ছিপছিপে তার পাতলা গঠন, রাঙা যে টুকটুক
সোনা রূপায় ঝলমল দেখলে তাহার মুখ।
সেই মেয়েটি বলল মোরে দিয়ে একখান খাতা,
লিখো কবি ইহার মাঝে যখন খুশি যা তা।
উত্তরে তায় কইনু আমি, এই যে রূপের তরী,
বেয়ে তুমি চলছ পথে আহা মরি মরি।
যে পথ দিয়ে যাও সে পথে পথিক জনার বুকে,
ঢেউ ভাঙিয়া এধার ওধার হয় যে কতই সুখে।
রূপের ডালি চলছ বয়ে, শাড়ির ভাঁজে ভাঁজে,
কুসুম ফুলের মাঠখানি যে কতই রঙে রাজে।
একটুখানি দাঁড়াও মেয়ে, অমন মুখের হাসি,
খানিকটা তার ধরে রাখি দিয়ে কথার ফাঁসি।
চলছ পথে ছড়িয়ে কতই রঙের রঙের ফুল,
কিছুটা তার লই যে এঁকে দিয়ে ভাষার ভুল।
রূপশালী ওই অঙ্গখানি, গয়না শাড়ির ভাঁজে,
আয়না খানা সামনে নিয়ে দেখছ কত সাজে।
সত্যি করে বল কন্যে! সবার যেমন লাগে,
তোমার কাছে লাগে কি তার হাজার ভাগের ভাগে?
নিজের ভোগেই আসে না যা, কেনবা যতন ভরে,
সাবধানেতে রাখছ তাহায় সবার আড়াল করে!
রূপ দেখে যার ভাল লাগে, রূপ যে শুধু তার,
তার হুদয়ে উথলপাথল রূপের মহিমার।
কেন তুমি কৃপণ এত! তোমার যাহা নয়,
পরের ধনে পোদ্দারী কি তোমার শোভা পায়?
সবই ত যায়, কিছুই ভবে রয় না চিরতরে,
বাসর রাতের শেষ না হতে রূপের প্রদীপ ঝরে।
কি করে বা রাখবে তারে? বাহুর বাঁধনখানি,
এতই শিথিল, পারেনা যে রাখতে তারে টানি।
শুধু কথার সরিৎ-সাগর, তাহার নিতল জলে,
রূপের কমল রয় যে ফুটে মেলি হাজার দলে।
কথার খাঁচায় বন্দী হতে এই ভঙ্গুর ধরা,
কত কাল যে করছে সাধন হয়ে স্বয়ম্বরা।
সেই কথাও চিরকালের হয় না চিরদিন,
সেদিন তোমার আর আমারো রইবেনাক চিন।
সেই মেয়েটি বলল মোরে দিয়ে একখান খাতা,
এই লাইনটি দুইবার আসছে। মুল বইয়ে এক বার লেখা।
লিখো কবি ইহার মাঝে যখন খুশী যা তা।
খুশি, বাঁশি, শাড়ি ইত্যাদি বানান আপনাদের সাইটে ী দেওয়া হয়েছে। মুল বইতে সব ি দিয়ে লেখা।
সরিত সাগর> সরিৎ-সাগর,
চির তরে > চিরতরে,
সাবধানেতে রাখছ তাহার > সাবধানেতে রাখছ তাহায়
শাড়ীর ভাজে ভাজে > শাড়ির ভাঁজে ভাঁজে
ছিপ ছিপে > ছিপছিপে
লিখো কবি ইহার মাঝে যখন খুশী যা তা। > ‘লিখো কবি ইহার মাঝে যখন খুশী যা তা।’
ইত্যাদি অজস্র ভুল রয়ে গেছে। আপনাদের চেষ্টা অনেক সুন্দর। তবে একই ভুল সব ওয়েবসাইটে দেখতে পাচ্ছি। কে যে কাকে কপি করেছে বলা কঠিন। !!!!!
আশা করি কবির সৃষ্টি যেমন ছিলো, পোষ্টগুলিও তেমনি থাকবে। ভুল থেকে ভুল, কপি থেকে কপি… এভাবে মুল রচনা হারিয়ে যাচ্ছে… 🙁
অনেক অনেক ধন্যবাদ।