আজকের নারী কি বেদপাঠ করতে পারে?
ঋগ্বেদে কিছু কিছু মন্ত্রের রচনা ঋষিকাদের; এঁদের মধ্যে আছেন কাক্ষীবতী, ঘোষা, মৈত্রেয়ী, অপালা, অস্তূণ ঋষির কন্যা বাক্। উপনিষদের যুগে গার্গী ও সুলভা ব্রহ্মবাদিনী, অন্য দু’-চার জন হয়তো ছিলেন নাম জানা যায় না। প্রসঙ্গত, বেদান্তের যে তথাকথিত ‘মহৎ’তত্ত্ব ‘সোঅ’ অর্থাৎ ‘আমিই সেই’, বা ‘তত্ত্বমসি’ ‘তুমিই সেই’ সংহিতা সাহিত্যে এর প্রথম প্রবক্তা ওই অম্ভৃণ ঋষির কন্যা বাক্। ব্যাকরণে স্ত্রীপ্রত্যয়ের পরিচ্ছেদে শুনি ‘স্বয়ম্ আচার্যা স্বয়ম্ উপাধ্যায়া’ অর্থাৎ যে নারীরা নিজেরাই পড়াতেন, অধ্যাপক-পত্নীই শুধু (বা একেবারেই) নন। পরবর্তী কালে সাহিত্যে পণ্ডিত-কৌশিকী ও সাংকৃত্যায়নী নামে অবিবাহিতা নারীর কথা পড়ি। বৃহদারণ্যক উপনিষদে যাজ্ঞবল্ক্য ‘পণ্ডিতা দুহিতা’ পাবার জন্য পিতা কী অনুষ্ঠান করবেন তার নির্দেশ দিয়েছেন, কাজেই পণ্ডিত নারীও ছিল তখন।
এ সবই ইঙ্গিত করে এক সময়ে কিছুকাল, এবং পরে বিক্ষিপ্ত ভাবে ইতস্তত কিছু কিছু নারীর শুধু বেদপাঠে নয়, বেদমন্ত্র রচনায় এবং ছাত্রদের তা পড়ানোরও অধিকার ছিল। তা হলে প্রশ্ন আসে, সে অধিকার গেল কেন ও কী ভাবে? অধিকার যে গিয়েছিল তার প্রমাণ অনেক আছে। নারীর উপনয়ন হত না, তার ধর্মীয় ক্রিয়াকলাপ সবই অমন্ত্রক, যজ্ঞকালে যজমানের পাশে যজমানপত্নী বসে থাকতেন, হয়তো অনুষ্ঠানে কায়িক পরিশ্রমে অংশগ্রহণ করতেন, কিন্তু মন্ত্র উচ্চারণ করতেন না। স্পষ্ট বলাই আছে ‘ন স্ত্রী জুহুয়াৎ’ অর্থাৎ ‘নারী হোম করবে না’। এর প্রমাণ, রামের অশ্বমেধ যজ্ঞে স্বর্ণসীতা দিয়েই কাজ চলল, অর্থাৎ যজমান পত্নীর করণীয় বা মন্ত্র উচ্চারণের প্রশ্নই ছিল না। মন্ত্রোচ্চারণে নারী ও শূদ্রের কোনও অধিকার ছিল না। আর্যরা এ দেশে আসবার পরে প্রাগার্যদের বিবাহ করতে শুরু করল। ফলে আর্য নয়, এমন মানুষ পরিবারে ও সমাজে ক্রমশ বেশি সংখ্যায় প্রবেশ করছিল। বেদ আর্যদের কাছে পবিত্র আত্মিক সম্পত্তির মতো, যে উত্তরাধিকার তাদের সামাজিক সংহতি রক্ষা করছিল, অতএব সেই বেদের সযত্ন সংরক্ষণ একটা দায়িত্ব হিসেবে দেখা দিল। নারী ও শূদ্রের উপনয়ন বন্ধ হয়ে গেল, সম্ভবত যাযাবর ও পশুচারী আর্যরা যখন কৃষিজীবী হয়ে স্থায়ী বাসভূমিতে বসবাস শুরু করল তখন থেকেই। বেদের কিছু অংশ আর্যরা ভারতবর্ষে ঢোকার আগেই রচিত হয়েছিল। এই সময়ে সম্ভবত আর্য পুরুষের সঙ্গে আর্য নারীর বিবাহ হলে তাদের কন্যারও উপনয়ন হত, অতএব বেদপাঠে অধিকার জন্মগত, স্বাভাবিক ভাবেই। ঋষিকাদের মন্ত্র রচনা সম্ভবত এই পর্বের। পরে প্রাগার্য পুরুষ ও নারী এবং মিশ্রবিবাহের সন্তানদের ও শূদ্রদের বেদপাঠে অধিকার চলে গেল। শূদ্রদের অধিকার যাওয়াটা কিছু কৌতুকের সৃষ্টি করে। কারণ, ‘পুরুষসূক্তে’ বলা আছে বেদস্বরূপ যে পরম-পুরুষ তার পা থেকে শূদ্রের উৎপত্তি। তা যদি হয়, তা হলে পা তো শরীরেরই অংশ। সেই পা কী করে পরম পুরুষের অঙ্গত্বের মর্যাদা বা শুচিতা হারায়? যে সমাজে পুরুষের প্রাধান্য এবং পৃথিবীর অধিকাংশ সমাজেই তা-ই ছিল— সেখানে নারীর অবদমন এবং হীনতা প্রতিপাদন করা স্বাভাবিক; কাজেই অনার্যমিশ্র সমাজে নারী উপনয়ন ও বেদপাঠে অধিকার হারাবে এটা তো প্রত্যাশিতই। যেমন বেদে মুদ্গলিনী, বিশ্পলা, বধ্রিমতী ইত্যাদি নামের নারী যোদ্ধাদের নাম পাওয়া গেলেও, নারী যে অন্তপুরচারিণী এ কথা অথর্ব বেদের সময় থেকেই প্রতিপাদিত।
কিন্তু একদা আর্য নারীর উপনয়ন হত, সে বেদ পাঠ, মন্ত্র রচনা করত এবং শাস্ত্রশিক্ষাও দিতে পারত। এটা শুধু ঐতিহাসিক তথ্য হিসেবে নয়, কিছু কিছু বিচ্ছিন্ন ব্যতিক্রমী নিদর্শনের মধ্যেও বিধৃত রইল। কাজেই শাস্ত্র তা পুরোপুরি উপেক্ষা করতে পারে না। তাই ‘যম সংহিতায়’ (যম এক ধর্ম শাস্ত্রকারের নাম) শুনি, নারী দু’রকম, বধূ ও ব্রহ্মবাদিনী। তাই সাহিত্যেও শিয়াল পণ্ডিতের ছানা দেখানোর মতো দু’-একটি বিরল ব্যতিক্রম দেখি ব্রহ্মবাদিনীর উল্লেখে। বহু পরবর্তী কালে ‘মহানির্বাণতন্ত্রে’ শুনি, পুরাকল্পে নারীরও উপনয়ন হত। এটা অবশ্য তন্ত্র, যা নারীকে খানিকটা মানবিক মর্যাদা দেবার চেষ্টা করেছে, সে জন্যে বোধহয় এই উল্লেখ করবার প্রয়োজন বোধ করেছে।
কিন্তু বাস্তবে যার কথা বেদবাক্য ছিল সেই মনু বলেন, নারীর পক্ষে বিবাহ হল উপনয়ন, পতিসেবা বেদাধ্যয়ন এবং পতিগৃহে বাস গুরুগৃহে বাস। এই পরিচ্ছন্ন সমীকরণটির দ্বারা বিবাহই উপনয়ন ও বেদপাঠের বিকল্প হয়ে গেল। ‘যে নারীর বিদ্যা বা সম্পত্তি আছে সে চেহারায় মেয়েমানুষ হলেও আসলে পুরুষই’, এমন কথা বেদেই আছে। পরবর্তী কালে শুনি, শূদ্র বেদ উচ্চারণ করলে তার জিভটা কেটে দিতে হবে, তার কানে বেদমন্ত্র গেলে সিসে গলিয়ে ঢেলে দিতে হবে। প্রশ্ন করতে ইচ্ছে করে, ম্যাক্সমুলার কি পরম কুলীন ব্রাহ্মণ ছিলেন? তিনি কেমন করে বেদে পেলেন? টাকার আওয়াজ বড় মিঠে বেজেছিল ধর্মপ্রাণ বেদজ্ঞ ব্রাহ্মণদের কানে?
কথা হচ্ছে, আজকে, ১৯৯৪ সালের বেদের বিধিনিষেধ উল্লেখ করা যেমন করুণ, তেমনই হাস্যকর। কারণ সৃষ্টিশীল সমাজচেতনা অবরুদ্ধ না হলে, নতুন চিন্তার ক্ষমতায় সমাজপতিরা সম্পূর্ণ দেউলে না হলে আজকালের ঘড়ির কাঁটা পিছিয়ে দেবার এই করুণ অপচেষ্টা ঘটত না। হাস্যকর, কারণ, সমাজ যে তার নিজস্ব গতিবেগে এগিয়ে কোথায় এসেছে এখনকার সমাজপতিরা তার খবরই রাখেন না। তা ছাড়া বেদের কটা নির্দেশ আজ মানুষ সত্যিই মানতে পারে? বেদে আছে একজন পুরুষের মৃত্যুর পর একটা গোরুকে (শাস্ত্রে তার নাম ‘অনুস্তরণী গৌ’) কেটে চিরে মৃতদেহের উপরে চাপিয়ে দিতে হবে। তার নাড়িভুঁড়িগুলো শবের দু’হাতে দিতে হবে, যাতে বৈতরণী পারে যমের দুটো কুকুর, শ্যাম আর শবল, মৃতদেহটিকে খেতে এলে ওই নাড়িভুঁড়িগুলোর বিনিময়ে লোকটা যমলোকে ঢুকে যেতে পারে। আজ পারব এ অনুষ্ঠান করতে?
এ সব তো দূরের কথা, শাস্ত্র গান্ধর্ব বিয়েকে অনুমোদন করেছে। আজকে দু’টি নরনারী স্বেচ্ছায় মিলিত হয়ে একত্র বাস করতে গেলে সমাজ ‘রে রে’ করে তাড়া করে কেন? বেদে বলেছে, ‘খেয়ে এঁটোটা স্ত্রীকে দেবে’, বলেছে, ‘যে জামা, জুতো ও ছাতা ব্যবহারের সম্পূর্ণ অযোগ্য (যাতযাম) তা ভৃত্যকে দেবে; এই শর্তে আজ বিয়ে করতে বা ভৃত্য নিয়োগ করতে চেষ্টা করে দেখুক না বেদবাদীর দল? শাস্ত্রে আট রকম সন্তানকে ‘বৈধ’ বলা হয়েছে; তার মধ্যে আছে ‘সহোঢ়’ (বিবাহের পূর্বের গর্ভ থেকে যার জন্ম), আছে ‘গূঢ়োৎপন্ন’ (বিবাহের পরে গোপনে স্বামী ভিন্ন অন্যের ঔরসে জাত), আছে ‘নিয়োগ’ (স্বামী বর্তমানে বা বিধবা অবস্থায় অন্যের ঔরসে জাত), আছে ‘ক্রীত’ অর্থাৎ টাকা দিয়ে কেনা ছেলে, আরও আছে ‘পুত্রিকাপুত্র’ (অপুত্ৰক পিতা কন্যার পুত্রকে নিজের ছেলে বলে গ্রহণ করলে)— এদের কি বৈধ সন্তান বলে গ্রহণ করার বুকের পাটা আছে আজকের সমাজের? বহুপত্নীকতা বেদে সমর্থিত শুধু নয়, প্রশংসিত। বর্তমানে তা বেআইনি। পারবে কেউ গায়ের জোরে এ আইন ভাঙতে সমাজের? সে পেরেছিল বিপ্লবোত্তর রুশ দেশ, যখন সব সন্তান বৈধ বলে স্বীকৃত হল। বেদে গোমাংস ভক্ষণের বিধান শুধু ছিল না, বহু প্রচলিত সার্বজনীন আচার ছিল এটি। আর আজ? পারবে কেউ গায়ের জোরে এই সব ভেঙে বৈদিক প্রথার প্রতিষ্ঠা করতে? অপুত্রিকা বা নিঃসন্তান স্ত্রীকে কয়েক বৎসর পরে ত্যাগ করবার বিধান দেয় বেদ, চেষ্টা করে দেখুক না বেদবাদীরা এই কারণে আজ স্ত্রী ত্যাগ করতে? কাজেই বেদের বিধি ও নিষেধ আজ সম্পূর্ণ অবান্তর, অপ্রয়োজনীয় এবং একান্তই অর্থহীন। সারস্বত চর্চার ক্ষেত্র ছাড়া অন্যত্র,অর্থাৎ জীবনের প্রায়োগিক ক্ষেত্রে এ সব বিধিনিষেধের প্রতি সম্পূর্ণ নিঃশঙ্ক উপেক্ষাই হবে স্বাস্থ্যকর, যুক্তিযুক্ত ও বাঞ্ছনীয়।
কাজেই আজকের হিন্দুসমাজ যে শাস্ত্র মানে (যদি কিছুই মানে, যাকে সার্বজনীন শাস্ত্র বলা চলে) তা হল বেদ-মহাকাব্য-পুরাণ থেকে স্থানে ও কালে বহুধা বিভিন্ন শাস্ত্রকারদের রচনা থেকে ইচ্ছেমতো উৎকলিত ‘পুরোহিত দর্পণ’ যাতে বেদ, মহাকাব্য ও পুরাণ থেকে যদৃচ্ছ বচন সংগ্রহ করে সম্পূর্ণ ভিন্ন এক উপাসনা পদ্ধতির উপর তা চাপিয়ে দিয়ে যে উপাদেয় জগাখিচুড়িটি প্রস্তুত হয়েছে, সেটি লক্ষ্য করলেই এ কথা বোঝা যাবে। এ-ই চলছে বিগত দেড় হাজার বছর ধরে, যার স্থানিক ও কালিক রূপভেদের মধ্যে আকাশপাতাল পার্থক্য রয়ে গেছে।
তা হলে আজকে বৃথা উদাত্ত বাক্য বিন্যাসের প্রয়োজন কী? যে মেয়েকে সংসার চালাবার জন্য চাকরি করতে হচ্ছে এবং তার জন্যে প্রয়োজনীয় বিদ্যা আয়ত্ত করতে হচ্ছে, তার সম্বন্ধে ‘ন স্ত্রী স্বাতন্ত্র্যম অহতি’ (নারী স্বাধীনতার যোগ্য নয়) বলবার অধিকার আছে কার? আর বলবার সার্থকতাই বা কী? নারী-স্বাধীনতা আন্দোলন জোরকদমে এগিয়ে যাচ্ছে কোনও মহাচার্যের পরোয়া না করেই। বেদপাঠে অধিকার নেই বলে নারীকে বেদপাঠ থেকে বিরত করতে চাওয়া একদিকে মিথ্যাভাষণ (ঋষিকা, আচার্যা, উপাধ্যায়া, ব্রহ্মবাদিনীরা স্মরণীয়) অন্য দিকে তেমনই পুরুষ-প্রাধান্য প্রতিষ্ঠার একটি ধূর্ত, অনৈতিহাসিক, অবৈজ্ঞানিক অপচেষ্টা বিদুষী ও বিত্তবতী নারী নিয়ে বেদে কোথাও কোথাও ব্যঙ্গ আছে, আজকে এদের সংখ্যা বেড়েই চলেছে এবং তা সমাজের পক্ষে অত্যন্ত কল্যাণকর রূপে দেখা দিচ্ছে। বেদের এই শ্লোক স্বীকার করা আজ সর্বতোভাবে ঘৃণ্য ও ক্ষতিকর। চারুশিল্প, সমাজচিন্তা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে আজ ভারতীয় নারীর দান বা কৃতিত্ব উপহাসের নয়। এই শিক্ষিত নারী সমাজের বৃহত্তম অংশটিই বেদপাঠের অধিকার সম্বন্ধে সম্পূর্ণ উদাসীন। এবং তা অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর। অল্প যে-ক’জন নারীর বেদপাঠের রুচি আছে, তাদের জন্মগত এবং সংবিধানগত অধিকার আছে যা পড়তে চায় তা পড়ার ও পড়ানোর। যে মেয়ে উঁচুমানের পদার্থবিদ্যার চর্চা করে বা বিদ্যালয়ে কিশোর-কিশোরীদের পাঠ দেয় বা কোনও শিল্প প্রতিষ্ঠানে ভোগ্যসামগ্রী বা যন্ত্র-নির্মাণে সাহায্য করে বা যে কৃষির দ্বারা দেশের অন্নসংস্থানে সাহায্য করে তারা তো তাদের যোগ্যতার জোরেই অধিকার আদায় করে নিয়েছে দেশের সব সম্পদের অংশভাক হবার। যে মেয়ে সুযোগ পায়নি এ সবের, তারও অনস্বীকার্য মানবিক অধিকার আছে তার দেশের যা কিছু তাৎপর্যপূর্ণ তা আয়ত্ত করার ও ভোগ করার। এ দেশেরই বেশ কিছু নারী আজ তাদের নিজস্ব মননের দ্বারা বেদ-চর্চাকে সমৃদ্ধ করেছে, এই দেশে উচ্চারিত হবে বিংশ শতকের প্রান্তদেশে পৌঁছে যে, নারীর বেদপাঠে অধিকার নেই? এ কথার মূল নিহিত আছে একটি ভ্রান্ত ব্রাহ্মণ্য পুরুষতান্ত্রিক অহমিকায়; কোনও সুস্থবুদ্ধিসম্পন্ন দেশাভিমানী এর সমর্থন করতেই পারে না। এখনকার শাস্ত্র রচনা করবে আজকের নারী-পুরুষ যৌথ ভাবে, সমগ্র দেশের কল্যাণের উদ্দেশ্যে; সাড়ে তিন হাজার বছর আগেকার বিধিনিষেধ এই কল্যাণবুদ্ধির সামনে এক ফুৎকারেই মিলিয়ে যাবে।
বেদের সাহিত্যমূল্য, সমাজ-বৈজ্ঞানিক মূল্য, ঐতিহাসিক, ভাষাতাত্ত্বিক ও নানা প্রকারের মূল্য একে একটি ঋদ্ধ সাহিত্যের স্থান দিয়েছে; ক’টা নিৰ্বিবেক, অবৈজ্ঞানিক, অনৈতিহাসিক মৌলবাদীর সাধ্যই নেই ভারতবর্ষের কোনও নারী-পুরুষকে এই সমৃদ্ধ উত্তরাধিকারের পঠনপাঠন থেকে নিবৃত্ত করবার। উদীয়মান ফ্যাসিবাদকে তার স্বরূপে চিনে নিয়ে তার ক্ষীণতম প্রকাশের চেষ্টারও কণ্ঠরোধ করার সময় এসেছে; মৌলবাদের কোনও প্রকাশকেই আজ সুস্থ নাগরিক মানতে পারে না। কারণ, তা সমগ্র সমাজের অগ্রগতির পরিপন্থী।