আঁধারে গোপন খেলা – ১২

১২

ছুটছে অ্যালান, ছুটছে৷ এ ছুটে চলার যেন কোনো বিরাম নেই৷ নিজের মনের আনন্দে সে ছুটে চলেছে৷ পথের দুপাশে কত অচেনা প্রান্তর, সোনালি গমের খেত, শান্ত পল্লিগ্রাম, তার মধ্যে দিয়ে সে নিজের মনের আনন্দে ছুটছে৷ ঠিক যেমন ডরমেটের শেরবর্ন স্কুলে যাবার জন্য সে ছুটছিল৷ আনন্দে ঘেরা জীবনের এক ম্যারাথন রেস৷ হঠাৎই একটা রাস্তার মোড়ে অ্যালান দেখতে পেল অন্যদিকের একটা রাস্তায় একদল ছেলেকে৷ অ্যালান চিনতে পারল তাদের৷ শেরবর্ন স্কুলের সেই শয়তান ছেলেগুলো!—মার্টিন, হ্যারি, গুচ, পিটার, জন্টি….৷ তাকেও চিনতে পারল ছেলের দল৷ মার্টিন চিৎকার করে উঠল—‘ধর! ধর! ওর পোশাক খুলে ফেল!’ ছেলের দল সঙ্গে সঙ্গে ছুটল তাকে ধরার জন্য৷ অ্যালানও সঙ্গে সঙ্গে আরও জোরে ছুটতে শুরু করল তাদের হাত থেকে বাঁচার জন্য৷ কিছুটা ছোটার পর প্রথমে তার চোখে পড়ল ‘সেন্ট মাইকেলস স্কুল’৷ অ্যালানের জীবনের প্রথম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান৷ ছ-বছর বয়সে এই ইস্কুলেই গণিতের প্রথম পাঠ পেয়েছিল সে৷ স্কুলের প্রবেশতোরণের মুখে দাঁড়িয়ে আছেন এক ভদ্রমহিলা৷ অ্যালান চিনতে পারল তাঁকে৷ মিস মার্গারেট, প্রধান শিক্ষিকা৷ অ্যালানকেও নিশ্চয়ই তিনি চিনতে পারবেন৷ ছেলেগুলোর হাত থেকে বাঁচার জন্য অ্যালান স্কুল গেটে উপস্থিত হল৷ কিন্তু তাকে দেখেই মার্গারেট বললেন, ‘অ্যালান তুমি এখন অনেক বড় হয়ে গেছ৷ এখন আর তোমাকে ভিতরে ঢুকতে দেওয়া যাবে না৷’—এ কথা বলে অ্যালানের মুখের ওপর গেট বন্ধ করে দিলেন মার্গারেট৷ তা দেখে ছেলেদের উল্লাসধ্বনি ভেসে এল পিছন থেকে৷ আবার ছুটতে শুরু করল অ্যালান৷ এবার তার চোখে পড়ল সাদা প্রাচীর ঘেরা কিংস কলেজ৷ ভিতরে ঢুকতে পারলেই অ্যালান নিশ্চিন্ত৷ এই কলেজের এযাবৎকালের সেরা ছাত্র অ্যালান৷ কিন্তু গেটের কাছে পৌঁছোতেই কে যেন বলে উঠল, ‘এখানে আর তোমাকে অঙ্ক শেখাবার কেউ নেই৷’ তারপর কিংস কলেজের গেটটাও বন্ধ হয়ে গেল! আবারও হিংস্র উল্লাসধ্বনি ভেসে এল পিছন থেকে৷ অ্যালানের তা শুনে মনে হল, ছেলেদের দলটা যেন আরও পুরু হয়েছে! আরও অনেকে তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে অ্যালানকে ধরার জন্য৷ খরগোশকে ধরার জন্য নেকড়ের পাল যেমন পিছু ধাওয়া করে, তেমনই৷ বাঁচার জন্য কিংস কলেজের গেট ছেড়ে আবারও ছুটতে শুরু করল অ্যালান৷ দূর থেকে অ্যালান এরপর দেখতে পেল ব্লেচলি পার্কের সাইফার স্কুল৷ ওর ভিতরে একবার ঢুকে যেতে পারলে যারা তার পিছু ধাওয়া করছে তারা কিছুই করতে পারবে না৷ প্রাচীরের ওপর কাঁটাতার ঘেরা সাইফার স্কুল৷ প্রবেশতোরণে আগ্নেয়াস্ত্র হাতে পাহারা দেয় সামরিক বাহিনীর লোকেরা৷ বাইরের লোক দূরের কথা, অ্যালান আর তার সহকর্মীরা ছাড়া মাছিও প্রবেশ করতে পারে না সেখানে৷ অ্যালানের মনে ভরসা জেগে উঠল এবার৷ গতি আরও বাড়িয়ে ছুটতে শুরু করল সাইফার স্কুলের দিকে৷ গেটের কাছে পৌঁছেই সামরিক পোশাক পরা একটা লোককে দেখতে পেল অ্যালান৷ আরে এ যে জেনারেল মন্টগোমারি! অ্যালান তাঁকে বলল, ‘আমাকে তাড়াতাড়ি ভিতরে ঢুকতে দিন৷ ওরা পিছনে আসছে!’ জেনারেল ভরাট গলায় প্রশ্ন করলেন, ‘কে তুমি?’

অ্যালান বলল, ‘আপনি চিনতে পারছেন না আমাকে? আমি অ্যালান টিউরিং, গণিতবিদ, ক্রিপ্টোবিশেষজ্ঞ৷ এনিগমা কোড উদ্ধার করেছিলাম আমি৷ থামিয়ে দিয়েছিলাম বিশ্বযুদ্ধ৷ অর্ডার অব দা ব্রিটিশ এম্পায়ার খেতাব পেয়েছিলাম৷’ অ্যালানের কথা শুনে জেনারেল বললেন, ‘না, তোমাকে আমরা চিনি না৷ আর চিনলেও, যুদ্ধ এখন শেষ৷ তোমাকে আমাদের এখন প্রয়োজন নেই৷’—এ কথা বলার পর জেনারেল যেন ভোজবাজির মতো মিলিয়ে গেলেন অ্যালানের চোখের সামনে থেকে৷ তাকে তাড়া করে আসা দলটা এবার অনেকটা কাছে এসে পড়েছে৷ অ্যালান তাদের দিকে তাকিয়ে দেখল শুধু সেই ছেলেরা নয়, তাদের সঙ্গে সামিল হয়েছে আরও অনেকে! শেরবর্ন স্কুলের সেই টাক মাথা পরকলা পরা হেডমাস্টার, কোর্টরুমের সেই সরকারি উকিল, ম্যানচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের যে সহকর্মীরা তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছিলেন তাঁরা, সিরিঞ্জ হাতে ডাক্তার, লুসি নামের সেই বেশ্যা, এমনকি অ্যালানের পরিচারকও সামিল সেই দলে! প্রচণ্ড আক্রোশে তারা নানারকম চিৎকার করছে অ্যালানের প্রতি৷ হেডমাস্টার বলছেন, ‘অ্যালান, তুমি ‘আসল বিষয়’-এ শিক্ষিত হতে পারোনি৷’ সরকারি উকিল চেঁচাচ্ছেন, ‘এই সেই অ্যালান৷ সমকামী, পৃথিবীর ঘৃণ্যতম মানুষ!’ বেশ্যা লুসি তার উন্মুক্ত স্তন নাচিয়ে ছুটতে ছুটতে বলছে, ‘ম্যাড সোয়াইন!’ ডাক্তার বলছে, ‘ওকে ধরো, ইনজেকশন দেব৷’ আর ছেলের দল চেঁচাচ্ছে, ‘ওর প্যান্ট খুলে নাও, প্যান্ট খুলে নাও’ বলে!—এই হিংস্র বাহিনীকে দেখে আবার ছুটতে শুরু করল অ্যালান৷ কিন্তু একসময় দম ফুরিয়ে এল তার৷ হূৎপিণ্ড যেন ছিটকে বেরিয়ে আসতে চাইছে৷ হাঁফাতে লাগল অ্যালান, ছোটার গতি শ্লথ হয়ে এল৷ দলটা একদম কাছে চলে এসেছে অ্যালানের৷ তাদের জান্তব উল্লাসে কানে তালা ধরে যাচ্ছে৷ নেকড়েরা বুঝতে পেরেছে শিকার এবার তাদের হাতের মুঠোতে চলে এসেছে৷ মাটিতে পড়ে যাবে অ্যালান৷ তারপর তারা অ্যালানের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে তার পোশাক খুলে নেবে, আঁচড়ে-কামড়ে শেষ করে দেবে অ্যালানকে৷ অ্যালানও বুঝতে পারল তার আর বাঁচার পথ নেই৷ পা ভারী হয়ে এল তার৷ সামনে একটা গাছ৷ হয়তো বা অ্যালান এবার মাটিতে পড়ে যাচ্ছিল, কিন্তু হঠাৎ একটা কণ্ঠস্বর শুনতে পেল অ্যালান—‘তোমার কোনো ভয় নেই৷ এই তো আমি এসেছি৷’

অ্যালান সামনে তাকিয়ে দেখল তার সামনের গাছটার নীচে অ্যালানের উদ্দেশে দু-বাহু প্রসারিত করে দাঁড়িয়ে আছে ক্রিস্টোফার মরকম! তার চিরজীবনের বন্ধু মরকম! সে হাত বাড়িয়ে আছে অ্যালানকে বুকে টেনে নেবার জন্য৷ মরকম আবারও বলল, ‘আমি এসেছি অ্যালান৷ আমার কাছে এসো…৷’ সঙ্গে সঙ্গে পিছনের সব চিৎকার যেন মিলিয়ে গেল! অ্যালান বলল, ‘আমি আসছি মরকম৷’

‘আমি আসছি মরকম’—এ কথাটা বিড়বিড় করে বলতে বলতেই বিছানাতে উঠে বসলেন অ্যালান৷ স্বপ্নটা তখনও তাঁর চোখে লেগে আছে৷ ঈষৎ তন্দ্রাচ্ছন্ন অবস্থায় অ্যালানের কানে এখনও বাজছে মরকমের কণ্ঠস্বর, ‘আমি এসেছি অ্যালান, আমার কাছে এসো…৷’ স্বপ্নের রেশটা কাটিয়ে উঠতে আরও বেশ কিছুটা সময় লাগল অ্যালানের৷ ঘড়িতে পাঁচটার ঘণ্টা বাজল৷ অবসন্ন শরীরটাকে নিয়ে বিছানা ছেড়ে নামলেন অ্যালান৷ ওয়াশরুমে গিয়ে মুখে-ঘাড়ে জল দিয়ে মৃদু আরামবোধ করলেন তিনি৷ যদিও মাথার ঝিমধরা ভাবটা এখনও রয়েছে৷ ওয়াশরুম থেকে বেরিয়ে জানলার কাছে গিয়ে দাঁড়ালেন অ্যালান৷ বিকেল হয়েছে৷ অন্ধকার নামতে এখনও অনেক দেরি থাকলেও প্রকৃতির নিয়ম মেনে পাখিরা দিনের শেষ উড়ান শুরু করেছে আকাশে৷ ঘরে ফিরছে তারা৷ মিলিয়ে যাচ্ছে আকাশ যেখানে পৃথিবীর সঙ্গে মিশেছে সেই দিকচক্রবালের দিকে৷ সেদিকে তাকিয়ে অ্যালানের মনে হল, সত্যি কি ওই পৃথিবী আর আকাশের সংযোগস্থলে কোথাও তাঁর জন্য আজও দু-বাহু প্রসারিত করে দাঁড়িয়ে আছে মরকম?

জানলার গরাদ ধরে দাঁড়িয়ে ছিলেন অ্যালান৷ একটা গাড়ি এসে থামল বাড়ির সামনে৷ গাড়িটা দেখেই অ্যালান অনুমান করলেন সেটা সরকারি গাড়ি৷ গেটম্যান দরজা খুলে দিল৷ একটা লোক প্রবেশ করল কম্পাউন্ডের ভিতর৷ মিনিটখানেকের মধ্যেই অ্যালানের দরজাতে টোকা পড়ল৷ দরজা খুলতেই পরিচারক জানাল, লন্ডন থেকে একজন সরকারি আধিকারিক এসেছেন অ্যালানের নামে একটা চিঠি নিয়ে৷

‘চিঠি!’ শব্দটা শুনেই মুহূর্তের মধ্যে সব বিষণ্ণতা কেটে গেল৷ নিশ্চয়ই সেই চিঠিটাই এসেছে! অ্যালান আবার নতুন করে শুরু করতে পারবেন তাঁর জীবন, তাঁর গবেষণা৷ অ্যালান কোনোরকমে স্লিপারে পা গলিয়ে পরিচারকের পিছন পিছনই গিয়ে উপস্থিত হলেন ড্রইংরুমে৷ সোফায় নির্লিপ্তভাবে একটা ফাইল কোলে নিয়ে বসেছিলেন সেই বার্তাবাহক ভদ্রলোক৷ অ্যালান উৎসাহিত ভাবে তাঁকে বললেন, ‘আপনি লন্ডন থেকে সরকারি চিঠি নিয়ে এসেছেন?’

লোকটি তাঁর দিকে তাকিয়ে বললেন, ‘হ্যাঁ৷ আপনি মিস্টার অ্যালান টিউরিং? হোম ডিপার্টমেন্ট থেকে একটা চিঠি আছে আপনার নামে৷ স্বাক্ষর করে নিতে হবে৷’

অ্যালান বললেন, ‘হ্যাঁ, আমিই অ্যালান৷ চিঠিটা দিন৷’

ফাইল খুলে সরকারি মোহর লাগানো মুখবন্ধ একটা নীল খাম আর প্রাপ্তি স্বীকার স্বাক্ষর করার কাগজ বার করলেন সরকারি আধিকারিক৷ কাগজটাতে অ্যালান স্বাক্ষর করার পর তিনি চিঠিটা তুলে দিলেন অ্যালানের হাতে৷ তারপর বাইরে বেরোবার জন্য পা বাড়ালেন অ্যালানের ধন্যবাদ জানানোর অপেক্ষা না করে৷ উত্তেজিত অ্যালানও চিঠিটা নিয়ে সে ঘর ছেড়ে এগোলেন তাঁর শয়নকক্ষের দিকে৷

সে ঘরে ফিরে প্রথমে দরজা বন্ধ করলেন অ্যালান৷ খাটের ওপর বসে কাঁপা কাঁপা হাতে অতি সাবধানে খামের মুখটা ছিঁড়লেন তিনি৷ চিঠির কাগজটা বার করে এনে সেটা খুলে তার দিকে তাকিয়ে রইলেন অ্যালান৷ ব্রিটিশ হোম ডিপার্টমেন্টের উচ্চপদস্থ এক আধিকারিকের স্বাক্ষরিত টাইপ করা একটা চিঠি৷ তাতে লেখা—

‘‘মিস্টার অ্যালান টিউরিং,

আপনার চিঠির প্রসঙ্গে আপনাকে জানানো যাচ্ছে যে ব্রিটিশ সরকার আপনার গবেষণা সংক্রান্ত আবেদন মঞ্জুর করছেন না৷ একই সঙ্গে আপনাকে এও জানানো হচ্ছে যে ব্রিটিশ সরকার আপনাকে সরকারি যাবতীয় কর্মকাণ্ড, গবেষণা ও যেসব প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন সেসব জায়গা থেকে বহিষ্কার করছেন এবং গৃহের বাইরে পা রাখার ক্ষেত্রে আজকের তারিখ থেকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করছেন৷’’

অ্যালান বেশ কিছুক্ষণ চেয়ে রইলেন লেখাটার দিকে৷ নিজের অজান্তেই যেন অ্যালানের হাত থেকে এরপর মেঝেতে খসে পড়ল চিঠিটা৷ আর তারপরই অ্যালান যেন শুনতে পেল মরকমের কণ্ঠস্বর—‘চলে এসো অ্যালান, চলে এসো আমার কাছে৷ আমরা দুজনে আবার আকাশ দেখব৷’ জানলার বাইরে ওই যে দূরে দিকচক্রবাল৷ সেখান থেকে যেন ভেসে আসছে মরকমের আহ্বান৷

অ্যালান সেই আহ্বানে সাড়া দিয়ে উঠে দাঁড়াতে যাচ্ছিলেন, ঠিক তখনই তাঁর চোখ পড়ল বিছানার ওপর পড়ে থাকা বাচ্চা ছেলেটার দেওয়া লাল টুকটুকে আপেলটার দিকে৷ অ্যালানকে দেওয়া এই পৃথিবীর শেষ ভালোবাসা৷ বাচ্চা ছেলেটার দেওয়া স্বার্থহীন নিষ্পাপ ভালোবাসা৷ ওই বাচ্চা ছেলেটাই হয়তো কোনো একদিন কোনো অ্যালান টিউরিং হবে৷ সারা পৃথিবীকে চমকে দেবে নতুন কোনো গবেষণায়, গণিতবিদ্যাতে৷ না, তার ভালোবাসাকে প্রত্যাখ্যান করা অ্যালানের উচিত হবে না৷—এ কথাটা ভেবে নিয়ে মরকমের কাছে যাবার আগে অ্যালান আপেলটা তুলে নিয়ে কামড় বসালেন তাতে৷ কী অপূর্ব তার স্বাদ! এ পৃথিবীর শেষ ভালোবাসার স্বাদ!

অ্যালান আবার শুনতে পেলেন মরকমের ডাক—‘চলে এসো অ্যালান…৷’

অ্যালান জবাব দিলেন, ‘এখনই আসছি আমি৷’

অ্যালান উঠে দাঁড়ালেন সেখানে যাবার জন্য৷ যেখানে মরকম দু-বাহু বাড়িয়ে অ্যালানের জন্য অপেক্ষা করে আছে, অ্যালানকে আকাশ দেখাবে বলে৷

পরিশিষ্ট : পরদিন অর্থাৎ ৮ জুন, ১৯৫৪, দরজা ভেঙে উদ্ধার করা হল অ্যালানের মৃতদেহ৷ তাঁর খাটে পড়ে ছিল একটা আধখাওয়া আপেল৷ ময়না তদন্তের রিপোর্টে অ্যালানের শরীরে পাওয়া যায় সায়ানাইড৷ বিষক্রিয়াতে মৃত্যু হয়েছে অ্যালানের৷ আত্মহত্যা করেছেন তিনি৷ তবে পরীক্ষাতে আপেলে কোনো সায়ানাইড মেলেনি৷ কয়েকটি ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড অবশ্য মৃদু প্রশ্ন তুলেছিল অ্যালানের মৃত্যুর ব্যাপার নিয়ে৷ অ্যালান যেসব গবেষণাতে লিপ্ত ছিলেন, তার সঙ্গে সায়ানাইডের সম্পর্ক ছিল না! সায়ানাইড তো সহজে পাওয়া যায় না৷ ব্রিটিশ সরকারের তীক্ষ্ণ নজরদারির মধ্যে সায়ানাইড অ্যালানের হাতে পৌঁছোল কীভাবে? নাকি তাঁর মৃত্যুর পিছনে লুকিয়ে আছে অন্য কোনো রহস্য?

সমাপ্ত

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *