অয়স্কান্তের অন্তিম ইতিহাস
(অয়স্কান্ত রুদ্রের কুয়াশাচ্ছন্ন অপমৃত্যুর সম্ভাব্য সমাধান কেউই করতে পারেননি। কিন্তু সেই অবিশ্বাস্য মৃত্যুকে সর্বক্ষণের সঙ্গী করে দিনের পর দিন মানসিক কুরুক্ষেত্রের অংশীদার হয়েছে তার স্ত্রী অরুণা রুদ্র। অবশেষে কতকগুলো সাদা কাগজের পৃষ্ঠায় খুঁজে পাওয়া গেছে অয়স্কান্তের জীবনের অন্তিম দিনগুলোর কালো সাদা সাক্ষ্য। যেমন বিক্ষিপ্তভাবে তার শুরু, তেমনি বিক্ষিপ্তভাবে তার শেষ। তবু কি ফুটে ওঠে না এক অবিশ্বাস্য অশুভ ইঙ্গিত? ঘটনা ও ফলাফলকে আঙ্কিক নিয়মে যোগ করে অরুণার অন্তত তাই মনে হয়েছে।)
৫ মে, রাত দশটা
ক্লাব থেকে ফিরতে আজ অনেক রাত হয়ে গেল। অরুণা মনে হয় বেশ কিছুটা অসন্তুষ্ট হয়েছে। কারণ সংক্ষিপ্তভাবে বহু প্রচলিত এবং বহু ব্যবহৃত শব্দগুলো (খাবার ঢাকা আছে) বলে ও শোওয়ার ঘরে চলে গেল। ভেবেছিলাম খাওয়াদাওয়ার পর মানভঞ্জনে আজকের রাতটা খরচ করব, কিন্তু শ্রীকান্তর কথাগুলো মনে পড়ায় তা আর হয়ে উঠল না। টেবিলে বসে খালি ওর কাছে শোনা কথাগুলোই ভেবেছি। জানি, ক্লাবের আর সকলে ওর কথায় তেমন আমল দেয়নি, হেসেই উড়িয়ে দিয়েছে। কিন্তু আমি তা পারছি কই? সত্যিই কি সামান্য এক টুকরো সুতোর মধ্যে অত শক্তি আছে? ওই এক টুকরো সুতোর চাপে কেউ কখনও শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মারা যায়? কে জানে! শ্রীকান্ত বলছিল, স্ত্রী-হত্যার অপরাধে সেই ভদ্রলোকের কোনও শাস্তি হয়নি। কারণ সামান্য একগাছা সুতো দিয়ে যে কাউকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা যায়, আদালত সে কথা একেবারেই বিশ্বাস করেনি। ওই অবিশ্বাস্য ঘটনার পর ভদ্রলোক পাগল হয়ে যান। তিনি তো সত্যিই স্ত্রীকে খুন করতে চাননি। নিছক একগাছা সুতো গলায় জড়িয়ে ভয় পাইয়ে দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু কী থেকে কী হয়ে গেল!
না, এই সুতোর ঘটনাটা অরুণাকে বলা ঠিক হবে না। ও হয়তো ভয় পেয়ে যাবে। কিন্তু আশ্চর্য, এই অবাস্তব ব্যাপারটা শুধু আমাকেই কেন এরকমভাবে ভাবিয়ে তুলেছে?
৬ মে, রাত দশটা
আজ সকালে অফিসে যাওয়ার সময় একটা ভারী অদ্ভুত ব্যাপার ঘটেছে। ধুতিটা আলমারি থেকে নিয়ে পরতে যাব, দেখি, একগাছা সরু কালো সুতো সাদা ধবধবে ধুতির ওপর সাপের মতো এঁকেবেঁকে পড়ে রয়েছে। জিনিসটাকে তেমন গুরুত্ব না দিয়ে মেঝেতে ফেলে দিয়েছিলাম। ভেবেছিলাম, ঘর আঁট দেওয়ার সময় আপদ দূর হবে। কিন্তু তা হয়নি। কারণ, অফিস থেকে ফিরে এসে টেবিলের ওপর আবিষ্কার করলাম ওই কালো সুতোটাকে। আমার ফাউন্টেন পেনটার পাশে পরম নিশ্চিন্তে শুয়ে রয়েছে। জানি না কেন, ওটাকে দেখে মুহূর্তের জন্যে শিউরে উঠেছিলাম। তা হলে কি আমার হঠাৎই মনে পড়ে গিয়েছিল বিশ বছর আগেকার স্মৃতির কথা? আমার ছোটবেলার কথা? নিশীথের কথা?
৮ মে, রাত বারোটা
বলব না বলব না করেও অরুণাকে আমার অস্বস্তির কথাটা জানিয়ে ফেলেছি। ও ব্যাপারটাকে যথারীতি আমার উর্বর মস্তিষ্কের কল্পনা বলে হেসে উড়িয়ে দিয়েছে। তা তো দেবেই। ও তো আর জানে না বিশ বছর আগেকার ছোট্ট ঘটনাটা। জানে না নিশীথের আকস্মিক অপমৃত্যুর কথা! তা ছাড়া শ্রীকান্তর বলা গল্পটাও তো ওকে আর বলিনি!
১০ মে, রাত একটা
রাত দশটায় খাওয়াদাওয়া করে শুয়ে পড়েছিলাম। কিন্তু ঘুম আসেনি। কারণ, কালো সুতোটা এখনও আমার সঙ্গ ছাড়েনি। আজ সকালে অফিসে যাওয়ার পথে ওটাকে রাস্তায় ফেলে দিয়েছিলাম, কিন্তু ফিরে এসে দেখি সেই আগের ঘটনারই পুনরাবৃত্তি ঘটেছে। সুতোটা আমার ড্রয়ারের ভিতরে নিরীহভাবে পড়ে রয়েছে। তা হলে নিশীথ কি এতদিন পরে ওর প্রতি অবিচারের ন্যায়বিচার চাইতে এসেছে? আজও আমি ভুলিনি বিশ বছর আগের সরস্বতী নদীর কথা, তার ওপরের তালগাছের গুঁড়ি কেটে তৈরি সাঁকোটার কথা। আর ভুলিনি এক লাটাই কালো সুতোর কথা। ওই সামান্য সুতো নিয়েই এক ধূসর সন্ধ্যায় নিশীথের সঙ্গে আমার ঝগড়া হয়, তারপর অনিবার্যভাবে হাতাহাতির শুরু। ওই ধস্তাধস্তির মধ্যে নিশীথ কীভাবে যে জলে পড়ে গেল, আমার মনে নেই। শুধু এটুকু মনে আছে, ডান হাতের শক্ত মুঠোয় লাটাইটা আঁকড়ে ও ছিটকে পড়েছিল সাঁকোর ওপর থেকে। সাঁতার জানত না নিশীথ। তাই অসহায়ভাবে হাবুডুবু খেয়ে তলিয়ে গেছে ঘোলা জলের নীচে। সন্ধের ঝাপসা অন্ধকারে নিঃসঙ্গ আমি শ্রান্ত পায়ে ফিরে এসেছি ঘরে। নিশীথের সঙ্গে আমার দেখা হওয়ার ঘটনা একেবারেই চেপে গেছি। কিন্তু দিন তিনেক বাদে মাইল দুয়েক দুরে ভেসে উঠল নিশীথের মৃতদেহ। সাত গাঁয়ের লোক ছুটল ওকে দেখতে। আমিও গেলাম। নিশীথের সারা শরীর গ্যাসবেলুনের মতো ফুলে উঠেছে। চোখের জায়গায় দুটো বীভৎস কোটর। দেহের জায়গায় জায়গায় মাংস খোবলানো। কিন্তু ওর ডান হাতের শক্ত মুঠোয় লাটাইটা তখনও ধরা ছিল।
নিশীথের মৃতদেহের নৃশংস স্মৃতি আমাকে একটি রাতের জন্যেও মুক্তি দেয়নি। তখন আমার বয়স ছিল বছর বারো-চোদ্দো। আরও বছর পনেরো পর যখন অরুণাকে বিয়ে করলাম, তখন সে স্মৃতি বেশ ধূসর হয়ে এসেছে। তারপর এই পাঁচ বছরে নিশীথকে একেবারে ভুলেই গিয়েছিলাম। কিন্তু শ্রীকান্তর বলা গল্পটা, আর এই সামান্য কালো সুতোটা, আমাকে নতুন করে মনে করিয়ে দিয়েছে সেই ভুলে যাওয়া বিষণ্ণ ধূসর সন্ধ্যার কথা। নিশীথের লাটাইয়ের কথা। কালো সুতোর কথা।
তা হলে কি এই সুতোই সেই সুতো? যে-সুতো আর সরস্বতী নদী সাক্ষী ছিল সেই বিয়োগান্ত নাটকের চরম পরিণতির?
১৩ মে, দুপুর দুটো
আমার টেবিলে একটা ছোট কাঠের মূর্তি আছে। হানিমুনের সময় কাশ্মীর থেকে অরুণাই ওটা পছন্দ করে কিনেছিল। মূর্তিটা একজন পুরুষের। কালো মিশমিশে তার সুগঠিত দেহের রং। দুটো হাত জয়ের ভঙ্গিতে মাথার ওপরে তোলা।
প্রথমটা আমি ঠিক খেয়াল করিনি। রাত তখন এগারোটা সাড়ে এগারোটা হবে। শনিবার বলে অফিস থেকে তাড়াতাড়ি ফিরে অরুণাকে নিয়ে একটা বাংলা ছবি দেখতে গিয়েছিলাম। সুতোটাকে তখনও ড্রয়ারেই দেখে গেছি। কিন্তু ফিরে এসে খাওয়ার পাট সেরে টেবিলে গিয়ে বসতেই লক্ষ করলাম ড্রয়ারটা হাট করে খোলা। অরুণাও সেটা লক্ষ করে বলে উঠল চোর-টোর এসেছিল কি না। কিন্তু আমি জানি, আসেনি। অরুণাকে শুতে যেতে বলে আমি ড্রয়ারটা পুরোটা খুললাম। ঠিক যা ভেবেছিলাম, তাই। সুতোগাছাটা ড্রয়ারে আর নেই।
ড্রয়ার বন্ধ করে টেবিলের ওপরে রাখা কালো মুর্তিটার দিকে চোখ পড়তেই চমকে উঠলাম। টেবিল ল্যাম্পের আলো সরাসরি গিয়ে পড়েছে মূর্তিটার ওপরে। তারই আলোর স্পষ্ট দেখলাম, মূর্তির যে-হাত দুটো জয়ের ভঙ্গিতে ওপরে তোলা ছিল, তাদের অর্থ কেমন যেন পালটে গেছে। হাতের ভঙ্গিতে কোনও রদবদল না হলেও এখন মনে হচ্ছে, মূর্তিটা যেন নিদারুণ আতঙ্কে ঊর্ধ্ববাহু হয়ে নিঃশব্দ চিৎকারে ঘর ভরিয়ে ফেলছে। ঠিক তখনই আমার চোখে পড়ল কালো সুতোটা। মূর্তিটার গলায় সাপের মতো পাকে-পাকে জড়িয়ে রয়েছে সেই কালান্তক সুতো।
ভয়ে-ভয়ে হাত বাড়িয়ে সুতোটা খুলে নিতে চেষ্টা করলাম।
আশ্চর্য! অনায়াসেই ওটা খুলে চলে এল আমার হাতে। আরও আশ্চর্য, একইসঙ্গে যেন ফিরে এল মূর্তিটার আগের জয়োল্লাস। আতঙ্কের জমাট পরদাটা তার মুখ থেকে একেবারে নিঃশেষে অদৃশ্য হয়ে গেছে।
ভয়ে আমার সারা শরীর কাঁপতে লাগল। এ কীসের ইঙ্গিত? শ্রীকান্তর বলা গল্পটা আরও একবার মনে পড়ল।
অনেক চিন্তা-ভাবনার পর ঠিক করলাম, অরুণাকে সব জানানো দরকার। তাই রাতে শোওয়ার সময় ওকে বললাম, তোমার সঙ্গে কথা আছে।
কী কথা?–ঘুমজড়ানো স্বরে অরুণা জানতে চাইল।
আবছা অন্ধকারে শূন্য দৃষ্টি মেলে ওকে শ্রীকান্তর বলা গল্পটা জানালাম।
ও প্রচণ্ড হাসিতে ভেঙে পড়ল, বলল, সুনু, তুমি ঠাট্টাও করতে পারো।
নিজেকে কেমন যেন অসহায় মনে হতে লাগল। তা হলে এই বিপদের মুহূর্তে আমার পাশে কেউ নেই। অরুণার হাসির কোনও জবাব না দিয়ে পাশ ফিরে শুয়ে পড়লাম। সুতোটাকে কালো মূর্তিটার গলা থেকে খুলে কোথায় যে রেখেছি, আর মনে করতে পারছি না।
একটা সামান্য সুতো আমার জীবনকে যেন অদৃশ্য ফঁসে বেঁধে ফেলতে চাইছে।
১৪ মে, সন্ধ্যা সাতটা
ক্লাবে আজ আর যাইনি। একটু আগেই চেহারা খারাপ হয়ে গেছে বলে ঠিকমতো খাওয়াদাওয়ার জন্যে শাসন করছিল অরুণা। তারপর পাশেই যেন কোন প্রতিবেশিনীর বাড়িতে গেছে সান্ধ্য পরনিন্দাচক্রে যোগ দিতে। ওকে নিশীথ বা কালো সুতোটা সম্পর্কে আর কোনও কথাই বলিনি। এও বলিনি যে, অফিস থেকে ফিরে একটু আগেই আমি কালো সুতোটাকে আবার খুঁজে পেয়েছি। খুঁজে পেয়েছি ভারি অদ্ভুত জায়গায়, ভারি অদ্ভুতভাবে।
অরুণার ড্রেসিং টেবিলে আমাদের বিয়ের (গলায় মালা দেওয়া অবস্থায়) একটা ফ্রেমে বাঁধানো বড় ফটো আছে। অফিস থেকে ফিরে চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়াতে গিয়ে দেখি কালো সুতোটা অরুণা আর আমার ফটোর মাঝখানে পাঁচিল হওয়ার ব্যর্থ চেষ্টায় অলসভাবে ঝুলছে। হাত বাড়িয়ে সুতোটাকে খুলে নিতে গিয়ে টের পেলাম, আমার কেমন যেন শ্বাসকষ্ট হচ্ছে। এমনকী ফটোতে আমার মুখের হাসিখুশি ভাবটা পর্যন্ত মিলিয়ে গেছে। সেখানে ফুটে উঠেছে অনিশ্চয়তায় ভরা এক হতবুদ্ধি যুবকের আতঙ্কিত মুখ। হঠাৎ কী হয়ে গেল, পাগল করা রাগে সুতোটাকে দু-হাতের মুঠোয় ধরে আমি টুকরো-টুকরো করে ছিঁড়তে লাগলাম। পাঁচ মিনিট পর যখন সংবিৎ ফিরে পেলাম, দেখি সুতোটা পাঁচ টুকরো হয়ে আমার পায়ের কাছে পড়ে আছে। মনে হল, সুতোর টুকরোগুলো যেন কেঁচোর মতো নড়েচড়ে বেড়াচ্ছে। তাড়াতাড়ি ঘরের আলো নিভিয়ে দিলাম। হাজারো চিন্তায় আমার যুদ্ধক্লান্ত মস্তিষ্ক যেন অবশ হয়ে পড়েছে। বাইরের ঠান্ডা হাওয়ায় নদীর জলের বাষ্প অনুভব করলাম। শুনলাম, কিছু একটা জলে আছড়ে পড়ার ঝপাং শব্দ। আমি কি ধীরে ধীরে কারও সুপ্ত অপূর্ণ ইচ্ছের শিকার হতে চলেছি।
১৪ মে, রাত একটা
শোওয়ার পর আজ কিছুতেই ঘুম এল না। সুতোটার অশরীরী উপস্থিতি আমাকে চঞ্চল করে তুলেছে। নিশীথের জলে ভেজা ফুলে ওঠা মুখটা এই মুহূর্তে যেন আরও বেশি করে মনে পড়ছে। ওর হাতের লাটাইয়ের কালো সুতো তো এত সহজে শেষ হওয়ার কথা নয়! সরস্বতী নদীর ঘোলাটে জলে সাঁকোর ওপর দাঁড়িয়ে থাকা আমার প্রতিবিম্ব নিশীথের জল-তল স্পর্শের আলোড়নে একই ছন্দে কাঁপছে। নিঃসঙ্গ আমি ধানখেতের আল ধরে আনমনাভাবে হেঁটে চলেছি। সন্ধের অন্ধকার চেপে বসেছে মাথার ওপরে। চোখের সামনে ভাসছে নিশীথের কালো সুতোয় ভরা লাটাইটা। আমি যেন…।
কীসের একটা যেন শব্দ হল। হালকা অথচ স্পষ্ট শব্দ। ঘরের অন্ধকারের ভিতরে যেন ফুটে উঠল নিশীথের ক্ষত-বিক্ষত চোখের মণিহীন মুখটা। শব্দটা কি ক্রমশ কাছে এগিয়ে আসছে? কে যেন আমাকে চেয়ারের ওপর উঠে দাঁড়াতে বলছে, কানের কাছে জলের নেশা-ধরানো কল্লোল, আমার হাত যেন শিথিল হয়ে আসছে, গলায় কীসের যেন অস্পষ্ট সুড়সুড়ি, বেশ শীত শীত করছে। আমার, কই অরুণা তো ঘুম ভেঙে উঠে এল না…একটা…একটা সাপিনীশীতল পরিবেশ আমাকে পরতে-পরতে ভীষণভাবে আঁকড়ে ধরতে চাইছে। নিশীথ, আমি তো তোকে খুন করিনি, নিশীথ, নিশীথ…।
(আচমকা এক চিৎকারে নাকি সে-রাতে অরুণার ঘুম ভেঙে যায়। ঘুম ভাঙতেই ও বুঝতে পারে সে-চিৎকার সুনুর, অর্থাৎ, তার স্বামী অয়স্কান্তের। পাশের ঘরে এসেই অরুণা আবিষ্কার করল ঘর অন্ধকার। কোনওরকমে হাতড়ে হাতড়ে ও যখন আলোর সুইচ জ্বালল, তখন দেখল ভারি অদ্ভুত এক দৃশ্য। অয়স্কান্ত রুদ্রের বিশাল দেহটা ঘরের সিলিং থেকে শূন্যে ঝুলছে। দেহটা দুলছে–ঠিক পেন্ডুলামের ধাতব দোলকের মতো। তখনই একটা ছোট্ট জিনিস নজরে পড়েছিল অরুণার। ঝুলন্ত দেহ ও সিলিংয়ের মাঝে সেতুবন্ধন তৈরি করেছে শুধু একটা সরু কালো সুতো।)