Samaresh Basu Rachanabali 5 / সমরেশ বসু রচনাবলী ৫
সম্পাদনা : সরোজ বন্দ্যোপাধ্যায়
আনন্দ পাবলিসার্স প্রাইভেট লিমিটেড
প্রথম সংস্করণ : জানুয়ারি ২০০১
বৃত্ত ভঙ্গের পূর্ব অধ্যায়
সমরেশ রচনাবলীর বর্তমান খণ্ডের বৈচিত্র্য প্রথমেই অনুধাবনীয়। একজন লেখকের সমগ্র অনুসন্ধান এক বিস্তৃত নিরীক্ষণের ইতিহাস। নিজ কালক্ষেত্রে দাঁড়িয়ে একদিকে তিনি যেমন ওকালের যন্ত্রণার স্বরূপকে বুঝে নেবার চেষ্টা করেন, তেমনি একালের একেবারে মহানাগরিক মধ্যবিত্ত নরনারীর জীবনের চড়াই উৎরাইকে তিনি প্রত্যক্ষ করতে চান। গ্রামকে তিনি জানতেনই, শহরতলি তো তাঁর নিজেরই শিকড় ভূমি। কলকাতার মতো বড় শহরের অ্যানোনিমিটির মধ্যে সম্পর্কের সুতোর জট পাকিয়ে যাওয়া ও জট খুলতে চাওয়ার কাহিনীও তাঁর যে হাতের বাইরে নয় এই খণ্ডে তার প্রমাণ আমরা পাব।
অতীতের পটে লেখা উপন্যাস ‘ভানুমতী’। কিন্তু উত্তরঙ্গ বা জগদ্দলের মতো ইতিহাসের ভাঙাগড়া এ কাহিনীর মুখ্য বিষয়। ব্যক্তি চরিত্র, তার সঙ্কট, যে গঙ্গার কূলে এ কাহিনীর সূত্রপাত সেই গঙ্গার মতোই এক কিশোরী-যুবতী-নারী–পরিবর্তনের স্রোত তৈরি করে ভেঙে ফেলতে চেয়ে তার যাত্রা। বারবার এ উপন্যাসে ভানুমতীর ক্রমবর্ধমান শরীর চিত্ত ও চেতনার উপলক্ষ্য ধরে নদীর কথা উঠেছে। নদী কখনও ঘটনাস্থলী। কখনও বা চিত্রকল্পের উপাদান। ভানুমতী প্রথম পর্বের সমাপ্তি কপালকুণ্ডলার সমাপ্তির স্মারক তুলনা অবশ্যই অচল। শুধু একটা কথা বলতেই হয় ঘটনাস্থল কল্পনায় দুই লেখকই হালিশহর আর হুগলী সপ্তগ্রামের মধ্যবর্তী নদীকে ব্যবহার করেছেন। কপালকুণ্ডলা আর নদী শেষ মুহূর্তে একাকার। ভানুমতী তার প্রেম এবং নদী শেষ বেলায় (এই পর্বে) একাকার। ‘ঘামতেল’ এই উপমানের সঙ্গে সঙ্গে যে প্রতিমার প্রতিষ্ঠা শেষে তার বিসর্জন। তরঙ্গক্ষুব্ধ নদীতীরে সে প্রতিমার অসহায় পড়ে থাকা মর্মান্তিক। যে কালখণ্ড এ উপন্যাসে ব্যবহৃত হয়েছে তা লেখকের অন্য পূর্বতন রচনায় আমরা আগেও পেয়েছি। কালের মোচড় বা বাঁক ফেরা অপেক্ষা এ উপন্যাসে ব্যক্তিজীবন প্রাধান্য পেয়েছে বেশি। কাহিনীরস সৃষ্টিতে সমরেশের পারঙ্গমতার বিশিষ্ট পরিচয় আছে এই উপন্যাসে।
শালঘেরির সীমানায় কাহিনীটি একদিক দিয়ে সমগ্র সমরেশকে বুঝে নেবার পক্ষে জরুরি। কালকূট আর সমরেশ এই দুই সত্তার মধ্যে একটা ভেদ রেখা আছে। এপারে ঔপন্যাসিক সমরেশ–ভেদরেখার ওপারে কালকূট। যখন আমরা শালঘেরি নামের ছোট্ট জনবিরল কর্মচারীবিরল স্টেশনটি ছেড়ে এগিয়ে যাই, যেখানে দেখি—প্রাচীন শালঘেরি গ্রাম। প্রাচীন মন্দির আর যোড়শ শতাব্দীর রাজকীয় গড় প্রাসাদের ভাঙা জীর্ণ ভুতুড়ে ইমারতের ছড়াছড়ি। থানে থানে উঁচুনিচু খেয়ালি রিক্ত রক্ত-রক্ত বালি বালি জমির বিস্তার। অসম্পূর্ণ ভোগের দীর্ঘশ্বাস বিদ্ধ শুধু কাঁটাঝোঁপের রুক্ষ জটায় জটায়। অথচ কাহিনী এগিয়ে যেতে থাকলেই আমরা দেখতে পাই পট অপেক্ষা পাত্র প্রাধান্য পেয়েছে। মৃদু একটা রাজনৈতিক উড়ো হাওয়া বইছে বটে কিন্তু তাতে শুধু শালঘেরির গেরুয়া ধুলোই বাতাসে ভেসেছে। ঝিনুক কুসুম এবং অন্যান্য চরিত্রগুলি এই পরিবেশের সঙ্গে গ্রথিত হয়ে এক স্বতন্ত্র ঘ্রাণ ছড়িয়েছে। আবহনির্মাণে কাহিনী বয়নে গত শতাব্দের মধ্যভাগ জীবন্ত হয়ে উঠেছে। শালঘেরির সীমানায় সমরেশের কথনশৈলী কাহিনীরসকে ঘন করে তুলেছে।
‘ত্রিধারা’ সমরেশের স্বভাবের বাইরের উপন্যাস। মাঠে প্রান্তরে গ্রামে গঞ্জের যে-জীবন, শ্রমিক বসতিতে, ক্ষেতে খামারে অহরহ আঘাতে প্রত্যাঘাতে সংক্ষুব্ধ যে জীবন সেটাই যেন এতদিন ছিল সমরেশের স্বক্ষেত্র। ত্রিধারা সম্পূর্ণ আলাদা স্বাদের উপন্যাস। ত্রিধারা এক পারিবারিক উপন্যাস। তিন বোন। ছোট সুমিতা। মোটামুটি এই কাহিনী সুমিতার প্রেক্ষণদর্পণে প্রতিফলিত। সমরেশ যখন এ কাহিনী লিখছেন তার কিছু আগে থেকেই তাঁর কলকাতার বন্ধুবান্ধবের সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে। সেই সুবাদে কোনও পরিবারের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতাও হয়েছে। কন্যাপ্রধান মধ্যবিত্ত পরিবারের রেখাবয়ব তাঁর দেখা হয়েছে কিছু কিছু ক্ষেত্রে গভীরভাবে দেখার সুযোগও তাঁর হয়েছে। লক্ষণীয় উপন্যাসটির অত্বর ভঙ্গি। মধ্যবিত্তের ফাসাড এবং কৃত্রিমতার বিরুদ্ধে যে বিস্ফোরক প্রতিবাদের জন্য সমরেশ পরে নন্দিত ও নিন্দিত হলেন তা এখানে মৃদু। একটা গাঢ় সহানুভূতি চরিত্রগুলিকে ছুঁয়ে রয়েছে। একটা পরিবারের ভিতরকার উদ্বেগ, সংকটের চোরাস্রোত, সম্পর্কের জট জটিলতাকে লেখক এই উপন্যাসে ধীরে ধীরে উন্মোচিত করেছেন। বাংলা উপন্যাস সাহিত্যে এই জাতীয় উপন্যাস নিশ্চয় আছে, তাদের মধ্যেও ত্রিধারার একটা নিজস্ব স্থান আছে। আমার অনুমান এই সময়ে সমরেশ বিদগ্ধ সজ্জন ড. সনৎ বসুর অকৃত্রিম বন্ধুত্ব অর্জন করেন। আমৃত্যু সমরেশ সে বন্ধুত্ব প্রীতির সঙ্গে রক্ষা করেছেন। সনৎ বসুই সমরেশকে ত্রিধারা লিখতে উদ্বুদ্ধ করেন। এই উপন্যাসের পারিবারিক প্রেক্ষাপট নির্মাণে সনতের পরামর্শে সমরেশ গুরুত্ব দিতেন।
অপরিচিত উপন্যাসের মোট বক্তব্য আমাদের চেনা। দস্তয়ভস্কির উপন্যাস পড়া শুরু করেছেন এর আগেই। রুশ লেখকদের মধ্যে গোর্কি ছাড়া আর যে লেখক সমরেশকে প্রবলভাবে প্রভাবিত করেন তিনি দস্তয়ভস্কি। ক্রাইম অ্যান্ড পানিশমেন্ট, ব্রাদার কারমাজভ তার বহুল পঠিত প্রিয় উপন্যাসে। ইডিয়ট উপন্যাসটির অনুবাদে নয়–তাঁর ইচ্ছা ছিল মূল উপন্যাসের নৈতিক বক্তব্যটির ভারতীয়করণ। এক নিজস্বমাত্রা যোজিত হয়েছে সংসক্তি এবং আসক্তি, সংরাগ ও বৈরাগ্য, আশ্লেষে এবং প্রতিঘাতে ব্যক্তির দায়িত্ব-উদ্বেগের ব্যাখ্যানে। অপরিচিত প্রেম ঘৃণা মিশ্রিত সম্পর্ক জটের কাহিনী যতটা তার থেকে বেশি ব্যক্তির নিজের কাছে নিজে উন্মোচিত হতে পারা না-পারার কাহিনী। আমরা সকলেই সকলের অপরিচিত–এমন কি নিজেও নিজের কাছে।
‘বিশ্বাস’ কাহিনীর মধ্যে আবার বিশ্বাস ও অবিশ্বাসের, আনুগত্য ও বিদ্রোহের বহুকৌণিক রূপায়ণ। প্রতিবাদী সমরেশের রাজনৈতিক সামাজিক অবধানতা যে পথে যেতে চাইছে ‘বিশ্বাস’ কাহিনী কথকতায় তার প্রতিফলন। অবিভক্ত কম্যুনিস্ট পার্টি বিভক্ত হয়ে যাবার পরবর্তী পরিস্থিতি কাহিনীর পটভূমিকায় ব্যবহৃত হয়েছে। ব্যক্তি চরিত্রগুলি প্রায়শ যে ভাষায় কথা বলেছে তা ব্যক্তি সমরেশের এ সময়ের অভিজ্ঞতার সাক্ষ্য। চরিত্রগুলিকেও সমরেশ সংগ্রহ করেছেন তাঁর তখনকার পরিবেশ পরিচিতি থেকে। কিন্তু এই রাজনৈতিক প্রতিচ্ছায়াকে কাটিয়ে উঠেছে দুটি নারী চরিত্র। সমরেশের সৃষ্ট নারী চরিত্রমালায় ধূতি ও লিপি এক নতুন সংযোজন। একেবারে চেনা চরিত্র আর চেনা ব্যতিক্রমী সম্পর্ক বা ঘটনা ধরে কিছু লিখতে যাওয়ায় একটা সংকট থাকেই। লেখক সে সংকট সবটা কাটিয়ে উঠতে পারেননি। ধূতি ও লিপিকে দিয়ে সে ক্ষতিপূরণ অনেকটা হয়েছে।
স্বর্ণচঞ্চু একটি রহস্যকাহিনী। আমার প্রাকনিদ্রার আশ্রয় আগাথা ক্রিস্টি। কিছু কিছু ক্রিস্টি কাহিনী তিনি আমার কাছে শুনেছিলেন। শরদিন্দু কাহিনীর ভক্ত আগে থেকেই হয়ে উঠেছিলেন। ইচ্ছা ছিল তিনিও পয়রো বা ব্যোমকেশের মতো রহস্যভেদী চরিত্র সৃষ্টি করবেন। রহস্যকাহিনী বা গোয়েন্দা গল্প ধনতান্ত্রিক সমাজেই অনিবার্য। সমাজতান্ত্রিক সমাজে এ জাতীয় গল্পের অবকাশ তত্ত্বগত ভাবে ন্যূন। বুর্জোয়া সমাজের অনেক ফাসাডের অন্তরালগামী স্রোত, প্রতিস্রোত, স্বার্থের লোভের নানা অস্তিত্ব, অসংগতির বিস্তৃত ক্ষেত্র রহস্যকাহিনীর বীজতলা। আমাদের তত্ত্বের ব্যতিক্রম আছে। আগাথা ক্রিস্টির একটি কাহিনী আছে প্রাচীন মিশরের পটভূমিকায় লেখা। কিন্তু সেখানে পটভূমিটিই মাত্র প্রাচীন। গল্পটি আধুনিক। সমরেশের স্বর্ণচঞ্চু গল্পের রহস্যভেদী অশোক সাধারণ ব্যক্তি। সাধারণ ব্যক্তির যে অসাধারণ অনুমান ও পর্যবেক্ষণ ক্ষমতা থাকে অশোক যেন তারই প্রতিভূ।
এই সংকলনে আমরা দুটি বড় গল্প গ্রহণ করেছি তরাই ও অলিন্দ। এই জাতীয় লেখা সমরেশ পরে আরও লিখবেন। এর মধ্যে প্রথমটি প্রায়োপন্যাস। দ্বিতীয়টি বড় গল্প।
সমরেশ বসু রচনাবলী সংকলনে গরিফা কেশব পাঠাগারের অকুণ্ঠ আন্তরিক সহযোগিতা ও সৌজন্য সমরেশের প্রতি তাঁদের প্রীতির নিদর্শন। যখনই প্রয়োজন পড়েছে ভ্রাতৃপ্রতিম অশোকরঞ্জন গরিফা কেশব পাঠাগারের গ্রন্থাগারিকের সহযোগিতার প্রসারিত হাত পেয়ে গিয়েছেন।
আর ধন্যবাদার্হ নৈহাটি সরস্বতী বুকস্টলের কর্মিবৃন্দ–বিশেষ করে সমরেশ বসু সম্বন্ধে গভীর শ্রদ্ধাশীল শ্রীঅসীম সরকার।
সরোজ বন্দ্যোপাধ্যায়
.
সূচিপত্র – উপন্যাস
ভানুমতী
শালঘেরির সীমানায়
ত্রিধারা
অপরিচিত
অলিন্দ
তরাই
স্বর্ণচঞ্চু
বিশ্বাস
.
গ্রন্থ পরিচিতি
ভানুমতী
ভানুমতী’ ছয়ের দশকের একেবারে প্রথমদিকে প্রকাশিত। উপন্যাসটি যে পাঠকপ্রিয় হয়েছিল তার প্রমাণ দ্বিতীয় সংস্করণ। ভানুমতীর বিষয়কল্পনায় ও পটভূমিকা রচনায় অভিনবত্ব আছে। আমরা বর্তমান পাঠগ্রহণ করেছি দ্বিতীয় সংস্করণ থেকে। গ্রন্থটির উৎসর্গপত্রে লেখা ছিল:
শ্ৰীসাগরময় ঘোষ
সুরসিকে।
.
শালঘেরির সীমানায়
প্রথম প্রকাশ ১৩৭০ বঙ্গাব্দ। প্রকাশক ডি. এম. লাইব্রেরি। উৎসর্গপত্রে ছিল:
শ্রীবিভূতিভূষণ মুখোপাধ্যায়।
পরম পূজনীয়েষু।
শারদীয় বেতার জগতে (১৩৬৭) কাহিনীটি প্রথম বেরিয়েছিল। গ্রন্থাকারে প্রকাশের কালে অবশ্যই ঘষামাজা হয়েছে। এই উপন্যাসের ভূমিকায় লেখক বলেছেন—
এই উপন্যাসের উপপাদ্য বিষয় পাঠক নিজেই আবিষ্কার করবেন। তবু বলা দরকার, প্রাগৈতিহাসিক একটি ধ্বংসাবশেষের আবিষ্কার কথা নিতান্তই কল্পিত তৎসঙ্গে শালঘেরি গ্রাম ও তার পাত্রপাত্রীও তাই। এ উপন্যাসে দাবা খেলার বিষয় বুঝতে আমাকে সাহায্য করেছেন কবি মণিভূষণ ভট্টাচার্য। লেখার সময়ে শ্রোতা ছিলেন নবীন সাহিত্যিক সোমনাথ ভট্টাচার্য এবং অশোকরঞ্জন সেনগুপ্ত।
.
ত্রিধারা
সমরেশ বসুর সাহিত্য জীবনে ‘ত্রিধারা’র একটি আলাদা গুরুত্ব আছে। ‘দেশ’ সাপ্তাহিকে উপন্যাসটি ধারাবাহিক প্রকাশিত হয়েছিল। গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয় ১৯৫৬-৫৭। মধ্যবিত্ত জীবনাশ্রয়ী এই উপন্যাসের ভূমিকায় লেখক বলেছিলেন–
‘দেশ’ পত্রিকায় ত্রিধারা অনেকদিন আগেই শেষ হয়েছে। তারপরে প্রায় মরীচিৎকার মতই এই আশা পোষণ করেছি বইটি আর একবার ঢেলে লিখব।
মরীচিকাই, কেননা দিনের পর দিন চলে গিয়েছে, আমার প্রতিদিনের নতুন কাজের বেড়াজাল ভেঙে নতুন করে লেখার যদিচ্ছা আর পূরণ হয়নি।
হয়নি, তবু আর ত্রিধারার গতি রোধ করা গেল না। নতুন করে লেখার উপদেশ যাঁরা দিয়েছিলেন তাঁদেরও যেন ধৈর্যচ্যুতি ঘটেছে। সুতরাং ত্রিধারা এবার মুক্ত হল আমার সাধ অপূর্ণ রেখেই।
আশা করব পুনর্মুদ্রণের সময় ত্রুটিমুক্ত হব। বর্তমান সংস্করণে আমার অনেক ত্রুটি সত্ত্বেও যদি লেখকের বক্তব্যটুকু যদি পাঠকের চোখে সঠিক উদ্ভাসিত হয়, তবেই অনেকখানি মনে করব।
বইটির উৎসর্গপত্রে ছিল:
গোপাল হালদার
শ্রদ্ধাস্পদে।
.
অপরিচিত
‘সাহিত্যম’ থেকে ১৩৯২ জন্মাষ্টমীর দিন প্রকাশ।
অপরিচিত উপন্যাসটিতে দস্তয়ভস্কির ইডিয়ট উপন্যাসের ছায়া আছে। উপন্যাসটির চলচ্চিত্ররূপ খুবই জনপ্রিয় হয়েছিল।
.
অলিন্দ
ঠিক উপন্যাস নয়। আবার বড় গল্পও নয়। নভেলেট বা হ্রস্ব উপন্যাস বলাই ভাল। প্রকাশকাল ১৯৬৯।
.
তরাই
এখানিও হ্রস্ব উপন্যাস। প্রকাশকাল ১৯৭১।
‘অপরিচিত’ ‘অলিন্দ’ ও তরাই’ সাহিত্যম থেকে যখন প্রকাশিত হয়েছিল, তখন লেখকের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল ‘এক মলাটে তিনটি উপন্যাস।‘ ক্রম ছিল এই—’অলিন্দ’, ‘তরাই’, ‘অপরিচিত’। ‘অলিন্দ’ ১১৬ পাতা। ‘তরাই’ ৯৯ পাতা। অপরিচিত’ ১৮১ পাতা।
.
স্বর্ণচঞ্চু
সমরেশের গোয়েন্দাকাহিনী বা রহস্যোপন্যাস রচনায় দক্ষতা ছিল। স্বর্ণচঞ্চু তার একটি প্রমাণ। গ্রন্থটি দে’জ পাবলিশিং থেকে ১৯৭৩-এ প্রকাশিত হয়।
উৎসর্গপত্রে ছিল–
স্বৰ্গত শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্মরণে।
.
বিশ্বাস
১৩৭৮ বঙ্গাব্দে প্রকাশিত হয় আনন্দ পাবলিশার্স থেকে। তৃতীয় মুদ্রণ হয় ১৩৮৫তে। বইটির উৎসর্গপত্রে ছিল
শঙ্খ ঘোষ
প্রীতিভাজনেষু
Leave a Reply