১০
দুর্বলের সংসার সবলের সন্ন্যাস
সংসার একেবারে চিবিয়ে শেষ করে দিয়েছে। পরনে গরমের প্যান্ট। আকৃতি নষ্ট হয়ে যাওয়া গরমের কোট। উভয়েই একদা কুলিন ছিল। এখন বিবর্ণ। রোঁয়া ওঠা। গলায় প্রথামতো একটি টাই বাঁধা! যেন দীর্ঘ হাজতবাসের পর মুক্তি পেয়েছে। ফাটা কলারের যুগলবন্দীর মাঝখানে মৃত পাঁঠার জিভের মতো ঝুলছে নেকটাই। বয়েস হয়েছে। তাই মাথায় একটি টুপি। যেন উলের চুল গজিয়েছে মাথায়। জুতো দুপাটির একসময় যথেষ্ট কেতা ছিল এখন আর নেই। গোড়ালির দুপাশ ক্ষয়ে গেছে। মানুষটি বড় শীর্ণ হয়ে গেছেন। দুটি চোখে ঘোলাটে দৃষ্টি। অফিস পাড়ার ফুটপাথ ধরে শেষবেলায় ধীর পায়ে হেঁটে চলেছেন। গতিতে ঘরে ফেরার তেমন আবেগ নেই। তাঁকে অতিক্রম করে জনস্রোত ছুটে চলেছে। কেউ কেউ অতি ব্যস্ততায় ধাক্কা মেরে যাচ্ছে। পিঠে আঙুলের খোঁচা মেরে ধীরগামী মানুষটিকে ঠেলে পাশে সরিয়ে দিতে চাইছে। তিনি মাঝে মধ্যে ফিরে তাকাচ্ছেন। সে তাকানোয় ক্ষোভ নেই, উষ্মা নেই! পৃথিবীর কাছ থেকে এই যেন তাঁর স্বাভাবিক পাওনা।
এই মানুষটির নিশ্চয়ই একটি অতীত আছে। মুখ এত শীর্ণ ছিল না। মরা মাছের মতো এমন চোখ ছিল না। বর্তমানে গায়ে অতীত প্রাচুর্যের স্মৃতি লেগে আছে। এই টুইডের স্যুট। জুতো, টুপি, টাই, চেহারার ধাঁচ, সব কিছুতেই অবলুপ্ত আভিজাত্যের চিহ্ন। সব ছিল, এখন আর কিছু নেই। দাঁতালো সংসার চিবিয়ে ছিবড়ে করে ছেড়ে দিয়েছে।
সংসার কটাহ। কার ভাগ্যে কী আছে কেউ জানে না। ভদ্রলোকের নাম কী। হয়তো টি. সি. বোনার্জি। বাংলা নামকে একটু সায়েবি—ঢঙেই হয়তো উচ্চারণ করতেন। আইভরি ভিজিটিং কার্ডে উঁচু উঁচু অক্ষরে ওই রকমই লেখা হত। একটি কার্ড হয়তো এখনও ঢুকে আছে ওয়ালেটের অপরপিঠে। চামড়ার সংস্পর্শে দীর্ঘকাল থাকার ফলে ছাপকা ছাপকা দাগ লেগে গেছে। তবু আছে। ওয়ালেটের সোজা দিকে সোনালি মনোগ্রাম অস্পষ্ট। এক সময় জ্বলজ্বল করত টিসিবি অক্ষর তিনটি।
নিস্তারিণী অ্যাপার্টমেন্টের সপ্তম তলে, যে নেমপ্লেটে ডি. কে. বোনার্জি নামটি ঝুলছে, তিনি কি এই টি. সি. বোনার্জির বড়ো ছেলে? বিলেত থেকে সি. এ. করিয়ে এনেছিলেন। বিয়ে দিয়েছিলেন বিখ্যাত স্টিভেডার পি. কে. চ্যাটার্জির মেয়ের সঙ্গে। বিশ্ববিদ্যালয়ের নামকরা ছাত্রী। ভালো টেনিস খেলেন। কিং—সাইজ সিগারেট তিন টানে ছাই করে দেন। বব করা চুল। কোমরের কাছে শাড়ির প্যাঁচ বড় অস্বস্তির সৃষ্টি করে বলে, সালোয়ার কামিজ অথবা জিনস আর টি—শার্ট পরেন। শ্বশুর আর আধুনিকা স্ত্রীর চাপে সি. এ. ডি. কে. বোনার্জি বাপকে ছেড়ে সাততলার আধুনিক খোপে বাসা বেঁধেছেন। অঢেল রোজগার, অঢেল খরচ। পিতাকে পরিত্যাগের পুরস্কার হিসেবে ব্যবসায়ী দ্বিতীয় পিতা ঝকঝকে একটি প্রিমিয়ার পদ্মিনী সান—ইন—লকে উপহার দিয়েছেন। মধ্যরাতে মদের নেশায় জুনিয়ার ব্যানার্জি মাঝে মাঝে স্ত্রীকে প্রশ্ন করেন, ‘কে তুমি সুন্দরী? তুমি তো আমার মা নও, তুমি তো আমার স্ত্রী নও!’ স্ত্রীও তখন জড়ানো গলায়, অ্যাশ ট্রেতে সিগারেটের ছাই ঝাড়তে ঝাড়তে পোষা স্বামীটিকে তিরস্কার করে ওঠেন, ‘ডোন্ট বি সিলি, ডি. কে।’
কে তুমি? এই তো চিরকালের প্রশ্ন। আমি কে? তুমিই বা কে? প্রশ্ন নিয়েই যাওয়া। টি. সি. বোনার্জির ব্যবসার অংশীদাররা এখন কোথায়? এক সময় লাখ লাখ টাকা কামিয়েছেন। মাইকা, কয়লা, রবার। বিলিতি কোম্পানির এজেন্ট ছিলেন। লাভের গুড় পিঁপড়েয় খেয়ে গেছে। ড্যালহাউসিতে অফিসটা এখনও আছে। জনপ্রাণী নেই। ধুলো পড়া টেবল—চেয়ার, ভাঙা টাইপরাইটার ছেঁড়া ছেঁড়া ফাইল। বিবর্ণ নেমপ্লেট। অ্যাসেট আর কিছু নেই। সবই লায়বিলিটি। গোটাকতক মামলা ঝুলছে কোর্টে। পদ্মপুকুরের বাড়ি সেকেন্ড মটগেজে পড়ে গেছে। ও আর ছাড়াবার উপায় নেই। ঝুনঝুনওয়ালার বংশধরেরাই ভোগ করবে। বাড়ি ছাড়া মানুষের আর কোনো যাবার জায়গা থাকলে বোনার্জি সেইখানেই যেতেন। সাধের বাড়ি এখন যেন কফিনের মতো। কতকাল রং পড়েনি। পেলমেট আছে পর্দা নেই। ভালো ভালো ফার্নিচার বিক্রি হয়ে গেছে। একমাত্র মেয়ে আত্মহত্যা করার পর স্ত্রীর মাথায় গোলমাল দেখা দিয়েছে। মেজ ছেলেটা মানুষ হয়নি। সুসময়ের বড়ো ছেলে নিজের কোলে সব ঝোল টেনে নিয়ে সরে পড়েছে। মেজর পেছনে তেমন কিছু ঢালা যায়নি।
সফল মানুষের অনেক সঙ্গী থাকে। বাড়ির সামনে মুহুর্মুহু গাড়ি এসে থামছে। বন্ধু নামছে, আত্মীয়—স্বজন নামছে। ঘরে ঘরে আলো জ্বলছে। হাসির ফোয়ারা ছুটছে। কেক উড়ছে, প্যাস্ট্রি উড়ছে। ফুল আসছে, ফল আসছে। উমেদাররা দাদা, দাদা করছে। সহস্র এক আরব্য রজনীর জীবন। মনেই হয় না এ রজনী একদিন ভোর হবে। ঘোর কেটে যাবে।
ফেলা তাস আর তোলা যায় না। ছোঁড়া ঢিল আর হাতের তালুতে ফিরিয়ে আনা যায় না। বোনার্জি যাদের বিশ্বাস করেছিলেন, তারা সব মেরে ফাঁক করে দিয়েছে। যারা উপকার নিয়ে গেছে তারা আর ফিরে আসেনি। যাদের বড় আপনার, প্রাণের মানুষ মনে হয়েছিল তারা সবাই ছিল সুবিধেবাদী, সুযোগসন্ধানী। এখন আর সাবধান হবার সময় নেই।
ফার্স্ট ক্লাস ট্রামের সামনের একটি আসনে বোনার্জি ধীরে ধীরে শরীরটিকে বসালেন। সে অহংকার আর নেই। এক সময় এই রাস্তাতেই ছুটত তাঁর ঘি—রঙের বুইক গাড়ি। পেছনের আসনে কখনো একা, কখনো সপরিবারে। সকলেরই মনে তখন প্রাণের ফোয়ারা ছুটছে। জীবন যেন হালকা পাখির পালক। বড়ো ছেলে সবে ফিরছে। তাকে ঘিরে ভবিষ্যতের স্বপ্ন ভেলভেট রঙের ভীমরুলের মতো ভোঁ ভোঁ করছে। মেজছেলে তখনও ছাত্র। ফুটফুটে মেয়ে। সুন্দরী স্ত্রী। পরিপূর্ণ স্বপ্ন ঘেরা একটি পরিবার। বোনার্জির স্যুটের তখন কী চেকনাই। দুটো চোখ নাচছে খঞ্জন পাখির মতো। ত্বক তেল ছাড়ছে। শরীরে মেদের পলেস্তারা। কণ্ঠে গুনগুন গান,
ওই দেখা যায় বাড়ি আমার
চৌদিকে মালঞ্চের বেড়া
ভ্রমরেতে গুনগুন করে
কোকিলেতে দিচ্ছে সাড়া।।
ভ্রমণ ভ্রমরী সনে
আনন্দিত কুসুমবনে
তিলেক নয় বসন্ত ছাড়া।।
গাছ পাতা ঝরিয়ে রিক্ত কঙ্কালসার হয়; কিন্তু আবার বিনবিন করে সবুজ পত্রোদ্গমে বছরের শুরুতেই নবীন হয়ে ওঠে। শীতের পর বসন্ত আসে। মানুষ কী অপরাধ করেছে? তার প্রবাহ শুধু একমুখী। শুধু চলেই যায়। ফিরে তো আসে না। সুখের মুহূর্তকে তো ফিরে ভোগ করা যায় না।
ট্রাম ছুটছে। শীতের কলকাতা দৌড়চ্ছে পাশে পাশে। পাঁচতারা হোটেল আলোর মালায় সেজে আছে। সিনেমা হাউসের মাথায় চুম্বনরত নায়ক—নায়িকা। পাশে মুখব্যাদন করে আছে ভিলেন। ফুটপাতে নরনারীর জমায়েত। সবই যেন ভেসে চলেছে স্রোতের ফুলের মতো। বোনার্জির সঙ্গে একসময় এই চটুল জীবনের যোগ ছিল, আজ আর নেই।
মানুষে মানুষে সম্পর্ক? তার তো কোনো বাঁধন নেই। এক ধরনের চুক্তি। রক্তের সম্পর্কই থাকছে না তো অন্য সম্পর্ক। এমন কিছু ধরো যা পালায় না। জীবনকে এমন একটা জায়গায় নামাও, যার আর তল নেই। এমন কিছু পাও যা চাইতে হয় না, আপনি আসে। বাতাসের মতো, আলোর মতো, বৃষ্টিধারার মতো। এমন কিছু পাও যার পর আর কোনো পাওনা থাকে না।
সেই এক সন্ন্যাসী বলেছিলেন, সব ছাড়োয়ে, সব পাওয়ে। বটতলায় বসে আছেন, যেন মহারাজের মহারাজ। পৃথিবী লুটিয়ে আছে পায়ের তলায়। বাতাস যেন চামর করছে। সংসার সে তো দুর্বলের আশ্রয়স্থল। ঠুনকো সম্পর্ক গড়ে মরীচিকা নিয়ে বেঁচে থাকা।
বড় দেরি হয়ে গেছে বোনার্জি সায়েব। বাকি জীবনটা শুধু ক্ষতস্থান চেটে কাটাতে হবে। ‘যেখানে কেউই কারও নয়, এমনকি আপনিও আপনার নয়, তাকেই সংসার বলে।’ বৎস! ‘মানুষের নিজের বন্ধন নিজের হাতে, নিজের মুক্তিও নিজের হাতে। নিজেরা জেনেশুনে ক্ষয়ে বন্ধনে পড়ে ভুগে মরি।’
পৃথিবীর দুই মেরুর মতো জীবনেরও দুই মেরু, ত্যাগ আর ভোগ। ভোগের পরেই দুর্ভোগ। ত্যাগের পরেই কী তৃপ্তি! সন্ন্যাসীকে প্রশ্ন করতে ইচ্ছে হয়, ‘আপনার এই অনিন্দ্যকান্তির উৎস কী?’
‘বৎস, আমার কোনো চিন্তা নেই। মহাশূন্যে আমার বসবাস। আমার কাছে এমন কিছু নেই যা তস্করে অপহরণ করতে পারে। আমার কাছে এমন কোনো বৈভব নেই যা মাপা যায়। লাখোপতির ওপর কোটিপতি থাকে, কোটিপতির ওপর অর্বুদপতি। আমার কোনো চিন্তা নেই। সুখ নেই ফলে দুঃখও নেই। জগতে শূন্যটিকে চেনাই হল, চেনার চেনা সার চেনা। সংখ্যা হল এক, তার পাশে বসিয়ে যাও শূন্য। এক শূন্যে দশ, দুই শূন্যে একশো, তিনে হাজার, পাঁচে লাখ। এইবার এককে মুছে দাও তখন শূন্যের হাহাকার। পৃথিবী যে একের পাশে শূন্যের খেলা। এক আছে তাই শূন্যের মূল্য। এক নেই, তো সবাই মহাশূন্য।’
‘এই দৃপ্তভঙ্গি আপনি কোথায় পেলেন?’
‘আমি যে দাসের দাস নই বাবা। আমার যে কোনো প্রভু নেই। যে জগৎ বলে, হাত ঘোরালে নাড়ু পাবে, নইলে নাড়ু কোথায় পাবে, আমি তো সেই কার্যকারণের জগতে বাস করি না। আমার চোখে রাজাও নেই ভিখারিও নেই। সব সমান। আমি সিন্নি দেখে এগোই না, কোঁতকা দেখে পেছই না।’
‘আমরা তাহলে কেন এইভাবে জালে জড়িয়ে পড়ে আজীবন গোবেড়েন খাই।’
‘সংস্কার, প্রারব্ধ। সীতা কি জানতেন না সোনার হরিণ হয় না। রামচন্দ্রও কি জানতেন না। জানতেন। তবু ছুটেছিলেন সেই মায়ার পিছনে।’
‘মহারাজ কী করলে কী হয়! আর কি কিছু করার আছে? না এই ভবরোগ দুরারোগ্য?’
‘শোন হে ক্ষত—বিক্ষত সংসারী, তোমরা সব শুনেছ, একটা শব্দ কি শুনেছ, কৃপা! কার কৃপা? জানো কি তিনি কে? হুঁহুঁ, হুঁহুঁ করেই তো সারা জীবন গেল। একবার তুঁহুঁ, তুঁহুঁ করে দেখই না। হলেও তো হতে পারে। পেলেও তো পেতে পার। বিশ্বাস কাকে বলে জানো? তা হলে একটা কৃপার গল্প শোনো—দুটি পাখির গল্প। দুটো পাখি ডিম পেড়েছিল সমুদ্রের বেলাভূমিতে। ডিম সেখানেই রেখে তারা খাদ্যের সন্ধানে বেরুল। ফিরে এসে দেখে, সেই ফাঁকে সমুদ্রের ঢেউ এসে ডিমদুটিকে ভাসিয়ে নিয়ে গেছে। সমুদ্রের কাণ্ড দেখে পাখি দুটির ভীষণ রাগ হল। তারা ঠিক করলে সমুদ্রের জল শুষে ফেলে ডিমদুটি ফিরিয়ে আনবে। যেমন সংকল্প তেমন কাজ। ঠোঁটে করে জল এনে বালির ওপর ফেলতে লাগল। দিনরাত একইভাবে এই কাজ চলল। সমুদ্রের দেবতা কাণ্ড দেখে অবাক হয়ে কাছে এসে জিজ্ঞেস করলেন, ‘কী করছ তোমরা?’ পাখিদুটি বরুণদেবকে বলল, ‘সমুদ্র আমাদের ডিম ভাসিয়ে নিয়ে গেছে। আমরা আমাদের ডিমদুটো ফিরে পাবার জন্যে সমুদ্রকে শুকিয়ে দেবার চেষ্টা করছি।’ দেবতা বরুণ তাদের অধ্যবসায় আর সংকল্পের দৃঢ়তা দেখে ডিমদুটি ফিরিয়ে দিলেন। সুখ আর শান্তির জন্যে তুমি সংসার—সমুদ্র ছেঁচতে পারবে? পারবে সেই পথে চলতে যে পথে কোনো সঙ্গী নেই। আছে তোমার সেই মনের জোর?’
‘আজ্ঞে না। যা নেই বলেই মনে হয়, তাকে বিশ্বাস করে সব ছাড়ি কেমনে? আমরা যেসব দুই আর দুয়ে চারের জগতের মানুষ। আমরা কৃপা বলতে বুঝি বড় মানুষের কৃপা। বুঝি ভাগ্যের কৃপা। বুঝি আইনের কৃপা। বুঝি প্রকৃতির কৃপা। তাঁর কৃপা? তিনি কে?’
‘তাহলে উত্তর দাও, স্ত্রীকে বিশ্বাস করে কী পেলে?’
‘সন্তান।’
‘সন্তানকে বিশ্বাস করে কী পেলে?’
‘বেদনা।’
‘বন্ধুকে বিশ্বাস করে কী পেলে?’
‘ছলনা।’
‘সুসময়কে বিশ্বাস করে কী পেলে?’
‘দুঃসময়।’
‘শরীরকে বিশ্বাস করে কী পেলে?’
‘ব্যাধি।’
‘তোমরা যাকে বিশ্বাস করো না তাঁকে বিশ্বাস করে আমি কী পেয়েছি দ্যাখো। দুর্বলের সংসার। সবলের সন্ন্যাস। মন যখন হেলতে চায়, তখন তাকে শোনাই,
অহং দেবো চান্যোহস্মি ব্রহ্মৈবাহং ন
শোকভাক।
সচ্চিদানন্দরূপোহহং নিত্যমুক্ত—স্ব ভাববান।।
—আমি দেবতা, আমি অন্য কিছু নই, আমি
সাক্ষাৎ ব্রহ্মস্বরূপ—কোনো শোক আমাকে স্পর্শ
করে না। আমি সচ্চিদানন্দস্বরূপ—
নিত্যমুক্ত—স্বভাববান। ওঁ তৎসৎ।’
ওঁ তৎসৎ।’