সঞ্জীবের সেরা ১০১ – সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়
প্রথম প্রকাশ পয়লা বৈশাখ ১৪২১। এপ্রিল ২০১৪
SANJIBER SERA 101 by Sanjib Chattopadhyay
স্নেহের মানসকে
তার সুযোগ্য সহধর্মিনীকে
এবং তার মিষ্টি মেয়েটিকে
তার নাম মেঘনা চক্রবর্তী
প্রচ্ছদ – সুদীপ্ত দত্ত
.
ছোকরা ১০১টা গল্প লিখেছে আর মানস তাকে ভালোবেসে, ভীষণ পরিশ্রম করে সেইসব লেখা সংগ্রহ করে, একত্রিত করে একটা বই করলে। ছেলে বটে! বলেছিল, করবই করব। লেখা আর ছাগলছানা প্রায় একরকম। দড়ি ছাড়া হলে কোথায় যে পালাবে? কাজ নেই কর্ম নেই গল্প লিখেছে! কী লিখেছে মাথা মুন্ডু!
চাঁদের আলোয় পার্কে বসে প্রেম করেছে! করতেই পারে। ধর্মতলার রেস্তোরাঁয় ময়লা পরদা ফেলা খুপরিতে বসে মোগলাই খেয়েছে! পার্ক স্ট্রিটে শুদ্ধ প্রেম হয় না। নেশা হয়, নাচ হয়। মেট্রো সিনেমায় পাশাপাশি বসে লাইমলাইট দেখেছে, হাতের ওপর হাত রেখে। পায়ের তলায় নরম কার্পেট। শীতল বাতাস। খালি ট্রামে বাড়ি ফেরা।
সেকালের শহরটা নিরাপদ ছিল। মধ্যবিত্তের জগতটা ছোট, তাই প্রচুর স্বপ্ন। একটা কথা খুব সত্য—গল্পের উৎস জীবনকে ভালোবাসা। আর জীবন হল—দুঃখ-সুখের টানাপোড়েনে বোনা জামদানি।
২১ মার্চ ২০১৪
.
জন্ম : ২৪ অক্টোবর ১৯৩৪।
বিজ্ঞানের ছাত্র। বিষয় ছিল রসায়ন। সরকারি চাকরি করেছেন বেশ কিছুকাল। রামকৃষ্ণ মিশন পরিচালিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতা দিয়ে কর্মজীবন শুরু করেন। বিখ্যাত এক রাসায়নিক প্রতিষ্ঠানে অ্যানালিস্টের চাকরিতে কর্মরত যখন, তাঁর প্রথম হাসির গল্পটি লেখেন। প্রকাশিত হয় ছোট এক সিনেমা পত্রিকায়। রঙ্গ ও ব্যঙ্গের লেখাই শুধু নয়, নানা ধরনের লেখায় সব্যসাচী।
সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়।
এক অন্যজাতের কলম। যে কলমে অনায়াসে কখনও এঁকে যান অনাবিল হাসি-আনন্দ, কখনও ফুটে ওঠে জীবনযাপনের যন্ত্রণা, কখনও আবিষ্ট করে দেন দর্শনের কথায়, যেখানে এপার-ওপার করে আস্তিকতা-অধ্যাত্মবাদ।
বিভিন্ন বইয়ে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে তাঁর সৃজনে কত না গল্প। অগ্রন্থিত গল্পেরও শেষ নেই।
তুলনাহীন বৈচিত্র্যের মহাসাগর। সেই মহাসাগরের অতল থেকে আহরণ করা হয়েছে ১০১টি মণিমাণিক্য।
সঞ্জীবের সেরা ১০১।
এই বই শুধুমাত্র লেখকের সেরা গল্প সংকলন নয়, একইসঙ্গে বরণীয় কথাশিল্পীর দীর্ঘসময় ধরে সাহিত্য প্রাঙ্গণে পথ পরিক্রমার অনন্য দলিল।
সঞ্জীবের সেরা ১০১ – সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়
Sailajananda chatterjee
I like to read stories of Sanjib Chattopadhyay. Really magical and enjoyable.