লোকায়ত দর্শন : দেবীপ্রসাদ চট্টোপাধ্যায়
লোকায়ত দর্শন : দেবীপ্রসাদ চট্টোপাধ্যায়
নিউ এজ পাবলিশার্স, কলকাতা। প্রথম প্রকাশ – ভাদ্র, ১৩৬৩।
.
মহামহোপাধ্যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর
স্মরণে
.
লোকায়ত দর্শন বা চার্বাক দর্শন ভারতীয় দর্শনের প্রধান শাখাগুলোর অন্যতম। এটি আধ্যাত্মবাদবিরোধী নিরীশ্বরবাদী ও বস্তুবাদী দর্শন। এই দর্শন কোনো প্রকার প্রত্যাদেশে বিশ্বাসী নয়, ‘প্রমাণ’ই এ-দর্শন অনুসারে যথার্থ জ্ঞানের উৎস।
.
From tribes there developed nations and states. Law and politics arose, and with them the fantastic reflection of human things in the human mind: religion. In the face of all these creations, which appeared in the first place to be products of the mind, and which seemed to dominate human society, the more modest productions of the working hand retreated into the background, the more so since the mind that plans the labour process already at a very early stage of the development of society was able to have the labour that had been planned carried out by other hands than its own. All merit for the swift advance of civilisation was ascribed to the mind, to the development and activity of the brain…… and so arose in the course of time that idealistic outlook on the world which, especially since the decline of the ancient world, has dominated men’s minds. F. ENGELS.
Division of labour only becomes truly such from the moment when a division of mental and material labour appears. From this moment onwards consciousness can really flatter itself that it is something other than consciousness of existing practice, that it is really conceiving something without conceiving something real; from now on consciousness is in a position to emancipate itself from the world and to proceed to the formation of “pure’ theory, theology, philosophy, ethics etc. K. MARX & F. ENGELS.
The truth of the matter is, not that these ancient Grecks anticipated the results of modern science, but that modern scientists have succeeded in reaffirming certain fundamental but forgotten truths and establishing them securely on the basis of experimental proof. The early Greek philosophers stood near the beginning of class society; the modern bourgeois scientists stand near its end…. The primitive dialectics of these early Greek materialists stands to the dialectical materialism of the present day in the same relation as primitive communism stands to modern communism. G. THOMSON.
Owing to a certain judicial blindness even the best intelligences absolutely fail to see the things which lie in front of their noses. Later, when the moment has arrived, we are surprised to find traces everywhere of what we failed to see……, look beyond the middle ages into the primitive age of each nation, and that corresponds to the socialist tendency although these learned men have no idea that the two have any connection. They are therefore surprised to find what is newest in what is oldest……K. MARX.
প্রস্তাব
সমাজ-বিকাশের পটভূমিতে ভারতীয় সংস্কৃতির একটি দিক এই গ্রন্থে বিচার করবার চেষ্টা করেছি। প্রাচীন ভারতীয় সমাজ-ইতিহাস—বিশেষত মাতৃপ্রাধান্য—সংক্রান্ত গবেষণা আজো অনেকাংশে অসম্পূর্ণ। এই পরিস্থিতিতে এবং বিশেষত ব্যক্তিগত যোগ্যতার অনুপাতে বর্তমান প্রচেষ্টা অবশ্যই দুঃসাহসের মতো। কিন্তু বিষয়টির গুরুত্ব অসামান্য; তাই বর্তমান গ্রন্থের অসম্পূর্ণতা ও অসঙ্গতি যদি সমালোচনা-প্রসঙ্গে ও বিষয়টির প্রতি দক্ষতার বিদ্বানদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারে তাহলেই আমার সমস্ত শ্রম সার্থক হবে।
মুদ্রণ কাজ স্বভাবতই সময় সাপেক্ষ হয়েছে; তাই শেষাংশে পৌছে প্রথমাংশকে নানাভাবে সংশোধন করবার আগ্রহ জাগলেও তার সম্ভাবনা ছিলো না। বৌদ্ধ আজীবিক ও ঔলুক্য দর্শনের উৎস সন্ধান প্রাসঙ্গিক হলেও তার জন্য স্থান সঙ্কুলান হয়নি। অধ্যাপক জর্জ টমসনের First Philosophers আরো আগে হাতে পেলে তার গবেষণা থেকে আরো বেশি লাভবান হবার সুযোগ পেতাম। কিন্তু এ-সব বিষয়ে আক্ষেপও অনেকাংশে অর্থহীন। কেননা সংশোধনাদির সম্ভাবনা সবসময়েই থাকে এবং নূতন যুক্তি ও নূতন তথ্য সংযোজনার প্রয়োজন কখনাতেই শেষ হয় না।
ঋণ-স্বীকারের জন্য খুব বেশি নাম উল্লেখ করবার সুযোগ পাচ্ছি না বলেও দুঃখ করে লাভ নেই। কেননা সংখ্যায় স্বল্প হলেও যাঁদের সাহায্য পেয়েছি তাদের আন্তরিকতা গভীরতায় প্রায় অপরিসীম। শ্রীযুক্ত প্রশান্ত সন্ন্যালের কাছ থেকে ব্যক্তিগত উৎসাহ না পেলে গ্রন্থটির কাজ হয়তো শুরুই হতো না। এবং শ্রীযুক্ত হরি সিংহরায় ও শ্রীযুক্ত মৈত্রের নানামুখী সাহায্য না পেলে এর কাজ শেষ করা নিশ্চয়ই অসম্ভব হতো। শীযুক্ত রাধারমণ মিত্র, শ্রীযুক্ত সুভাষ মুখোপাধ্যায় এবং শ্রীযুক্ত মণি চক্রবর্তীর সঙ্গে নানা বিষয়ে আলোচনার সুযোগ পেয়ে অত্যন্ত উপকৃত হয়েছি– ব্রাত্য, যজমান ও শ্বঘ্নিন শব্দের আদি তাৎপর্যের প্রতি শ্ৰীযুক্ত মণি চক্রবর্তীই প্রথম আমার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। গ্রন্থটি প্রকাশ করার ব্যাপারে শ্রীযুক্ত জানকীনাথ সিংহরায় যে-ধৈর্য্য দেখিয়েছেন এবং আমাকে যতোপানি স্বাধীনতা দিয়েছেন তার জন্য আমি তার কাছে চিরকৃতজ্ঞ থাকব। শ্রদ্ধেয় অবনীমোহন মুখোপাধ্যায় অকৃপন ভাবে গ্রন্থাদি দিয়ে সাহায্য করেছিলেন। অন্যান্য স্বীকৃতি গ্রন্থমধ্যে যথাস্থানে ব্যক্ত করবার চেষ্টা করেছি।
দেবীপ্রসাদ চট্টোপাধ্যায়
সিটি কলেজ
কলকাতা-৯
২০শে আগস্ট, ১৯৫৬
rakib
জাফর ইকবালের “ওগো টুনটুনি কীগো ছোটাচ্ছু” দেন প্লিজ।