অপারেশন প্লাজমা স্ক্রিন
দুবাই। বিশ্বের অন্যতম ধনকুবেরদের নগরী। সারা দুনিয়া থেকে হাজার হাজার পর্যটক ঘুরতে আসেন সৌদির এই শহরে। ওপর থেকে শান্ত জলাশয়ের মতো দেখতে হলেও ২০১০ সালের ১৯ জানুয়ারি দুবাই সাক্ষী হল এমন এক ঘটনার, যার ফলে কেঁপে উঠল আরব সরকার।
ঠিক কী ঘটেছিল দুবাই নগরীর বুকে?
মাহমুদ অল-মাহর হত্যা।
কে এই মাহমুদ অল-মাহ?
হামাস নামক জঙ্গি সংগঠনের মিলিটারি উইং ‘ইজাজ অল-দীন অল-কাসাম’ ব্রিগেডের একজন অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ছিল মাহমুদ। ১৯৮৯ সালে অর্থোডক্স জিউসের ছদ্মবেশ ধারণ করে আভি সাস্পোরটাস এবং ইলান সাদোন নামে দুজন ইসরায়েলি সৈনিককে অপহরণ এবং হত্যার মতো ঘৃণ্য কাজের সঙ্গে নাম জড়িয়েছিল এই হামাস নেতার। হত্যাকাণ্ডের পরে আল জাজিরা চ্যানেলে নিজের মুখ ঢেকে এবং নাম গোপন করে সাক্ষাৎকার দেয় অল-মারুহ। গর্বের সঙ্গে বলে, ‘ওদের মারার সময়ে আমিই ড্রাইভ করছিলাম। প্রথম সৈনিকের মুখে ফায়ার করেছিলাম। দ্বিতীয় জনের কপালে গুলি না করার আক্ষেপ থেকে গেল।’ দুই সৈনিককে মারার পর ওদের দেহ দু’ পায়ে দলেছিল অল-মারুহ অ্যান্ড কোম্পানি। তবে হ্যাঁ, সেদিন মুখ এবং পরিচয় গোপন করে রাখলেও ইসরায়েল অল-মানুহকে চিনতে ভুল করেনি। তার গলার স্বরই বলে দিয়েছিলে সে কে।
হামাসের ‘ইউনিট ওয়ান-ও-ওয়ান’-এর কম্যান্ডার থেকে হামাসের সর্বোচ্চ কর্তাদের একজন হয়ে ওঠার পিছনে ছিল শুধুই নৃশংসতার চেহারা। তার একটাই যোগ্যতা ছিল, সে ইসরায়েলের শত্রু।
এবং ইসরায়েল তার কোনো শত্রুকে ভোলে না। ১৯৮৯ সালে নেগেভ মরুভূমি থেকে ওই দুই সৈনিককে অপহরণ ও হত্যার পরই অল-মাহর নামে ‘রেড পেজ’ জারি করে মোসাদ। রেড পেজ হল ইসরায়েলের তরফ থেকে মোসাদকে দেওয়া একটা নির্দেশ, যার মাধ্যমে কাউকে হত্যা করার আদেশ দেওয়া হয়। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর যৌথ সম্মতি ক্রমে রেড পেজ জারি হয়ে থাকে। অভিনব ব্যাপার হল কারো নামে রেড পেজ ইস্যু হওয়া মানেই তাকে সঙ্গে সঙ্গে হত্যা করতে হবে এমন কোনো মানে নেই। এই রেড পেজের কোনো এক্সপায়ারি ডেট হয় না। হিট টিম ঠিক খুঁজে নেবে তাকে। কোনো না কোনো সময়।
তাই দেরিতে হলেও হিটলিস্ট অনুসারে যমের দ্বারে মাহমুদকে পাঠানোর সময় উপস্থিত হতেই সক্রিয় হয়ে ওঠে ইসরায়েলের ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি মোসাদ। যথা চিন্তা, তথা কাজ। মোসাদের পক্ষ থেকে চিফ মির ডাগান গ্রিন সিগন্যাল হিসাবে রেড পেজ আদায় করে নেন প্রধানমন্ত্রীর কাছে। প্রাইম মিনিস্টার বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু মিরকে বলেন, ‘সেন্ড ইয়োর বয়েজ!’
মানুহ পরে জর্ডনে চলে যায়। সেখানে হামাসের একটা গোপন ঘাঁটি বানিয়ে ইরান থেকে অস্ত্র পাচার করে এনে গাজা স্ট্রিপে অশান্তিমূলক কার্যকলাপে নিয়মিত ইন্ধন জোগাত। ১৯৯৫ সালে মানুহকে জর্ডন সরকার নির্বাসিত করে। অবশ্য কেবল মাবুহই নয়, নির্বাসন দেওয়া হয়েছিল সকল হামাস নেতাকেই। দামাস্কাসে ডেরা জমিয়ে বসে সে। যোগাযোগ রক্ষা করতে থাকে ইরানিয়ান রেভলিউশনারি গার্ডের সঙ্গে।
২০০৯ সালে ফৌজ রকেট ভর্তি ট্রাকের কনভয়কে গাইড করে নিয়ে যাওয়ার সময়ে ইসরায়েলি ড্রোনের হামলার মুখে পড়েছিল মাবুহ। বরাতজোরে রক্ষা পায় সে যাত্রায়।
মাবুহর গতিবিধি ক্রমশ বেড়েই চলেছিল। চিন, ইরান, সিরিয়া, সুদান, মিশর এবং আরব আমিরশাহীর মতো দেশগুলিতে ঘুরে ঘুরে হামাসের জন্য অর্থ, অস্ত্র এসব জোগাড় করতে থাকে মাবুহ।
ইসরায়েল এবার মাবুহ নামক এই শয়তানকে শেষ করার জন্য উঠে-পড়ে লেগেছিল। ২০০৯ সালের নভেম্বর মাসে দুবাইতেই মানুহকে হত্যা করার প্রথম চেষ্টাও করে মোসাদের সিজারিয়া ইউনিট। হোটেলের যে রুমে মাবুহ উঠেছিল, সেই রুমের লাইট, ফ্যান এবং এসির সব সুইচে তথা দরকারি জিনিসে বিষ মাখিয়ে রেখেছিল সিজারিয়া ইউনিট। মাবুহ সেই বিষকে স্পর্শ করে, যথারীতি অসুস্থও হয়। কিন্তু সেবারেও রক্ষা পায় মাবুহ। মোসাদ এবার শপথ নেয় যে, এরপরের বারে দুবাইয়ের মাটিতে মানুহকে শেষ করে তবেই তারা দেশে ফিরবে।
২০১০ সালের ১৮ জানুয়ারি হিট টিম আবার দুবাইয়ের উদ্দেশ্যে রওনা দিল। ব্রিটিশ, আইরিশ, ফ্রেঞ্চ, জার্মান এবং অস্ট্রেলিয়ান পাসপোর্ট ব্যবহার করে তারা গিয়ে উপস্থিত হল সৌদি নগরীর বুকে। ১২জনের এই টিম মাত্র ১৯ ঘণ্টাই ছিল সেখানে। মাহমুদকে শেষ করার ৫ ঘণ্টার মধ্যে তারা দুবাই ছেড়ে বেরিয়েও আসে।
হত্যাকাণ্ডের পরবর্তী তদন্ত করতে গিয়ে দুবাই পুলিশ সিসিটিভির ফুটেজ থেকে বিচ্ছিন্ন ঘটনাগুলোকে জুড়ে পুরো চিত্রটা সামনে আনে। কী জানিয়েছিল দুবাই পুলিশ?
১৯ জানুয়ারির ভোররাত থেকেই একের পর এক ফ্লাইটে চেপে ফ্রান্স, জার্মানি, সুইজারল্যান্ড, ইতালি থেকে ব্যবসায়ীদের পরিচয়ে দুবাইতে প্রবেশ করতে থাকে মোসাদের হিট টিমের মেম্বাররা। ট্রলি ব্যাগ কিংবা ল্যাপটপ কেস হাতে আর ৫ জন সাধারণ যাত্রীর মধ্যে থেকে তাদের আলাদা ভাবে চিহ্নিত করা কার্যত অসম্ভবই ছিল।
হিট টিমের মেম্বাররা আলাদা আলাদা হোটেলে উঠেছিল। কেভিন ডাভেরন নাম নিয়ে জাল আইরিশ পাসপোর্ট ব্যবহার করে এক সদস্য গিয়ে ওঠে আল বুস্তান রোতানা হোটেলে। দুবাইতে এলে এই হোটেলেই মাহমুদের থাকার কথা ছিল। কিছুক্ষণের মধ্যেই আল বুস্তান রোতানায় এসে উপস্থিত হয় মোসাদের আরেক এজেন্ট। সে পিটার এলভিঞ্জার নাম ব্যবহার করছিল।
এভাবে নানা হোটেলে চেক ইন করার পর টিমের মেম্বাররা সামান্য বিশ্রাম নিয়ে নেয়। এরপর তারা সম্মিলিত হয় একটি শপিং সেন্টারে। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হল নিজেদের অপারেশনের কোনো বিন্দুতেই তারা একটি বারের জন্যও একে অপরকে ফোন করেনি। ফোন কিছু করা অবশ্য হয়েছিল, কিন্তু তার সবকটাই করা হয়েছিল অস্ট্রিয়ার একটি নম্বরে। একজন যে তথ্য সেই নম্বরে ফোন করে জানাচ্ছিল, অন্য জন সেই নম্বরে ফোন করে সেই তথ্যটাই জেনে নিচ্ছিল। রিলে করার মতো আর কি! মনে করা হয় যে, এই অপারেশনটির জন্য অস্ট্রিয়ার একটি হোটেলকেই নিজেদের কম্যান্ড সেন্টার বানিয়ে ফেলেছিল ইসরায়েলের ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি মোসাদ।
ওদিকে নিজের আসন্ন মৃত্যু সম্পর্কে অজ্ঞাত মাহমুদ সিরিয়া থেকে ভোর ৩:১৫-র ফ্লাইট ধরেছিল। একজন মোসাদ এজেন্ট মাহমুদের গতিবিধির ওপর নজর রেখে সেইসব খবর সমানে পাচার করে চলেছিল হিট টিমের কাছে।
কিন্তু মাহমুদ অল-মাবুহ কেন আসছিল দুবাইতে?
ওই যে, যাকে নিয়তি বলে… নিয়তির টানে….
কেউ কেউ বলে, হামাসের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ আর্মস ডিল করতে দুবাইতে আসছিল অল-মারুহ। কিন্তু তার প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ কোনো প্রমাণ মেলেনি। অল-মাবুহর দুবাইতে আসার কারণ এবং পদ্ধতি দেখলে মনে হয় দুবাইতে পা রাখার আগে থেকেই মোসাদ নিজের জালে ফাঁসিয়ে ফেলেছিল হামাসের এই শীর্ষকর্তাকে।
কীভাবে?
সিরিয়া থেকে জাল পাসপোর্ট এবং ভুয়ো নাম নিয়ে প্লেনে চাপে অল-মানুহ। পাসপোর্টে তার নাম ছিল মাহমুদ আবদুল রউফ মোহম্মদ। কিন্তু পাসপোর্টে নিজের নাম বদলালেও নসিব বদলাতে পারেনি অল-মাবুহ, কারণ সেই নসিব লেখার দায়িত্ব নিয়েছিল ইসরায়েলের মোসাদ। যে অল-মাবুহ সিরিয়ার মাটিতেও নিজের দেহরক্ষীদের ছাড়া এক পা হাঁটতে চাইত না, তাকেই একেবারে একা যেতে হচ্ছিল দুবাইতে। ওই ফ্লাইটে তার সঙ্গে কোনো সহায়ক কিংবা দেহরক্ষী যাওয়ার সুযোগ পায়নি। এয়ারলাইন্স অথোরিটি থেকে বলা হয়েছিল, ‘ফ্লাইট ইকে ৯১২-তে আর টিকিট নেই!’
দুবাইতে পা রেখে ইমিগ্রেশন অফিসারকে যে পাসপোর্ট অল-মারুহ দিয়েছিল, তাতে পেশার জায়গায় লেখা ছিল ‘মার্চেন্ট’। হ্যাঁ, মৃত্যুর সওদাই তো করত এই সওদাগর। তাই একদিক থেকে দেখতে গেলে কথাটা সত্যিই ছিল।
হিট টিমের কয়েক জন সদস্য দুবাইয়ের এয়ারপোর্ট টার্মিনাল থেকেই মানুহকে ফলো করতে শুরু করে এবং তার পিছু নিয়ে এসে পৌঁছায় পাঁচতারা হোটেল আল বুস্তান রোতানাতে।
তখন দুপুর ২:১২। হোটেলের মেইন লবিতে রিসেপশনের সামনে দিয়ে আনাগোনা করছে অজস্র টুরিস্ট। মার্বেলের মেঝের ওপরে তাদের ট্রলির চাকার শব্দ ঢাকা পড়ে যাচ্ছে ফোয়ারার জলের শব্দে। মাবুহ হোটেলের তিন তলায় নিজের বুক করা রুম নম্বর ২৩০-এ যাওয়ার জন্য এলিভেটরের দিকে এগোচ্ছিল। ওর পিছু পিছু অপর দুজন টুরিস্টকে দেখা গেল। তাদের হাতে টেনিস র্যাকেট এবং কাঁধে তোয়ালে। মাথায় ছিল ক্যাপ। ওরা আসলে মোসাদের এজেন্ট ছিল।
মানুহ মোসাদ তথা ইসরায়েল নিয়ে বরাবরই সতর্ক থাকত। লিফটে ওঠার সময়ে সে নিজের পিছনে দুই টেনিস খেলোয়াড়কে একবার আড়চোখে দেখেও নেয়। আশ্বস্ত হয়, ‘এরা আশা করি মোসাদ এজেন্ট নয়!’
নিজের সুরক্ষার দিকে কোনো খামতিই রাখেনি মাবুহ। হোটেলের রুম বুক করার সময়ে বেশ কয়েকটা শর্ত মেনে ঘর দিতে বলেছিল সে। যেমন—
-নন স্মোকিং রুম হতে হবে।
-রুমের উইন্ডো সিলড থাকবে।
-রুমে কোনো ব্যালকনি থাকবে না।
-রুমে ঢোকার দরজা থাকবে একটাই।
দ্রুত পদচারণায় দীর্ঘ লবি পার করে নিজের রুমে ঢুকে পড়ে মাবুহ। মাবুহর পিছনে থাকা দুই এজেন্ট তৎক্ষণাৎ টেক্সট মেসেজ করে পিটার এলভিঞ্জারকে মানুহর রুমের নম্বর এবং তার ঠিক উলটো দিকের রুমের নম্বর জানায়। পিটার নীচেই রিসেপশনে ছিল। সে সঙ্গে সঙ্গে ২৩০ নম্বর রুমের ঠিক বিপরীত দিকের ২৩৭ নম্বর রুমটি বুক করে নেয়।
বিকেলে ঠিক ৪:২৩-এ মাবুহ হোটেল থেকে বেরোয়। কিন্তু সে এই সময়ে কোথায় গিয়েছিল তার হদিশ মেলেনি। পরে দুবাই পুলিশ নিজের ইনভেস্টিগেশনে জানায় যে, মাবুহ আসলে দামাস্কাস থেকে দুবাই হয়ে প্রথমে চিন এবং পরে সুদানে যাওয়ার টিকিট কেটেছিল। দুবাই ছিল ওর কাছে বিশ্রামস্থল মাত্র। অথচ ইসরায়লের কাছে পাকা খবর ছিল যে, একজন ইরানি আর্মস ডিলারের সঙ্গে ডিল করার জন্যই দুবাইতে হল্ট করেছিল অল-মানুহ।
আসল ‘কিল টিম’ রোতানায় ঢোকে পাক্কা সন্ধে ৬:৩৪-এ। এজেন্ট ছিল চার জন। বৃষস্কন্ধ মোসাদ এজেন্টদের মাথায় বেসবল ক্যাপ, হাতে শপিং ব্যাগ এবং পিঠে ব্যাকপ্যাক ছিল।
সন্ধে আটটা বাজতেই মোসাদ এজেন্টরা মাবুহর রুমের বাইরে হলওয়েতে পজিশন নিতে থাকে। একজন স্পেশালিষ্ট ২৩০ নম্বর রুমের ইলেকট্রনিক লক ব্রেক করতে থাকে। তখন অন্যরা হলওয়েতে পাহারা দেয়। মাবুহ হোটেলে ফেরে ৮:২৩ নাগাদ। নিজের রুমে ঢোকে মাবুহ। সে বুঝতেও পারেনি যে, তার রুমে চার জন গুপ্তঘাতক অপেক্ষা করছিল।
মানুহকে প্রাণে মেরে ফেলা হয়। তার মৃত্যুটাকে যথাসম্ভব স্বাভাবিক বলে দেখানোর চেষ্টা করা হয়েছিল। প্রথমেই তাকে সাকসিনিলকোলিন নামক একটি কেমিক্যাল ইনজেক্ট করে দেয় মোসাদ এজেন্টরা। সাকসিনিলকোলিন একটি সাংঘাতিক ধরনের মাসল রিলাকট্যান্ট। এর প্রভাবে এক মিনিটের মধ্যে সারা দেহে পক্ষাঘাত নেমে আসে। এই মারাত্মক ড্রাগের প্রকোপেই সম্ভবত মাবুহ পক্ষাঘাতে আক্রান্ত হয়ে যায় এবং তারপর তার মুখে বালিশ চাপা দিয়ে তাকে শ্বাসরুদ্ধ করে মারা হয়।
রুদ্ধশ্বাস হলিউড মুভির কায়দায় পুরো অপারেশন সারে মোসাদ টিম। তবে মোসাদ বা ইসরায়েলের পক্ষ থেকে এই অপারেশনের কথা কখনো জনসমক্ষে স্বীকার করা হয়নি।
যে কথাটুকু না বললেই নয় তা হল, মোসাদ নাকি এই অপারেশনের নাম রেখেছিল ‘অপারেশন প্লাজমা স্ক্রিন’। পরবর্তীকালে দুবাই পুলিশ সিসিটিভির ফুটেজ প্লাজমা স্ক্রিনের টিভিতে দেখেই এই কেসটিকে রিকন্সট্রাক্ট করেছিল। মোসাদের মতো সুচারু একটি এজেন্সির কাজে এ ধরনের সূত্র রেখে যাওয়া কাম্য ছিল না। তাহলে কি সূত্র রেখে যাওয়াটা ছিল উদ্দেশ্যপ্রণোদিত? এই কথা বোঝাতেই কি সূত্র রাখা হয়েছিল যে, ইসরায়েল তার শত্রুদের কক্ষনো ক্ষমা করে না?