সিমার – আবুল বাশার
প্রথম সংস্করণ জুন ১৯৮৮
আনন্দ পাবলিশার্স প্রাইভেট লিমিটেড
প্রচ্ছদ – সুব্রত চৌধুরী
আমার প্রতিটি অক্ষর-কণিকার জন্য
যাকে রাত জাগতে হয়—
সাহানা-কে
.
[সমস্যা পুরনো, কিন্তু যে-দৃষ্টিভঙ্গি থেকে তার বিশ্লেষণ—তা সর্বাংশে নতুন। আধুনিক জীবন ও মানসিকতার সঙ্গে যুক্তিহীন প্রথা ও সংস্কারের বিরোধ নিজস্ব এক দৃষ্টিকোণ থেকে নানাভাবে নেড়েচেড়ে দেখতে আগ্রহী শক্তিমান তরুণ লেখক আবুল বাশার। বিশেষত, মুসলমান সমাজের বিবাহ, বিচ্ছেদ ও বহুবিবাহের সমস্যাকে।
এই সংকলনের সুদীর্ঘ তিনটি গল্পে সমাজের ভিন্ন-ভিন্ন স্তরে এই সমস্যাকে স্থাপন করে তার প্রতিক্রিয়ার স্বরূপটি দেখতে চেয়েছেন আবুল বাশার। দেখতে চেয়েছেন, আলাদা-আলাদা প্রেক্ষাপটে কীভাবে বদলে যায় এই সমস্যার তাতপর্য, কীভাবে তালাক-ঈদ্দত-তহলীলের জটিল পাকে নিরন্তর নিষ্পেষিত নারী-সমাজ, কীভাবে ধর্ম হয়ে ওঠে এক কূট তামাশা।
শেষাবধি তাঁর কাহিনীতে অবশ্য আন্তর্জাতিক ও আন্তর্জাগতিক সমস্যারই প্রতিফলন। কোথাও তা গ্রীক-ট্র্যাজেডির মর্মান্তিকতায় আচ্ছন্ন, কোথাও-বা তা বিশুদ্ধ কোরানের আয়াতে মন্দ্রিত। শুধু নারী নয়, পুরুষও কীভাবে শৃঙ্খলিত, এ-সংকলনের আশ্চর্য তিনটি কাহিনীতে তারও অনন্য পরিচয়।]
লেখক পরিচিতি
জন্ম: ১৯৫১ খ্রীস্টাব্দ। ছ-বছর বয়সে সপরিবার গ্রাম ত্যাগ। মুর্শিদাবাদের লালবাগ মহকুমার টেকা গ্রামে বসবাস শুরু। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাণিজ্যের স্নাতক। হিন্দীভাষা-সাহিত্যেরও ডিপ্লোমা। গ্রামের স্কুলে ১০-১২ বছর চাকুরি। বর্তমান কর্মস্থল : সাপ্তাহিক ‘দেশ’ পত্রিকা। দারিদ্র্যের চাপ আর সামাজিক বিষমতা ও পীড়ন কৈশোরেই লেখালেখিতে প্ররোচিত করে। উত্তীর্ণকৈশোরে, ১৯৭১ সালে, প্রথম কবিতাগ্রন্থের প্রকাশ। নাম : ‘জড় উপড়ানো ডালপালা ভাঙা আর এক ঋতু’। পরবর্তী এক দশক লেখালেখি বন্ধ। জড়িয়ে পড়েন সক্রিয় রাজনীতিতে। বহরমপুরের ‘রৌরব’ পত্রিকাগোষ্ঠীর প্রেরণায় লেখালেখিতে প্রত্যাবর্তন। কবিতা ছেড়ে এবার গল্পে। প্রথম মুদ্রিত গল্প–’মাটি ছেড়ে যায়’। এই নামেই একটি গল্পগ্রন্থ প্রকাশিতব্য। শখ বলতে কিছু নেই। তাঁর ভাষায়, ‘শখ থাকার কথা নয়’। তাঁর ‘ফুলবউ’ উপন্যাসের জন্য পেয়েছেন ১৩৯৪ সালের আনন্দ-পুরস্কার।
Leave a Reply