হায় সজনি – সমরেশ মজুমদার
প্রথম প্রকাশ ডিসেম্বর ২০২০
ত্রিদিবকুমার চট্টোপাধ্যায় কর্তৃক পত্রভারতী
প্রচ্ছদ ও অলংকরণ স্বর্ণাভ বেরা
.
এখনও যারা ভালোবাসার কথা ভাবে
.
সলতে পাকানোর সময়ে
প্রথম পর্যায়ের কঠোর লকডাউন চলছে। প্রিয় দাদার সঙ্গে রোজই কথা হয়। কলকাতার শারদীয় সংকলনের লেখা শেষ করে তিনি বাংলাদেশ ঈদ সংখ্যার জন্য উপন্যাস ধরেছেন। আমি নাছোড়বান্দা, দাদা আমাদের কিন্তু এবার নতুন উপন্যাস চাই। তিনি আশ্বস্ত করছেন, হবে, হবে।
তারপর যেটা ঘটল, সে সত্যিই আমাদের কাছে অপ্রত্যাশিত। সমরেশ মজুমদার পত্রভারতীর জন্য লিখতে আরম্ভ করলেন সম্পূর্ণ উপন্যাস। যা পাণ্ডুলিপি থেকে সরাসরি বই হবে! আমি তো বিশ্বাসই করছি না, ফোনে ফোনে পাগল করে দিচ্ছি দাদাকে। তিনি স্বভাবসিদ্ধ গলায় মজা করে বলেছেন, আরে, চলছে, চলছে! লেখাটা এমন একখানা চূড়ান্ত রোম্যান্টিক উপন্যাস হচ্ছে, আমি নিজেও ভাবতে পারিনি।
ওঃ, দাদা! ফের গুল দিচ্ছেন।
আরে না! বিশ্বাস করো। আমার লেখার নায়িকা কিন্তু সত্যিই ছিল। সেকালে কোএড কলেজেও একদিকে ছেলেরা, অন্যদিকে মেয়েরা বসত। এখনকার মতো মেলামেশা অসম্ভব ছিল। বিশেষত যেসব মেয়েরা বনেদি বাড়ি থেকে আসত, তাদের গাড়ি বা দারোয়ান গেট অব্দি ছেড়ে দিয়ে যেত, ছুটির পরে নিয়ে যেত। তেমনই একটি মেয়ে আর মফস্বলি একটি ছেলেকে নিয়ে এই কাহিনি।…
শেষ পর্যন্ত কী হয়েছিল তাদের মধ্যে দাদা?
আরে, কী আশ্চর্য! হাসতে হাসতে দাদা বলেছেন, তার জন্যেই তো উপন্যাসটা পড়তে হবে।
পাঠকবন্ধুদেরও একই কথা বলতে চাই। এ বইয়ের শেষ পৃষ্ঠা অবধি যেতেই হবে। তবে পাঠক হিসেবে বলতে পারি, বহুকাল পরে সমরেশ মজুমদারের কলমে এমন এক নিটোল মিষ্টি উপন্যাস পড়ার অনুভূতি হয়েছে।
ত্রিদিবকুমার চট্টোপাধ্যায়
প্রকাশক
Leave a Reply