অধ্যায়-২০ কিং ডেভিডের রাজত্বকাল
রাজত্ব হাতে নিয়েই দাউদ (আ) পরাজিত করেন ফিলিস্তিনিদেরকে। আর্ক অফ দ্য কোভেন্যান্ট বা শরীয়ত সিন্দুকটিকে তিনি নিয়ে এলেন জেরুজালেমে। সিন্দুকের জন্য আলাদা করে একটু তাঁবু স্থাপন করা হলো।
বাইবেল বলছে এরকম সময়েই আল্লাহ আদেশ দেন বাইতুল মুকাদ্দাস নির্মাণের। (২ শামুয়েল ৭:৫) তবে তা তিনি সরাসরি দাউদ (আ)-কে না বলে, সমসাময়িক আরেক নবী নাথন (আ) (1২২) এর মাধ্যমে পাঠালেন। আদেশ ছিলো, এমন একটি ঘর নির্মাণের যা হবে আল্লাহর জন্য, তার একান্ত
ঠিক এ পর্যায়ে বাইবেল দাউদ (আ) এর জীবনীতে এমন একটি ঘটনা উল্লেখ করে যা ইসলামি গ্রন্থগুলো সর্বৈব মিথ্যা বলে পরিত্যাগ করে। ঘটনাটি এমন- “একদিন বিকালে দাউদ বিছানা থেকে উঠে রাজপ্রাসাদের ছাদে বেড়াচ্ছিলেন, আর ছাদ থেকে দেখতে পেলেন যে, একটি স্ত্রীলোক গোসল করছে; স্ত্রীলোকটি দেখতে বড়ই সুন্দরী ছিল। দাউদ তার বিষয় জিজ্ঞাসা করতে লোক পাঠালেন। একজন বললো, এ কি ইলিয়ামের কন্যা, হিট্টিয় ঊরিয়ের স্ত্রী বাৎশেবা (Bathseba) নয়? তখন দাউদ দূত পাঠিয়ে তাকে আনালেন এবং সে তার কাছে এলে দাউদ তার সঙ্গে শয়ন করলেন; পরে সে তার ঘরে ফিরে গেল। এরপর সে গর্ভবতী হলো; আর লোক পাঠিয়ে দাউদকে এই সংবাদ দিল, আমি গর্ভবতী হয়েছি… খুব ভোরে দাউদ যোয়াবের কাছে একটি পত্র লিখে বাৎসেবার স্বামী সৈনিক উরিয়ের হাতে দিয়ে পাঠালেন। পত্রখানিতে তিনি লিখেছিলেন, তোমরা এই ঊরিয়কে তুমুল যুদ্ধের সম্মুখে নিযুক্ত কর, পরে এর পিছন থেকে সরে যাবে, যাতে সে আহত হয়ে মারা পড়ে।” (২ শামুয়েল ১১) মোট কথা, বাইবেলে দাউদ বাসেবাকে পাবার জন্য তার স্বামীর মারা পড়বার ব্যবস্থা করেন। এরপর তাকে বিয়ে করেন এবং তাদের এক পুত্র হয়। আল্লাহ এতে অসন্তুষ্ট হয়ে তাকে শাস্তি প্রদান করলেন। তার সেই পুত্রসন্তান মারা গেলো সপ্তম দিনে। পরবর্তীতে দাউদের ঔরসে বাৎসেবার আরেক পুত্র হয়, তার নাম তিনি রাখেন সুলাইমান। নবী নাথান আল্লাহর অভিশাপটুকু তাকে জানিয়ে দেন, “ একটি বড় শাস্তি ধেয়ে আসবে, নিজের রক্তই তোমার তরবারি হবে।” তবে যেহেতু দাউদ অনুতপ্ত হন, তাই নাথন জানান, তিনি মারা যাবেন না, কিন্তু তার ক্ষতিসাধন হবে। বলা বাহুল্য, বাৎসেবার সাথে এ কাহিনীটি ইসলামে সমর্থিত নয় আদৌ।
দাউদ (আ) এর জীবনের শেষ দিকে এসে তার পুত্র আবসালম ( Absalom) বিদ্রোহ করে বসে পিতার বিরুদ্ধে রাজত্বের লোভে। নির্বাসিত রাজপুত্র আবসালমের অনুগত বিদ্রোহী বাহিনীর সাথে এফ্রাইমের বনে যুদ্ধ হয় দাউদ (আ) এর বাহিনীর। আবসালমের লম্বা চুল একটি গাছের সাথে আটকে যায়। তখন দাউদের (আ) বাহিনীর সেনাপতি জোয়াবের হাতে নিহত হয় আবসালম, যদিও দাউদ (আ) বলে দিয়েছিলেন যেন তাকে হত্যা না করা হয়।
এ খবর পাবার পর দাউদ (আ) প্রিয় পুত্র আবসালমের জন্য শোকে কাতর হয়ে পড়েন আর সেনাপতি জোয়াব তাকে বারবার বোঝাবার চেষ্টা করতে থাকেন তার রাজ্য পরিচালনা করাটা কতটা জরুরি সেই মুহূর্তে। পরবর্তীতে এহুদা ও বিনইয়ামিন (বেঞ্জামিন) গোত্র দাউদ (আ)-কে জর্ডান নদী পেরিয়ে জেরুজালেম পৌঁছে দেয়।
চল্লিশ বছর শাসন করে যখন দাউদ (আ) এর শয্যাশায়ী হয়ে পড়লেন তখন তাঁর সবচেয়ে বড় (ও জীবিত) ছেলে আদোনিজাহ ( Adonijah) নিজেকে বাদশাহ হিসেবে ঘোষণা করে। কিন্তু সমস্যা হয়ে যায়, দাউদ (আ) আগেই একবার বাসেবাকে কথা দিয়েছিলেন পরবর্তী বাদশাহ হবেন বাসেবার পুত্র সুলাইমান, অন্য স্ত্রীর পুত্র নয়। নিজের কথা রাখবার জন্য আদোনিজাহকে দমন করান। শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করবার আগে দাউদ (আ) সুলাইমান (আ)-কে ডেকে তাঁকে বাদশাহ মনোনীত করলেন এবং আল্লাহর পথে থাকতে বললেন আজীবন।
বাইবেল মতে, আট স্ত্রী আর ১৮ সন্তান রেখে ৭০ বছর বয়সে যখন দাউদ (আ) বা কিং ডেভিড মৃত্যুবরণ করেন, তখন খ্রিস্টের জন্ম হতে আরও ৯৭০ বছর বাকি।
প্রথমদিকে ইতিহাসবিদরা ধারণা করতেন, ডেভিড নামের কেউ আসলে ছিলেনই না, পুরোটাই ইহুদী কাহিনীর অংশ। কিন্তু খ্রিস্টপূর্ব আট কি নয় শতকের দিকে দামেস্কের রাজার আদেশে খোদাই করা এক পাথর আবিষ্কৃত হয় ১৯৯৩ সালে। সেখানে স্পষ্ট করেই দাউদ (আ) এর উল্লেখ পাওয়া যায় ঐতিহাসিকভাবে। সেখানে আরামায়িক ভাষায় বর্ণিত একটি ঘটনা ওল্ড টেস্টামেন্টেও পাওয়া যায়। ফলকটি এ মুহূর্তে আছে ইসরায়েল জাদুঘরে, নাম তার KAI ৩1০। এখানে হিব্রুর কাছাকাছি ভাষা আরামায়িকে লেখা “জামাল” (বাইত- দাউদ) অর্থাৎ দাউদের বংশ (বাড়ি)।
দাউদ (আ) এর ওপর নাজিল হয় গজলময় যাবুর (১:১) কিতাব, যা পরিচিত Book of Psalms নামে। হিব্রুতে একে ডাকা হয় ‘তেহিলিম’ (nn) বলে, আরবিতে যার প্রতিশব্দ ‘হামদ’ (এ) অর্থাৎ ‘প্রশংসা’। আরবি জাবুর অর্থ অবশ্য ‘লেখনি’। কুরআন বলছে, “আমি দাউদকে দিয়েছি যাবুর।” (সুরা নিসা ৪:১৬৩, বনী ইসরাইল ১৭:৫৫ )
হাদিসে আছে, আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত: তিনি বলেন, নবী (সা) বলেছেন, “দাউদ (আ)-এর জন্য কুরআন (যাবুর) তেলাওয়াত সহজ করে দেয়া হয়েছিল। তিনি তাঁর পওযানে গদি বাঁধার আদেশ করতেন, তখন তার উপর গদি বাঁধা হতো। অতঃপর তাঁর পওযানের উপর গদি বাঁধার পূর্বেই তিনি যাবুর তিলাওয়াত করে শেষ করে ফেলতেন। তিনি নিজ হাতে উপার্জন করেই জীবিকা নির্বাহ করতেন।” (সহিহ বুখারি ৬০:৩৪17)
দাউদ (আ) এর রোজা রাখা সম্পর্কে রয়েছে হাদিস। নবী (সা) আব্দুল্লাহ ইবনে আমর (রা)-কে বলেন, “তুমি দাউদ (আ)-এর নিয়মে রোজা রাখো। তিনি একদিন রোজা রাখতেন আর একদিন বিরত থাকতেন। আর শত্রুর মুখোমুখি হলে তিনি কখনও পালিয়ে যেতেন না।” (সহিহ বুখারি ৬০:৩৪১৯) আরও আছে, “আল্লাহর নিকট সবচেয়ে পছন্দনীয় সালাত দাউদ (আ)-এর সালাত ও সবচেয়ে পছন্দনীয় সওম দাউদ (আ)-এর সওম। তিনি রাতের প্রথমার্ধে ঘুমাতেন আর এক-তৃতীয়াংশ দাঁড়িয়ে সালাত আদায় করতেন এবং বাকি ষষ্ঠাংশ ঘুমাতেন। তিনি একদিন সওম পালন করতেন আর একদিন বিরতি দিতেন।”
দাউদ (আ) এত সুরেলা কণ্ঠে জাবুর পাঠ করতেন যে সকলেই মুগ্ধ হয়ে যেত। কুরআনে বলা রয়েছে, “আমি পর্বত ও পাখিদেরকে দাউদের অনুগত করে দিয়েছিলাম; তারা আমার পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করত।” (কুরআন, সুরা আম্বিয়া ২১:৭৯) “আমি দাউদের প্রতি অনুগ্রহ করেছিলাম এই আদেশ মর্মে যে, হে পর্বতমালা, তোমরা দাউদের সাথে আমার পবিত্রতা ঘোষণা কর এবং হে পক্ষী সকল, তোমরাও।” (কুরআন সুরা সাবা ৩৪:১০) বলা হয়েছে, হাশরের সময় দাউদ (আ) আবার আল্লাহর গুণ গাইবেন সুললিত কণ্ঠে।
“হে দাউদ! আমি তোমাকে পৃথিবীতে প্রতিনিধি করেছি, অতএব, তুমি মানুষের মাঝে ন্যায়সঙ্গতভাবে রাজত্ব কর এবং খেয়াল-খুশির অনুসরণ করো না। তা তোমাকে আল্লাহর পথ থেকে বিচ্যুত করে দেবে।” (কুরআন, সুরা সাদ, ৩৮:২৬) সুরা সাদকে ‘দাউদের সুরা’ বলে ডাকা হয়েছে।
“আমি অবশ্যই দাউদ ও সুলায়মানকে জ্ঞান দান করেছিলাম। তাঁরা বলেছিলেন, প্রশংসা আল্লাহর, যিনি আমাদেরকে তাঁর অনেক মুমিন বান্দার উপর শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছেন।” (কুরআন সুরা নামল ২৭:১৫)
“ঈমানদাররা আল্লাহর হুকুমে জালূতের বাহিনীকে পরাজিত করে দিল এবং দাউদ জালূতকে হত্যা করল। আর আল্লাহ দাউদকে দান করলেন রাজ্য ও অভিজ্ঞতা। আর তাঁকে যা চাইলেন শেখালেন। আল্লাহ যদি একজনকে অপরজনের দ্বারা প্রতিহত না করতেন, তাহলে গোটা দুনিয়া বিধ্বস্ত হয়ে যেতো।” (কুরআন সুরা বাকারা ২:২৫১ )
দাউদ (আ) বর্ম বানাতে পারতেন, এটি কুরআনে বারবার বলা হয়েছে। “আমি তাঁকে তোমাদের জন্যে বর্ম নির্মাণ শিক্ষা দিয়েছিলাম, যাতে তা যুদ্ধে তোমাদেরকে রক্ষা করে।” (কুরআন সুরা আম্বিয়া ২1:8০) “আমি তাঁর জন্য লৌহকে নরম করে ছিলাম।” (কুরআন সুরা সাবা ৩৪:১০ )
দাউদ (আ) প্রতিদিন একটি করে বর্ম তৈরি করতেন এবং ছয় হাজার দিরহাম দিয়ে বিক্রি করতেন। এটি ইবনে কাসিরের বর্ণনা।
কুরআনে আরও আছে, “আমি তাঁর সাম্রাজ্যকে সুদৃঢ় করেছিলাম এবং তাঁকে দিয়েছিলাম প্রজ্ঞা ও ফয়সালাকারী বাগ্মিতা।” (কুরআন সুরা সাদ ৩৮:২০ )
“বনী ইসরাইলের মধ্যে যারা অবিশ্বাসী, তাদেরকে দাউদ ও মরিয়মতনয় ঈসার মুখে অভিসম্পাত করা হয়েছে। এটা এ কারণে যে, তারা অবাধ্যতা করত এবং সীমা লংঘন করত।” (কুরআন সুরা মায়িদা ৫:৭৮)
ইবনে কাসির থেকে বর্ণিত, কথিত আছে, দাউদ (আ) শনিবারে (বা বুধবারে) মারা যাবার পর চার হাজার ইমাম আর হাজার হাজার মানুষ তার জন্য শোক করে। তখন প্রচণ্ড গরমের দিন ছিল। সুলাইমান (আ) তখন পাখিদের ডেকে আদেশ করেন মাথার ওপর ছায়া হয়ে দাঁড়াতে। দাউদ (আ)-কে দাফন করা পর্যন্ত পাখিরা সেভাবেই ছিল। সেই প্রথম সুলাইমান (আ) এর মুজেজা বা আল্লাহপ্রদত্ত অলৌকিক ক্ষমতা প্রকাশ পায়।
কুরআনে সুরা সাদে (৩৮:২১-২৬) বর্ণিত আছে একটি ঘটনা। একবার দাউদ (আ) একাকী ইবাদাতখানায় ছিলেন। তখন হঠাৎ করে দুজন লোক ঢুকে পড়ে। তিনি খুব ভয় পেয়ে যান, কারণ বাইরে পাহারাদার ছিল। তা-ও তারা কীভাবে ঢুকলো?
তারা বললো, “ভয় পাবেন না।” তারা বোঝালো যে তারা দুই ভাই এবং তারা একটি ফয়সালার জন্য এসেছে। তাদের একজনের নিরানব্বইটি দুম্বা আছে, আর অন্যজনের একটি দুম্বা। যার নিরানব্বইটি আছে, সে অন্যজনের কাছে বাকি দুম্বাটাও চাইছে, এটা অন্যজন চায় না।
দাউদ (আ) বললেন, কুরআনের ভাষায়, “সে তোমার দুম্বাটিকে নিজের দুম্বাগুলোর সাথে সংযুক্ত করার দাবী করে তোমার প্রতি অবিচার করেছে। শরীকদের অনেকেই একে অপরের প্রতি জুলুম করে থাকে। তবে তারা করে না, যারা আল্লাহর প্রতি বিশ্বাসী ও সৎকর্ম সম্পাদনকারী। অবশ্য এমন লোকের সংখ্যা অল্প।”
এ কথা বলবার পর দাউদ (আ) নিজেই বুঝতে পারলেন তাঁকে পরীক্ষা করা হয়েছে। কারণ, তিনি অন্যজনের কথা না শুনেই ফয়সালা দিয়ে দিয়েছেন। এমনটা কোনো কাজীর করবার কথা নয়। তিনি অনুতপ্ত হয়ে সিজদায় নত হলেন। ইবনে কাসির বলেন, কথিত আছে, এসময় সে লোক দুজন উধাও হয়ে যায়, তারা ছিল ফেরেশতা।
আল্লাহ তাঁকে ক্ষমা করলেন, “আমি তাঁর সেই অপরাধ ক্ষমা করলাম। নিশ্চয়ই আমার কাছে তাঁর জন্য রয়েছে উচ্চ মর্যাদা ও সুন্দর আবাসস্থল। হে দাউদ! আমি তোমাকে পৃথিবীতে প্রতিনিধি করেছি, অতএব, তুমি মানুষের মাঝে ন্যায়সঙ্গতভাবে রাজত্ব কর এবং খেয়াল-খুশির অনুসরণ করো না। তা তোমাকে আল্লাহর পথ থেকে বিচ্যুত করে দেবে।”
বনী ইসরাইল জাতির মাঝে অন্যায় অবিচার ও মিথ্যা সাক্ষ্য খুব বেশি বেড়ে গেলে দাউদ (আ)-কে একটি ফয়সালাকারী শিকল দেয়া হয় আল্লাহর পক্ষ থেকে। সোনার এ শিকল বাইতুল মুকাদ্দাসের পাশে রক্ষিত ‘সাখরা পাথরখণ্ড পর্যন্ত ঝুলন্ত ছিল বলে ইবনে কাসির লেখেন। বিবাদমান দুই ব্যক্তির মাঝে যে সত্য বলছে বা ন্যায়ের পথে আছে সে সেই শিকলটির নাগাল পেতো। অপরজন পেতো না। দীর্ঘদিন এরকম চলতে থাকে। অবশেষে একটি ঘটনা ঘটে।
এক ব্যক্তি অন্য একজন থেকে একটি মুক্তা গচ্ছিত রাখে। যখন সে তার মুক্তা ফিরিতে আনতে যায় তখন ঐ ব্যক্তি অস্বীকার করে বসে। সে একটি লাঠির ভেতর মুক্তা রেখে দেয়। আসলে মুক্তাটা যার ছিল সে এসে অভিযোগ জানায়। তাকে শিকলটি ধরতে বলা হলে, সে আসলেই তার নাগাল পেয়ে গেলো।
এবার পালা বিবাদীর, ততক্ষণে সে লাঠিটি বাদীর বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়েছে মুক্তাসহ, কিন্তু সবাই সেটাকে লাঠি হিসেবেই জানে, মুক্তা হিসেবে নয়। বিবাদী আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করে বলে, “হে আল্লাহ, আপনি নিশ্চয়ই জানেন, আমি মুক্তাটি তাকে ফিরিয়ে দিয়েছি।” সে আসলেই শিকল ধরতে পেলো!
ফলে সেই শিকলের দরুণ বনী ইসরাইল সমস্যায় পড়ে যায়। অল্প কিছুদিনের মাঝে সেই শিকল উঠিয়ে নেয়া হয়।
সাহাবী উমার (রা) যখন জেরুজালেম গিয়েছিলেন তখন টেম্পল মাউন্ট এলাকায় সফ্রোনিয়াস তার সাথে সাথে ছিলেন, আগে একটি অধ্যায়ে কাহিনী উল্লেখ করা হয়েছে। তখন উমার (রা) নামাজ পড়বার জন্য খুঁজছিলেন ‘মিহরাব দাউদ’। পরবর্তীতে ইতিহাসবিদরা একে টাওয়ার অফ ডেভিড (হিব্রুতে ‘মিগদাল দাদ’) হিসেবে চিহ্নিত করেন, যা জেরুজালেম সিটাডেল বা আরবিতে বুর্জ দাউদ নামেও পরিচিত। জেরুজালেমের পুরোনো শহরে এর অবস্থান।
দাউদ (আ) এর মৃত্যুর পর শেষ বড় বাদশাহ সুলাইমান (আ) এর কাহিনীর পালা।