শব্দজাল – রবিন জামান খান
সাইকোলজিক্যাল থ্রিলার
প্ৰথম প্ৰকাশ–সেপ্টেম্বর ২০২০
উৎসর্গ
প্রিয়মানুষ ও শ্রদ্ধেয় বড়ভাই, গালীব বিন মোহাম্মদ’কে…. আমাদের দেশের কর্পোরেট জগতের মানুষেরা বই পড়ে না— এই অপ্তবাক্যকে পুরোপুরি ভুল প্রমাণ করে নিয়মিত নানা ধরনের বইতে ডুবে থাকেন তিনি। অসম্ভব প্রাঞ্জল এই মানুষটির সাথে আড্ডায় বসলে কোনদিক দিয়ে সময় পার হয়ে যায় টেরই পাই না আমি…
দ্বিতীয় সংস্করণের ভূমিকা
আমার লেখা প্রথম সাইকোলজিক্যাল থ্রিলার শব্দজাল তুমুল ভালোবাসা সহকারে গ্রহণ করে নেওয়ার জন্য সুপ্রিয় পাঠকদেরকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা এবং ভালোবাসা। মূলত পাঠকদেরকে ধন্যবাদ জানানোর জন্যই শব্দজালের দ্বিতীয় সংস্করণের এই ভূমিকা লিখতে বসা। আমি নিজেকে লেখক নয় বরং একজন থ্রিলার লেখক হিসেবে পরিচয় দিতেই বেশি ভালোবাসি। তবে আমাকে সবাই ইতিহাস আশ্রিত থ্রিলার উপন্যাসের লেখক হিসেবে চিনলেও একজন পাঠক হিসেবে আমি বেশি পছন্দ করি সাইকোলজিক্যাল থ্রিলার, ফ্যান্টাসি এবং ক্রাইম থ্রিলার। মূলত সাইকোলজির প্রতি আগ্রহ থেকেই দীর্ঘদিন যাবৎ সাইকোলজিক্যাল থ্রিলার জনরা নিয়ে কাজ করার ইচ্ছে ছিল। সেই ধারাবাহিকতায় দীর্ঘ দিনের ভাবনা এবং একটি ঘটনার প্রেক্ষিতে শুধু একটি সাইকোলজিক্যাল থ্রিলার নয় বরং একটি পূর্ণাঙ্গ সিরিজের আইডিয়া চলে আসে। আমার মাথায় প্রথম যে গল্পের ধারণাটি এসেছিল সেটি ছিল সিরিজের দ্বিতীয় বই বিখণ্ডিত’র আইডিয়া এবং এর পরবর্তী বই ধূম্রজালের আইডিয়া। কিন্তু যেভাবে আমি সিরিজটা শুরু করতে চাচ্ছিলাম সেটা ঠিক মনমতো হচ্ছিল না। এরপরে ভাবতে ভাবতেই চলে আসে শব্দজালের আইডিয়া। শব্দজালকে মূলত সুদীর্ঘ এই সিরিজের প্রলোগ বলা যেতে পারে, মূল গল্প শুরুর আগে অনেকটা প্রারম্ভের মতো। মূল সিরিজের গল্প শুরু হবে এর দ্বিতীয় বই বিখণ্ডিত থেকে। শব্দজাল বইটাকে কোনোভাবেই প্রচলিত থ্রিলারের সংজ্ঞার ভেতরে ফেলা যায় না। এমনকি আমি যখন উপন্যাসটা লিখি তখন এটাকে কোনো গল্প নয় বরং নিজের কিছু ভাবনার বহিঃপ্রকাশ মনে হচ্ছিল আমার কাছে। নিঃসন্দেহে শব্দজাল আমার লেখা সবচেয়ে ফিলোসফিক্যাল উপন্যাস। আমি সবসময়ই বলি, আমি পাঠকের জন্য লিখি, কিন্তু সত্যি কথা হলো এই উপন্যাসটা আমি একেবারেই নিজের জন্য লিখেছিলাম। এমনকি এটা লেখার সময়ে আমার মাথায় এটাকে ছাপানোর ব্যাপারেও তেমন কোনো ভাবনা কাজ করছিল না। বরং আমার কাছে মনে হচ্ছিল নিজের কিছু ভাবনাকে কাগজের পাতায় ফুঁটিয়ে তোলাটাই আমার জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। উপন্যাসটা লেখা শেষ হওয়ার পর প্রায় তিন- চার মাস এটা পিসিতেই পড়ে ছিল। তারপর করোনাকালীন সময়ে কোনো একদিন কথাচ্ছলে ‘নালন্দা’র কর্ণধার জুয়েল ভাইকে এটার কথা বললে তিনি আগ্রহ নিয়ে পাণ্ডুলিপিটা পড়েন এবং একবাক্যে এটাকে ছাপাতে রাজি হয়ে যান। বইটা যখন ছাপা হয় আমি আসলেই বুঝতে পারছিলাম না পাঠক বইটাকে কীভাবে গ্রহণ করবে। কিন্তু ছাপা হওয়ার পর পাঠকের যে ভালোবাসা আমি পেয়েছি তা ব্যাখ্যার অতীত। পাঠকের এই আপ্লুত ভালোবাসা আমাকে আক্ষরিক অর্থেই লেখক হিসেবে অনেককিছু নতুন করে ভাবতে শিখিয়েছে। সেজন্যে পাঠকের প্রতি আমার কৃতজ্ঞতার শেষ নেই। তবে শব্দজালের সফলতার জন্য যে দুজন মানুষকে ধন্যবাদ না দিলেই নয় তাদের ভেতরে প্রথম হলেন নালন্দা’র কর্ণধার জুয়েল ভাই। উনি আগ্রহী হয়ে বইটা প্রকাশ না করলে, উৎসাহ না দিলে, শব্দজাল হয়তো আমার প্রকাশই করা হতো না। জুয়েল ভাইয়ের সাথে কাজ করতে পারাটা আমার লেখক জীবনের জন্য ছিল এক নবজন্মের মতো। দ্বিতীয় মানুষটি হলো আমার স্ত্রী সুপ্ত। বইটা লেখা শেষ করার পরও যখন মনমতো কোনো নাম পাচ্ছিলাম না ‘শব্দজাল’ নামটা সে-ই সাজেস্ট করে। এই বইয়ের জন্যে এরচেয়ে উপযোগী নাম মনে হয় না আর সম্ভব ছিল। এই সিরিজের মূল চরিত্র প্রফেসর জাকারিয়া আহমেদ, ইচ্ছে আছে তাকে কেন্দ্র করে আরও অনেক অনেক গল্প বলার। সবাই আমার জন্য শুভকামনা রাখবেন যেন সুস্থ থেকে নিয়মিত লিখে যেতে পারি। খুব শিঘ্রই প্রফেসর জাকারিয়াকে নিয়ে ফিরে আসব নতুন গল্পে। সবাই ভালো থাকবেন।
রবিন জামান খান
স্টিলওয়াটার, ওকলাহোমা, যুক্তরাষ্ট্র
Ridita
Can’t open the second page
Asadulislam
Want another book of this series
S.r
“Tin Bahu dosh mukh’ boi ti please deben.