1 of 2

অশ্বচরিত – ১৮

আঠারো

এরপর কী হলো? না, পাণ্ডবকুমার আবার গেল বালেশ্বর। সুভদ্রাকে রেখে গেল ভিটেয়। আর সুভদ্রা ঘর থেকে বেরিয়ে সমস্ত রাত জঙ্গলে লুকিয়ে থাকল। বুনো ঝোপঝাড়ের মধ্যে বসে থাকল। সে গন্ধ পেয়েছিল। তার মন সন্ধে থেকে কু- ডাকছিল। সে টের পাচ্ছিল পাণ্ডবকুমার তাকে ত্যাগ করেছে। ঘর থেকে বের করে দেয়নি বটে, কিন্তু পাণ্ডবকুমার তাকে মনে মনে সরিয়ে দিয়েছে মন থেকে

সেই রাতে টর্চের আলো তার উঠোনে পড়েছিল। আলো তাকে ভিটের আনাচে কানাচে খুঁজেছিল। না পেয়ে চলে গিয়েছিল নিঃশব্দে। পরদিন সকালে পাণ্ডবকুমার ফিরলে সে শোরগোল তুলল, তুমি নাই, তারা আসছিল।

পাণ্ডবকুমার বলেছিল, সুভদরা, মু ফির বিয়া কইরব।

আতঙ্কে হিম হয়ে গিয়েছিল সুভদ্রা, কী কহ?

হাঁ তু লষ্ট হইছিস, ইজ্জত নাই তা কহিছিস এক হাট লকের সুমুখে।

কী হ তুমি?

ঠিকই কহি, মু বালেশ্বর যাই কেনে, যাই উয়ার নিকট।

সে কে?

তুর সতীন, তুই যা, যেখেনে পারিস যা, তুর সরম নাই।

সুভদ্রা রোখ ছেড়ে কেঁদে উঠেছিল, কী কহ তুমি, মোর সরম লুটল যে শয়তান, তারে ভিটায় লিয়ে আসো!

পাণ্ডবকুমার দাঁত ঘষছিল, দাঁতে দাঁতে শান দিচ্ছিল, ধারালো করছিল দাঁত ক’টি, বলেছিল, তু মোর ইজ্জত নিকেশ করি দিলি, লকে মুরে দুষছে, মু তুরে শাসন করি নাই, লকে তাই বইলছে, তুর ইজ্জত নিল কি নিল না, তু দশজনারে সি কথা কহি দিলি। কুন মেয়্যামানুষ পারে? তুই পারলি আর পারত বাজারের রেণ্ডি মাগি।

সুভদ্রা মাটিতে মাথা ঠুকেছিল, ইসব কী কহ, মু তুমার বিয়া করা মাগ লই?

বিয়া করা মাগ বলেই তো কহি, তু কী করে লটরপটর করলি অন্য পুরুষমানুষের সঙ্গে, সি কথা আবার শুনাস!

সুভদ্রা বুঝতে পেরেছিল তার কপাল ভেঙেছে। আর সেই রাতেই তাকে ধরেছিল ঠিকাদারের লোক। ভিটের ভিতরেই। পাণ্ডবকুমার সন্ধের আগে বেরিয়ে গিয়েছিল। সমস্ত রাত ফেরেনি। সুভদ্রা সেই রাতেই ছুটেছিল মহাপাত্রপুর। তারপর শোরগোল উঠল। পাণ্ডবকুমার বিপক্ষে বলেছিল আবার। কিন্তু তার কথা টেকেনি। ঠিকাদারের লোক ধরা পড়েছিল আবার ছাড়াও পেয়েছিল প্রমাণাভাবে।

রামচন্দ্র বলে, তিন তিনবার ধরিছিলা উহারে।

আবার? ভানু কাঁপছিল রাগে।

হাঁ, তবে শেষবার পুলুশে, থানায়।

তারপর?

পুলুশ কহিছিলা যদি ফের শোরগোল তুলে সুভদরা, আবার উহারে নষ্ট করিবে, তখুন সুভদরা চুপ করি রহিলা।

পাট্টি, যারা লড়ছিলা?

তারা তো চেষ্টা করিলা, কিন্তু কী করিবে, পুলুশ উহার বিপক্ষে, কালেক্টর সাহাব দুইবার আসিলা, কিন্তু পাণ্ডবকুমার উহার বিয়া করা মেয়্যাছেলার বিপক্ষে কথা কহিলা।

আশ্চর্য!

শুনা যায় পাণ্ডবকুমার উহারে বিকে দিইছিলা।

কী বলিস! ভানু আহত হয়।

হাঁ, তাই-ই বটে।

এখন?

এখন আর কী, ইখানে রহিছে, অনাথিনী, আশরয় লিইছে কাছারিতে।

বাবু তো জানে না।

না, জানে না।

বাবু জানবে না?

কী কহ তুমি ভানুবাবু?

ভানু জিজ্ঞেস করে, পাণ্ডবকুমার কোথায়?

বালেশ্বরে।

উহার জমিন?

জমিন থিকে খেদাই দিছে, টঙ্কা নাকি সবটা পায়নি।

কেনে, ঠিকাদার তো উহার পক্ষে ছিল।

উসব মোর শুনা কথা, বালেশ্বরে এক দুকানে কাম করে।

সে আসে না?

না।

সে কি সুভদ্রাকে ভালোবাসত না? কথাটা জিজ্ঞেস করে ভানু বুঝল কেমন কেমন হয়ে গেল। ভালোবাসত যদি বিক্রি করে দিত? ভালোবাসত কি না তা জানে সুভদ্রা। কে তাকে ও কথা জিজ্ঞেস করবে? লাভ কী?

ভানু অন্ধকারে তাকিয়ে ছিল। আজ সমস্তটা দিন বৃষ্টিতে বৃষ্টিতে কাটল দাওয়ায় বসে। এখনও ঝিরঝির জল ঝরেই যাচ্ছে। ভানুর কাছে পরামর্শ চায় রামচন্দ্র। যদি কাছারি উঠে যায় আবার আশ্রয় হারাবে সুভদ্রা। যতবার সে আঁকড়ে ধরতে চাইছে মাটি, মাটি তাকে ঠেলে দিচ্ছে। শিকড় উপড়ে দিচ্ছে!

ভানু বলল, মানুষে শিকড় কেটে দিইছে, কী করে থাকবে সুভদ্রা?

রামচন্দ্র বলে, ভানুবাবু, মোর যে বড় মায়া পড়ি গিইছে।

বাবুকে বলি?

না, না, বাবু কহিছিলা বিয়াশাদি যা হোক ব্যবস্থা কইরবে বাবু, বাবু মোরে বারবার কহিছিলা কাছারিতে মেয়্যামানুষ না তুলতে।

বাবু তো নিয়ে আসে।

আসে। বলল, রামচন্দ্র দুবচ্ছর আগে হাসপাতালের নার্স দিদিমণিরে লিয়া আসিছিলা, ধান কাটাইয়ের টায়েমে।

ভানু বলল, সুভদ্রাকে ডাক দেখি।

সুভদ্রা হারিকেন লণ্ঠন নিয়ে এলো। বসল একটু তফাতে। ভানু তাকে দেখল। অন্ধকারের স্তূপ। ভানু তাকে ডাকল, কিন্তু কী কথা বলবে? সে তাকিয়ে আছে দূর অন্ধকার দিগন্তে। আকাশটা আলো হয়ে আছে। ভানু দেখল, আচমকা আকাশে আলোর পরিমাণ বেড়ে গিয়ে আগুন যেন ফেটে গেল। এত দূরে বসে শব্দ কানে আসে আবছা। আকাশ ঝলসে গেল, মেঘ পুড়ে গেল।

সুভদ্রা চাপা গলায় ডাকে রামচন্দ্রকে, উ নায়েব।

রামচন্দ্র ঘুরে তাকায়। সুভদ্রা বলে, ভানুবাবু যে কাজে এলা, তা হলোনি?

ভানু ফিরল, কী কাজ?

তুমার অশ্বটি খুঁজতে গেলেনি?

যাব কী করে, তুমি তো আটকাই দিলে সুভদ্রা।

সুভদ্রা বলল, দে-পাল যাবা কহিছিলা তাই মু কহিলা না যাতি, দে-পাল, মহাপাতরপুর তো নি নিইছে গরমিন, বন্দুকঅলা ঘুরিছে সবু সময়

ভানু বলল, অশ্বটি যদি উদিক গিয়া থাকে?

খপর মিলছে?

ভানু জবাব দেয় না। ভানু ভাবছিল তার কথাটা সত্য হলেও তো হতে পারে। চোদ্দবেড়িয়া থেকে ঘুরতে ঘুরতে, সমুদ্র দেখতে দেখতে পক্ষিরাজ চলে আসতে পারে এদিকে। আসতেই পারে। অন্ধকার আকাশ আলো হয়ে গেছে। রাতটা আলো হয়ে থাকে এই দিগন্তে, আকাশে আগুনের ফুলকি ওড়ে। দূর থেকে দেখতে দেখতে আরও কাছে গিয়ে দেখার সাধ জাগতে পারে তো পক্ষিরাজের মনে। যে যেমন ভাবে দেখে, যে যেমনভাবে নেয়। এই যে রামচন্দ্র বলছে, দে-পাল, মহাপাত্রপুর রক্ষা সমিতি যেমন হয়েছিল, তেমন হয়েছিল তার বিপক্ষ দলও। তারা বলছিল সরকারের কাজে সবসময় সাহায্য করা উচিত। তার জন্য ত্যাগ করা উচিত। ত্যাগ করলে শেষ পর্যন্ত মানুষেরই ভালো হয়। সরকার ক্ষতিপূরণ দেন, বিনি মাগনায় তো দেন না। তারা এখনও বলে যাচ্ছে দে-পাল, মহাপাত্রপুরের আকাশ দেখলে প্রাণ ভরে যায়, অন্ধকার আকাশটাকে আলো করে দিয়েছে প্রকল্প।

সুভদ্রা জিজ্ঞেস করল, একটা কথা মনে জাগে ভানুবাবু।

কী কথা?

গরমেন কি মানুষের জন্যিই সবু করে?

ভানু অবাক হয়, ই কথা কেনে?

ইত জমিন, চাষবাস, তরমুজ, পান, ধান, নারকেল সবু তো চলি গেলা, মানুষের কুছুই থাকলনি, গরমেন তো জানে সবু।

জানে তো ঠিক।

তবে কেনে নেয়?

গরমেনের দরকার।

ইহাতে কি মানুষের ভালো হবে? সুভদ্রা দূর আকাশের দিকে তর্জনী তোলে, আকাশ-পুড়া ওই যে আলো, উ আলো কি মানুষের ভালোর জন্যি?

ভানু বলে, এ কথা জিজ্ঞেস কর কেনে?

মনে জাগে, রাতভর ঘুম আসে না ভানুবাবু, কী হিলা, কেনে হিলা, কুছুই মাথায় থাকেনি, আকাশ-পুড়ানো আগুন, ওই জন্য কত সংসার ভাসি গিলা ভানুবাবু।

ভানু বলল, তুমি কি জানো উটা মোদের দেশের কাজ হইছে?

কী দেশ?

এই দেশ, ইনডিয়া কহে, ভারত। ভানুর পরিবর্তে রামচন্দ্র জবাব দেয়।

ভারত কী?

ভারত মোদের দেশ। আবার জবাব দিল রামচন্দ্র, তুমি ইটা কি জানো না সুভদ্রা, মোরা ভারত দেশে অছি?

মোরা তো ভীমাপুরে আছি। সুভদ্রা বলে।

ভীমাপুর ভারতের মধ্যে। বলল ভানু। দে-পাল, মহাপাতরপুর?

ভারতের ভিতরে। বলল নায়েব।

ভারত কত বড়?

অনেক। রামচন্দ্র দুহাত বাড়িয়ে দেখাল। অন্ধকারের ভিতর তার দুই হাত মিশে গেল।

সবু যদি ভারতের ভিতরে হয়, দে-পাল লিয়ে গরমেন মোদের সব্বনাশ করলে কেনে?

রামচন্দ্র বলে, গরমেনের পোকল্প তো ইহা।

পোকল্প কী?

রামচন্দ্র বলে, আকাশে রকেট উড়ে, সেই রকেট ইখেন থেকে আকাশে উঠে।

সুভদ্রা বলে, রকেট না উড়ালে কী হতো?

ভানু বলে, সরকার চায় তাই উড়ে।

কেনে উড়ে, কিছুই ধরা যায় না?

ভানু বলল, সে বড় কঠিন ব্যাপার সুভদ্রা, শত্রুরে জব্দ করতে রকেট আকাশে উড়ে, উসব মিলিটারির বেপার।

মোদের সব গেল, মোরা তো ভারতের লক।

তা তো বটে। ভানু সমর্থন করে।

ভারতের লক, তবু মোদের ধান, পান, সব লিয়ে মোদের উচ্ছেদ করি দিলা।

ভানু বলল, ইরকম হয়।

কী হয়?

মানষের জমি নেয় গরমেন।

কেনে নেয়? সুভদ্রা আচমকা চিৎকার করে ওঠে, কেনে নেয় কহ দেখি ভানুবাবু, আকাশ-পুড়ানোয় মোদের কী লাভ?

ভানু আত্মরক্ষা করতে পারে না। সত্যি কেন নেয় সরকার? কী হয় এতে? ভানুর মনে হয় নিজে যেন সরকারের পক্ষে কথা বলছিল। পক্ষে তো কথা আছে। ওই রকেটে করে সরকার বোমা পাঠাবে শত্রুর দেশে। শত্রুর দেশ কোনটা? পাকিস্তান হবে। চীন হবে। ভারত ছাড়া সবই ভারতের শত্রু। তার মানে ভারতের লোক ছাড়া সবাই ভারতের লোকের শত্রু। তাই বা কী করে হয়? ভারতের লোকের ভিতরেই কত শত্রুতা, কত শয়তানি! এই যে বসে আছে সুভদ্রা, একে নষ্ট করেছে কে? ধ্বংস করেছে কে? ঠিকাদারের লোক। সে কি অন্য দেশের লোক?

সুভদ্রা বলে, কহ ভানুবাবু, ভারতের লক মোরা, তবু কেনে মোদের সব্বনাশ হয়, তার কুনো বিচার হিলানি!

ভানু বলল, আমি কিছুই বুঝতে পারছিনে সুভদ্রা।

তবে যে তুমি কহ সরকারের দরকার তাই নিইছে?

দরকার তো বটে, না হলে নেবে কেন?

সুভদ্রা বলল, মোর মনে হয়, মোরে শেষ করিবার জন্যি জমিন নিল গরমেন, ঠিকাদারের লকের কুছুই হলোনি।

কী কহ তুমি? রামচন্দ্র বলে ওঠে।

যা কহি ঠিকই কহি, মোর সবু শেষ করি দিইছে ভানুবাবু, মোর আর কুছুই নাই, হা ভগবান!

ভানু বলল, কাঁদো কেনে, এতকাল বাদে কেঁদে কী হবে?

কান্না যে ফুরায় না ভানুবাবু!

ভানু বিড়বিড় করে, যে কাঁদে তার কান্না ফুরায় না।

কী কহ, মু তো কান্দি নাই পেখমে।

তবে কান্নার কথা বলো কেনে?

ভানুবাবু, শুধু মনে হয় মোর সব্বোনাশ করার লেগ্যে গরমেন এত জমিন নিল।

ভানু বলে, তা কেনে হিবে?

হিবে, তাই হিবে ভানুবাবু, উহারা রকেট উঠাবে তো মোর সংসার ভাসিবে, সংসার তো ভাসিলা মোর, মোর তো ইজ্জত গিলা, গিলা, বারবার গিলা, কেহ কুছুই করিবার পারেনি, মোর সব গিলা ভানুবাবু, কী আর কহিব?

ভানু চুপ করে থাকে। সুভদ্রা বলে যায় তার কথা। ঝিরঝির বৃষ্টির মতো অন্ধকারে সুভদ্রার কথাগুলো ঝরে যায়, ঝরে পড়ে। সুভদ্রা বলে, কী দেখতে যাচ্ছিলে ভানুবাবু দে-পালে? দে-পাল, মহাপাত্রপুর এখন ধু ধু। সব গাছপালা, নারকেল সারি, সুপুরির বন, তালবন কেটে ফেলেছে সরকার। একটা গাছও নাই। এমনকি কতকালের বুড়ো একটা বটগাছ ছিল তাও কেটে ফেলেছে সরকার। তরমুজ খেত নাই, পানবরজ নাই, বুনো ঘাসের জঙ্গল নাই, পুকুর নাই, ডোবা নাই, গ্রামদেবতির থান নাই, শিবমন্দির নাই, কিছুই নাই। পায়ের তলায় মাটিও নেই।

নাই তো কী আছে?

আছে ছাই।

ছাই মানে?

ছাই হিলা ছাই, কয়লাপুড়া ছাই, কাঠপুড়া ছাই, বনপুড়া ছাই, গিহপুড়া ছাই, পানবরজ, তরমুজ খেত, ধানখেতপুড়া ছাই, মানুষপুড়া ছাই, সাগরপুড়া ছাই, বালি, সাগর, সব পুড়ে ছাই হুঁই গিছে গো।

কী বলো?

ঠিকই কহি ভানুবাবু, কুছুই নাই, বাতাসও গরম, মাটি ছাই, আকাশে দিনভর, রাতভর আগুন উড়ছে, ইসব করার জন্যি যেন গরমেন মোর সব্বনাশ করল।

ভানু বলল, তুমি সত্যি কহিছ?

সত্যই কঁহিছি, তুমিই যাও ভানুবাবু, সাগর আর সাগর নাই, সাগরের নীল যেন পুড়ি গিঁইছে, পুড়িছে সবু সময়।

ভানু জ্বলন্ত আকাশ দেখতে পাচ্ছিল দূর থেকে, বলল, কী করি আমি?

কী করিবে?

অশ্ব যদি যায়!

মাথা নাড়ে সুভদ্রা, জানোয়ারে টের পায় সব, যাবেনি, শুধু মানুষই কুছু বুঝেনি, কত লকে কহিছে যা হইছে ভালোর তরে হইছে, দেশের কাজ হইছে বড়।

ভানু বলল, তা ঠিক।

দেশের কাজটা কী ভানুবাবু, মোরে নষ্ট করা?

ভানু অন্ধকারের কণ্ঠস্বর শুনল। কণ্ঠস্বরটা তাকে ঘিরে ধরছিল। ভানু শুনছিল, শুধু ছাই আর ছাই। শুধু আগুন, আর আগুন। বাতাসও আগুন, চাঁদের আলোও আগুন, সাগরের জলও আগুন, জলে ছাই, ছাই-গোলা জল, ভানুবাবু হে, এই জন্যি দে-পাল, মহাপাতরপুর নিল?

ভানু বিড়বিড় করে, আমি কী জানি।

তুমি যদি মেয়্যামানুষ হিতে সর্ব অঙ্গ দিখে নিতে ভানুবাবু, কী আমারে করিছে গরমেনে, নায়েব জানে, নায়েব ভালো জানে।

ভানু দেখল আকাশ ঝলসে যাচ্ছে দিগন্তে।

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *