হায়রোগ্লিফের দেশে – অনির্বাণ ঘোষ
Hieroglyph-er Deshe by Anirban Ghosh
সম্পাদনা : অরিজিৎ গাঙ্গুলি
ছবি সম্পাদনা : শান্তনু ঘোষ
প্রথম সংস্করণ : অগাস্ট ২০১৯
প্রচ্ছদ : অনিকেত মিত্র
বইয়ের কিছু ছবি অন্তর্জাল থেকে সংগৃহীত।
ছবির স্বত্ব সংশ্লিষ্ট চিত্রকর এবং আলোকচিত্রীদের।
ছবির স্বত্ব প্রকাশক বা লেখক দাবি করে না।
.
তোমার হাত ধরেই প্রথম বইমেলায় এসেছি।
তোমার জন্যই আমার বই পড়ার শুরু।
এই বইটা তোমাকে দিলাম বাপি।
.
কৃতজ্ঞতা স্বীকার
জয়িতা ঘোষ চ্যাটার্জী, ধৃতি দাস, নন্দিনী রায়, সলমা মিত্র, শুভদীপ সাহা, অভিষেক মুখার্জী, বিভাস গুপ্ত, মাধুরী সেনগুপ্ত, অনির্বাণ চৌধুরী, অর্পণ শেঠ, সুশোভন রায়, পল্লব রায়,তানিয়া সিংহ রায়, সপ্তর্ষি বোস, দিব্যেন্দু দাস, দেবায়ন কোলে, নন্দিনী দাস, এলজা রায়, দেবপ্রিয় মুখার্জী, বিদিশা পাল, কথাকলি মুখার্জী, দিব্যেন্দু গড়াই, স্পন্দন চৌধুরী,ভবেশ দাস, প্রদীপ্ত ঘোষ, প্রিয়ম সেনগুপ্ত, কৌশিক মজুমদার, জয়দীপ চ্যাটার্জী,রাগাব আলাজাব, মাগদি ফানুস, অলোক পুষ্পপুত্র, জয়দীপ চ্যাটার্জী, ঋজু গাঙ্গুলি, রাজা পোদ্দার, রাজকুমার, সোনাল দাস, সুমিত সেনগুপ্ত, প্রীতম সেনগুপ্ত,সন্দীপ রায় (ফেলুদা ছবি সৌজন্যে), শুভ্র চক্রবর্তী (গ্রািফক নভেল সৌজন্যে)।
রে সোসাইটি, খোয়াবনামা, শিশু কিশোর অ্যাকাডেমি, রিড বেঙ্গলি বুকস।
অভীক সরকারদা আর রাজা ভট্টাচার্য্যদা তোমাদের আলাদা করে থ্যাঙ্ক ইউ জানালাম।
যেটুকু লেখালিখি করছি তা তোমাদের দেখেই।
.
প্রাককথন
মিশর।
কথাটা শোনামাত্র আপনার চোখের সামনে কী-কী ভেসে উঠল?
বালি, পিরামিড, উট, সাদা পোশাক পড়া বেদুইন?
ক্লিওপেট্রা হিসেবে এলিজাবেথ টেইলর? না কি অ্যাসটেরিক্সের কমিক্সে সেই নাক-উঁচু গরবিনী?
টিনটিনের সিগার্স অফ দ্য ফারাও-এর রঙিন সারকোফেগাস?
শেয়াল দেবতা রহস্য?
মহাকাশের দূত?
কোনান ডয়েলের লেখা সিরিয়াসলি ভয়ের গল্প ‘দ্য রিং অফ থথ’?
কাকাবাবু আর হানি অলকাদি?
হলিউডি সিনেমার মমি, মাংসখেকো গুবরে পোকার ঝাঁক, আধা মানুষ আর আধা জন্তু প্রাণীরা?
বিশ্বাস করুন, আসল মিশর এসবের চেয়ে অনেক, অনেএএএএএক বিশাল, এবং প্রায় অনন্ত কাহিনি ও উপকথার আধার।
কিন্তু ভারী-ভারী বইয়ের পাতায় সেসব পড়ার কথা ভাবলেই আমাদের গায়ে জ্বর আসে, তাই না?
জ্বর হলে আমরা কার কাছে যাই? ডাক্তারের কাছে। এখানেও ডাক্তারবাবু আমাদের দুর্গতি দূরীকরণে তৎপর হয়েছেন, এবং মিশরের এই অযুত-নিযুত গল্পের মধ্যে
থেকে বাছাই করা ক’টি উপাখ্যান, সর্বোপরি অজানা আর আন্দাজের কুয়াশার আড়ালে লুকিয়ে থাকা কিছু সত্যিকে তুলে ধরেছেন সরস, সপ্রাণ, এবং একেবারে থ্রিলারের মতোই টানটান ভঙ্গিতে।
তার চেয়েও বড়ো কথা কী জানেন? লেখক কোথাও আমাদের জ্ঞান দেননি। বরং দেদার আড্ডার ফাঁকে, একেবারে বাঘার মতোই গুপি-হেন আমাদের বলেছেন, “চলো হে, একটু ঘুরে-টুরে আসা যাক।”
তাই আর কথা নয়। চলুন, ঘুরে আসি হায়রোগ্লিফের দেশ থেকে।
ঋজু গাঙ্গুলি
.
ভূমিকা
সব শুরুর আগে আরও একটা শুরু থাকে।
২০০১ সালের একটা দুপুর বেলার কথা। ষোলো আর পনেরো বছর বয়সি পিঠো-পিঠি দুই ভাই সদ্য সিনেমা দেখে বেরিয়েছে৷ হাওড়ার শ্যামাশ্রী সিনেমা হলের বাইরে তখন দাঁড়িয়ে দু-জনে। হলের গায়ে সিনেমার বিশাল বড়ো পোস্টার। ‘দ্য মামি রিটার্নস’। দু-জনের চোখেই তখন অদ্ভুত বিস্ময়। ছোটোভাই বড়োভাইকে বলল, ‘এ দেশটায় একদিন যেতেই হবে দাদা, বুঝলি।’ বড়োভাইও মাথা নেড়ে বলল, ‘হ্যাঁ যেতেই হবে, মাস্ট।’
আমার এই বইয়ের প্রথম শব্দটি লিখি এক বছর আগে৷ কিন্তু বইটার জন্ম বোধ হয় সতেরো বছর আগের সেই দুপুরেই হয়ে গিয়েছিল। ওই এক সিনেমা দিয়েই প্রথম এক দেশের সঙ্গে পরিচয় হয় আমার আর ভাইয়ের।
মিশর।
তারপরে কৌতূহলের আর অন্ত ছিল না। সেই সময়ে তো আর আন্তর্জালের সুবিধা পাইনি। তাই ভরসা ছিল বইই। ‘আনন্দমেলা’তে বেরোনো মিশর নিয়ে ছোটো ছোটো লেখা বার বার পড়েছি। কাকাবাবু, ফেলুদা, অ্যাস্টেরিক্সে দেশটার কথা পড়ে বার বার শিহরিত হয়েছি। আর দু-জনেই নিজেদের মনে একটা স্বপ্নকে লালন করে গেছি,
এই দেশটায় যেতেই হবে, মাস্ট!
মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান আমি, স্কুলে পড়াকালীন একটাই লক্ষ্য ছিল। জয়েন্টে চান্স পেতে হবে, নিজের পায়ে দাঁড়াতে হবে। খেটেখুটে ডাক্তারি পড়ার সুযোগ পেলাম। তারপর নিজের ভালোলাগার বিষয়টা নিয়ে স্নাতকোত্তরের পড়াশোনাও করলাম। সাহেবদের কাছে পরীক্ষা দিয়ে পাশ করে ইংল্যান্ডের ‘রয়াল কলেজ অফ সার্জনস’-এর মেম্বারও হলাম। তার পরের বছরই বিলেতে পাড়ি দিলাম। কিন্তু কখনো ভাবিনি বই লিখব। একটা গোটা বই!
ছোটোবেলা থেকেই আমি মুখচোরা, খুব একটা মিশুকে প্রকৃতির নয়। আমার নিজের বন্ধুদের সংখ্যাও ছিল হাতে-গোনা। বেশির ভাগ অবসর সময়টাই কাটত বই মুখে নিয়ে। যখন যা বই হাতের কাছে পেয়েছি, গোগ্রাসে গিলেছি। পাড়ার লাইব্রেরিতে কাটিয়েছি ঘণ্টার পর ঘণ্টা। আমার বাবা মা-ও এই নেশাকে প্রশ্রয় দিয়ে গেছেন। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পরিচয় হয়েছে আরও আরও নতুন নতুন বইয়ের সঙ্গে। হয়তো এতদিন ধরে পড়া শব্দগুলোই আমার অবচেতনে রয়ে গিয়েছিল।
২০১৫ সালের অগাস্ট মাসের কথা। হঠাৎ মনে হল আমার যা কিছু পরিচিতি তা ওই ডাক্তার বলে। আর কিছু তো নেই। নতুন একটা কিছু করতে হবে, এই ভেবে আমি আর অরিজিৎ গাঙ্গুলি মিলে বানিয়ে ফেললাম একটা ব্লগ, ‘আনাড়ি মাইন্ডস’। অরিজিৎ আমার হাফপ্যান্ট পরা বয়সের বন্ধু। আমার কৈশোর, যৌবনের সাক্ষী। বন্ধু না বলে ভাই বলাই যায়। ‘আনাড়ি মাইন্ডস’-এ দু-জনে মিলে প্রথমে লিখতে শুরু করলাম ইংরেজিতে। মাস তিনেকের মধ্যে বুঝলাম আমাদের ইংরেজির হাল বেশ খারাপ। ভাগ্যিস বুঝেছিলাম! তাই মাতৃভাষাতেই লেখালিখি শুরু হল। নিজেদের ছোটোবেলার মজার গল্প, আমার ইউরোপ ঘোরার গল্প, এইসব আর কি। দু-জনেই দু-জনের পিঠ চাপড়াতাম। ফেসবুকে দিতাম সেইসব লেখা। গোটা তিরিশ লাইক পেলে বুক চওড়া হয়ে যেত।
তারপরে এল ‘আত্মপ্রকাশ’। একটা নতুন ফেসবুক গ্রুপ যেখানে বেশ কয়েকজন মানুষ গান গায়, গল্প কবিতা লেখে, ছবি আঁকে। একটা পরিবারের মতো পরিবেশ সেখানে। ‘আত্মপ্রকাশ’ আমাকে আর অরিজিৎকে বুকে টেনে নিল। আমাদের অতি রদ্দি লেখাগুলোকেও বাহবা দিয়ে সাহস জোগাল বুকে। তখন মনে হল তাহলে তো আরও লিখতে হয়! কিন্তু কী লিখি? ইতিহাস আমাকে বরাবর টানে। ইউরোপের রেনেসাঁর সময়ের ইতিহাস নিয়ে একটা সিরিজ লেখা শুরু করলাম, নাম দিলাম ‘হিস্ট্রির মিস্ট্রি’। ‘আত্মপ্রকাশ’-এ সপ্তাহে একটা করে পর্ব লিখতাম। ধীরে ধীরে পরিচিতি বাড়ল, খেয়াল করলাম কয়েকশো মানুষ আমাদেরকে ভালোবাসছেন। আমার পেশাগত পরিচয়ের বাইরেও মানুষ আমাকে চিনছেন।
এরই মধ্যে ২০১৭-র নভেম্বরে ঘুরে এলাম আমার স্বপ্নের দেশে, মিশরে। এত বছর ধরে আমি যেখানে যেখানে মিশরের ইতিহাস নিয়ে যতটুকু জানতে পেরেছি ততটুকুই শুষে নিয়েছি। কিন্তু বাংলা ভাষায় তেমন কোনো বই পাইনি কখনো। ইংল্যান্ডে আসার পরে পিপাসা মেটানোর কাজটা একটু সহজ হয়ে গেল। খেয়াল করলাম সাহেবরা মিশর, মিশরের পুরাণ নিয়ে অজস্র বই লিখেছেন। টপাটপ বেশ কয়েকটা কিনে ফেললাম। ডুবে গেলাম তাতে। যত পড়লাম তত অবাক হলাম। বেশি অবাক হলাম এই ভেবে যে এতদিন আমি কত কিছু ভুল জানতাম। কত কম জানতাম। তখনই মনে হল আমি যে ঐশ্বর্যের সন্ধান পেলাম তার হদিশ বাকিদের দেব না?
ইংল্যান্ডে আসার পরেও এমন দিন খুব কমই গেছে যেদিন অরিজিতের সঙ্গে ফোনে কথা হয়নি। এমনই এক সন্ধেয় ফোনে আড্ডা দেওয়ার সময় ওকে বললাম আমার ইচ্ছার কথা। মিশরের ইতিহাস নিয়ে লেখবার কথা ভাবছি। কিন্তু ‘হিস্ট্রির মিস্ট্রি’-র সঙ্গে রাখব না এই লেখাগুলোকে। অন্য আরেকটা সিরিজ করব। আর ইতিহাসটাও বলব গল্পের মতো করে। অরিজিৎ বলল, ‘তুই কীরকম করে লিখবি ভাবছিস, বল।’ আমি বললাম, ‘ধর, বইপাড়ার একটা দোকানের একজন মালিক, কোনো গোপন কারণে মিশর নিয়ে তার অগাধ জ্ঞান। সে গল্প বলে মেডিক্যাল কলেজের দু-জন স্টুডেন্টকে।’ অরিজিৎকে বললাম, ‘আমি প্রথমদিকটা লিখে তোকে দেখাব।’ শুরু করলাম লেখা, যেদিন এই লেখায় হাত দিয়েছি সেদিন ‘আত্মপ্রকাশ’-এর এক দাদা সারাদিন ধরে খুঁজে খুঁজে আমার একটার পর একটা লেখা পড়ছেন, নাম ভবেশ দাস। তাই আমার গল্প-বলা চরিত্রের নাম দিয়ে দিলাম দাদার নামেই। পদবিটা শুধু বদলালাম, কেন জানি না। জন্ম হল ভবেশ সামন্তর। এবারে আসবে সেই দু-জন যারা গল্প শুনবে। স্পন্দন ছিল ‘আত্মপ্রকাশ’ গ্রুপেই, আর জি করের ডাক্তারির ছাত্র, নিয়ে নিলাম ওর নাম। আর নিলাম আমার নিজের কলেজের বন্ধু প্রদীপ্ত ঘোষকে। ওকে কলেজে আমরা পিজি বলে ডাকতাম। লেখাতেও নাম পিজিই থাকল। পিজিকে আমি ছয় বছর খুব কাছ থেকে দেখেছি। তাই বইয়ের পিজির আদবকায়দা, কথা বলার ধরন সব আমার বন্ধু প্রদীপ্তর থেকেই নেওয়া।
যেকোনো নতুন লেখার শুরুটা সবচেয়ে মুশকিলের। সেটাই আকর্ষণীয় না হলে পাঠক বাকিটা পড়তে চাইবেন কেন? এই লেখার শুরুর হাজার দেড়েক শব্দ লিখে অরিজিৎকে পড়ালাম। আমার নিজেরই খুব একটা ভালো লাগছিল না। অরিজিৎ বলল, ‘আমাকে একটা দিন সময় দে।’ তারপরে ও নিজে শুরুটা লিখে আমায় দিল। পড়েই বুঝলাম, আরে! এটাই তো আমি চাইছিলাম। অরিজিৎই ভবেশদা, স্পন্দন আর পিজির চরিত্রকে হাঁটতে শিখিয়েছে। আমার এই বইয়ের শুরুর পাঁচশোটা শব্দ আমার লেখা নয় আদৌ, ওর লেখা।
কয়েকদিনের মধ্যেই লিখে ফেললাম প্রথম পর্ব, ‘আত্মপ্রকাশ’-এ দেওয়ার আগে আবার ফোন করলাম অরিজিৎকে। কী নাম দেওয়া যায় এই নতুন সিরিজের? পাঁচ ছ-টা নাম নিয়ে লোফালুফি খেলতে খেলতে একটা নাম দু-জনেরই ভালো লাগল। জন্ম হল ‘হায়রোগ্লিফের দেশে’-র। কয়েকটা পর্ব ‘আত্মপ্রকাশ’-এ বেরোবার পরেই রাজাদার মেসেজ একদিন।
রাজা পোদ্দারদাকে আমি বেশ কয়েক বছর ধরে চিনি ফেসবুকের দৌলতেই। মানুষের কাজেই মানুষের পরিচয় পাওয়া যায়। এই মানুষটাও তেমনই। সৎ, সরল, পরিশ্রমী, পরোপকারী। এহেন রাজাদা যখন বলল ‘খোয়াবনামা’ আমার এই সিরিজটাকে নিয়ে বই করতে চায় তখন না বলি কী করে?
মিশরের ইতিহাস লেখাটা খুব একটা সহজ ব্যাপার ছিল না। এর বিস্তার সাড়ে পাঁচ হাজার বছরের। বইয়ের দু-মলাটের মধ্যে তাদেরকে আনাটাই একটা বড়ো চ্যালেঞ্জ। আবার শুধু শুকনো ইতিহাস লিখলে কারোরই পড়তে ভালো লাগত না। হায়রোগ্লিফের দেশে যাতে ইতিহাসের একঘেয়ে রেফারেন্স বই হয়ে না দাঁড়ায় সে-ব্যাপারে সচেতনভাবে চেষ্টা করেছি। বইটার যেকোনো পর্ব নিজের খুশি মতো পড়তে পারেন। তবে পর পর পড়লে বুঝতে পারবেন একটা অন্য রহস্য ধীরে ধীরে দানা বাঁধছে, যার কেন্দ্রবিন্দুতে আছে এই বইয়ের মুখ্য চরিত্ররা। ভূমিকাতেই সব বলে দিলে মুশকিল। আপনারা না হয় নিজেরাই আবিষ্কার করুন।
বইয়ের প্রথম দুই সংস্করণ প্রকাশ পায় ‘খোয়াবনামা’ থেকে। বর্তমান সংস্করণটি প্রকাশ পেতে চলেছে ‘বুক ফার্ম’ থেকে। বেশ কিছু ভুল সংশোধন করা হয়েছে। পরিবেশনাতে আমূল পরিবর্তন আনা হয়েছে। যোগ হয়েছে শিল্পী শুভ্র চক্রবর্তীর ‘রোসেট্টা স্টোন’ গ্রািফক স্টোরি সহ অজস্র নতুন ছবি।
সবশেষে বলি, এই বই আমার একার নয়। এই বই অরিজিতের, রাজাদার, ‘বুক ফার্ম’-এর শান্তনুদা, কৌশিকদার। এ বই অনিকেতের, যে প্রচ্ছদ তৈরি করেছে। সৌমিকের, যে অলংকরণ করেছে। সলমাদির আর শুভদীপের, যারা প্রুফ রিড করেছে। আর এই বই আজ থেকে আপনারও। একে নিজের করে নিন। ভুল ত্রুটি কিছু থাকলে সঙ্গেসঙ্গে আমাকে জানান। আমি শুধরে নেওয়ার চেষ্টা করব।
আর ভালো লাগলে একটু পিঠ চাপড়ে দেবেন, প্লিজ।
অনির্বাণ ঘোষ
লন্ডন
অগাস্ট’২০১৯
Leave a Reply