হেল কমাণ্ডো – মেজর আনোয়ার হোসেন
অনুলিখন – এ. এইচ. রনজু
.
দুটি কথা
চিরবিদায় নেয়ার আগে ভাগ্নে রনজুকে বলেছিলেন মেজর আনোয়ার, তুমি সেবা প্রকাশনীর কাজী সাহেবকে গিয়ে বলবে, লেখক কাজী আনোয়ার হোসেনের কাছে মেজর আনোয়ার হোসেনের একান্ত অনুরোধ: বইটি যেন তিনি প্রকাশ করেন।
সে অনুরোধ আমি রক্ষা করলাম।
কঠোর নিয়মানুবর্তিতা, অমানুষিক পরিশ্রম ও অবর্ণনীয় শারীরিক নির্যাতন সহ্য করার পর তৈরি হয় একজন কমাণ্ডো। বাঙালী এক যুবক কখনও নেমেছে উত্তাল সাগরের অতল গভীরে, কখনও অসীম নীলাকাশ থেকে ঝাঁপিয়ে পড়েছে নিচে, কখনও তুষারাবৃত পর্বত-শৃঙ্গে লড়েছে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা। নিজের চামড়া পোড়ার গন্ধে সে চমকে উঠেছে, কখনও কুলকুচি করেছে বিষ্ঠাময় পানি দিয়ে, ক্ষুধার তাড়নায় খেয়েছে কুকুরের মাংস। সে এক বিচিত্র অভিজ্ঞতা।
আসুন, পাঠক, অবগাহন করুন।
কাজী আনোয়ার হোসেন
.
কৃতজ্ঞতা স্বীকার
তদানীন্তন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর দ্বিতীয় কমাণ্ডো ব্যাটেলিয়ানের ক্যাপ্টেন আনোয়ার হোসেন ছিলেন একজন দুঃসাহসী চৌকস অফিসার। হেল কমাণ্ডো বইটি মূলত তার সৈনিক জীবনের কাহিনি নিয়েই রচিত।
অসুস্থ অবস্থায় বিছানায় শুয়ে তিনি মুখে বলে গেছেন, আমি সাজিয়ে-গুছিয়ে লিখেছি। কমাণ্ডো ট্রেনিং সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য তিনিই সরবরাহ করেছেন, তবে অন্যান্য কিছু তথ্য বিভিন্ন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান থেকে আমাকেই সংগ্রহ করে নিতে হয়েছে।
এ-বইটি লেখার কঠিন কাজে অনেকেই আমাকে উৎসাহিত ও অনুপ্রাণিত করেছেন। তাদের মধ্যে স্মৃতির নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্যতার জন্য রইল আমার নিঃস্বার্থ ভালবাসা।
যাঁরা উৎসাহ ও অনুপ্রেরণার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহ করে বইটিকে সর্বাঙ্গসুন্দর করতে সাহায্য করেছেন তারা হলেন মেজর এনামুল হক খান (অব.), প্রাক্তন পরিচালক, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ; ক্যাপ্টেন ওকবা (অব.) জেনারেল ম্যানেজার, বাংলাদেশ বিমান; মরহুম লে. কর্নেল সাইদুর রহমান, লে. কর্নেল কামরুল হাসান মুরাদ, লে. কর্নেল জাকির হোসেন, ব্রিগে. এ. কে. এম. শাহাজান ও ব্রিগে. আবদুল্লাহ আহমেদ মুসা।
আমি এঁদের সবার প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞ।
এ. এইচ. রনজু।
Leave a Reply