(কবিরুল ইসলাম-কে)
যায় যায় সবই যায় নদীর কোঁকড়ানো ঢেউ ভাঙতে ভাঙতে যায়
হালকা হাওয়া নাচতে নাচতে যায় রমণীর নক্সী আঁচল উড়তে উড়তে যায়
পুরুষের দল হাঁটতে হাঁটতে যায় বহমান জনতার হাটে যায়; যায় যায়
যায় যায় সবই যায় খড়কুটো কবিতার শরীর ভেসে যায়
যায় যায় সবই যায় আমি এক পড়ে থাকি শুকনো শান্ত নদীর জলে পড়ে থাকি
অর্ধ-ডুবন্ত অৰ্ধ-জাগা পাশ ভাঙা খালি নৌকার মতো পড়ে থাকি
স্মৃতিরা ভীড় করে আসে আর সব যায় লালনীল নিশান উড়িয়ে যায়
মাছে শামুকের শুয়ে থাকে আমার পাঁজরায় আর সব যায়
আমি এক আর সব যায়; যায় ভালবাসার সরল হাত ধরে চলে যায়
নিপুণ সিম্ফনি বাজাতে বাজাতে যায়
উজ্জ্বল আলোর মেলায় যায় অন্তর্গত কান্নার ধ্বনি রেখে যায়
যায় যায় সবই যায়!