রসমঞ্জরী – ভারতচন্দ্র রায়
রসমঞ্জরী – ভারতচন্দ্র রায়
রসমঞ্জরী “বিবিধ অলংকার গ্রন্থের ছায়ায় বিরচিত নায়ক-নায়িকার লক্ষণ ও তৎসংক্রান্ত বিবিধ অবস্থার বর্ণনাত্মক প্রবেশিকা গ্রন্থ।” (মদনমোহন গোস্বামী, ভারতচন্দ্র, সাহিত্য অকাদেমি, নতুন দিল্লি, পৃ. ৭) সম্ভবত ১৭৪০ খ্রিষ্টাব্দে রাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায়ের আদেশে ভানুদত্ত মিশ্রের রসমঞ্জরী, জয়দেবের রতিমঞ্জরী, রূপ গোস্বামীর উজ্জ্বল নীলমণি, বাৎস্যায়ণের কামসূত্র, বিশ্বনাথ কবিরাজের সাহিত্য দর্পণ, জ্যোতিরীশ্বর কবিশেখরাচার্যের পঞ্চসায়ক, কল্যাণমল্লের অনঙ্গরঙ্গ ইত্যাদি গ্রন্থ অবলম্বনে ভারতচন্দ্র এই গ্রন্থ রচনা করেন। (উইকি)
.
ভূমিকা
জয় জয় রাধা শ্যাম : নিত্য নব রসধাম : নিরুপম নায়িকানায়ক।
সর্ব্বসুলক্ষণধারী : সর্ব্বরসবশকারী : সর্ব্ব প্রতি প্রণয়কারক।।
বীণা বেণু যন্ত্র গানে : রাগরাগিনীর তালে : বৃন্দাবনে নাটিকানাটক।
গোপগোপীগণ সঙ্গে : সদা রাস রসরঙ্গে : ভারতের ভক্তিপ্রদায়ক।।
রাঢ়ীয় কেশরী গ্রামী : গোষ্ঠীপতি দ্বিজস্বামী : তপস্বী শাণ্ডিল্য শুদ্ধাচার।
রাজঋষি গুণযুত : রাজা রঘুরামসুত : কলিকালে কৃষ্ণ অবতার।।
কৃষ্ণচন্দ্র মহারাজ : সুরেন্দ্র ধরণীমাঝ : কৃষ্ণনগরেতে রাজধানী।
সিন্ধু অগ্নি রাহুমুখে : শশী ঝাঁপ দেয় দুঃখে : যার যশে হয় অভিমানী।।
তার পরিজন নিজ : ফুলের মুখটী দ্বিজ : ভরদ্বাজ ভারত ব্রাহ্মণ।
ভুরিশিট রাজ্যবাসী : নানাকাব্য অভিলাষী : যে বংশে প্রতাপ নারায়ণ।।
রাজবল্লভে কার্য্য : কীর্ত্তিচন্দ্র নিজরাজ্য : মহারাজা রাখিলা স্থাপিয়া।
রসমঞ্জরীর রস : ভাষায় করিতে বশ : আজ্ঞা দিলা রসে মিশাইয়া।।
সেই আজ্ঞা অনুসারি : গ্রন্থারম্ভে ভয় করি : ছল ধরে পাছে খল জন।
রসিক পণ্ডিত যত : যদি দেখ দুষ্ট মত : সারি দিবা এই নিবেদন।।
Leave a Reply