৩০০ বছরের কলকাতা পটভূমি ও ইতিকথা – ডঃ অতুল সুর
৩০০ বছরের কলকাতা পটভূমি ও ইতিকথা – ডঃ অতুল সুর
প্রথম প্রকাশ – আশ্বিন, ১৩৯৫ / নভেম্বর, ১৯৮১
কলকাতা প্রেমিকদের উদ্দেশ্যে-
.
এই বইটি সম্পর্কে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় কয়েকটি সমালোচনা
দৈনিক বসুমতী—‘কলকাতা সম্পর্কে ডঃ অতুল সারের অনশীলন অনেক দিনের। বাল্যকাল থেকেই তিনি এ শহর চষে বেরিয়েছেন। তাই এই বইয়ে ইতিহাসের সঙ্গে অভিজ্ঞতার সখ্যতা অনুভব করা যায়।’
নারায়ণ চৌধুরী—‘বইখানা কলকাতা শহরের বিগতকালীন ও সাম্প্রতিক ইতিহাস জানবার পক্ষে অপরিহার্য।’
যুগান্তর—‘কলকাতা সম্পর্কে অসংখ্য প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাবে বর্তমান গ্রহে। শ্রীসরের রচনার বৈশিষ্ট্য ইতিহাসকে অবিকৃতভাবে তুলে ধরা এবং নিজের স্মৃতি থেকে কলকাতার হারানো দিনের কাহিনী বর্ণনা। এই জাতীয় রচনাগুলি পাঠককে আকৃষ্ট করে, মগ্ধ করে।’ (কমল চৌধুরী )।
আজকাল—‘অতুলবাব, তাঁর অসামান্য স্মৃতিশক্তির জন্য বিখ্যাত। স্মৃতির সিন্দকটা বেশ শক্ত সমর্থ আর বড়-সড় বলেই, এ বইটি তিনি লিখে গেছেন অনায়াস ভঙ্গিতে, পড়তে পড়তে মনে হবে যেন পড়ছি না, শুনেছি। লেখাগুলোর গায়ে লেখকের স্মৃতি সোনার গয়নায় জড়োয়ার কাজের মত।‘ ( পর্ণেন্দু পত্রী )।
আনন্দবাজার পত্রিকা’র— ক্রমাগত ‘বেস্টসেলার’ তালিকার অন্তর্ভূক্ত বই।
.
প্রকাশকের নিবেদন
কলকাতার ৩০০ বছর পূর্তি উপলক্ষে অজস্র বই লেখা হচ্ছে এবং হবে। কিন্তু অধিকাংশ বই-ই হয় ইংরেজি বইয়ের প্রতিধ্বনি, আর তা নয় তো অপরের লেখা বাংলা বইয়ের নির্লজ্জ অনুকরণ। কলকাতা সম্বন্ধে মৌলিক গবেষণা ও অনুশীলন খুব কম ব্যক্তিই করেছেন। এই বইয়ের লেখক ডক্টর অতুল সুর তাঁদের অন্যতম। ১৯২১ খ্রীষ্টাব্দ থেকে তিনি কলকাতা সম্বন্ধে অনুশীলন করে যাচ্ছেন। শতাব্দীর গোড়া থেকে কলকাতাকে তিনি নিজ চোখে দেখেছেন। সেই প্রত্যক্ষ দর্শনের স্মৃতিকথা তিনি এই বইটির পাতায় পাতায় অবরুদ্ধ করেছেন। কলকাতা সম্বন্ধে বিশেষজ্ঞ শ্রীপূর্ণেন্দু পত্রী এ বইটি সম্বন্ধে ‘আজকাল’ পত্রিকায় বলেছেন— ‘অতুলবাবু তাঁর অসামান্য স্মৃতিশক্তির জন্য বিখ্যাত। স্মৃতির সিন্দুকটা বেশ শক্ত সমর্থ আর বড়সড় বলেই এই বইটি তিনি লিখে গেছেন এমন অনায়াস ভঙ্গিতে, পড়তে পড়তে মনে হবে যেন পড়ছিনা, শুনেছি। আর তিনিও যেন লিখছেন না, শোনাচ্ছেন।… লাইনে লাইনে সাল তারিখের উল্লেখ।… ‘সে আর এক কলকাতা’ থেকে ক্রমে ক্রমে ইতিহাসের উত্তরণ অনেকখানি জায়গা নিতে থাকে তাঁর ব্যক্তিগত স্মৃতি। পাঠকের পক্ষে সেটাই উপরি লাভ।—লেখাগুলোর গায়ে লেখকের স্মৃতি সোনার গয়নায় জড়োয়ার কাজের মত।” শ্রীপূর্ণেন্দু পত্রী-র এই অভিব্যক্তি যে নিরর্থক নয়, তা প্রমাণ পেয়েছে পাঠক সমাজের বিপুল সমাদর থেকে। কয়েক মাসের মধ্যে বইখানির প্রথম সংস্করণ নিঃশেষিত। বর্তমান দ্বিতীয় সংস্করণ বহুল পরিমাণে পরিবর্ধিত হয়ে প্রকাশিত হল। প্রথম সংস্করণে ৩৫টি অধ্যায় ছিল। এই সংস্করণে আছে ৫৩টি অধ্যায়। মুদ্রণ ব্যয় ও কাগজের দুর্মূল্যতার চাপে পাছে বইটা সাধারণ পাঠকের ক্রয়শক্তির নাগালের বাইরে গিয়ে পড়ে, সেজন্য দ্বিতীয় সংস্করণ ছোট টাইপে ছাপা হয়েছে। এই কৌশল অবলম্বন করার ফলে, দ্বিগুণ পাঠ থাকা সত্ত্বেও কলেবর একই রাখা সম্ভবপর হয়েছে। আশা করি, যে সকল চিত্তাকর্ষক নূতন বিষয় বইখানার অঙ্গীভূত করা হয়েছে, তা পাঠক সমাজকে আরও আকৃষ্ট করবে। লেখকের ‘শিক্ষাপীঠ কলকাতা’ এর পরিপূরক গ্রহ হিসাবে বিবেচিত বলে এতে কলকাতার শিক্ষাদীক্ষা সম্বন্ধে কিছু লেখা হয়নি।
Leave a Reply