সূর্য বিনোদিনী – অভীক মুখোপাধ্যায়
প্রথম প্রকাশ নভেম্বর ২০২২
পত্রভারতী বুকস প্রাইভেট লিমিটেড
প্রচ্ছদ ও অলংকরণ মৃণাল শীল
.
লেখালিখির জগতে আমার চেতনার আশ্রয়
প্রয়াত শ্রীঅনীশ দেবকে
.
কিছু কথা ছিল মনে
ছোট থেকে শুনে আর বলে এসেছি ‘কোনারক’। অনেক পরে ভুল ভেঙেছে, জেনেছি জায়গাটার নাম আসলে ‘কোণার্ক’। অর্কক্ষেত্র—সূর্যদেবের উপাসনার স্থল। ওড়িয়া শিল্প প্রতিভার অক্ষয় স্মৃতি। প্রতি সপ্তাহে লক্ষ লক্ষ মানুষ দেখতে যান কোণার্ক। কারো দৃষ্টি থাকে স্থাপত্যের দিকে, কেউ প্রাচীনতা দেখে স্তম্ভিত হন, কারো মনে ধর্মভাবনা, কারো কাছে পিকনিক স্পট এই কোণার্ক। কেউ কেউ আবার সৃষ্টিচক্রের প্রতীক, শৃঙ্গাররসে সিক্ত মিথুনমূর্তি দেখে বিস্মিত হয়ে তাকিয়ে থাকেন। প্রশ্ন জাগে, মন্দিরের গায়ে এসব কীর্তি কেন? অনেকের মতে এগুলি কোণার্কের সম্পদ, আবার অনেকের বক্তব্য এগুলো কোণার্ক-এর কলঙ্ক। কিন্তু কেউ কি কখনও জানতে চেয়েছেন সেইসব মানুষের ভাষ্য, যারা প্রায় এক যুগ সময় ধরে পাথরের বুকে কুঁদে কুঁদে বানিয়েছেন এই অটুট কীর্তি?
কোণার্ক মন্দির দেখে ইস্তক আমি শুধু তাঁদের কথাই ভেবে গিয়েছি। কোণার্ক-কে শুধু চোখে দেখে ক্ষান্ত হইনি, বইয়ের পাতায় খুঁজেছি। তখন অযুত নিযুত শব্দের ভিড় থেকে উঠে এসেছে অন্য এক কোণার্ক। পদ্মক্ষেত্র কোণার্ক। কোণার্ক হয়তো আসলে মাটির বুকে পাথরের এক পদ্ম, যার রূপ–রস–গন্ধকে ঘিরে অজস্র কথা-কাহিনি-কিংবদন্তী। সেই পদ্মের মধুই আমার নায়িকাদের দেহে প্রাণ ঢেলে দিয়েছে। নিস্তব্ধ রাতে বসে যখন এই কাহিনি লিখেছি, তখন সত্যিই কারো কথা আমার কানের কাছে বেজেছে ঘুঙুরের মতো। কেউ অবিশ্বাস করলে করতেই পারেন, কিন্তু আমার কাছে এটাই সত্য।
একটা কথাই বলব, এই কাহিনির সবটাই গল্প নয়, বহুযুগ আগের ইতিহাসও আছে। বাস্তব আর কল্পনাকে কোথায় কোথায় মিশিয়ে দিয়েছি যদি তা ধরা না যায় তবে আমার খাটুনি সার্থক। এই কাহিনি বোনার কাজে আমি ওড়িয়া সাহিত্যের বিখ্যাত লেখিকা প্রতিভা রায়ের কীর্তি ‘শিলাপদ্ম’-কে অনুসরণ করেছি। তাঁকে সশ্রদ্ধ নমস্কার।
অভীক মুখোপাধ্যায়
পাকুড়, হুগলি
১৭/১০/২০২২
Anoy kumar chakraborty
outstanding.
Anoy kumar chakraborty
Excellent