কাশীরাজের প্রথমা কন্যা, যিনি পরজন্মে শিখণ্ডী হয়ে জন্মে ভীষ্মের মৃত্যুর কারণ হয়েছিলেন। স্বয়ম্বর সভা থেকে ভীষ্ম কাশীরাজের তিন কন্যাকে জোর করে তুলে নিয়ে যান বৈমাত্রেয় ভাই বিচিত্রবীর্যের সঙ্গে বিবাহ দেবার জন্য। কিন্তু অম্বা যখন জানালেন যে, তিনি মনে মনে শাল্বরাজকে পতি হিসেবে বরণ করেছেন, তখন ভীষ্ম তাঁকে শাল্বরাজের কাছে পাঠান। শাল্ব ভীষ্মের সঙ্গে চলে গিয়েছিলেন বলে অম্বাকে প্রত্যাখ্যান করেন। অপমানিত অম্বা তখন তাঁর মাতামহ মহর্ষি হোত্রবাহনের বন্ধু পরশুরামের শরণাপন্ন হন। অম্বার কষ্টে বিচলিত হয়ে পরশুরাম তাঁর শিষ্য ভীষ্মকে বলেন অম্বাকে বিবাহ করতে। ভীষ্ম চিরকুমার থাকার ব্রত নিয়েছিলেন বলে এই আদেশ পালনে অসম্মত হলেন। পরশুরাম তাতে ক্রুদ্ধ হয়ে ভীষ্মকে যুদ্ধে আহবান করলেন, কিন্তু প্রবল যুদ্ধ করেও তাঁকে পরাজিত করতে পারলেন না। তখন অম্বা নিজেই ভীষ্মকে বধ করবেন ঠিক করে তপস্যা শুরু করলেন। তপস্যায় সন্তুষ্ট হয়ে মহাদেব দেখা দিলে,তাঁর কাছে অম্বা ভীষ্ম নিধনের বর চাইলেন। পরজন্মে ওঁর বাসনা পূর্ণ হবে বলে মহাদেব বর দিলেন। তারপর বললেন যে, পরজন্মে অম্বা পাঞ্চাল রাজের কন্যা হয়ে জন্মেও পরে পুরুষত্ব লাভ করবেন। কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে শিখণ্ডীর জন্ম-রহস্য জানতেন বলে ভীষ্ম শিখণ্ডীর বিরুদ্ধে অস্ত্রধারণ করেন নি। শিখণ্ডী নিজে ভালো যোদ্ধা ছিলেন না। তাই শিখণ্ডীকে সামনে রেখে অর্জুন ভীষ্মকে তীরের পর তীর দিয়ে বিদ্ধ করে শরশয্যায় শুইয়েছিলেন। শিখণ্ডী যুদ্ধের শেষদিন গভীর রাত্রে দ্রোণের পুত্র অশ্বত্থমার হাতে নিহত হন।