি তার সারা গায়ে ঘাম এসে গেল। সাধারণ কোনো মানুষ তাকে বন্দী করতে পারে না, মোটা মোটা লোহার শিকলও রণজয় এক হ্যাঁচড়া টানে ছিঁড়ে ফেলেছে এর আগে। কিন্তু সে এই সরু সুতো ছিঁড়তে পারছে না? এত সরু আর এত শক্ত সুতো কি পৃথিবীতে পাওয়া যায়?

উঠে দাঁড়াবারও ক্ষমতা নেই। রণজয় চিৎকার করে ডাকল, গুটুলি! গুটুলি!

কেউ সাড়া দিল না।

গুটুলি রণজয়ের প্রিয় বন্ধু, সে কখনও রণজয়কে ছেড়ে অন্য কোথাও চলে যাবে না। নিশ্চয়ই তাকেও কেউ বন্দী করে নিয়ে গেছে।

রণজয়ের দারুণ খিদে পেয়ে গেছে। ঘুম থেকে উঠলেই তার খিদে পায়। আর বাচ্চা বয়েসের মতন, বেশি খিদে পেলেই তার কান্না এসে যায়, যদিও তার চেহারাটা এখন রূপকথার দৈত্যের মতন।

হঠাৎ পাতার ওপর খসখস শব্দ হতেই রণজয় ঘাড় ঘুরিয়ে তাকাল। দু’জন মানুষ সমান তালে পা ফেলে হেঁটে আসছে জঙ্গলের মধ্য দিয়ে। তারা দুজনে চ্যাংদোলা করে ধরে আছে একটা হরিণকে। হারিণটা বেঁচে আছে, ছটফট করছে। ওরকম একটা জ্যান্ত হরিণকে ধরে রাখা সহজ নয়, কিন্তু লোক দুটো যেন হরিণটার ছটফটানি গ্রাহ্যই করছে না।

লোক দুটির গায়ের রং নীল!

রণজয়ের সব রোম খাড়া হয়ে গেল। এদের সে চিনতে পেরেছে। এরা সপ্তম গ্রহ—বলয়ের প্রাণী, এরা একবার রণজয়কে ধরে নিয়ে গিয়েছিল। এরা আবার ফিরে এসেছে।

লোক দুটি রণজয়ের কাছে এল না, তার পেছন দিকে জঙ্গলের আড়ালে চলে গেল। একটু পরে সে দেখতে পেল একটি লোককে, তার এক হাতে একটা জ্যান্ত খরখোশ, অন্য হাতে একটা টিয়া পাখি। আশ্চর্য ব্যাপার, এরা জ্যান্ত হরিণ, খরগোশ, টিয়া পাখি ধরছে কী করে?

এই লোকটি রণজয়ের সামনে এসে দাঁড়াল। এর মাথায় একটাও চুল নেই, মুখে দাড়ি—গোঁফ নেই। ভুরু নেই, চোখের পল্লবও নেই। সে কিড়মিড় করে কী যেন বলল।

রণজয় ওদের গ্রহ একবার ঘুরে এলেও ওদের ভাষা বোঝে না। ওদের দু’একজনের কাছে একটা যন্ত্র থাকে, সেটা হাতে নিলে মনে মনে কথা বললেও বোঝা যায়।

লোকটার ভাবভঙ্গি দেখে অবশ্য বোঝা গেল, সে রণজয়কে তার সঙ্গে যেতে বলছে। কিন্তু রণজয় তো উঠে দাঁড়াতেই পারছে না।

লোকটি দু’বার ধমক দেবার পর রণজয়ের আরও কাছে এসে তার কোলের ওপর একটা পা দিয়ে দাঁড়াল। লোকটির পায়ের জুতো দেখলে মনে হয় স্টিলের তৈরি, কিন্তু রবারের মতন নরম।

হাত খোলা থাকলে রণজয় একটা থাপ্পড় দিয়ে লোকটাকে শত হাত দূরে পাঠিয়ে দিতে পারত। এত সাহস যে রণজয়ের গায়ে পা দেয়!

লোকটি রণজয়ের হাত বাঁধা সুতোটার একটা দিক খুঁজে নিল। তারপর সেটা ধরে টানতেই রণজয় আবার ব্যথা পেয়ে চেঁচিয়ে উঠল। লোকটি তা গ্রাহ্য না করেই সেই সুতোটা ধরে হিড়হিড় করে টেনে নিয়ে চলল রণজয়কে। রণজয় মাটিতে গড়াতে লাগল, মাঝে মাঝে পাথর আর গাছের ডালপালায় তার সারা গা ছড়ে গেল, কিন্তু তার বাধা দেবার কোনো উপায় নেই।

জঙ্গলটা যেখানে বেশ ঘন, সেখানে রয়েছে সেই গোল চকচকে একটা আকাশযান। এই রকেটটা রণজয় চেনে। ঠিক এই রকম রকেটে করেই নীল মানুষরা একবার তাকে নিয়ে গিয়েছিল মহাশূন্যে। আবার তাকে সেখানে যেতে হবে? তাহলে আর কি কোনোদিন ফেরা যাবে?

লোকটি সামনে এসে দাঁড়াতেই গোল রকেটের একটা গোল দরজা খুলে গেল। রণজয়ের মনে পড়ল, ওরা যে গ্রহে থাকে, সেখানে সবকিছুই গোল গোল।

দরজাটা খুলতেই লোকটা টিয়া পাখি আর খরগোশটাকে ছুঁড়ে ফেলে দিল ভেতরে। তারপর রণজয়ের দিকে তাকাল।

রণজয়ের হাতের চামড়া কেটে রক্ত পড়ছে। সে বুঝতে পারল, বাধা দিয়ে কোনো লাভ নেই, তাতে শুধু তার কষ্টই বাড়বে। সে নিজেই ঢুকে পড়ল রকেটটার মধ্যে।

ভেতরটা যেন একটা চিড়িয়াখানা!

সেখানে একটা করে গরু, ঘোড়া, মোষ, হরিণ, নানা রকমের পাখি, একটা চিতাবাঘ, কয়েকটা সাপ, ব্যাঙ, ছাগল, প্রজাপতি, ফড়িং এইসব জন্তু—জানোয়ার, পোকা—মাকড় ভর্তি।

একটা পাতলা ধোঁয়ায় ভরে আছে ভেতরটা, তাতে মিষ্টি মিষ্টি গন্ধ। সেই ধোঁয়ার জন্যই বোধহয় জন্তু—জানোয়ারগুলো সবাই এক জায়গায় স্থির হয়ে আছে, কেউ ছটফট করছে না।

এক কোণে বসে আছে গুটুলি। সে অজ্ঞান হয়ে যায়নি, কিন্তু রণজয়কে দেখেও কোনো কথা বলল না, শুধু তার চোখ দুটো বড় হয়ে গেল।

যে লোকটি রণজয়কে টেনে এনেছিল, সে এবার রণজয়ের হাত ও পায়ের সুতোর বাঁধন খুলে দিল। তারপর ধমক দিয়ে কী যেন বলল!

রাগে রণজয়ের পিত্তি জ্বলে গেল! এই লোকগুলো পৃথিবী থেকে নানারকম জন্তু—জানোয়ারের স্যাম্পেল নিয়ে যেতে এসেছে নিজেদের গ্রহে। তা বলে কি তারা মানুষও ধরে নিয়ে যাবে? পৃথিবীর মানুষকেও এরা জন্তু মনে করে?

এই লোকগুলো কেউই রণজয়ের মতন লম্বা নয়। কিন্তু রণজয় জানে যে, এদের মধ্যে কে যে রক্তমাংসের প্রাণী আর কে যে যন্ত্র—মানুষ, তা বোঝবার উপায় নেই। এই যন্ত্র—মানুষরাও একরকম নরম ধাতু দিয়ে তৈরি, তাই এদের হাত—পা মানুষেরই মতনই মনে হয়। কিন্তু এদের গায়ে অসম্ভব শক্তি।

একটি মেয়ে বেরিয়ে এল ভেতর থেকে। তার হাতে একটি ছোট্ট গোল রেডিওর মতন যন্ত্র। সেই যন্ত্রটা মুখের কাছে এনে সে কিছু বলল। রণজয় এবার পরিষ্কার বাংলায় শুনতে পেল, এই যে পলাতক। আবার আমাদের দেখা হলো, আমায় চিনতে পারো?

রণজয় মেয়েটাকে চিনতে পেরেছে। মহাকাশের বহু দূরে, সৌরলোক থেকে কোটি কোটি মাইল পেরিয়ে, এদের নীল রঙের গ্রহে রণজয় একসময় বন্দী ছিল। সেই সময় এই মেয়েটিই পাহারা দিত তাকে। ওদের গ্রহে ছেলেরা আর মেয়েরা সমান কাজ করে। এই মেয়েটির চোখে ধুলো দিয়েই রণজয় কোনো রকম পালাতে পেরেছিল।

রণজয় বলল, আমাকে পলাতক বলছ কেন? আমি তো এই পৃথিবীরই মানুষ! তোমরা আমাকে বন্দী করেছিলে, আমি আবার পৃথিবীতে ফিরে এসেছি।

মেয়েটি হেসে বলল, তুমি আর পৃথিবীর মানুষ নও! নিজের চেহারা কি তুমি দেখতে পাও না? তোমার গায়ের রং নীল! তুমি কত লম্বা! পৃথিবীর মানুষের সঙ্গে তোমার কোনো মিল নেই আর। তুমি আমাদেরই একজন হয়ে গেছ। তুমি আমাদের সঙ্গে চলো, আমাদের গ্রহে থাকবে। সেখানে তোমাকে কত আদর—যত্ন করব।

রণজয় বলল, আমার চেহারাটা বদলে গেলেও আমার মনটা রয়ে গেছে মানুষের মতন। আমি এই পৃথিবীকেই ভালবাসি। আমার দেশকে ভালবাসি। এই পৃথিবীর গাছপালা, আলো—হাওয়া, জল, সব আমার প্রিয়। তোমাদের ওখানে একটাও গাছ নেই। জল নেই। আমার ভালো লাগে না।

মেয়েটি বলল, কিন্তু তোমাদের এই পৃথিবীতে খাবার পাওয়া যায় না। এখনও কত মানুষ খেতে পায় না। এখানে একদিকে বিশ্রী গরম, আর একদিকে বিশ্রী ঠাণ্ডা। এই পৃথিবীটা মোটেই ভালো গ্রহ নয়। আমাদের ওখানে তুমি যখন যা—খুশি চাও খেতে পাবে। যে—কোনো আরাম চাও, সব পাবে। তুমি আমাদের ওখানে গিয়ে আর কিছুদিন থাকলে আর কখনও এই বিচ্ছিরি, পচা পৃথিবীতে ফিরতে চাইবে না!

রণজয় বলল, ভালো হোক, খারাপ হোক, এই পৃথিবীতে আমি জন্মেছি। এই পৃথিবীই আমার প্রিয়। আমাকে কেন জোর করে নিয়ে যেতে চাইছ? আমি এই পৃথিবী ছেড়ে যেতে চাই না।

মেয়েটি এবার জোরে হেসে উঠে বলল, এবার আর তুমি ফিরে আসতে পারবে না। নীল মানুষ, এবার তোমার মনটা আমরা বদলে দেব। পৃথিবীর কথা তোমার আর মনেই পড়বে না।

একটা গোঁ গোঁ শব্দ শুনে রণজয় বুঝতে পারল, এবার রকেটটা ছাড়বার উদ্যোগ করছে। আর বেশি সময় নেই। একবার পৃথিবীর মাটি ছেড়ে উড়তে শুরু করলেই এমন প্রচণ্ড গতি এসে যাবে যে প্রায় চোখের নিমেষেই উড়ে যাবে মহাশূন্যে।

রণজয় মিনতি করে বলল, তোমরা সভ্য—শিক্ষিত প্রাণী, তবু তোমরা ডাকাতি করতে আসো কেন? মানুষকে জোর করে ধরে নিয়ে যাওয়া অন্যায়, তা তোমরা বোঝো না?

মেয়েটি বলল, অন্যায়? সে আবার কী? এ কথাটার মানেই তো আমরা জানি না। আমাদের যখন যেটা ইচ্ছে হয়, তখন সেটা করি!

রণজয়ের পাশের লোকটি তার নিজের ভাষায় কী যেন বলে রণজয়ের হাত ধরে তাকে বসিয়ে দিতে গেল। সঙ্গে সঙ্গেই সে হাতটা ছেড়ে দিয়ে যেন ব্যথা পেয়ে উঃ করে উঠল।

রণজয়ের হাতটা ফোঁটা ফোঁটা রক্ত আর ঘামে ভেজা। সেই হাতটা ধরেই লোকটা ছেড়ে দিয়েছে। রণজয়ের মনে পড়ে গেল, এরা কোনো তরল জিনিস সহ্য করতে পারে না। হঠাৎ জলের মধ্যে পড়ে গেলেই এরা মরে যায়। প্রথমবার রণজয় যখন দুঃখে কেঁদে ফেলেছিল, তখন তার চোখের জলের কয়েকটা ফোঁটায় ওদের একজনের হাত পুড়ে গিয়েছিল!

আর সময় নেই, আর সময় নেই! রকেটটা এক্ষুণি উড়বে! রণজয়ের কাছে একটাই মাত্র অস্ত্র আছে।

সে ঘুরে দাঁড়িয়েই পাশের লোকটির গালে থুঃ করে খানিকটা থুতু ছিটিয়ে দিল।

লোকটা বিকট একটা আর্তনাদ করে ধপাস করে পড়ে গেল মেঝেতে। সেই থুতু যেন তার গায়ে বুলেটের মতন লেগেছে।

ওদের দলনেত্রী ব্যাপারটা বুঝতে পারল না। সে তার নিজের ভাষায় অন্য লোক দুটিকে কী যেন আদেশ করল। সেই লোক দুটি রণজয়কে ধরবার জন্য এগিয়ে আসতেই রণজয় এক লাফে চলে গেল দেয়ালের দিকে। মুখ সরু করে সে খুব জোরে আবার থুঃ থুঃ করল। একটা ফস্কে গেল, অন্য লোকটির গায়ে থুতু লাগতেই সে আগুনে পোড়া মানুষের মতন ছটফট করতে লাগল। বাকি লোকটি কোমরে হাত দিল একটা অস্ত্র তোলবার জন্য।

রণজয় মুখখানা ঝুঁকিয়ে ঠিক তার মুখের ওপর এক দলা থুথু ছুঁড়ে দিল। সেই লোকটি আকাশ—ফাটানো চিৎকার করে অজ্ঞান হয়ে গেল।

ওদের দলনেত্রী এবার কঠোর গলায় বলল, যথেষ্ট হয়েছে। ওহে পলাতক নীল মানুষ, তুমি এবার শান্ত হবে, না এই মুহূর্তে তোমাকে শেষ করে দেব?

সেই মেয়েটির হাতে একটা ছোট্ট গোল মতো অস্ত্র। রণজয় জানে, ওর থেকে ঝলকে ঝলকে নীল আগুন বেরোয়। সেই নীল আগুন মানুষ তো দূরের কথা, ইস্পাত পর্যন্ত গলিয়ে দিতে পারে।

রণজয়ের গলা শুকিয়ে গেছে। মুখে আর থুতু নেই। থাকলেও অত দূরে তার থুতু পৌঁছত না! আর কোনো উপায় নেই, এবার তাকে হার স্বীকার করতেই হবে। ওই গোল যন্ত্রটার সঙ্গে কোনো চালাকি চলে না।

মেয়েটি বলল, আস্তে আস্তে বসে পড়ো। দেয়ালের দিখে মুখ ফেরাও। এবার তোমাকে অজ্ঞান করে ফেলতে হবে দেখছি! তোমাকে ভালো কথা বললেও…

মেয়েটির কথা শেষ হলো না, সে আঁ আঁ করে চিৎকার করে উঠল।

রণজয় দেখল, গুটুলি কখন চুপি চুপি মেয়েটির পেছন দিয়ে চলে গেছে। এবার সে লাফিয়ে উঠে পেছন থেকে মেয়েটির মুখখানা ধরে তার দুই কানের মধ্যে থুতু ছিটিয়ে দিচ্ছে।

মেয়েটি মেঝেতে পড়ে যেতেই রণজয় এক লাফে গিয়ে রকেটের দরজাটা খুলে ফেলল। রকেটটা সবে মাত্র মাটি ছাড়তে শুরু করেছে। রণজয় চিৎকার করে বলল, গুটুলি লাফিয়ে পড়! তারপর নিজেও সে ঝাঁপ দিল!

রণজয় আর গুটুলি দু’জনেই পড়ল একটা বড় গাছের ওপর। তারপর গড়াতে গড়াতে, ডাল—পালার মধ্যে দিয়ে পড়ল মাটিতে। খুব বেশি তাদের লাগেনি।

গুটুলি বলল, ওস্তাদ, ওরা কি আবার ফিরে আসবে?

রণজয় বলল, ওই রকেট একবার শূন্যে উঠে গেলে ফিরে আসতে সময় লাগে। তার আগেই আমরা পালাব। দাঁড়া, একটু জিরিয়ে নিই। এখনও বুক ধড়ফড় করছে রে! এমনভাবে যে বাঁচতে পারব কল্পনাও করিনি!

গুটুলি থুঃ থুঃ করে নিজের হাতে দু’বার থুতু ছিটিয়ে বলল, ওস্তাদ, সত্যিই থুতুর এত শক্তি? কোনোদিন তো বুঝিনি!

রণজয় বলল, থুতু এমনি এমনি খরচ করিস না! ভবিষ্যতে আবার কাজে লাগতে পারে!

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *