অপারেশন ফুলস্টপ

অপারেশন ফুলস্টপ 

ফিরোজ বুলেটপ্রুফ ভেস্ট পরতে পরতে বললেন, “শহরের ভেতর দিয়ে গাড়ি নিয়ে যাওয়াটা একেবারেই উচিত হবে না। প্রথমত, শহরের পরিস্থিতি এখনও স্বাভাবিক না। পুলিশ ভ্যান দেখলেই লোকজন ঝাঁপিয়ে পড়বে। দ্বিতীয়ত, আমরা সাংবাদিকদের নজরে পড়তে চাই না। কাউকে কোনভাবেই জানতে দেওয়া যাবে না যে আমরা বশিরকে এরেস্ট করতে যাচ্ছি।” 

তীলক বড়ুয়া একবার করে রিভলভারগুলোর ম্যাগজিন চেক করতে করতে বললেন, “হেলিকপ্টারের ব্যবস্থা করব বলছেন?” 

“নাহ। হেলিকপ্টার হলে তো আর কিছুই গোপন থাকবে না। অন্য কোন উপায় বের করতে হবে।” তীলক বড়ুয়া রিভলভারগুলো সারি করে সাজিয়ে বুলেটপ্রুফ ভেস্টটা পরলেন। তারপর বললেন, “অ্যাম্বুলেন্সে যাওয়া যেতে পারে।” 

আইডিয়াটা পছন্দ হল ফিরোজের।”পাঁচটা অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা কর। অ্যাম্বুলেন্সগুলো শহরের পাঁচ দিক দিয়ে বের হবে। আর প্লাটুনের সবাইকে কনফারেন্স রুমে ডাকো। কথা বলব।” 

তীলক বড়ুয়া হাত ঘড়ির স্ট্র্যাপ লাগাতে লাগাতে বেরিয়ে গেলেন। তাকে কখনও ইয়েস স্যার বা আচ্ছা বলতে শোনেননি ফিরোজ। 

দুপুর দুইটা। বহরমপুর পুলিশ ট্রেনিং ক্যাম্পের কনফারেন্স রুম। 

মোট পঞ্চাশ জন সুদক্ষ সৈন্য সারি বেঁধে বসে আছে। এরা সবাই এলিট ফোর্সের সদস্য। সবাই সেনাবাহিনীতে বিরল দক্ষতার স্বাক্ষর রেখে ছয়মাসব্যাপী একটা কঠিন প্রশিক্ষণে উত্তীর্ণ হয়েই এখানে এসেছে। এদের প্রত্যেকে এক একটা ছোট খাট সৈন্যবাহিনীর সমান। এদের ভেতরে আবেগ নেই। আছে ত্বরিত বিশ্লেষণী ক্ষমতা। নিপুণ পর্যবেক্ষণ শক্তি এবং কোন রকম হাতিয়ার ছাড়া খালি হাতেই এরা বেশি হিংস্র। দেশের প্রথম এলিট ফোর্সের ট্রেনিং মেজর জেনারেল ফিরোজই দিয়েছিলেন। পরে তীলক বড়ুয়া আসলে তিনি সরে যান। 

ফিরোজ কোন ভূমিকা ছাড়াই মূল পরিকল্পনায় চলে গেলেন। প্রজেক্টরে তাকিয়া মহলের একটা জ্যামিতিক আকার ফুটে উঠল। 

“আমাদের একটা প্রধান টিম আর দুইটা সাব টিম থাকবে। প্রতিটা টিমে দশজন দশজন করে মোট ত্রিশজন থাকবে তিনটা প্রধান টিমে। বাকি বিশজন দশজন দশজন করে দুইটা সাব টিমে ভাগ হয়ে থাকবে। টিম আলফা উত্তর দিক গিয়ে প্রবেশ করবে। টিম বিটা পশ্চিম দিক থেকে আর টিম গামা পূর্ব দিক দিয়ে প্রবেশ করবে। আর দক্ষিণ দিকে, মানে প্রধান এক্সট্র্যাক্ট পয়েন্টে দুইটা সাব টিম অ্যামবুশ করার জন্য প্রস্তুত থাকবে। টিম আলফার দায়িত্বে থাকবে মেজর তীলক। মেজর সোহান টিম বিটার দায়িত্বে থাকবে। আর টিম গামার দায়িত্বে থাকবে মেজর সর্বজিৎ। 

“প্রথমে আমি ভেতরে যাব। ভেতরের অবস্থা কি সেইটা লুকানো ক্যামেরার মাধ্যমে তোমরা বুঝতে পারবে। সেই অনুযায়ী তোমরা প্রস্তুত হবে। আমি লুকানো ক্যামেরাটা বন্ধ করলেই তোমরা কাজ শুরু করে দেবে। পরিস্থিতির সাথে নিজেকে খাপ খাইয়ে নেওয়া তোমাদের আরেকটা অসামান্য দক্ষতা এইটা আমি জানি। 

“আমাদের ট্রান্সপোর্টগুলো এক্সট্র্যাক্ট পয়েন্ট থেকে দুইশ মিটার দূরে দূরে রাখা হবে। তাছাড়া রিইনফোর্সমেন্ট হিসাবে পুলিশ থাকবে। আমরা যতটা পারা যায় বশিরকে জীবিত গ্রেপ্তার করার চেষ্টা করব। প্রথমে টিয়ার গ্যাস 

যাবে। তারপর গ্যাস মাস্ক পরে তোমরা ভেতরে ঢোকা শুরু করবে। আর হ্যাঁ, কোন নারী ও শিশুকে গুলি করা যাবে না। সেখানে কেউ থাকুক বা না থাকুক। আবার বলছি, কোন মহিলাকে তোমরা গুলি করবে না।” 

ফিরোজ জানেন, ওখানে নারী বলতে একজনই থাকবে। 

“কারও কোন প্রশ্ন আছে?” 

এলিট ফোর্সের পঞ্চাশজন সমস্বরে বলল, নো স্যার। 

***

সন্ধ্যা ছয়টা বাজতে তিন মিনিট বাকি। 

অ্যাম্বুলেন্সগুলো বেরিয়ে গেল পুলিশ ট্রেনিং ক্যাম্প থেকে। একটা অ্যাম্বুলেন্স বেরিয়ে যাওয়ার সাত মিনিট পর পর বিরতি দিয়ে আরেকটা অ্যাম্বুলেন্স বের হল। প্রতিটা অ্যাম্বুলেন্স বহন করছে এলিট ফোর্সের সদস্য। সবার পরনে খয়েরি রঙের ইউনিফর্ম। হাতে এম-৪ কার্বাইন। সবাই জীবন সম্পর্কে অসেচতন কিন্তু নিজেদের দায়িত্বের প্রতি ততটাই সচেতন। দ্বিতীয় অ্যাম্বুলেন্সে উঠলেন মেজর তীলক বড়ুয়া। 

মেজর জেনারেল ফিরোজ হক মেরিলিনাকে নিয়ে একটা সাদা টয়োটা এক্সিওতে উঠলেন। সবগুলো অ্যাম্বুলেন্স বেরিয়ে যাওয়ার পরেই এক্সিও বের হল। মেরিলিনাকে জানতে দেওয়া যাবে না এই অপারেশনের ব্যাপারে। ফিরোজের পরনে ফুল হাতা শার্ট আর ধুসর রঙের হাফহাতা সোয়েটার। শার্টের নিচে ট্যাকটিকাল বুলেটপ্রুফ ভেস্ট। জানালা দিয়ে বাইরে তাকালেন ফিরোজ। শহরের এখানে ওখানে আগুন জ্বলছে। বস্তিতে বস্তিতে এখনও পুলিশ রেইড দিচ্ছে। সন্ধ্যার আগে আগেই আজ কারফিউ শুরু হয়ে গিয়েছে। পুলিশ পুড়ে যাওয়া আর ভাঙা গাড়িগুলো র‍্যাকার দিয়ে সরাতে ব্যস্ত। এখানে ওখানে এখনও লাশ পড়ে আছে। পুরো শহর যেন দুইদিনে মৃত্যুর নগরীতে পরিণত হয়েছে। 

ওয়াকিটকিতে পাঁচটা অ্যাম্বুলেন্সের সাথেই যোগাযোগ করলেন ফিরোজ। সবকিছু স্বাভাবিক।  ধীরে ধীরে শহর পেরিয়ে অ্যাম্বুলেন্সগুলো মানিকপুকুরের দিকে যেতে শুরু করল। অন্ধকার নামতে নামতেই মানিকপুকুর পৌঁছে গেল ওরা। ফিরোজ এক্সিওটা তারেক ডেইরি ফার্মের সাইনবোর্ডটার আড়ালে পার্ক করলেন। ওয়াকিটকিতে বললেন, “যাচ্ছি। তোমরা পজিশন নিতে শুরু কর।” 

অন্ধকারের ভেতরে পরিত্যক্ত তারেক ডেইরি ফার্মটাকে দেখে ফিরোজের মনে হল, যেন কফিন দিয়ে বানানো একটা স্থাপনা। প্রায়শ্চিত্ত প্রকল্পের শুরুতে এই ফার্মটা বানানো হয়েছিল শুধু মাত্র তাকিয়া মহলকে ঢেকে রাখার জন্য। এই ডেইরি ফার্মে গরু তেমন ছিল না। কিন্তু কেউ এদিকে আসতে চাইলে এই ডেইরি ফার্ম থেকেই এজেন্টরূপী গোয়ালারা নানাভাবে বাধা দিত। ডেইরি ফার্মটার সাথে তাকিয়া মহল একটা সুড়ঙ্গ দিয়ে সংযুক্ত ছিল। 

এখন সব কিছুই মৃত। এই স্থাপনাটাও। 

মেরিলিনা গায়ের চাদরটা আরও পেঁচিয়ে নিয়ে বলল, “এটাই সেই তাকিয়া মহল?” 

ফিরোজ মাথা নেড়ে বললেন, “না। এটা আমাদের একটা ডামি বলতে পারো। তাকিয়া মহল সামনে।” 

মেরিলিনা আর কিছু বলল না। 

ফিরোজ বললেন, “যা কিছু হোক না কেন, আমার ওপরে আস্থা রাখবে মেরিলিনা। আমি যা বলব সেটাই করবে।” 

মেরিলিনা মাথা নাড়ল। এখন পর্যন্ত সে জানতে চায়নি যে কার সাথে সে দেখা করতে যাচ্ছে। 

ফিরোজ অন্ধকারে এগিয়ে যেতে লাগলেন। ডেইরি ফার্ম পার হয়ে আরও বেশ খানিকটা গিয়ে তাকিয়া মহলের গেটটা আবছাভাবে চোখে পড়ল তার। কুয়াশা জমতে শুরু করছে। এই দরজা দিয়ে যেদিন প্রথম ঢুকেছিলেন, কত স্বপ্ন ছিল সেদিন। প্রায়শ্চিত্ত প্রকল্পের মাধ্যমে একজন অপরাধীকে কিভাবে সুস্থ এবং স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে হয় সেইটা বের করবেন। আন্তর্জাতিকভাবে MRAU এর নাম উজ্জ্বল হবে। কিছুই হয়নি। একটা ভুল লোককে বিশ্বাস করে নিজের হাতে সবকিছু খুইয়েছেন। দূর থেকে তাকিয়া মহলটাকে একটা ভেঙে যাওয়া তাসের ঘরের মত মনে হতে লাগল ফিরোজের। 

ফিরোজের একবার মনে হল, কেউ যেন তাকে অনুসরণ করছে। একটা শিহরণ বয়ে গেল ফিরোজের শরীরে। কত রক্ত দেখেছেন তিনি। কত রক্তপাতের কারণ তিনি নিজেই হয়েছেন। কিন্তু এইখানে যে মানুষগুলোর রক্তের সাথে তার নিজের স্বপ্নের রক্ত মিশে আছে। ফিরোজ একবার পেছনে তাকালেন। কেউ নেই। মেরিলিনা বাদে আর কোথাও কেউ নেই। উত্তুরে বাতাস বয়ে গেল হু হু করে সন্ধ্যার অন্ধকারে। 

ফিরোজ তাকিয়া মহলের সদর দরজা পর্যন্ত পৌঁছে নতুন তালা দুটো স্পৰ্শ করলেন। শীতল দুইটা তালা। যেন জীবন্ত দুটো শীতল রক্ত বিশিষ্ট প্ৰাণী। তালা দুটো লাগানো। এর মানে বশির এখনও এসে পৌঁছায়নি। তালা দুটো পাসওয়ার্ড প্রটেক্টেড। চাবি ঘুরিয়ে তারপর চাবির মাথা দিয়ে নির্দিষ্ট কয়েক জায়গায় টোকা দিতে হয়। অনেকটা মোর্স কোডের মত। 

ফিরোজ তালা খুলে লোহার গেটটা খুললেন। ক্যাঁচক্যাঁচ করে শব্দ হল। ফিরোজ বাড়ির ভেতরে বাড়ির আঙ্গিনায় ঢুকতে ঢুকতে বললেন, “মেরিলিনা, একটু পরেই তোমার বাবার সাথে দেখা হবে।” 

মেরিলিনা চমকে উঠে বলল, “সত্যি!”। 

ফিরোজ অন্ধকারে মেরিলিনার অভিব্যক্তি বুঝতে পারলেন না। একটা টর্চ জ্বালালেন তিনি। পুরো বাড়িটায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে। বিদ্যুৎ নেই। তিনি মেরিলিনাকে বললেন, “এইটা তোমার দাদা বাড়ি মেরিলিনা।” মেরিলিনা কিছুই বলল না। ফিরোজ ধরেই নিলেন মেয়েটা অবাক হয়েছে। 

দুইজন হাঁটতে হাঁটতে বেশ খানিকটা পথ পার হল। আশেপাশে নারিকেল গাছ আছে। অন্ধকারে উত্তুরে বাতাস এসে সেই নারিকেল গাছগুলোর পাতায় সরসর করে সুর তুলছে। ফিরোজের বার বার মনে হতে লাগল, কেউ তাকে অনুসরণ করছে। 

“এখানেই আপনাদের সেই ব্যর্থ প্রজেক্টটা করা হয়েছিল?” মেরিলিনা হাঁটতে হাঁটতে বলল। 

ফিরোজ বুঝতে পারলেন না এইটা কোন খোঁচা না একটা সাধারণ প্রশ্ন। তিনি হুম বলে একটা দায়সারা উত্তর দিলেন। 

একটা ছোট দরজার সামনে এসে দাঁড়ালো দুইজন। টর্চের বৃত্ত একটা ছোট দরজার ওপরে থেমে গেল। দরজাটায় একটা ছোটখাট তালা ঝুলছে। ফিরোজ আরও খানিকটা নিশ্চিত হলেন, যে বশির জামান আসেনি। তিনি চাবি দিয়ে তালাটা খুলে ভেতরে প্রবেশ করলেন। ওয়াকিটকিতে তীলক বড়ুয়াকে বললেন, “তীলক, বশির এখনও আসেনি। তুমি সবগুলো এন্ট্রি পয়েন্টে নজর রাখো। লক্ষ্য রাখো, কেউ আসার সাথে সাথে আমারকে জানাবা। তাকে আসতে দিবে, আটকাবে না। আর যেই-ই ঢুকুক, কেউ যেন তোমাদের উপস্থিতি বুঝতে না পারে।” 

তীলক এই প্রথম ইয়েস স্যার বলল। 

টর্চের আলোক বৃত্ত একটা ছোট বৈঠক খানার দেয়ালে ঘুরতে লাগল। কিছু পুরনো আসবাব দেখতে পেল মেরিলিনা। ফিরোজ মেরিলিনাকে বললেন, “সবসময় আমার পেছনে থাকবে।” 

মেরিলিনা অন্ধকারে মাথা নাড়ল। বৈঠকখানাটা পেরিয়ে দুইজন একটা করিডোরে এসে দাঁড়াল। করিডোরের এমাথা থেকে ওমাথা ফাঁকা। কোথাও জনমানুষের চিহ্ন নেই। এর বাম দিকটা গেল বাড়ির উত্তর দিকে। যেখানে এক নাম্বার গ্রুপকে রাখা হয়েছিল। আর ডান দিকটা গেল নরকের দিকে, যেখানে দুই নাম্বার গ্রুপটাকে রাখা হয়েছিল। 

করিডোর দিয়ে হু হু করে বাতাস বয়ে গেল। শিরশির করে উঠল মেরিলিনার সারা শরীর। এখনও তার বিশ্বাস করতে হচ্ছে যে এইটা তার দাদাবাড়ি। তার বাবার জন্মস্থান। ফিরোজকে এগিয়ে যেতে দেখে সেও ধীরে ধীরে পা বাড়ালো। দুইজনেই পা বাড়ালো ডান দিকে; নরকের দিকে। 

ওয়াকিটকি নীরব। তারমানে এখনও কেউ বাড়ির ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করেনি। 

এখনও রিচিং পাউডার আর ফিনাইলের গন্ধ ভেসে ভেসে বেড়াচ্ছে বদ্ধ বাতাসে। রক্তের গন্ধ তাতে চাপা পড়েনি। বরং আরও বেড়েছে। করিডোরের একদম শেষ মাথায় বন্দীদের সেল। যেখানে গ্রুপ দুইয়ের দুর্ভাগা ছয়জনকে রাখা হত। ফিরোজ সেদিকে গেলেন না। পাশের সিঁড়ি দিয়ে দোতলায় উঠে গেলেন। এমন একটা জায়গায় বশিরের সাথে দেখা করতে হবে, যেখান থেকে বের হওয়ার একটাই পথ। খুব সহজে বশিরকে ঘিরে ফেলা যাবে। সাথে পোষা তিন কুকুরকেও। 

ফিরোজ একটা হলঘর খুঁজতে শুরু করলেন। এই হলঘরে তিনি একবার এসেছিলেন। হলঘরটায় দুটা দরজা। একটা দরজা আটকে দিতে পারলেই কাজ সহজ হয়ে যাবে। হলওয়ে পার হয়ে হলঘরের প্রবেশ পথটা দেখতে পেলেন ফিরোজ। বন্ধ। 

কেউ আসেনি। একটা কাজ করা যেতে পারে। তীলককে বলে একটা অ্যাম্বুশ সেট করা যেতে পারে। আকস্মিক আক্রমণ। পরক্ষণেই সেই চিন্তা বাদ দিলেন ফিরোজ। মুখে জীবিত গ্রেপ্তার করবেন বললেও আসলে তো তিনি বশিরকে চুপ করিয়ে দিতে এসেছেন, 

চিরতরে। হলঘরের ভারি দরজাটা ধাক্কা দিতেই খুলে গেল। ফিরোজ আর মেরিলিনা হলঘরের ভেতরে ঢোকার সাথে সাথে পেছনের দরজা বন্ধ হয়ে গেল। ঘুটঘুটে অন্ধকারে ফিরোজের হাতে রদ্দা পড়ল। টর্চটা ছিটকে মেঝেতে পড়ে গড়িয়ে অনেকদূর চলে গেল। 

টর্চের কাঁপা কাঁপা আলো পড়ল একটা কেশহীন ক্লিন শেভড মুখের ওপরে। মুখমন্ডলটা খ্যাস খ্যাসে গলায় বলল, “এত দেরি কেন করলেন মেজর জেনারেল?” 

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *