‘অভাবে শয়তানও মাছি ধরে খায়’
অভিজ্ঞতাজনিত বিজ্ঞতা আসে ল্যাটে। তখন ওটা আর কোনও কাজে লাগে না। বিলকুল বেকার। কীরকম? প্রকৃতির নিয়ম : মাথায় বিপর্যয় টাক পড়ে যাওয়ার পর চিরুনি-প্রাপ্তি। ইরানি কবি একটু ঘুরিয়ে বলেছেন : বৃদ্ধ বয়সে অনুশোচনায় দাঁত কিড়মিড় করছি। কিড়মিড় করার জন্য, হায়, দাঁতও যে আর নেই।
ল্যাটে বুঝলুম, মাতৃভাষা নিয়েই সন্তুষ্ট থাকা উচিত। আর নিতান্তই যদি আরেকটি ভাষা শিখতে হয় তবে সেটি হবে, তোমার মাতৃভাষা যার কাছে সবচেয়ে বেশি ঋণী সেইটি শেখা : বাঙলার বেলা সংস্কৃত, ফারসির বেলা আরবি, ফরাসির বেলা লাতিন। তার বেশি ভাষার পিছনে ছুটোছুটি করা নিছক আহাম্মুকি। মাসান্তে যে দু-একখানা বিদেশি বই কিনবে, তার আর উপায় রইল ন! কেন?– কলকাতাতে কি বিদেশি বই পাওয়া যায় না? পাওয়া যায় বইকি, এন্তের অঢেল। অল ইন্ডিয়া রেডিও তো দিবারাত্তির গান গাইছে। মুশকিল শুধু, আপনার পছন্দের গান গায় না।
ইতোমধ্যে আমি দু-খানি চিঠি পেয়েছি। দুটি তরুণ আমার সদুপদেশ পাওয়ার পূর্বেই ফরাসি জৰ্মনে সার্টিফিকেট নিয়ে বসে আছে। তাদের সামনে সমস্যা, এখন এগোয় কী প্রকারে? তারা থাকে মফস্বলে–কী করে বলি, কলকাতার কোনও কোনও লাইব্রেরির লেনডিং সেকশন আছে, তাদের শরণাপন্ন হও, যখন জানি, কলকাতার খাস বাসিন্দার পক্ষেও কর্মটি সুকঠিন।
তখন হঠাৎ খেয়াল গেল, এরা মফস্বলে বাস করে। তার একটা মস্ত সুবিধে, ইলেকট্রিকের উৎপাত সেখানে নেই, কিংবা নগণ্য। বেতারযন্ত্রটির পুরো ফায়দা সেখানে ওঠানো যায়। কলকাতাবাসীও অবশ্য খানিকটে পারবে।
উপস্থিত বেতার খুললেই শর্টওয়েভে পাবেন, গাক গাঁক করে আপন পরিচিতি জানাচ্ছেন চীন (চীন আমাদের অতি কাছে বলেই তাকে পাওয়া যায় হরবকৎ, কিন্তু আমাদের কাজে লাগে অত্যল্পই), রুশ, আমেরিকা (VOA = Voice of America), ব্রিটেন (BBC), এবং অস্ট্রেলিয়া। দুর্ভাগ্যক্রমে আমাদের যেগুলো দরকার, যেমন ফ্রান্স, জর্মনি, ইতালি সেগুলো জোরদার নয় এবং আমাদের উপকারার্থে তারা ব্রডকাস্ট করে অল্প সময়।
এই বেতারের সাহায্যে পুস্তকের অভাব খানিকটা পুষিয়ে নেওয়া যায়।
এর পূর্বে দু-একটি কথা অবতরণিকা হিসেবে বলে নেওয়া ভালো।
ভারতবর্ষে যে নিরক্ষরতা দ্রুতগতিতে লোপ পাচ্ছে না, তার প্রধান কারণ এ নয় যে, গ্রামে গ্রামে আমরা পাঠশালা খুলতে পারছিনে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস তার আসল কারণ, যারা পাঠশালা পাস করে বেরোয় তারা পুনরায় নিরক্ষর হয়ে যায় পড়বার জন্য বই খবরের কাগজের অভাবে। যে গ্রামে পঞ্চাশ বছর ধরে পাঠশালা আছে, সেখানে যে কোনও সময়ে অনুসন্ধান করলে দেখতে পাবেন, মাত্র যারা দু-এক বছর হল পাস করে বেরিয়েছে তারাই এখনও লিখতে পড়তে আঁক কষতে পারে (থ্রি আর= রিডিং, রাইটিং, রেকনিং)। বাদবাকিরা কিংবা তাদের অধিকাংশ পুনরায় নিরক্ষর হয়ে গিয়েছে। এই বিষয় নিয়ে বছর কুড়ি পূর্বে আমি সপ্তাহের পর সপ্তাহ জোর প্রোপাগান্ডা-ক্যামপেন চালিয়েছিলুম; সুযোগ পেলে মৃত্যুর পূর্বে আরেকবার চালাব– মা ফলেষু কদাচন মন্ত্র স্মরণ করে।
তাই বছ, তুমি যে ফরাসি, জর্মন বা রুশ ভাষায় সার্টিফিকেট পেয়েছ সেটা উত্তম কর্ম, কিন্তু যেটুকু শিখেছ সে-ও ভুলে যাবে, ওই গ্রামের পড়ুয়ার মতো পুস্তকাভাবে। তাই বলছিলুম, বেতার তোমাকে খানিকটে বাঁচাতে পারে।
তার পূর্বে কিন্তু একটি ভেরি ভেরি ইম্পরটেন্ট তত্ত্বকথা বলে নিই। এটা আমার নিজের উপদেশ নয়– পৃথিবীর যে কোনও বেতারকেন্দ্র তোমাকে এই উপদেশ দেবে।
রুম অ্যারিয়েল শর্টওয়েভের জন্য সম্পূর্ণ বেকার না হলেও ছাতের উপর বাঁধা দীর্ঘ, দীর্ঘতম বাঁশের অ্যারিয়েলের তুলনায় নগণ্য। আমার উপদেশে যারাই কান পাতছ, তাদেরই বলি, যারা মফস্বলে থাকো তারা নেবে দীর্ঘতম বাঁশ (শহরে বোধহয় এর একটা সীমা আছে, কিন্তু যেহেতু তুমি চোদ্দতলা বাড়িতে বাস কর না, সেটা তোমার ওপরে প্রযোজ্য নয়) এবং নির্মাণ করবে সর্বোত্তম অ্যারিয়েল। এস্থলে বলে রাখা ভালো, তিন-চারশো টাকা সেট + আউটসাইড ব্যামবু অ্যারিয়েলে যে রিসেপশন পাবে, হাজার টাকা সেট+রুম অ্যারিয়েলে পাবে তার চেয়ে ঢের নিকৃষ্ট রিসেপশন। অবশ্য দামি সেটে যে-রকম ধ্বনিকে–বিশেষ করে সঙ্গীতের বেলায় ইচ্ছেমতো কড়া মোটা করা যায়, সস্তা সেটে সেটা করা যায় না। কিন্তু ভাষার বেলা– যাকে বলে স্পোকেন ওয়ার্ড– সস্তা সেটও+দীর্ঘতম আউটসাইড অ্যারিয়েল ১০০% কাজ দেবে। আমার সেট আরও দামি হলে আরও ভালো রিসেপশন হত এটা ভুল ধারণা। যে কোনও দিন সকাল সাতটা-আটটা গোছ সময় ১৩ মিটার ব্যান্ডে অস্ট্রেলিয়া শুনে নিয়ে (ওই সময় ১৩ মিটার মোটামুটি নির্ঝঞ্ঝাট) অন্য বাড়িতে দামি সেট শুনে এস- দেখবে তফাৎ নেই। পুনরায় সন্ধে ৬-৩০-এ ১৩ মিটারে প্যারিসের ইংরেজির প্রোগ্রাম খানিকটা শুনে (প্রোগ্রাম মাত্র আধ ঘন্টার, ৭টা থেকে ফরাসি ভাষাতে প্রোগ্রাম শুরু হয়ে যায়) দামি সেটের রিসেপশনের সঙ্গে মিলিয়ে দেখ। প্যারিস দুলা স্টেশন, তদুপরি ওই সময় ১৩ মিটারে বিস্তর স্টেশন ঝামেলা লাগায় গোটা তিনেক বিবিসি, একটা vOA, ভাটিকান, সুইজারল্যান্ড, পাকিস্তান, রুশ, হল্যান্ড, আরও কে কে আছেন– কাজেই তুমি যদি তখন প্যারিসের ইংরেজি প্রোগ্রাম পরিষ্কার বুঝতে পার তবে আর চিন্তা কর না, তোমার সেট এবং অ্যারিয়েল দুই-ই ঠিক। অবশ্য বর্ষার অতি নিকৃষ্ট আবহাওয়া হলে দামি, সস্তা কোনও সেটেই, শহর মফস্বল কোনও জায়গাতেই হয়তো প্যারিস ধরতে পারবে না।
আপন দেশের ভাষা শেখাবার জন্য সবচেয়ে উৎসাহী ইংরেজ। কিছুদিন থেকে বাঙলার মাধ্যমে পর্যন্ত ইংরেজি শেখাতে আরম্ভ করেছে। যারা ইংরেজিটা মোটামুটি জানো, তারা অ্যাডভান্স কোর্সটি শুনলে উপকৃত হবে।
প্যারিস একদা, বোধহয়, ইংরেজির মাধ্যমে ফরাসি শেখাত। এখন সাড়ে ছটা থেকে সাতটা পর্যন্ত যে ইংরেজি প্রোগ্রাম দেয় তাতে তো সে আইটেম শুনিনি। তবু নিরাশ হবার কারণ নেই। প্রথম ১৮.৩০ থেকে ১৯.০০ অবধি (আমি সর্বত্রই ইন্ডিয়ান স্ট্যান্ডার্ড টাইম দিচ্ছি) মনোযোগ সহকারে ইংরেজি প্রোগ্রামটি বিশেষ করে সংবাদ শুনে নেবে। তার পর সেই সংবাদই ফরাসিতে শুনতে পাবে ১৯.০০ থেকে ১৯.৩০-এর কোনও এক সময়। ইংরেজিতে খবরটা বুঝে নিয়েছ বলে ফরাসিতে সেটি ধরতে সুবিধে হবে। মাসখানেক প্র্যাকটিসের পরেও যদি না বুঝতে পারো তবে মেনে নিয়ে, যে ফরাসি জ্ঞানের পুঁজি নিয়ে প্র্যাকটিস আরম্ভ করেছিলে সেটা যথেষ্ট নয়। দুপুরেও প্যারিস ফরাসি প্রোগ্রাম দেয়– প্রধানত ইভেচায়নার জন্য। তবে রিসেপশন সবসময় ভালো হয় না।
সুইজারল্যান্ডও ফরাসিতে গ্রোগ্রাম দেয়। ইংরেজিতেও। আমাদের জন্য (অর্থাৎ ফর ফার ইস্ট অ্যান্ড সাউথ ইস্ট এশিয়া) তাদের স্টেশন খোলে ১৬.৩০ ওই ১৩ মিটার ব্যান্ডেই। ওরা কিন্তু ব্রডকাস্ট করে (১) জর্মন, (২) সুইস জর্মন, (৩) ফরাসি, (৪) ইতালীয়, (৫) ইংরেজি এবং কোনও কোনও দিন এসপেরান্তোতেও। প্যারিসের বেলা যে প্রক্রিয়ার সুপারিশ করেছি এস্থলেও সেটি প্রযোজ্য। তোমাকে শুধু তক্কে তক্কে থাকতে হবে, কখন কোন ভাষায় প্রোগ্রাম দেয়।* এছাড়া রুশ চীন, জাপান এরাও ফরাসিতে ব্রডকাস্ট করে, (বিবিসি-ও করে, কিন্তু এদেশে শীতকালে রাত ঘনিয়ে এলে কখনও কখনও পাওয়া যায়– আসলে এটা আমাদের উদ্দেশ্যে বেতারিত হয় না ওটা পূর্ব ইয়োরোপের জন্য, জর্মনের বেলাও তাই)।
কিন্তু সর্বোত্তম ব্যবস্থা অল ইন্ডিয়া রেডিও-র ফরাসি প্রোগ্রাম শোনা। রাত ঘনিয়ে এলেও বোধহয় সন্ধ্যার দিকেও ইটি বেতারিত হয়। এটা শোনার সুবিধা এই, রিসেপশন মোটামুটি ভালো, কী কী খবর মোটামুটি দেবে সেটা আগে থেকে জানা আছে বলে বুঝতে সুবিধে হয়, এবং যে দু-চারটে কথিকা দেয়– যেমন রবীন্দ্রনাথ বা ভারত ইতিহাসের কিছু একটা আমাদের কিছুটা জানা বলে ওই একই সুবিধে। এদের উচ্চারণ সবসময় ১০০% খাঁটি হয় না– তবে আপনার-আমার কাজের জন্য যথেষ্টর চেয়েও প্রচুর। এস্থলে উল্লেখ করি, যারা কনভারসেশনাল আরবি এবং ফারসি বুঝতে নিজেকে অভ্যস্ত করাতে চান তারা যেন আকাশবাণীর আরবি-ফার্সি প্রোগ্রাম শোনেন। এঁদের উচ্চারণ অত্যুকৃষ্ট। কিছুদিন আগেও মক্কার এক উচ্চশিক্ষিত ভদ্রলোক ও মদিনাগতা তার স্ত্রী অ্যানাউনসার ছিলেন।…
ধার্মিকজন মিশরে গৃহীত রেকর্ডে অত্যুত্তম কুরান পাঠও শুনতে পাবেন।… রাজনৈতিক তথা প্রাকৃতিক আবহাওয়া ভালো থাকলে ফরাসি ইকোয়েটরিয়াল আফ্রিকার ব্রাজভিল শহরের উত্তম ফরাসি ব্রডকাস্ট এদেশে পাওয়া যায়। শীতকালে রাত ঘনিয়ে এলে ত্যুনিস আলজেয়ারস থেকেও মিডিয়াম ওয়েভে ফরাসি প্রোগ্রাম পাওয়া যায়। এবং রাত দশটা-এগারোটা থেকে ভোরবেলা পর্যন্ত মন্তে কার্লো– ফরাসিতে। শীতকালে মিডিয়াম ওয়েভে ২০৫ মিটার (=১৪৬৬ কি. সা.) ব্যান্ডে। আমার জানামতে এটিই ইয়োরোপের সবচেয়ে জোরদার মিডিয়াম ওয়েভ স্টেশন। এর জোর ৪০০ কি.ও.। ফরাসিটা সড়গড় হয়ে গেলে শীতকালে অনিদ্রায় এর প্রোগ্রাম ঘন্টার পর ঘণ্টা পরমানন্দে শোনা যায়। তবে কমার্শিয়াল বলে উৎপাতও আছে।… ওয়েস্ট বার্লিনও ৩০০ কি.ও. স্টেশন, কিন্তু কে জানিনে একে বড় জ্যাম করে।
জর্মনির যে বেতারস্টেশন বিদেশের জন্য বেতার ছাড়ে তার নাম ডয়েচশে ভেলে (Deutsche Welle) 178 fola Pauca (Koeln-Cologne Costa Rice w acana আসে)। ভারতের জন্য এদের প্রোগ্রাম ১৮.২০ থেকে ১৫ পর্যন্ত, ১৯ এবং ১৬ মিটারে কিন্তু নিরেট জর্মন ভাষায়। তবে ইংরেজি, হিন্দি, উর্দু এবং ফের ইংরেজিতে ব্রডকাস্ট করে একবার সকালে ৮.৩০ থেকে ৯.১০ পর্যন্ত এবং দুপুরে একটা থেকে মাঝে মাঝে ক্ষান্ত দিয়ে রাত্রি প্রায় দশটা অবধি ওইসব ভাষায়। এরই যে কোনও একটা শুনে নিয়ে জর্মন প্রোগ্রাম শুনে নিলে ভালো হয়। কিছুদিন পূর্বে একটি তাজ্জব খবর পেলুম। জর্মনি মাসে দুই বৃহস্পতিবার দুপুর ১টা থেকে ১.৩৫ পর্যন্ত সংস্কৃতে ব্রডকাস্ট করবে! তবে ওয়েভ লেন্থটা জানিনে। আশা করছি, খুঁজে-পেতে পেয়ে যাব।… বর্ষাকালে এদেশে জর্মনি ভালো পাওয়া যায় না। বরঞ্চ ১২.১৫ থেকে ১৫.০০ অবধি জর্মনি যে বেতার অস্ট্রেলিয়ার জন্য ২৫, ১৯, ১৬ মিটারে ছাড়ে তার ১৬টা ভালো পাওয়া যায়। জর্মনি একদা ইংরেজির মাধ্যমে জর্মন শেখাত এখনও শেখায় কি না অনুসন্ধান করা যেতে পারে।
এছাড়া পূর্বোক্ত সুইজারল্যান্ড অনেকক্ষণ ধরে জর্মনে ব্রডকাস্ট করে। এককালে পূর্ব জর্মনিও (DDR) শুনতে পেতুম। দুপুরবেলা জাপানও উত্তম জৰ্মনে (১৯ মি.) এবং রাত ঘনিয়ে এলে মস্কো, বুখারেস্ট, প্রাগ, সোফিয়া ইত্যাদি শহরও ফরাসি জর্মনে ব্রডকাস্ট করে। এদের সকলেরই প্রায় এক সুর, কিন্তু আমাদের তাতে কিছুটি যায়-আসে না। আমাদের ভাষা শেখা নিয়ে কথা।
দুঃখের বিষয়, ভিয়েনা– জর্মন ভাষার বড় কেন্দ্র এখনও এক্সপেরিমেন্টাল স্টেজে, এবং ফরাসি কৃষ্টির বৃহৎ কেন্দ্র ব্রাসস্ আমি কখনও পাইনি।
মস্কো একদা অতি সযত্নে রুশ ভাষা শেখাত। আরবি, ফারসিতে যাদের দিলচসপি, তাঁরা অনায়াসে বাগদাদ, কাইরো এবং তেহেরান খুঁজে পাবেন। কাবুল ফরাসি ও ইংরেজিতে অল্পক্ষণের জন্য ব্রডকাস্ট করে। ফারসি এবং পশতু প্রচুর।
আমি শুধু সেসব স্টেশনের কথাই উল্লেখ করেছি, যেগুলো এদেশে মোটামুটি ভালোই পাওয়া যায় এবং বিদেশি ভাষা-জ্ঞান সড়গড় রাখতে সাহায্য করবে।
———
*সব স্টেশনই কোনও না কোনও সময় আপন ঠিকানা দেয়। সে ঠিকানায় চিঠি লিখলে তারা প্রোগ্রাম ফ্রি পাঠায়। যারা ভাষা শেখায় তারা কেউ কেউ ফ্রি চটি পাঠ্যবইও পাঠায়, কোনও কোনও স্থলে পয়সা দিতে হয়। কখন কোন মিটারে কে ব্রডকাস্ট করে তার সবিস্তর বর্ণনা পাওয়া যায় World Radio Handbook, Lindorffs, Allee1, Hellerup, Denmark বইয়ে। দাম পাঁচ টাকার মতো। এবং সকরুণ নিবেদন, আমাকে দয়া করে চিঠি লিখবেন না। আমি অসুস্থ। সেক্রেটারি নেই।