(অতন্দ্রিলা, তুমি ঘমোওনি জানি/অমিয় চক্ৰব্রতী)
অতন্দ্রিলা; তুই এলি কেন, বরং চলে যা
দুঃখের নদীতে দ্যাখ গিয়ে পড়ে আছে আমার দুঃখপূর্ণ ভেলা
আমাকে আজ ঘুমোতে দে তুই
স্বচ্ছ আকাশে যন্ত্রণার ঝাপসা মায়া বাঁধলো কেনো ঘর
তুই জিজ্ঞেস কর বাতাস সাক্ষী হবে বকে রাধ কঠিন সাহস
তোর শরীরে আজ দেখি নিসর্গের আদি শোভা
আশ্চর্য হাওয়ায় তুই চুলগুলি উড়িয়ে এলি এতক্ষণ
হঠাৎ আনন্দ তোর বেজে ওঠে গুপ্ত সরোবরে
করোটি বিহীন শীতল অন্ধকার আসছে ওই
আলোটা জ্বালা
নিজস্ব সংসারে আমি ফিরে যাবো
তুই আজ যা অতন্দ্রিলা
তোর ছায়া ভীষণ ভয় লাগে; তবু তোর চোখ দুটো আমার চোখে
মারবেলের মতো জ্বলজ্বল করে
তোর হাঁটার শব্দে আমার ব্যাকুলতা বাড়ে—
বাসন্তী কাপড়ে তুই এসেছিস তব আমার চোখে ঘন্ত্রণা
আমার দুঃখের ভাগী হ’ এইবেলা
আমি কিছু স্বচ্ছ দেখি পৃথিবী তোকে
জননীর মতো হাতটা রাখ কপালে
দুঃখ আর দুশ্চিন্তায় মাথাটা ক্যামোন গরম দ্যাখ
জানালাটা বন্ধ কর সেই সাথে
অতীন্দ্রলা; তুই আজ আমার কাছে থাক
২৩/৯/৭০